পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীতে ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছেন তারা।
এদিকে ছুটি শেষে যে পরিমাণ ভিড় বা গাড়ির চাপ থাকার কথা তেমন নেই। তবে সোমবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ছিল ফাঁকা।
তবে ফেরির চেয়ে লঞ্চে যাত্রী বেশি পার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪০.২ ডিগ্রি দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ
সকালে দীর্ঘক্ষণ দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, মহাসড়কের কোথাও তেমন কোনো চাপ নেই। যানজট ও ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছে ঢাকামুখী যাত্রীরা। তবে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি দেখা যায়।
এদিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে অপেক্ষমান কেটাইপ ফেরি কপোতি প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে একটি বাস, দুইটি পণ্যবাহী ট্রাক, তিনটি অ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েকটি ছোট গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জ পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
৭ নম্বর ঘাটে রাজবাড়ী থেকে আসা সৌহার্দ্য পরিবহনের চালক মো. রাশেদ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর আগে নদী পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। ভেবেছিলাম ঈদের ছুটি শেষে অন্তত আজকের দিন যানজট হতে পারে। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি সব ফাঁকা।
পরিবহনটির ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, আগের আর বর্তমান দৌলতদিয়া ঘাটের মধ্যে অনেক পার্থক্য। সেতু চালুর আগে ঈদের ছুটি শেষে নদী পাড়ি দিতে আসা গাড়িতে ঘাট এলাকায় ৬-৭ কিলোমিটার যানজট হতো। ভোগান্তিতে পড়তেন হাজারো মানুষ। এখন যানজট নেই, ভোগান্তিও নেই। সরাসরি ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে পারছেন।
এদিকে সোমবার সকালে ফেরি ঘাটের পরিবর্তে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি ছিল। গতকাল রবিবার বিকাল থেকে ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষ কর্মস্থলের দিকে ছুটতে শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ রয়েছে। দৌলতদিয়ায় ৭টির মধ্যে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এবং একটি লঞ্চ ঘাট সচল রয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া দিয়ে ৫২১টি বাস, ২৯২টি ট্রাক, ১ হাজার ৬১৭টি ছোট গাড়ি ও ১ হাজার ৫১৪টি মোটরসাইকেল নদী পাড়ি দিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক বিভাগের ঘাট তত্বাবধায়ক মো. শিমুল ইসলাম বলেন, এ রুটে ২০টি লঞ্চ চলছে। রবিবার বিকাল থেকে কর্মমূখী মানুষ ছুটতে শুরু করেছে। পদ্মা সেতু চালুর আগে যে চাপ থাকত তার অর্ধেকটাও নেই। যে কারণে সবাই স্বস্তিতেই কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ছোট-বড় ১৮টি ফেরি থাকলেও গাড়ির চাপ না থাকায় ৮-১০টি ফেরি যানবাহন পার করছে। গাড়ির চাপ বুঝে অন্যান্য ফেরি পর্যায়ক্রমে ছাড়ছে। তবে মনে হচ্ছে সোমবার বিকাল থেকে যাত্রীর সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবায় বছরে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ: ফখরুল