ঢাকা
ঈদকে সামনে রেখে ঢাকায় বেড়েছে মাংসের দাম
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে গরুর মাংস ও সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে এবং সব ধরনের মুরগির দাম ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে মাংসের দাম কমবে: সাঈদ খোকন
ঈদে গরুর দাম ও বহন খরচ বেড়েছে দাবি করে ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়েছে কসাইরা।
হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা ও বাসাবোসহ বিভিন্ন কিচেন মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, বুধবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হলেও কসাইরা প্রতি কেজি ৮০০ টাকা (গড়) বিক্রি করছে।
জানতে চাইলে হাতিরপুল এলাকার কসাই রতন বলেন, রমজানের প্রথম থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত কেজি ছিল ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়।
তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে যায়।
এছাড়া গরুর দাম বেশি এবং পরিবহন খরচও বেশি। তাই মাংসের দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
রামপুরার গরুর মাংস বিক্রেতা হাবিবও একই কথা বলেছেন।
এছাড়া প্রতি কেজি মাটন বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
গরুর মাংস কিনতে হাটে আসা শান্তিনগরের বাসিন্দা ইয়াকুব জানান, প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। ‘রমজানের শুরুতে আমি এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় কিনেছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) ৮০০ টাকায় কিনেছি। আমাদের বলার কিছু নেই।’
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের মুরগির ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, ‘গতকাল বুধবারও ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকায় বিক্রি করেছি) যা আজ প্রতি কেজি ২৬০ টাকা।’
মোরগ (সোনালী) ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সোনালী (মোরগ) মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৩৬০ টাকায়।
লেয়ার (লাল) প্রতি কেজি সাদা লেয়ার ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।
গত সপ্তাহের তুলনায় লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, যা বুধবার বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
তবে ঈদুল ফিতর উদযাপনে নগরবাসী ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সবজির দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে গরু-মুরগির মাংসের দাম
করোনাভাইরাস ঢাকায় বাড়িয়ে দিয়েছে মাংসের দাম
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের সঙ্গে ইফতারে শরিক হলো জাতিসংঘ বাংলাদেশ
রমজান মাস উদযাপনকারী সকলেই পুরো মাস দিনের বেলা রোজা রাখেন এবং সন্ধ্যায় ইফতার গ্রহণ করেন। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেভাবে রোজা ভাঙতেন, রোজা পালনকারীগণ সেভাবে তিনটি খেজুর খেয়ে চিরাচরিতভাবে তাদের রোজা ভেঙ্গে থাকেন। তারপর বিভিন্ন রকম খাবার সহযোগে ইফতারির পালা, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে ফল এবং বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি শরবতের মিষ্টি পানীয় ইফতার টেবিলের একটি অভিন্ন পরিবেশনা।
কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী আব্দুল্লাহ, সায়মা, আয়েশা এবং অন্যান্য অনেক শিশুর নিকট রমজান মাস হলো প্রার্থনা, রোজা পালন এবং পিয়াজু, ছোলা, জিলাপি, ইত্যাদি সহযোগে চিরাচরিত 'ইফতারি'র মাস। কিন্তু সবসময় এই ইফতারগুলোও তাদের খাবার টেবিলে স্থান পায়না।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত
১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতিসংঘ পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে একটি সুন্দর সন্ধ্যা কাটানোর লক্ষ্যে বের হন। এই টিম ইফতারের জন্য ৫০০ খাবার প্যাকেট ও উপহার বাক্স শিশুদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে কড়াইল এতিমখানা, গাবতলী, কমলাপুর ও সদরঘাট - ঢাকা মহানগরীর এই চারটি স্থানে যান ।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘ইফতারের সময় এই শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় আমাদের সহানুভূতি ও সহায়তা শিশুদের কতটা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের সন্ধ্যার ইফতার আয়োজনকে একটি বিশেষ মাত্রা দেয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ ও জাতিসংঘ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ঈদের যাত্রা শুরু হওয়ায় ঢাকা শান্ত
ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করায় ঢাকার রাস্তাগুলো ফাঁকা হয়ে পড়েছে।
বেসরকারি সংস্থা নৌ পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ লোক ঢাকা ও আশপাশের এলাকা ছেড়ে চলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো
ঈদুল ফিতরের আগে সরকারি, আধা-সরকারি এবং অনেক বেসরকারি অফিসে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় মঙ্গলবার বিকাল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ শহর ছেড়েছে।
এ বছর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের ঈদের ছুটি।
এনসিপিএ্সআরআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ প্রতি বছর তাদের গ্রামের বাড়িতে যান। এর মধ্যে ২০ শতাংশ যাবে নৌপথে এবং ২০ শতাংশ রেলপথে।
