নরেন্দ্র মোদি
আগামীকাল শুরু হচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ডের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হতে চলেছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩।
এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার ৫টিসহ বিশ্বের ১০টি দল অংশ নেবে। ক্রিকেটপ্রেমী দেশ ভারত ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে।
হাজার হাজার মানুষ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মাঠ থেকে সরাসরি এ খেলা দেখবেন। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ভক্ত টেলিভিশন সম্প্রচার ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো উপভোগ করবেন।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও শক্তিশালী নিউ জিল্যান্ডের পাশাপাশি রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতকে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই যাত্রায় পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী।
টেস্ট খেলুড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করতে পারেনি।
এবারের আসরে এক নম্বর ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী স্কোয়াড রয়েছে বাংলাদেশের।
অভিজ্ঞ ও সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিভাদের সমন্বয়ে গঠিত এবারের স্কোয়াড। সাকিবের পাশাপাশি মুশফিকুর রহিম পঞ্চম বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছেন। লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ তাদের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছেন।
বিশ্বকাপের আগে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। যা ১৫ বছরের মধ্যে ঘরের মাটিতে ব্ল্যাক ক্যাপদের কাছে প্রথম পরাজয়। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে জয় নিশ্চিত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে টাইগাররা।
৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর ১০ অক্টোবর একই ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা।
রাউন্ড রবিন পর্বে বিশ্বকাপে মোট ৯টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এই ম্যাচগুলো শেষ হলে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া শীর্ষ ৪ দল সেমিফাইনালে লড়াই করবে। সেমিফাইনালের বিজয়ীরা ১৯ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত লড়াই করবে।
কিছু বড় ম্যাচ:
যদিও বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ অপরিসীম তাৎপর্য বহন করে, তবে কিছু ম্যাচ রয়েছে যেগুলোয় ভক্তদের একটু বাড়তি মনোযোগ থাকবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। সেগুলো হলো:
- ইংল্যান্ড বনাম নিউ জিল্যান্ড, ৫ অক্টোবর, আহমেদাবাদ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, ৮ অক্টোবর, চেন্নাই
- পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা, ১০ অক্টোবর, হায়দ্রাবাদ
- অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ১২ অক্টোবর, লখনউ
- ভারত বনাম পাকিস্তান, ১৪ অক্টোবর, আহমেদাবাদ
- ভারত বনাম বাংলাদেশ ১৯ অক্টোবর, পুনে
- অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান, ২০ অক্টোবর, বেঙ্গালুরু
- ভারত বনাম নিউ জিল্যান্ড, ২২ অক্টোবর, ধর্মশালা
- দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ, ২৪ অক্টোবর, মুম্বাই
- অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড, ২৮ অক্টোবর, ধর্মশালা
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, ৩১ অক্টোবর, কলকাতা
- নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান, ৪ নভেম্বর, বেঙ্গালুরু
- ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, ৪ নভেম্বর, আহমেদাবাদ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা, ৬ নভেম্বর, দিল্লি
- বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১১ নভেম্বর, পুনে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদিকে স্যুভেনির উপহার দিলেন সায়মা ওয়াজেদ
বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি স্যুভেনির উপহার দিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার সংক্রান্ত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন।
নয়াদিল্লিতে মোদির বাসভবনে তিনি স্যুভেনির হস্তান্তর করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই আনন্দদায়ক: মোদির টুইট
বিকালে ভারতীয় নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে সেখানে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে তিন সফরে নয়াদিল্লি যান শেখ হাসিনা।
এ সফরে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানাও তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
দিল্লিতে হাসিনা-মোদি আলোচনায় তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপিত হবে: পররাষ্ট্র সচিব
আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টিও উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যু আছে যা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী উত্থাপন করবেন। আমাদের আরও কিছু সমস্যা আছে। আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে।’
