ফরিদপুর
ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহার জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার (৭ মার্চ) বিকালে ফরিদপুরের জেলা দায়রা জর্জ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
ফরিদপুর জর্জ কোর্টের আইনজীবী শাহ মো. আবু জাফর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এর আগে নিম্ন আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর করলে সে আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ দায়রা জর্জ আদালতে জামিন আবেদন করেন তিনি। পরে দায়রা জর্জ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পিবিআই পুলিশ সুপার মোকতার
এর আগে গত মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি টিম। এর পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে তাকে ফরিদপুরের ১নং আমলি আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারহওয়া শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার নুরউদ্দিন আহমেদের ছেলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার ফারুক আহমেদের মেয়ে ফারজানা আক্তার তুলির সঙ্গে বিয়ে হয় শামসুদ্দোহার। ৯ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন স্ত্রী তুলি। তুলির অভিযোগ, মাদক ও পর নারীতে আসক্ত তার স্বামী শামসুদ্দোহা। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। অসুস্থ বাবা-মায়ের চিকিৎসার কথা বলে তিনি ৪০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কয়েক দফায় ১৫ লাখ টাকা দেয়া হয়।
পড়ুন: বিচারক ও পুলিশের ওপর হামলার উদ্দেশ্যেই দেশে আসেন মনির
ফরিদপুরে অস্ত্রোপচারের ৬ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি রোগীর
ফরিদপুরের একটি ক্লিনিকে এক নারীর অস্ত্রোপচারের ছয় দিনেও জ্ঞান ফেরেনি বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ওই নারীর ছেলে মো. শাহ আলম শেখ জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) তার মা লাকী বেগমের পড়ে গিয়ে পা ভেঙে গেলে ওই দিনই ফরিদপুর শহরের দেশ ক্লিনিকে এনে ভর্তি করেন। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডা. অনাদি রঞ্জন মন্ডল অস্ত্রোপচার করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
তার দাবি, অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার জ্ঞান না ফেরায় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক থেকে রিলিজ করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এখন পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।
অভিযোগের বিষয়ে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. অনাদী রঞ্জন মন্ডল জানান, অস্ত্রোপচারকালে ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অস্ত্রোপচার করা হয়।
রোগীর বর্তমান অবস্থার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ওই রোগী ব্রেইন ও হার্ট স্ট্রোক করে থাকতে পারে। তবে কেনো এমন হলো তা তিনি বলতে পারেননি। তবে পায়ের হাড়ভাঙা অপারেশনের কারণে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ
এ ব্যাপারে দেশ ক্লিনিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহামেদুল বারী বাবু জানান, রোগী অস্ত্রোপচার করার পরেও ঠিক ছিলেন। তবে, অস্ত্রোপচারের কিছু সময় পরে ওই রোগীর ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ আসে, যা শোনার পর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ট্রোক করেন বলে ধারণা করছি।
নবজাতকের কপাল কাটা: পরিবারের পাশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
ফরিদপুরে আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে নবজাতকের কপাল কাটার ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর স্বপ্রণোদিত হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে অভিযোগ নিয়েছেন কমিশন।
এর আগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এর জের ধরে আগামী ৪ এপ্রিল ২০২২ কমিশনের ভার্চুয়াল কোর্টে উপস্থিত হওয়ার জন্য আল মদিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর বুধবার একটি নোটিশ জারি করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯’এ কল: রাস্তায় ফেলে যাওয়া নবজাতক উদ্ধার
নোটিশে বলা হয়, কেন হাসপাতালের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা ব্যাখ্যা করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কমিশনের ভার্চুয়াল শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া শুনানিতে ভুক্তভোগীর প্রতিনিধিকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে একই ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের আদালতে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবার। মামলায় আল মদিনা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকারিয়া মোল্লা পলাশ, পরিচালক মো. আল হেলাল মোল্লা টগর, মো. গোলাম কিবরিয়া রাসেল, রহিমা রহমান, মো. আরিফুজ্জামান সবুজ ও হাসপাতালটির আয়া চায়না আক্তারকে আসামি করা হয়।
এ ব্যাপারে নবজাতকের বাবা শফি খান বলেন, ‘আমার প্রথম বাচ্চা নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। যে স্বপ্নটা ওরা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ ময়েজউদ্দিন মণ্ডলপাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী রুপা বেগমকে (২০) সন্তান প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে আনা হয়। সন্তান প্রসবকালে ওই হাসপাতালের নার্স দাবি করা আয়া চায়না বেগম সিজার করলে নবজাতকের কপালের বাম ভ্রুর ওপরে কিছু অংশ কেটে যায়। পরে নয়টি সেলাই দেয়া হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়।
ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিহত
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিহত হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পুখুরিয়া-আটরশি ফিডার সড়কের মানিকদাহ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. শরীফ জাকির (৫০) ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আরিফ জানান, জাকির হোসেন পুখুরিয়া-আটরশি ফিডার সড়কে রাস্তার পাশে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী তার লাশ উদ্ধার করে।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।
স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। পরদিন সকালে তাকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় আনা হয়।
গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা (৪০) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ফারজানা খন্দকার তুলির দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় তাকে ঢাকার রাজাবাজর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে স্বর্ণের বার আত্মসাতের অভিযোগে ৩ পুলিশ গ্রেপ্তার
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শকের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি, মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার জানান, ২০১৫ সালে তিনি জানতে পারেন তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। তখন থেকেই তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। এরপর তার স্বামী তার বাবার কাছ থেকে প্রমোশন বাবদ ৭০ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি ১৫ লাখ টাকা এনে দেয়াতে তার ওপর স্বামীর নির্যাতন বাড়তে থাকে। এছাড়া তার স্বামী প্রতিদিন নেশা করে এসে তাকে মারধর করতো।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অপহরণ ও ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি, ২ পুলিশ গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহাকে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে হাজির করা হয়।
হাসপাতালে ঢুকে রোগীর স্বজনকে ছুরিকাঘাত
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বামীকে ছুরিকাঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত রাসেল শহরের টেপাখোলা বিন্দাবনের মোড় এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে মাদরাসাছাত্র নিহত
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাসেল তার স্ত্রী হীরাকে নিয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। স্ত্রী হীরাকে চিকিৎসক প্রতিদিন দু’বার রক্ত পরীক্ষার নির্দেশনা দেন। রাতে জেনারেল হাসপাতালের প্যাথালজি ল্যাব বন্ধ থাকায় বাইরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করানোর জন্য দায়িত্বরত সিস্টার ইলা সিকদারকে সিরিঞ্জে রক্ত টেনে দিতে বলেন হীরার স্বামী রাসেল। এই সময় তিনি রক্ত টেনে দেয়া তার দায়িত্ব না জানিয়ে রাসেলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং সুপারভাইজারের কাছে নালিশ জানান। একই সঙ্গে শহরের খাবাসপুর এলাকার যুবলীগ কর্মী দেবাশীষ নয়নকে ফোন করে ডেকে আনেন।
পরে রাসেল নার্স সুপারভাইজারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বের হওয়ার পর পরই দেবাশীষ নয়ন ও তার সঙ্গে থাকা আরও তিন জন রাসেলকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইফুজ্জামান জানান, আহত রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার প্রচুর পরিমানে ব্লিডিং হয়েছে। এখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুত্রবধূর ‘ছুরিকাঘাতে’ আহত শাশুড়ির মৃত্যু
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এ ঘটনার পর ওই নার্স আত্মগোপনে আছেন। ঘটনার তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে আতাউর রহমান (৫৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে উপজেলার তেলিডাঙ্গী গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তি একই গ্রামের শেখ হোসনের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি বাজারে স্টিলের মালামালের ব্যবসা করতেন।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কীর্তনখোলায় নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টাখেত থেকে ২ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
মেঘনা নদীতে ডুবে থাকা বাল্কহেড থেকে নিখোঁজ ক্রু সদস্যের লাশ উদ্ধার
ভালবাসা দিবসের মানে বদলে গেল পঙ্গু মিজানের জীবনে
ভালবাসা দিবসে জীবিকার্জনের জন্য দোকান ঘর উপহার পেয়ে ভালবাসার মানেটাই বদলে গেল সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করা মিজানের। তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ফরিদপুরের সেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আমরা করবো জয়'। সংগঠনটি জীবিকা অর্জনের জন্য মিজানের বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান তৈরি করে দিয়েছে।