এনসিপিএসআরআর-এর সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া বলেন, ঈদের আগে ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত নয় দিনে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে ঢাকা ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে সদরঘাট টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ উপকূলীয় জেলায় যাবেন এবং বাকি তিনজন। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর দিয়ে ঈদের ছুটি কাটাতে যাবে লাখ লাখ মানুষ।
এছাড়া শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) জানিয়েছে, ঈদে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বেন, যা মোট ঈদের ছুটির ৬০ শতাংশ।
এদিকে ট্রেনে যাবে আরও প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।
ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক পূর্ব) আখের হুসাইন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত থেকে অনেকে আবদুল্লাহপুর থেকে উত্তর জেলা, ময়মনসিংহ জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
পরে বুধবার সকাল ১১টা থেকে আজ বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ একই গন্তব্যের উদ্দেশে আব্দুল্লাহপুর ত্যাগ করেন।
তবে ঢাকায় বসবাসকারী গৃহমুখী মানুষের সংখ্যা এখন তুলনামূলক কম, সন্ধ্যার পর তা বাড়বে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অধিকাংশ বাস সময়সূচি অনুযায়ী আব্দুল্লাপুর ছেড়েছে।
মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (দারুস সালাম জোন) ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, বুধবার ভোরে বাড়িমুখী মানুষের ভিড় শুরু হয় এবং তা সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে।
তিনি আরও বলেন, গাবতলী থেকে অধিকাংশ বাস প্রায় সময় মতো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
একইভাবে সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড সূত্র জানায়, বেশিরভাগ বাস চট্টগ্রাম ও সিলেট সড়কের পাশাপাশি অন্যান্য গন্তব্যের জন্য টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণের সময়সূচিতেই ছেড়েছে।
একইভাবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সকাল থেকে অধিকাংশ ট্রেন সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ছেড়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে কাজ করছে জেলা হাইওয়ে পুলিশ
ঈদ উপলক্ষে ৯ দিন বন্ধ থাকবে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর
রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার মধ্যেও বিশ্বের পঞ্চম দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা
তাপপ্রবাহ জনজীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে সোমবার সকাল ৯টা ৪০ টায় কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৮ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান পঞ্চম।
ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু এবং থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই যথাক্রমে ২২৮, ১৯৮ এবং ১৬৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।, এবং আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আগামী ৩ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করল ঢাকাবাসী
কুষ্টিয়ায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র উদ্বোধন ভারতীয় হাই কমিশনারের
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা রবিবার (১৬ এপ্রিল) কুষ্টিয়ায় একটি নতুন ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) উদ্বোধন করেছেন। এটি বাংলাদেশের ১৬তম আইভ্যাক কেন্দ্র।
এছাড়া এটি কুষ্টিয়া ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসা পরিষেবাসমূহ আরও সহজ ও সুবিধাজনক করবে।
নতুন ভিসা আবেদন কেন্দ্র উদ্বোধনের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
এসময় তিনি বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভিসা সুবিধা ক্রমাগত উন্নত করার প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা সহজতর করার জন্য হাইকমিশনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আশা করছি নতুন কেন্দ্রটি মানুষে মানুষে যোগাযোগকে আরও শক্তিশালী করবে, যা দুই দেশকে আবদ্ধ করে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যৌথ আত্মত্যাগের মাঝে নিহিত ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলে অবস্থান করে।
নতুন আইভ্যাক কেন্দ্রটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্য ও মানুষে-মানুষে আদান-প্রদান প্রসারের জন্য একটি নতুন মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে।
ঢাকার ৫৮টি মার্কেট আগুনের ঝুঁকিতে, ৯টি 'অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ': ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর ৫৮টি মার্কেট ও শপিংমল অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।
অগ্নি দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে বাজার ও শপিংমলের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এর মধ্যে নয়টিকে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’, ১৪টিকে ‘মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৩৫টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো হলো- গাউসিয়া মার্কেট, বরিশাল প্লাজা মার্কেট, রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, আলাউদ্দিন মার্কেট, শাকিল আনোয়ার টাওয়ার, শহীদুল্লাহ মার্কেট, শরীফ মার্কেট, মায়া কাটারা এবং রোজলিন ভিস্তা।
কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, নিউ সুপার মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় বিষয়টি তাদের বারবার জানানো হয়েছে।
তিনি বাজারের ব্যবসায়ী ও ব্যবস্থাপনা কমিটিকে বিভিন্ন পয়েন্টে রাতভর বাজার পাহারা দেওয়ার জন্য লোক নিয়োগের আহ্বান জানান।
তাজুল ইসলাম জানান, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তারা ডিজিএফআই-এনএসআই সদস্যদের নিয়ে বেশ কয়েকটি বাজার পরিদর্শন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই যে পরিদর্শনে আমরা যা দেখেছি তা সন্তোষজনক নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজ চারটি বাজার মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি এবং কীভাবে আগুন মোকাবিলা করতে হবে সে সম্পর্কে তাদের ধারণা দিয়েছি।’
এর আগে শনিবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেটের পাশে নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকার নিউ সুপার মার্কেটের আগুন ২৭ ঘণ্টা পর নিভল
ঘন ঘন আগুন নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখার অনুরোধ ফায়ার সার্ভিসের ডিজির
ঢাকার নিউ সুপার মার্কেটের আগুন ২৭ ঘণ্টা পর নিভল
ঢাকা নিউমার্কেটের পাশে নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর অবশেষে তা নিভেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্সের কর্মরত অফিসার (কন্ট্রোল রুম) লিমা খানম জানান, অবশেষে আজ (রবিবার) সকাল ৯টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিভল।
এর আগে শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন আগুন নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখার অনুরোধ ফায়ার সার্ভিসের ডিজির
ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিটের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী।
শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সময় প্রচণ্ড ধোঁয়ায় অগ্নিনির্বাপক কর্মীসহ ৩২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তীব্র তাপপ্রবাহ গ্রাস করেছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুব শিগগিরই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকায় ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়, খুলনা বিভাগ, ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
এছাড়া দেশের বাকি অংশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয় যে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: ঘন ধোঁয়ায় অসুস্থ ১৯
ঢাকার নিউ সুপার মার্কেটে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করার সময় প্রচণ্ড ধোঁয়ায় অন্তত ১৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এর মধ্যে ১৩ জন ফায়ারফাইটার, একজন ফায়ার সার্ভিসের অফিসার, দুইজন স্বেচ্ছাসেবক, দুইজন আনসার সদস্য এবং একজন বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’: হাছান মাহমুদ
তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিউ সুপার মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে।
ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী আগুন নেভাতে কাজ করছে।
এছাড়া ঘটনাস্থলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১২টি ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগে। ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস’ আছে কি না তা খতিয়ে দেখুন: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩,৮৪৫ জন: ডিএসসিসি
ঈদের ছুটিতে ঢাকার ৬০ শতাংশ মানুষ সড়কপথে বাড়ি যাবে: এসসিআরএফ
ঈদুল ফিতরের সময় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকারে বাইরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ যাবে সড়ক পথে। বাকি ৪০ শতাংশ চলে যাবে নৌ ও রেলপথে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ।
তবে সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরে সম্পূর্ণ ডাটাবেজ না থাকায় প্রতিবেদনটি শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল ঈদের আগের ৯ দিনে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা সড়ক পরিবহন খাতের নেই।
এসসিআরএফ পর্যবেক্ষণ অনুসারে, জাতীয় মহাসড়কসহ অনেক রাস্তায় টোল আদায় করা হয় ম্যানুয়ালি। বেশ কিছু দূরপাল্লার রাস্তার কিছু জায়গা জরাজীর্ণ। সারা দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। এছাড়া ঈদে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে। সব মিলিয়ে বাসের সময়সূচি বিঘ্নিত হওয়া, বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘ যানজট ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নির্দেশনার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সড়কে জনদুর্ভোগ কমবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসসিআরএফ জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহৎ জনবহুল শহরসহ শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকার অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ তাদের বর্তমান আবাসস্থল ত্যাগ করে।
গবেষক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা অঞ্চল থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ চলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে ঈদুল ফিতরে ২৫ শতাংশ মানুষ নৌপথে এবং ৫৫ শতাংশ সড়কপথে যাতায়াত করত। পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রীর হার কমেছে ৫ শতাংশ। অন্যদিকে সড়কে যাত্রীর হার ৫ শতাংশ বেড়ে ৬০ শতাংশ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি আরও ১ দিন বাড়ল