মানুষ
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ
পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীতে ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছেন তারা।
এদিকে ছুটি শেষে যে পরিমাণ ভিড় বা গাড়ির চাপ থাকার কথা তেমন নেই। তবে সোমবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ছিল ফাঁকা।
তবে ফেরির চেয়ে লঞ্চে যাত্রী বেশি পার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪০.২ ডিগ্রি দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ
সকালে দীর্ঘক্ষণ দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, মহাসড়কের কোথাও তেমন কোনো চাপ নেই। যানজট ও ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছে ঢাকামুখী যাত্রীরা। তবে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি দেখা যায়।
এদিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে অপেক্ষমান কেটাইপ ফেরি কপোতি প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে একটি বাস, দুইটি পণ্যবাহী ট্রাক, তিনটি অ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েকটি ছোট গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জ পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
৭ নম্বর ঘাটে রাজবাড়ী থেকে আসা সৌহার্দ্য পরিবহনের চালক মো. রাশেদ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর আগে নদী পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। ভেবেছিলাম ঈদের ছুটি শেষে অন্তত আজকের দিন যানজট হতে পারে। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি সব ফাঁকা।
পরিবহনটির ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, আগের আর বর্তমান দৌলতদিয়া ঘাটের মধ্যে অনেক পার্থক্য। সেতু চালুর আগে ঈদের ছুটি শেষে নদী পাড়ি দিতে আসা গাড়িতে ঘাট এলাকায় ৬-৭ কিলোমিটার যানজট হতো। ভোগান্তিতে পড়তেন হাজারো মানুষ। এখন যানজট নেই, ভোগান্তিও নেই। সরাসরি ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে পারছেন।
এদিকে সোমবার সকালে ফেরি ঘাটের পরিবর্তে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি ছিল। গতকাল রবিবার বিকাল থেকে ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষ কর্মস্থলের দিকে ছুটতে শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ রয়েছে। দৌলতদিয়ায় ৭টির মধ্যে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এবং একটি লঞ্চ ঘাট সচল রয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া দিয়ে ৫২১টি বাস, ২৯২টি ট্রাক, ১ হাজার ৬১৭টি ছোট গাড়ি ও ১ হাজার ৫১৪টি মোটরসাইকেল নদী পাড়ি দিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক বিভাগের ঘাট তত্বাবধায়ক মো. শিমুল ইসলাম বলেন, এ রুটে ২০টি লঞ্চ চলছে। রবিবার বিকাল থেকে কর্মমূখী মানুষ ছুটতে শুরু করেছে। পদ্মা সেতু চালুর আগে যে চাপ থাকত তার অর্ধেকটাও নেই। যে কারণে সবাই স্বস্তিতেই কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ছোট-বড় ১৮টি ফেরি থাকলেও গাড়ির চাপ না থাকায় ৮-১০টি ফেরি যানবাহন পার করছে। গাড়ির চাপ বুঝে অন্যান্য ফেরি পর্যায়ক্রমে ছাড়ছে। তবে মনে হচ্ছে সোমবার বিকাল থেকে যাত্রীর সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবায় বছরে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ: ফখরুল
রমজানে মানুষকে জিম্মি করলে কেউ রেহাই পাবে না: পাটমন্ত্রী
রমজান মাসে মানুষকে জিম্মি করলে কেউ রেহাই পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘যে বাজারদর রমজান মাসের সদগাহ জারি হওয়ার কথা, সে জায়গা থেকে উল্টো মানুষকে জিম্মি করে উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের আমি একটি সতর্কবাণী দিলাম- দলের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে কেউ রেহাই পাবে না।’
রবিবার (১০ মার্চ) রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্যাদি বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই হুশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: দেশের বস্ত্রখাত এক মোড়লের উপর নির্ভরশীল নয়: পাটমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমি স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী থাকাকালে বাজারের সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানতাম। বাজার সম্পর্কে আমার ধারণা আছে।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা নিমসার বাজার থেকে আমরা যখন ১০ টাকা দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে একটা ফুলকপি কিনি সেটি যখন কারওয়ান বাজার হয়ে নিউমার্কেট বা টাউন হল মার্কেট আসে তখন এটি ৫০ টাকা হয়ে যায়। কৃষক পেল ১০ টাকা আর বিক্রি হলো ৫০ টাকা, মাঝখানে যে শুভঙ্করের ফাঁকি, মাঝখানে যে বিরাট ব্যবধান, এটা আশ্চর্যজনক ব্যবধান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনগণ দীর্ঘদিন পর্যন্ত ক্ষমতায় রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী বাজারদর নিয়ে বারবার সতর্ক করেছেন। বারবার কঠিন বার্তা দিয়েছেন। তারপরও যারা বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনছে না, তাদের আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছি।
এই সরকারের পতন না পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে- বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, এই কথা শুনতে শুনতে আমাদের কান জ্বালা পালা হয়ে গেছে এই কথা আমি বলব না।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ জনগণের কাছে এটি একটি হাস্যকর কথায় পরিণত হয়েছে। তাদের বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে: পাটমন্ত্রী
ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতি মুক্ত থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক নেতা নই, আমি নির্বাচনও করিনি। মানুষের সেবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি রোগীও মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, মানুষের সেবায় আমি আমার কাজ নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতি মুক্ত থেকে করে যাব।