তিনি বলেন, গঙ্গার পানি চুক্তি আরেকটি বিষয়, যা শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে।
দীর্ঘ আলোচনার পর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সই হয়।
৩০ বছরের চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সব সময়ই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। ‘আমরা এটাকে সবসময় আলোচনার এজেন্ডায় রাখতাম। এবারও আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলবেন।
বাংলাদেশ মনে করে দুই দেশের পানি বণ্টন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে, কারণ দুই দেশ পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কাজ করতে ‘মানসিকভাবে একমত’।
আরও পড়ুন: বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ‘ক্রমবর্ধমান সংঘাত, সামরিক অভ্যুন্থান’ নিয়ে উদ্বিগ্ন ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব মোমেন
পূর্ববর্তী আলোচনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যার খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময়, উভয় নেতা নদী দূষণের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে এবং অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ ও নদীর নাব্যতা উন্নত করার জন্য কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ‘সুবর্ণ অধ্যায়ে’ আরও একটি পালক যুক্ত করবে।
ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পানিবন্টন ইস্যুতে ফলোআপ আলোচনা
এর আগে, পররাষ্ট্র সচিব ২০২৩ সালের জাতিসংঘের পানি সম্মেলনে বাংলাদেশের দেওয়া ১০টি প্রতিশ্রুতি নিয়ে একটি ফলোআপ আলোচনায় অংশ নেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা মূলত আলোচনা করেছেন কীভাবে সেই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা যায় এবং উন্নয়ন সহযোগীরা কীভাবে এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অধিকাংশ অঙ্গীকার ২০৩০ সালের মধ্যে পূরণ হবে এবং বিশ্বের অনেক দেশ আলাদাভাবে তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বছর ১০০০ রোহিঙ্গা নিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় সরকার: পররাষ্ট্র সচিব
ইউএন ২০২৩ ওয়াটার কনফারেন্সে ওয়াটার অ্যাকশন এজেন্ডা গ্রহণ করা হয়েছে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজিস) এবং পানির সঙ্গে যুক্ত তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশ ও অংশীজনদের স্বেচ্ছামূলক প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে।
আয়োজনটিতে ৬ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিল।
সভায় ওয়াটার অ্যাকশন এজেন্ডা বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এবং অপরিবর্তনীয় সম্পদ রক্ষার জন্য আর্থিক প্রতিশ্রুতি, সহযোগী প্রকল্প এবং পদক্ষেপের আকারে প্রায় ৭০০ প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জীবিকা ও বেঁচে থাকার জন্য পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা উপকূলীয় অঞ্চল, লবণাক্ততা সমস্যা, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস, প্লাস্টিক দূষণ, কৃষিজ পানির অপচয়, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং পানি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, কয়েক বছর পর উদ্বিগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সম্পদ সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছেন।
জাতিসংঘ বলেছে, পানি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং মানুষ ও গ্রহের অন্যদের জীবনের স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির জন্য একটি আবশ্যিক উপাদান।
জাতিসংঘ আরও বলেছে, কিন্তু পানি সংক্রান্ত লক্ষ্য ও লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি উদ্বেগজনকভাবে আলোচনার বাইরে রয়েছে। যা সমগ্র টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডাকে বিপন্ন করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নিয়ে আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্র সচিব
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত দুই ব্যক্তি গ্রুপের কোম্পানিগুলো থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের স্টক কিনেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করে গোপনে এসব শেয়ার কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি নেটওয়ার্কের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারের নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানির অন্তত ২৫ শতাংশ শেয়ার জনসাধারণের ক্রয়ের জন্য রাখা হয়।
অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই ব্যক্তি ‘দ্বীপদেশ মরিশাসের একটি অস্বচ্ছ বিনিয়োগ তহবিল’ ব্যবহার করে এসব শেয়ার কিনেছেন। পাবলিক শেয়ার প্রায় ১৪ শতাংশই তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত ওসিসিআরপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা একাধিক ট্যাক্স হেভেন, ব্যাংক রেকর্ড ও আদানি গ্রুপের অভ্যন্তরীণ ইমেলের ফাইলগুলোর উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
