নীলফামারী
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
নীলফামারীর ডিমলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের আরোহী দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার ডাঙ্গারহাট-গোমনাতি সড়কে ডঙ্গারহাট শহীদ মিনারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাফিক ইসলাম (২২) এবং মো. বুলু হোসেনের ছেলে রিপন ইসলাম (২৩)।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মোটরসাইকেল নিয়ে ডাঙ্গারহাট থেকে গোমনাতী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন ওই দুই যুবক। দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় ডাঙ্গারহাট শহীদ মিনারের সামনে সড়কের বাঁকে একটি ইজিবাইকে সাইড দেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়েন তারা। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নিহত দুই যুবকের লাশ হাসপাতালে রয়েছে। এবিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রসহ নিহত ৩
নীলফামারীতে ভাতিজার কোদালের আঘাতে চাচার মৃত্যু!
নীলফামারীর ডোমারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার কোদালের আঘাতে চাচা নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামের নেংরীর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।
অভিযুক্ত মনির হোসেন (২২) নিহত রফিকুলের ভাই রমজান আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছয় ছেলের মধ্যে ৪৩ শতশের একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই ছয় ছেলের মধ্যে রফিকুল ইসলাম (৫৫) ও মফিজার রহমান (৬০) একটি পক্ষ।
অপর চার ভাই বিটুল ইসলাম (৪৭), রমজান আলী (৪৪), আবু বক্কর সিদ্দিক (৪২) ও মো. রেজাউল ইসলাম (৪০) আরেকটি পক্ষ।
রবিবার বিকালে পুকুরপাড়ে যান রফিকুল ইসলাম ও মফিজার রহমান। এসময় তাদের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এসময় ভাতিজা মনির কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন চাচা রফিকুল ইসলাম।
ওই হামলায় আহত মফিজার রহমান ও তার ছেলে জিকরুল ইসলামকে (২২) ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ উন নবী।
তিনি বলেন, নিহত রফিকুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় রাতে নিহতের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২৯) বাদি হয়ে তার চাচাত ভাই মনির হোসেনকে (২২) প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারিত্বমূলক, আক্রমণাত্মক ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে এবার নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিদের তলব করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রাজজ) গোলাম সারোয়ারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মমতাজুল হকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিচারকদের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির বিশৃঙ্খলা ঘটনা শেষ হওয়ার আগেই নতুন এই ঘটনা সামনে এলো।
এসময়,আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
আইনজীবীরা হলেন- মো. মমতাজুল হক, আইনজীবী মো. আজহারুল ইসলাম ও আইনজীবী ফেরদৌস আলম।
জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম সারোয়ারের পাঠানো পত্রে বলা হয়, গত ২৮/১১/২০২২ তারিখে আদালতে আত্মসমর্পণকারী আসামি হাছিনা বেগমের আত্মসমর্পণপূর্বক জামিন শুনানি, আসামি আইনুল হকের জামিনের মেয়াদ বর্ধিতকরণ এবং হাজতি আসামি হাছানের জামিন শুনানির জন্য ছিল। পুলিশ রিপোর্ট, চিকিৎসা সনদ পর্যবেক্ষণ করে এবং আদালতে উপস্থিত ভুক্তভোগীর পরীক্ষার পর আসামির জামিন নামঞ্জুর করা হয় এবং অপরাপর আসামিদের জামিন আবেদন এবং মেয়াদ বর্ধিতকরণ আবেদন না-মঞ্জুর পূর্বক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করি। এই আদেশ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই অত্র মামলার নিয়োজিত আইনজীবী মমতাজুল হক, আইনজীবী মো. আজাহারুল ইসলাম, আইনজীবী ফেরদৌস আলমসহ তাদের অপরাপর সহযোগী আইনজীবীগণ অত্যন্ত মারমুখী হয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এজলাসের টেবিল চাপড়িয়ে বিকট শব্দে আমার প্রতি বিরূপ উক্তি উচ্চারণ পূর্বক হামলা করার প্রয়াস চালায়। তারা হুমকি দিয়ে বলে, 'জামিন দিয়ে নেমে যা, সরি বল, চাকরি করার দরকার নাই, বাড়ি গিয়ে বসে থাক, কোথা থেকে পড়াশোনা করেছো, আইন-কানুন জানো না, নীলফামারীর বার খুবই ভয়ঙ্কর, এর আগে অনেক বিচারককে পিটিয়ে এখান থেকে তাড়িয়েছি, কোথা থেকে এসেছো, এসেই উল্টা পাল্টা আদেশ দাও।' এই পরিস্থিতিতে এজলাসের অবস্থা বেগতিক দেখে আমি তাদের সঙ্গে কোনরূপ তর্কে না জড়িয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এজলাসের কার্যক্রম মুলতবি রেখে আমার খাস কামরায় চলে যাই। খাস কামরায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করাকালীন সময়েও ওই আইনজীবীরা আমাকে জঘন্য ভাষায় বার সভাপতি আইনজীবী মমতাজুল হক, সহ-সভাপতি আইনজীবী মো. আজাহারুল ইসলাম এবং আইনজীবী ফেরদৌস আলম আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। উক্ত সময়ে উপস্থিত অপরাপর আইনজীবীদের নিয়ে যে আচরণ করেছেন তাতে আমি বাংলাদেশ বিচার বিভাগের অধস্তন আদালতের সর্বোচ্চ পদে আসীন হিসাবে হতাশ, বাকরুদ্ধ, মর্মাহত, লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছি এবং উক্ত ঘটনার কারণে আমি সহ এই জেলার অপরাপর বিজ্ঞ বিচারকগণ নিরাপত্তাহীনতাসহ লাঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাবোধ করছি। এমতবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহোদয়ের সদয় মর্জি হয়।
গত ২৯ ডিসেম্বর নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রাজজ) গোলাম সারোয়ারের পাঠানো অভিযোগপত্রটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন। গত ৩ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি অভিযোগপত্রটি বিচারের জন্য হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। তার ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি আদেশের জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠে।
আরও পড়ুন: সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি দিলেন হাইকোর্ট
৪ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত হয়।
এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর
তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে
দেশের কিছু অংশে জেঁকে বসেছে শৈত্যপ্রবাহ; থাকবে আরও ২-৩ দিন
একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে। আরও দুই থেকে তিন দিন এমন অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে।
শনিবার সকালে ঢাকায় ১১ দশকি পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে - যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন।
তিনি আগাম বার্তায় বলেন, দেশে এরূপ পরিস্থিতি আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ১১ থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
শনিবার বিএমডির এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিভাগ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা ও বরিশাল জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ: চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারী ও পঞ্চগড় এবং শ্রীমঙ্গলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা কমতে পারে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে উপমহাদেশীয় উচ্চতার শৈলশিরা বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী নিম্নচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: দেশের ৪ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
চলতি সপ্তাহে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
নীলফামারীর চড়াইখোলা ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হিয়া মনি (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল এগারটার দিকে উত্তর আরাচি চড়াইখোলা সরমজানী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হিয়া মনি একই এলাকার নুরুজ্জামান আলী শাহের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রাবেয়া বেগম জানান, ওই বাড়ির রান্না ঘরের সেচ পাম্প থেকে সেচ দেয়া হতো। হঠাৎ মেয়েটি ওই ঘরে গিয়ে তারের সঙ্গে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে মারা যায় মেয়েটি।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন,আমাদের কাছে খবর আসেনি,তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাস চালকের সহকারীর মৃত্যু
সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
নীলফামারীতে দুর্ঘটনায় আহত সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যু
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত সাদেকুল ইসলাম সৌরভ (২৮) ইটাখোলা ইউনিয়নের মার্কাস মসজিদ পাড়া এলাকার আনোয়ারুল হক মিন্টুর ছেলে ও ডিসি অফিসের শিক্ষা শাখার অফিস সহকারী।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দুর্ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অনন্যা রোজি ও দেড় বছরের ছেলে ফাইজান আহত হয়। বর্তমানে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি ইউসুফ আলী জানান, সৌরভ তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নীলফামারী থেকে দিনাজপুরের খানসামার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পুলেরহাট এলাকায় অটোরিকসার সঙ্গে সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের তিনআরোহী আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে প্রথমে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে, সেখানে কর্মকর্ত সাদেকুল ইসলাম সৌরভের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আড়াইহাজার সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রমিজ আলম বলেন, এখনো তার লাশ বাড়িতে আসেনি। পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাযা ও দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
ঠাকুরগাঁওতে কালবৈশাখীর আঘাতে নিহত ১, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী জেলায় শুক্রবার মধ্যরাতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ কালবৈশাখীর আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রচন্ড ঝড়ে জেলার বেশকিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালা ধ্বংস হয়েছে।
নিহত সঞ্জয় কুমার মন্ডল (২৮) জয়পুরহাট সদর উপজেলার বাসিন্দা।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, দুই ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ে জেলায় ১২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির বোরো ধান, পাট, ভুট্টাখেত নষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবি, শিশুর লাশ উদ্ধার
প্রবল বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি প্রায় ৪০ মিনিট ধরে স্থায়ী ছিল। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন জানান, শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ভুট্টা, বোরো ধানসহ আম ও লিচু গাছের ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কর্মকর্তারা মাঠ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করার চেষ্টা করছেন।
নীলফামারী মডেল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা জানান, ঝড়ে একটি ভবনের টিনের ছাদ উড়িয়ে কলেজের প্রধান ফটকের ওপরের অংশ ভেঙে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাকে জানানো হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু
নীলফামারীতে মাইক্রোবাসচাপায় শিশু নিহত
নীলফামারীর জলঢাকায় মাইক্রোবাসচাপায় ছয় বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে নীলফামারী ও জলঢাকা সড়কের দক্ষিণ দেশিবাই ডাক্তারপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মারুফ হোসেন কাঁঠালি ইউনিয়নের দক্ষিণ দেশিবাই এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে।
কাঁঠালি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তুহিন জানান, ছাগল নিয়ে নীলফামারী-জলঢাকা সড়ক পার হওয়ার সময় নীলফামারীগামী একটি মাইক্রোবাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সে নিহত হয়।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে অটোরিকশা উল্টে শিশু নিহত
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির জানান, মাইক্রোবাসটি চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে শিশুটির লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।