এসময় জেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে দিক নির্দেশনাও দেন তিনি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরেকটি সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করার মাধ্যমে প্রথমত ভালো চিকিৎসক হতে হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সৎ ও আদর্শিক মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করতে হবে। আমরা শুধু হাজার হাজার ডাক্তার চাই না, আমরা চাই ভালো ডাক্তার, এই কথার অর্থ শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়কের ইউনিয়ন হসপিটাল লিমিটেড এবং ২৫০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শনকালে বেসরকারি হাসপাতালটির বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
হাসপাতালটি তার লাইসেন্স এর পরিধি বহির্ভূতভাবে আইসিইউ, সিটি স্ক্যান মেশিন, অপারেশন থিয়েটার ও পোস্ট অপারেটিভ রুম সমূহ পরিচালনা করে আসছিল। বিধায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটির বর্ণিত অংশ সমূহ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে অননুমোদিত আইসিইউ এবং পোস্ট অপারেটিভ রুমে ভর্তি থাকা রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশনাও দেন।
পরে মন্ত্রী ২৫০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মহিলা মেডিসিন বিভাগ, সিসিইউ, শেখ রাসেল নবজাতক সেবা ইউনিটটিতে (স্ক্যানু) রোগী ও দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
মন্ত্রী হাসপাতালেই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি জরুরি বিভাগ, আউটডোর ও ইনডোর রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
পরে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এছাড়া রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার চিত্র প্রত্যক্ষ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো, মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইল ফোনসেটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভোল্টি সক্ষম মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান চেয়ারম্যানের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান নিহতের অভিযোগ
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা গ্রাহকের জন্য ৪জি প্রযুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে আগাতে চাই। তাদের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে চলতে চাই।
এছাড়া নিজস্ব প্রয়োজনীয়তার ঊর্ধ্বে থেকে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটরসহ খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ডাল্টন জহির এফবিসিসিআইয়ের সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত
সুন্দরভাবে বাঁচতে মানুষকে নদী, জলাশয়ের সঙ্গে চলতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নদী, জলাশয় ও পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, মানুষের সুন্দরভাবে বাঁচতে নদী, জলাশয়ের ও পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে। পরিবেশের অবক্ষয় রোধে আমাদের নদীর সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে চলতে হবে। প্রকৃতির বিপরীত ধারায় গিয়ে আমরা কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারব না। টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পানি ভবনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ঢাকা ওয়াসার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সহাবস্থান করেই বাঁচতে হবে। নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়। এলক্ষ্যে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা এবং পানিসম্পদ ব্যবহারের টেকসইকরণে জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পানি উন্নয়ন প্রচেষ্টা একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং জাতিসংঘের সাবেক উন্নয়ন গবেষণা প্রধান ড. নজরুল ইসলাম। কর্মশালা পরিচালনা করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
আরও পড়ুন: সুপেয় পানি নিশ্চিতে এনজিও’র সঙ্গে কাজ করবে সরকার: সাবের হোসেন
মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
মাঘের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে সমগ্র কুড়িগ্রাম। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে গোটা জনপদ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীতের কষ্টে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলের মানুষজন।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: আবহাওয়া অফিস
ঘন-কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,সর্দি কাশিসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সূচি পরিবর্তন
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের হোসেন আলী বলেন, ২২ দিন থাকি ঠান্ডা, কাজ কামাই করতে পারছি না। আমরা যারা দিন করে দিন খাই, আমার গুলার (আমাদের) সমস্যা হইছে।
ওই এলাকার মোক্তার আলী নামের এক শ্রমিক বলেন, সকালে যখন বোরো ধানের বীজতলায় কাজ করি, তখন হাত পা বরফ হয়ে যায়। অনেকদিন থাকি ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৮ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
বেশি মুনাফার লোভ না করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো খাদ্যমন্ত্রী হওয়ায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনি ইশতেহারে বলেছেন দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখার। এজন্য মজুতদাররা যেন মজুদ করতে না পারে বা কোনো ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে বেশি মুনাফা লাভের আশায় জনগণকে কষ্ট না দেয় সেদিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে।
এখনো একটি মহল ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্নীতিকে না বলে দেশটাকে ভালোবেসে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছেন, এখন সেভাবেই কমাতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
