ঈদুল ফিতরের সময় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকারে বাইরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ যাবে সড়ক পথে। বাকি ৪০ শতাংশ চলে যাবে নৌ ও রেলপথে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ।
তবে সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরে সম্পূর্ণ ডাটাবেজ না থাকায় প্রতিবেদনটি শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল ঈদের আগের ৯ দিনে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা সড়ক পরিবহন খাতের নেই।
এসসিআরএফ পর্যবেক্ষণ অনুসারে, জাতীয় মহাসড়কসহ অনেক রাস্তায় টোল আদায় করা হয় ম্যানুয়ালি। বেশ কিছু দূরপাল্লার রাস্তার কিছু জায়গা জরাজীর্ণ। সারা দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। এছাড়া ঈদে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে। সব মিলিয়ে বাসের সময়সূচি বিঘ্নিত হওয়া, বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘ যানজট ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নির্দেশনার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সড়কে জনদুর্ভোগ কমবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসসিআরএফ জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহৎ জনবহুল শহরসহ শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকার অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ তাদের বর্তমান আবাসস্থল ত্যাগ করে।
গবেষক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা অঞ্চল থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ চলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে ঈদুল ফিতরে ২৫ শতাংশ মানুষ নৌপথে এবং ৫৫ শতাংশ সড়কপথে যাতায়াত করত। পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রীর হার কমেছে ৫ শতাংশ। অন্যদিকে সড়কে যাত্রীর হার ৫ শতাংশ বেড়ে ৬০ শতাংশ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি আরও ১ দিন বাড়ল