প্রতিবেদনে দুই বিনিয়োগকারীর নাম বলা হয়েছে নাসের আলি শাবান আহলি ও চ্যাং চুং-লিং।
বলা হয়েছে, আদানি পরিবারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা গ্রুপের কোম্পানিতে পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার হিসেবে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: আদানি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বিনিয়োগকারী ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চারটি আদানি কোম্পানিতে বড় পরিমাণে শেয়ার লেনদেন করেছেন।
যদিও আদানি গ্রুপ প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে তার তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আইন মেনে চলছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানির স্টক ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
তবে এপি স্বাধীনভাবে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরিশাস তহবিলের মাধ্যমে দুই ব্যক্তি আদানি স্টক কেনা-বেচা করেছিলেন এবং ‘এর মাধ্যমে যথেষ্ট লাভ করেছিলেন।’
এতে বলা হয়েছে, এই ধরনের কাজ আইনের লঙ্ঘন কি না সেই প্রশ্নটি আহালি ও চ্যাং আদানি গ্রুপের প্রোমোটারদের পক্ষে কাজ করছে কি না তার উপর নির্ভর করে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘যদি ওই দুজন আদানি গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করে, তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা আইন অনুমোদিত ৭৫ শতাংশেরও বেশি শেয়ারের মালিক।’
জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শর্ট-সেলিং হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্ম আদানি গ্রুপ ও তার প্রধান গৌতম আদানিকে ‘স্টক ম্যানিপুলেশন’ এবং ‘অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির’ জন্য অভিযুক্ত করেছিল। আদানি গ্রুপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে ভারতের ওপর আক্রমণের অভিযোগ আদানির
ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, সেই অভিযোগগুলোর পরে আদানি গ্রুপ ও গৌতম আদানি ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ হারিয়েছে।
এক সময়ে এশিয়ার সর্বোচ্চ ধনী গৌতম আদানি বর্তমানে আনুমানিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকায় ২০তম স্থানে রয়েছেন।
৬১ বছর বয়সী আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।
সমালোচকরা বলছেন, আদানির সাফল্যের বেশিরভাগই তার সরকার এবং মোদির সান্নিধ্য থেকে এসেছে। মোদিও মাঝে মাঝে আদানি জেট ব্যবহার করে প্রচার চালিয়েছেন।
যদিও বরাবরই সরকারের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আদানি।
হিন্ডেনবার্গের দাবির পরে বিনিয়োগকারীরা আদানির থেকে কিছুটা মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ায় অবকাঠামো, কয়লা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং মিডিয়াসহ তার সংস্থাগুলো কয়েক বিলিয়ন ডলার বাজার মূল্য হারিয়েছে।
মার্চ মাসে দেশের বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়াকে, আদানি গ্রুপ নিয়ম লঙ্ঘন বা স্টক মূল্যের হেরফের করেছে কি না তা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন ভারতের শীর্ষ আদালত।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, বোর্ড গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল, তাদের তদন্ত প্রায় সম্পূর্ণ এবং অফশোর ডিলের একটি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
চাঁদে ভারতের চন্দ্রযানের সফল অবতরণ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদিকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২৩ আগস্ট) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণকে চাঁদে দেশটির প্রথম চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণ উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।
ভারতকে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতরণ করানোর সাফল্যের জন্য তিনি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) ও এর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা তার বার্তায় আরও জানান, এই গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক অর্জনে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে আনন্দ করছে। যা বিজ্ঞান ও মহাকাশ প্রযুক্তি খাতে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও অনুপ্রেরণার বিষয়।
আরও পড়ুন: চাঁদে ভারতীয় মহাকাশযানের সফল অবতরণ
ভারতের মতো পরিপক্ক সরকার আঞ্চলিক স্বার্থে কিছু বলতেই পারে: মোমেন
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভারত-বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: হাইকমিশনার
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকার দেশটিতে চলতি সপ্তাহে সফরে যাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই নেতা।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে নেতারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ সফর করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তবে কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তা স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন-২০২৩: মডার্ন ডিপ্লোমেসি
এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ ভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে চলতি বছরের জি-২০’র সব কার্যক্রম ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলন ২০২৩: নতুন সদস্য হচ্ছে কোন কোন দেশ সেদিকেই সবার নজর
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য জোহানেসবার্গের চেয়ে নয়াদিল্লি ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।
মোমেন আরও বলেন, আফ্রিকা একটি ‘উদীয়মান রাষ্ট্র’ এবং বাংলাদেশ এ মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটা শক্তিশালী নয়। আমরা সেখানে দু’টি মিশন খুলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দেবেন (বৃহত্তর প্রচেষ্টা করার জন্য)।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সাইডলাইন বৈঠক এখনো নিশ্চিত হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
২০১৯ সালের পর এটিই হবে প্রথম সশরীরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। গ্রুপের গৃহীত উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করার এবং ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার সুযোগ দেবে এই শীর্ষ সম্মেলন ।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পরে আয়োজিত একটি বিশেষ ইভেন্ট ‘ব্রিকস – আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ’-এ অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এতে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত অন্যান্য দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় লোকসভায় খারিজ হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লোকসভায় এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব কণ্ঠভোটে বাতিল হয়েছে।
বিরোধীরা গত ২৬ জুলাই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সেটি গ্রহণ করেছিলেন।
প্রস্তাবের তিন দিন মণিপুর সহিংসতা এবং অন্যান্য উত্তেজনাপূর্ণ ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী জোটের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ চলে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অন্ধ্রপ্রদেশকে একটি বিশেষ বিভাগের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে ২০১৮ সালে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম এই প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তবে সেটি খারিজ হয়ে যায়।
৩৩১ জন সংসদ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এনডিএ সরকারের। এর মধ্যে বিজেপির ৩০৩ জন সংসদ সদস্যে রয়েছে। এছাড়া বিরোধী জোট ইন্ডিয়া’র ১৪৪ জন সংসদ সদস্য এবং নিম্নকক্ষে এই দুই জোটের বাইরের দলগুলোর সংসদ সদস্য সংখ্যা ৭০ জন।
আরও পড়ুন: ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভ মিছিল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কের জবাব দেওয়ার সময় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন।
এসময় কংগ্রেসের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা নেই বলেও তিনি বিদ্রুপ করেন।
মোদি বলেন, “কংগ্রেসের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা নেই। অহংকারের কারণে তারা বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছে না। তামিলনাড়ুতে তারা ১৯৬২ সালে জিতেছিল এবং ১৯৬২ সাল থেকে তামিলনাড়ুর মানুষ বলছে ‘নো কংগ্রেস’। পশ্চিমবঙ্গে তারা ১৯৭২ সালে জিতেছিল, পশ্চিমবঙ্গের মানুষও বলছে ‘নো কংগ্রেস’। ইউপি, বিহার ও গুজরাটে তারা ১৯৮৫ সালে জিতেছিল এবং এই রাজ্যগুলোর মানুষও বলছে ‘নো কংগ্রেস’।’’
বিরোধীদের অনাস্থা সবসময়ই এনডিএ সরকারের জন্য সৌভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেন মোদি।
তিনি আরও বলেন, ‘একঅর্থে বিরোধীদের অনাস্থা সবসময়ই আমাদের জন্য সৌভাগ্যজনক। আজ, আমি দেখতে পাচ্ছি, আপনারা (বিরোধীরা) ভাবছেন, আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে এনডিএ ও বিজেপি দুর্দান্ত জয় নিয়ে ফিরে আসবে।’
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা বহুবার পরীক্ষিত।
আরও পড়ুন: জি২০ অর্থমন্ত্রীদের 'সবচেয়ে নাজুক মানুষদের' দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান মোদির
মোদির তথ্যচিত্র প্রকাশের পর বিবিসির দিল্লি অফিসে তল্লাশি
নরেন্দ্র মোদি ও সোনিয়া গান্ধীকে উপহার হিসেবে আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার হিসেবে আম পাঠিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের দেওয়া তথ্যানুসারে, শেখ হাসিনা কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও আম উপহার পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বার্তা হিসেবে ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আম উপহার দিয়েছিলেন।
এ বছর হিমসাগর ও ল্যাংড়ার মতো জনপ্রিয় সুস্বাদু আম উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা রাজশাহী থেকে সংগ্রহ করা হয়।
রাজশাহী অঞ্চলটি উন্নত মানের সুস্বাদু আম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অফিসে আম পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য ১২০০ কেজি আম উপহার পাঠালেন শেখ হাসিনা