সোমবার রাতে দোকান উদ্বোধন করে পুনরায় সংসারের হাল ধরতে পেরে খুশি মিজান।
মিজান তালুকদার (৩২) ফরিদপুর শহরের উত্তর আলীপুর এলাকার রেজাউল করিম তালুকদারের বড় ছেলে । মিজান দুই সন্তানের জনক। পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ সংকুলান করতে না পেরে একদিন মিনি পিক আপের হেলপারি কাজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: হাত-পা বিহীন এসএসসি পরীক্ষার্থী সালাহ উদ্দিনের স্বপ্ন বড়
গেল বছর ২ অক্টোবর ছিল তার হেলপারি কাজের প্রথম দিন। সন্ধ্যায় ফরিদপুরের কানাইপুর বাজার থেকে মিনি পিকআপে পান লোড করে রওনা দেন যশোরের উদ্দেশ্যে।
রাত ২টার দিকে যশোরের চৌরাশ এলাকায় কাভার্ডভ্যানের সাথে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন পিকআপের চালক মো. সোহেলসহ মিজান। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন উইনিট, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেন। অবশেষে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয় করার পরও বাম পা কেটে ফেলতে হয় তার। শুরু হয় তার পঙ্গু জীবন। সোহেলের কোমরের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার তিনি এখনও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।।
ফরিদপুরে করোনায় ২ জনের মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা মহামারিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৪৭ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৯৪ জন।
মঙ্গলবার ফরিদপুর জেলা সির্ভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তি বলেন, জেলায় পিসিআর ল্যাবে এবং উপজেলা পর্যায়ের র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়েছে ২৬৭ জনের। পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৪ হাজার ৩৫৯ এ। জেলায় সুস্থ হয়েছেন ২৩ হাজার আট জন।
ছিদ্দীকুর রহমান আরও জানান, গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর শনাক্তের হার। মঙ্গলবার পর্যন্ত হোম আইসোলেশনে রয়েছে ২১২ রোগী এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও ৩৪ জন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। জনসাধারণকে আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্বের ন্যায় মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ দূরত্বে থেকে প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ফরিদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে বণিক সমিতির নির্বাচন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফরিদপুরের সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ী কেন্দ্র কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।
স্থানীয় একটি হাইস্কুলে রবিবার সকাল ৯টা থেকে এই ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে, গত ০৩ ফেব্রুয়ারি ওই নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
প্রশাসনের দেয়া নির্বাচন স্থগিতাদেশে বলা হয়, সেখানে উল্লেখ করেন, ফরিদপুরে করোনা ভাইরাস উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির’ নির্বাচনে ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে, যা করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করে জনস্বাথে নির্বাচনটিকে স্থগিতের জন্য বলা হলো।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সরকারি এই আদেশের পরেও বণিক সমিতির নির্বাচন কমিশন সেটিকে তোয়াক্কা না করেই নির্বাচন পরিচালনা অব্যাহত রাখে ।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সভাপতি প্রার্থি শেখ আকতার বলেন, সরকারি আদেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমিসহ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তো ঠিকই নির্বাচন পরিচালনা করছে, তাহলে আমাদের কি অপরাধ ছিল।
এ বিষয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকতারা নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনকে ডেকে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবারও জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন বন্ধের আহ্বান জানান।
কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন পরিচালনা বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জুলফিকার আলী মিনু মোল্লা বলেন, গত ১২ জানুয়ারি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। বাজারের এক হাজার ১৭২ জন ব্যবসায়ী এখানে ভোটার রয়েছে। এছাড়াও তিন জন সভাপতি ও তিন জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিসহ মোট ৯ পদে প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১০
সরকারি আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে আমাদের নিষেধ করা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় নির্বাচন না করলে আমাদের টিকে থাকা কঠিন তাই নির্বাচন পরিচালনা করছি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) দীপক কুমার রায় বলেন, সরকারি আদেশ অমান্য করায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।