ফেনীর সোনাগাজীতে মায়ের সামনে মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় শহরের মিজান রোডের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের সনাতন ধর্মের একটি পরিবারের মা ও মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে মায়ের সামনে কিশোরী মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন:দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পরদিন চারজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ১৪ জুলাই ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক দণ্ডপ্রাপ্তকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফকির আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, আবদুর রশিদের ছেলে মো. লাতু ও আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একই এলাকার রসুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুককে বিচারক এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় মোহাম্মদ ফারুক আদালতে উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আইনি পরামর্শ নিতে রবিবার সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতিকে সঙ্গে নিয়ে আইনজীবী করিমুল হক দুলালের চেম্বারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান তাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।