কোরবানির ঈদে কিশোরগঞ্জের দম্পতির উপহার হিসেবে গরু গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভ মিছিল
সংসদীয় বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার ভারতের কংগ্রেস দলের সদস্যসহ ১০০ জনেরও বেশি বিরোধী আইনপ্রণেতা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এসময় বিক্ষোভকারীরা বিশাল জাতীয় পতাকা বহন করে এবং স্লোগান দিয়ে বলতে থাকে, ভারতের গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং মোদির প্রশাসন বিরোধী নেতাদের ভয় দেখানোর জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ‘অপব্যবহার’ করছে।
সংসদ ভবন থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ছত্রভঙ্গ হতে বাধ্য করে।
এক ডজনেরও বেশি বিরোধী দলের নেতারা সংবাদ বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ করেন।
কংগ্রেস দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খার্গ তার দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে একটি মানহানির মামলায় আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার সমালোচনা করেছেন।
রাহুল গান্ধী ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সোমবার আপিল আদালতে রাহুল তার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘বিদ্রুপ’ করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের পর আদালত রাহুলের কারাদণ্ড স্থগিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভ মিছিল
খার্গে বলেছেন, ‘সংসদীয় বাজেট অধিবেশনটি একটি বিপর্যয় ছিল, যথাযথ বিতর্ক ছাড়াই সরকার ১২ মিনিটের মধ্যে ২০২৩-২৪ এর বাজেট পাশ করেছে।’
এদিকে, আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য বিরোধীদের দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে মোদি বলেন, ‘জনগণের মধ্যে জনপ্রিয়তার থাকায় আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বছরের জন্য বিজয়ী হবে তার দল।’
তিনি তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কর্মীদের পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করার আহ্বান জানান।
মোদি আরও বলেন, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আনার জন্য ভারতের জনগণ বিজেপিকে সমর্থন করেছিল, কেননা বেশিরভাগ বিরোধী দল রাজনৈতিক পরিবার দ্বারা পরিচালিত।
রাহুল গত মাসে বলেছিলেন যে তিনি আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানির সঙ্গে মোদির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলেই তাকে টার্গেট করা হয়েছে।
রাহুল আরও বলেন, পার্লামেন্ট থেকে তাকে বহিষ্কারের উদ্দেশ্য ছিল গৌতম আদানির নেতৃত্বে আদানি গ্রুপের মালিকানাধীন শেল কোম্পানিগুলোতে তিন বিলিয়ন ডলারের হিসাববিহীন বিনিয়োগের অভিযোগের বিষয়ে তাকে সংসদে কথা বলা থেকে বিরত রাখা।
ভারতের শীর্ষ আদালত সম্প্রতি আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মার্কিন শর্ট-বিক্রেতা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত আদানি কোম্পানিগুলোর বাজারের কারসাজি এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার নপর থেকেই এ ব্যাপারে তদন্তের বিষয়টি সামনে আসে।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট জারি করার পর থেকে গ্রুপের নামধারী আদানি এন্টারপ্রাইজ এবং অন্যান্য অনুমোদিত কোম্পানির শেয়ারগুলো কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাজার মূল্য হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
কারাদণ্ডের পর এবার লোকসভার সদস্যপদ হারালেন রাহুল গান্ধী
এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘উপহাস’ করার জন্য ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সোমবার আপিল করবেন।
কেননা রাহুলের বহিষ্কারাদেশ আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দল কংগ্রেসের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।
রাহুল গান্ধী ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমালোচক এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
২০১৯ সালের নির্বাচনী বক্তৃতায় ‘মোদি’ উপাধি নিয়ে উপহাস করার জন্য একটি আদালত তাকে মানহানির অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং এরপর তার সংসদ সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: কারাদণ্ডের পর এবার লোকসভার সদস্যপদ হারালেন রাহুল গান্ধী
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই কারাদণ্ড ও লোকসভার সদস্যপদ প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা করেছেন মোদি বিরোধীরা।
তারা এটিকে ক্ষমতাসীন সরকারের করা গণতন্ত্রের ওপর সর্বশেষ হামলা এবং ভিন্নমতকে দমন করার পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন।
রাহুলের আইনজীবীরা ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, রাহুল আজ তাকে কারাদণ্ড দেওয়া গুজরাটের সুরাটের ওই আদালতে হাজির হবেন। সেখানে তিনি তার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ বা সাময়িক স্থগিতাদেশ চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড