শেখ হাসিনা
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নদীর পানি সংরক্ষণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নদীর পানি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার চট্টগ্রাম ওয়াসার নবনির্মিত শেখ হাসিনা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট-২ উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের যেভাবেই হোক বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে হবে এবং বর্ষায় নদীর পানি সংরক্ষণ করতে হবে যাতে আমরা পানির সঠিক ব্যবহার করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (পর্যায়-২) এর আওতায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নির্মিত পানি শোধনাগার চালুর ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার সার্বিক পানি সরবরাহ ক্ষমতা এখন১৪ দশমিক ৩০ কোটি লিটার বেড়ে দৈনিক ৫০ কোটি লিটারে পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও বর্ষাকালে নদীর পানি সংরক্ষণের জন্য যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্থানে পানির সংরক্ষণাগার রাখতে হবে, তা আবাসন বা শিল্প যাই হোক না কেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ওয়াসার মেগা প্রকল্প রাঙ্গুনিয়ার শেখ হাসিনা শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে অবস্থিত চট্টগ্রাম ওয়াসার মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।এর আগে শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ফলে নগরবাসীর দৈনিক চাহিদার ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহের সক্ষমতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২০২০ সালের জুনে এটি চালু হওয়ার প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হলেও করোনার কারণে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ায় প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। পরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলে কাজে গতি আসে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এ প্রকল্পের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আগের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্তমানে ওয়াসার দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদা মেটাতে ১৪ দশমিক ৩ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার এ মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন।চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে পরিশোধনের পর চট্টগ্রাম শহরে পানি সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পটি উৎপাদনে যাওয়ায় ওয়াসার পানি সরবরাহ ক্ষমতা বাড়বে দৈনিক আরও ১৪ দশমিক তিন কোটি লিটার। বর্তমানে দৈনিক ৩৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এ প্রকল্প চালুর ফলে দৈনিক ৫০ কোটি লিটারের বেশি পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় চার হাজার ৪৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা তিন হাজার ৬২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করে।চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ জানান, এ প্রকল্প চালুর ফলে নগরীতে আর পানির সংকট থাকবে না। অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত নগরে পানির জন্য আর চিন্তা করতে হবে না। পানি সরবরাহের দিক থেকে বিশ্বের উন্নত শহরগুলোর মতো সেবা মিলবে। এরপর সমস্ত গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেয়া হবে। এতে আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল বাড়বে। ফলে জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিশেষ কার্ড পাবেন ১ কোটি মানুষ: প্রধানমন্ত্রী
ভালো পরিকল্পনা ও গণতন্ত্র বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিশ্বের বিখ্যাত ইনোভেশনস (প্রযুক্তি, গভর্ন্যান্স ও বিশ্বায়ন) সাময়িকীর সম্পাদক মার্কিন অর্থনীতিবিদ ফিলিপ অয়ারসওয়াল্ড ও ইকবাল জেড কাদিরের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
ইনোভেশনস সাময়িকীটি এমআইটি প্রেস থেকে প্রকাশিত এবং প্রতিষ্ঠানটি কেমব্রিজের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধিভুক্ত।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী লেখক এম নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ইনোভেশনস সাময়িকীর সম্পাদকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘৫০ এ বাংলাদেশ’ শিরোনামের দ্বাদশ ভলিউম, সংখ্যা ১-২ হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখে থাকতে দেখতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
ইনোভেশনস সাময়িকীর বর্তমান ভলিউমে প্রধানমন্ত্রীর লেখা একটি প্রবন্ধ রয়েছে যার শিরোনাম ‘স্ট্রাইভিং টু রিয়ালাইজ দ্য আইডিয়ালস অব মাই ফাদার’।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, কর্নেল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক কশিক বোস ও ইনভেশনস সাময়িকীর সম্পাদক ইকবাল জেড কাদিরসহ সাতজন বিখ্যাত লেখকও এই সংখ্যায় প্রবন্ধ লিখেছেন।
শেখ হাসিনা তার প্রবন্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, তার প্রবাসের দিন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও গণমানুষের নেতা হয়ে ওঠার ইতিহাস তুলে ধরেন।
এফএওকে একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব শেখ হাসিনার
আগামী দিনগুলোতে খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করুন, যা শতবর্ষ ধরে যেকোনো দুর্যোগে খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে সহায়তা করতে পারে।’
রবিবার গণভবনে এফএওর মহাপরিচালক কু ডংইউ এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসময় শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডসকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি ডিজিটাইজেশন এবং উদ্ভাবনের প্রকল্প গ্রহণের জন্য একটি সমন্বিত তহবিল গঠনের জন্য এফএও’র মহাপরিচালককে বলেন, বাংলাদেশ সেখানে অবদান রাখতে প্রস্তুত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরপরই বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করেন। তখন বাংলাদেশ মারাত্মক খাদ্য ঘাটতিতে ভুগছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, তারপর থেকে মাত্র দুই বছর পর তার সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম হয়ে উঠেছে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করা তার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল। কারণ বিপুল জনসংখ্যার দেশটি চাষযোগ্য জমির অভাবের কারণে প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল।
শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে প্রশংসা করেন বলেন, বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া- লবণ, খরা, জলাবদ্ধতাসহিষ্ণু বিভিন্ন প্রজাতির জাত উদ্ভাবনের মতো অসাধারণ কাজ করছেন।
তিনি বলেন,‘খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পর, তার সরকার এখন সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে।’
চলমান করোনা মহামারির মতো আসন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় তিনি খাদ্য সংরক্ষণ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির যুগে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পেছনে রয়েছে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পেছনে রয়েছে বিগত ১৩ বছর ধরে একটি নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ‘১৩ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন আপনারা লক্ষ্য করেছেন। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় এই উন্নয়ন অর্জিত হয়েছে এবং এই ১৩ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি সফর উপলক্ষে শুক্রবার সেখানে তাঁর সম্মানে দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আবুধাবিতে তার বাসস্থান থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বাংলাদেশি প্রবাসীরা তিনটি ভেন্যু থেকে যুক্ত হন। সেগুলো হলো- দুবাইতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, আবুধাবি থিয়েটার এবং রাস আল খাইমায় বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর অনেক বছর দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করায় শেখ হাসিনার প্রশংসায় মোদি
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর একটি কালো অধ্যায় ছিল। সেই কালো মেঘ কেটে গেছে। আমরা এখন জাতির পিতার আদর্শে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং কেউ আর পিছিয়ে নিতে পারবে না।’
বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করায় শেখ হাসিনার প্রশংসায় মোদি
বাংলাদেশের ‘সার্বিক উন্নয়ন’ নিশ্চিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক ৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি শিগগিরই ৬টি রেল সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে: শ্রিংলা
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মার্চ মাসে তার বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন এবং শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব জোরদার করা এবং কোভিড-১৯ মহামারিসহ সংকটের সময়ে বাংলাদেশের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর জন্য তারেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সম্মত বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত
মায়ের মমতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করলে জনগণ অবশ্যই সমর্থন করবে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মায়ের মমতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করলে অবশ্যই জনগণের সমর্থন পাওয়া যায়। জনগণ অবশ্যই সমর্থন করবে।
তিনি বলেন, ‘নারীরা শুধু নারী নয়, মা-ও। আপনারা যদি মাতৃস্নেহে দেশ পরিচালনা করেন, তাহলে জনগণ অবশ্যই আপনাদের সমর্থন করবে।’
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দুবাই এক্সপো ২০২০-এর উইমেন প্যাভিলিয়নে আয়োজিত ‘উইমেনস ফিউচার ফর উইমেন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের পাওয়ার প্যানেলে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দেশ পরিচালনায় জনগণের সমর্থন ও আস্থা অর্জন করেছেন এবং এটাই তার প্রধান শক্তি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বুঝতে পেরেছে যে আমি এখানে থাকলে, তারা অবশ্যই উপকৃত হবে।’
কিন্তু এই যাত্রা এতটা সহজ ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে তার বাবা, মা, তিন ভাই এবং দুই বোনের শ্বশুরসহ তার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল এবং শুধুমাত্র সে এবং তার ছোট বোন এই হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির যুগে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা স্মরণ করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যখন দেশে ফিরেছিলেন তখন তার পরিবারের খুনিরা এবং যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় ছিল। সুতরাং, আমার যাত্রাটা খুব মসৃণ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বারবার গুপ্তহত্যার চেষ্টা এবং অপপ্রচারের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আমি এগুলোকে পাত্তা দিইনি। আমি শুধু ভেবেছি আমাকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় তাকে সহযোগিতা করার জন্য শেখ হাসিনা তার পুরুষ সহকর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, আমি অবশ্যই তাদের প্রশংসা করি। তারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন।
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংসদে এক অনন্য পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতা নারী।
তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা প্রায় ২১ বছর দেশ শাসন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন তিনি সরকার গঠন করেন তখন তিনি কোথাও নারীদের খুঁজে পাননি।
এরপর তিনি নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার মধ্যে স্নাতক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে নারীদের শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং বিচার ও পুলিশ বিভাগের মতো অন্যান্য সেক্টরের উচ্চ পদে তাদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়।
সামরিক শাসনামলে নারীদের জায়গা কম ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি নারীদের জন্য সব খুলে দিয়েছি।
জাতির পিতাকে তার পরামর্শদাতা হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তার কাছ থেকে দেশ ও দেশের সমস্যা সম্পর্কে জেনেছেন।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমি তার কাছ থেকে দেশ এবং সমস্যা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছি। আমার বাবা আমার পরামর্শদাতা ছিলেন- আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি । শুধু তাই নয়, আমি (তার কাছ থেকে) মানুষ ও দেশের প্রতি সহানুভূতি এবং ভালবাসা সম্পর্কেও শিখেছি। কীভাবে দরিদ্রদের জন্য কাজ করা যায়।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক উপদেষ্টা ড. আনোয়ার বিন মোহাম্মদ গারগাশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি, ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনজো-ইওয়ালা এবং কার্টিয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিরিল ভিগনেরন প্যানেলে বক্তৃতা করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে দুবাই এক্সপো ২০২০-তে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এবং ইউএই প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে মেরিন ক্যাডেটদের ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী
আসিয়ানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে ভৌগোলিকভাবে আসিয়ানের নিকটতম প্রতিবেশী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ‘দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ’ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আসিয়ানের পক্ষ থেকে আরও জোরালো সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো রোয়া দুতের্তেকে দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অর্জনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই বিশ্ব নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট দুতার্তে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সফল অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল ও এর আশপাশের অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: ডি-৮ এর শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দুই নেতা আগামী ৫০ বছর বা তার পরেও দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের যৌথ যাত্রাকে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় শেখ হাসিনা ১৯৭২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশকে ফিলিপাইন সরকারের স্বীকৃতির কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ফিলিপাইনের বন্ধুপরায়ণ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ১৯৭৩ সালে টোকিও থেকে ফেরার পথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যানিলায় যাত্রাবিরতির কথাও আবেগভরে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দুই নেতা গত পাঁচ দশকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ইত্যাদিসহ বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে যে দৃঢ়, সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার প্রশংসা করেন।
বন্ধুপরায়ণ দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই দুই নেতা।
অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব তেওডোরো এল লোকসিন জুনিয়র বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বার্তা বিনিময় করেছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা সাধারণ পরিষদ সভাপতির
মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নেবে
আফগানিস্তানকে হারানোয় টাইগারদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানদের হারানোয় বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সফরকারীদের চার উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে টাইগাররা।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় বাংলাদেশের
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২১৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রণয়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও যারা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন তাদের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ‘সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা’ এর ওপর একটি উপস্থাপনা দেখার সময় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস জানান, সকালে অর্থ বিভাগ এ উপস্থাপনা করেছে।
আরও পড়ুন:একুশে বইমেলা- ২০২২ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং যারা সরকারি, বেসরকারি ও অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন তাদের সবার জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।’
সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ওপর একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনাও দেন তিনি।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থ বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোস্টগার্ডে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রতিটি বিভাগে মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে: প্রধানমন্ত্রী