‘পিছিয়ে পড়া মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে চাই’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা প্রান্তিকতা দূর করে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রত্যেক মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে চাই।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী উদ্যমী নারী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্ন জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেছেন, সমাজে এখনো প্রান্তিক মানুষ আছে এবং সেই প্রান্তিকতা নানা কারণে হয়ে থাকে। কোথাও ভৌগলিক, কোথাও অবস্থানগত, আর্থিক, বৃত্তি ও সাম্প্রদায়িক কারণে। সেই প্রান্তিকতা দূর করার জন্য বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ চেয়েছিলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, এই প্রান্তিকতা দূর করতে আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে নারী নেই। বহু সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায়ও এখন নারী রয়েছেন। কিন্তু তারপরও আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
তিনি বলেন, সে কারণে আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে কাজ করতে হবে। নারীর এগিয়ে আসা মানে পুরুষের পিছিয়ে যাওয়া নয়। নারী এগিয়ে যাওয়া মানে সমাজের সবার এগিয়ে যাওয়া।
নারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে শুধু তাদের আয় রোজগারের ব্যবস্থা করছেন তাই নয়, তারা অন্যদের কর্মসংস্থান তৈরী করছেন। নারীর জয় শুধু নারীর নয়, সমাজেরই জয়।
তিনি বলেন, নারীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক। এর মধ্যে আর্থিক ও প্রশিক্ষণের সমস্যা রয়েছে। সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকিং এর যে সুবিধাগুলো করে দিয়েছে সেগুলো অনেক উদ্যোক্তা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে এখন অনেক উদ্যোক্তা নারী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছেন এবং যার ফলে এখন অনেক নারী এগিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
চুয়াডাঙ্গায় হাড় কাঁপানো শীত, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড় কাপানো শীত। ভোর থেকে বেলা ১২টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা।
এমন কনকনে ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহায়তায় কেউ নেই। তারা কীভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটাচ্ছে সে খোঁজও প্রশাসনসহ নিচ্ছে না কেউ।
আরও পড়ুন: স্বাধীন দেশের প্রথম শীতের স্মৃতি
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হরেও তা এ জেলার জন্য অপ্রতুল। এছাড়া প্রশাসনের তালিকায় দিনমজুর এবং ছিন্নমূল মানুষ ঠাঁই পাচ্ছেন না।
গতানুগতিকভাবে আগের মতোই এ জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত মানুষের মধ্যে বিতরণ কাজ সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কিছু নিম্নমানের কম্বল বিতরণ করে সেটা ছবি তোলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে।
শীতার্ত খেটে খাওয়া মানুষ এ জেলায় উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছেন। আয়-রোজগার না থাকায় খেটে খাওয়া দিনমজুররা রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া শীত নিবারণের পোশাক কিনতে গিয়েও ফিরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
শীতে কাবু হলেও শীতের পোশাক কেনার সামর্থ হারিয়েছেন তারা।
শীতের কাপড় কিনতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দিনমজুর বলেন, যে কম্বল পেয়েছি তা দিয়ে চাদরের কাজও হয় না। একেবারে পাতলা। তাই পুরনো শীতের কাপড় কিনতে এসেছি।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট মোড় এলাকার পুরনো কাপড় বিক্রেতা হাবু বলেন, এবার শীতের শুরুতে বেচাকেনা তেমন ছিল না। তবে এখন বিক্রি বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তার মোড়ের চা বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, জব্বর শীত পড়ছে। সবকিছু টাটিয়ে যাচ্ছে। সকালে কুয়াশা আর শীত। আর সন্ধ্যাবেলা কুয়াশা পড়ছে। বেচা কিনা নেই, খুব কষ্টে আছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের ফুটপাতগুলোয় শীতের কাপড় বিকিকিনিতে ধুম
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রর্তা ছিল ৯৭ শতাংশ।
এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আদ্রর্তা ছিল ৯৬ শতাংশ। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান,আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গার আকাশে মেঘ জমবে এবং বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে করে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় আরও শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে।
শীতে সীমাহীন কষ্টে লালমনিরহাটের মানুষ, দেখা নেই সূর্যের
লালমনিরহাটে কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় দেখা মিলছে না সূর্যের।
কনকনে ঠান্ডা আর সঙ্গে হিমেল বাতাসের দাপটে উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম।
নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী, চরাঞ্চল ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। উত্তরের এ জেলা হিমালয় পর্বতের কাছে হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত খুলনাঞ্চলের জনজীবন
সন্ধ্যায় পর থেকেই বৃষ্টি মতো টপ টপ করে কুয়াশা পড়ছে। দুপুর হলেও বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্রদের সীমাহীন কষ্টে দিন কাটছে।
এদিকে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। শ্রমজীবীরা কাজে যোগ না দিতে পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে কনকনে শৈত্যপ্রবাহ, একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তর জনপদ।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। হিমেল হাওয়া, তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন একরকম অচল হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাটের তিস্তার চর কাশিয়াবাড়ী এলাকার জামাল উদ্দিন জানান, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস হচ্ছে। এর আগে কয়েকদিন ঠান্ডা একটু কম ছিল আমরা কাজে যেতে পেরেছি। তবে গত মঙ্গলবার থেকে প্রচুর বাতাস আর কুয়াশা পড়ছে। তাই আমরা কাজে যোগ দিতে পারছি না।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগী সংখ্যা বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেকে বসেছে শীত, বিক্রি বেড়েছে হকার্স মার্কেটে
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে। আগামী দিনগুলোতে আমরা আরও শীতবস্ত্র বিতরণ করব।