গ্রেপ্তার
গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের নান্দাইলে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। নেত্রকোণার পূর্বধলা থানাধীন শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে বুধবার ভোর চারটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ১৯ বছর বয়সী মো. আমানউল্লাহ ময়মনসিংহের নান্দাইল থানাধীন খারোয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং খোরশেদ আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ওই গৃহবধূ তার বাড়ি থেকে ভালুকায় যাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছিল।
এ সময় সুমন মিয়া নামের একজন ভালুকায় ওই নারীকে পৌঁছে দিবে বলে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সুমন আমানউল্লাহ নামের একজনকে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে আসে।
সাড়ে ছয়টার দিকে নান্দাইল থানাধীন খারুয়া ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় সড়কের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর রাত সাড়ে সাতটার দিকে তারা ওই নারীকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে কালি মন্দিরের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই নারীর বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এছাড়া সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমানউল্লাহর পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমানউল্লাহকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: মতলবে জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ৩
৯৯৯-এ কল: হত্যা মামলার ২৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মতলবে জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ৩
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ফৈলাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শুক্কুর আলী (৬৫) উপজেলার ১১নং পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়নের উত্তর ফৈলাকান্দি গ্রামের মৃত নছর আলী খানের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত শুকুর আলীর ছেলে মহিউদ্দিন নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তারেরা হলেন-ফৈলাকান্দি গ্রামের মনোয়ার খান এবং মনোহর আলী খানের দুই ছেলে আল আমিন ও আহাম্মদ খান।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নিহত শুকুর আলী ও বিরোধী মনোয়ার খান, আলামিন, আহাম্মদ গংদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এদিন সকালে তাদের জমির একটি সীমানা তুলে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় শুকুর আলী ও অপরপক্ষের আলামিন আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শুকুর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আলামিন বর্তমানে পুলিশের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ইউএনবিকে জানান, জমির সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ফৈলাকান্দি গ্রামের একই বাড়ির নিহত শুকুর আলী ও একই প্রতিপক্ষ মনোয়ার খান, আল-আমিন, আহাম্মদ গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ৭টার সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শুক্কুর আলী নামে এক বৃদ্ধ আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শুকুর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মনোয়ার খান, আল আমিন ও আহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষযয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
কক্সবাজারে ৫ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডারসহ পাঁচজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আরসা কমান্ডার ডা. রফিক (৫৪), সদস্য মোহাম্মদ রফিক (২০), নুরুল আমিন (৩৪), মোহাম্মদ রফিক (২১) খায়রুল আমিন (৩২)। তারা সবাই উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উখিয়া বাজারে আরসা’র আহত সদস্যদের জন্য ওষুধ সংগ্রহ করতে এলে অভিযান চালায় আর্মড পুলিশ ও র্যাবের দল। এসময় পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও পুলিশ লাঞ্ছিতসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তাদের মামলা দিয়ে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৫ ‘হুজি জঙ্গি’, ১ ‘আল কায়েদা সদস্য’ গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়া সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
রবিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় নিহত ৪৫ বছর বয়সী সাবেক ইউপি সদস্য অলি মিয়া সলিমাবাদকে হত্যা করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরে আলম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রবিবার বিকালে তাতুয়াকান্দি গ্রামে অলির প্রতিপক্ষরা তাকে নির্বিচারে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ দু’জনকে আটক করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
ময়মনসিংহে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
ঢাকায় ৫ ‘হুজি জঙ্গি’, ১ ‘আল কায়েদা সদস্য’ গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামির (হুজি) সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্য এবং আল কায়েদার একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জামায়াতের আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরিতে জড়িত: সিটিটিসি প্রধান
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাছ থেকে নয়টি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করেছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- ফখরুল ইসলাম (৫৮), সাইফুল ইসলাম (২৪), সুরুজ্জামান (৪৫), আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬), দীন ইসলাম(২৫) ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬)।
ফখরুল গাজীপুরের তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানে যান। সেখানে তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আল-কায়েদা কমান্ডার মুফতি জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে ফখরুল মুফতি জাকিরের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আফগানিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন বলে জানান তিনি।
প্রশিক্ষণে ফখরুল একে-৪৭, এলএমজি, রকেট লঞ্চারসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার শিখেছেন।
এরপর তিনি আল-কায়েদা নেতা মোল্লা ওমর এবং ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানান সিটিটিসি প্রধান।
আফগানিস্তানে জিহাদি প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ফিরে আসেন। করাচি থেকে তিনি ১৯৯৫ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে যান এবং সেখানে প্রায় তিন বছর থাকার পর করাচিতে ফিরে আসেন। ১৯৯৮ সালে ফখরুল বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
এছাড়া হাফেজ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ চালাতেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।
মো. আসাদুজ্জামান ব্রিফিংয়ে বলেন, তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেলও তৈরি করেছেন যেখানে তিনি অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বোমা তৈরির ম্যানুয়াল এবং ভিডিও সহ চরমপন্থা-উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু শেয়ার করেছেন।
গ্রেপ্তাকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
জামায়াতের আমির জানতেন তার ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য: সিটিটিসি প্রধান
নাটোরে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় সৎ ছেলে গ্রেপ্তার
নাটোরের লালপুরে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে শনিবার মধ্যরাতে তার সৎ ছেলে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহতের নাম আবুল কালাম ওরফে ‘বোমা কালাম’। সে এলাকার তালিকাভুক্ত অপরাধী ছিল।
লালপুর থানার উপ-পরিদর্শক আলী আকবর জানান, শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রী আরজিনার সঙ্গে কালামের ঝগড়া হয়। শনিবার মধ্যরাত ৩টার দিকে আরজিনা তার প্রথম পক্ষের ছেলে আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী কালামকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ টেনে নিয়ে স্থানীয় এক আশ্রমের পুকুর পাড়ে ফেলে দেয় তারা।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আরজিনা পালিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে আল আমিনকে। খবর পেয়ে ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ২১ মামলার আসামিসহ চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
মাদক ব্যবসা: গাজীপুরে ৭ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে ২১ মামলার আসামিসহ চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে শহরের জর্জ কোর্ট চত্বর এলাকা থেকে ১২টি চুরি ও ৯টি মাদক মামলার এক আসামিসহ চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যম আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- হাসপাতাল পাড়া বস্তি এলাকার আসিফ ইকবাল (৪০), একই এলাকার সাদ্দাম (২৯) ও হরিকেস মধ্যপাড়ার হৃদয় (২৬)।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে শহরের জর্জ কোর্ট চত্বর এলাকা থেকে ১২টি চুরি ও ৯টি মাদক মামলার আসামি আসিফ ইকবাল, তিনটি চুরি ও ছয়টি মাদক মামলার আসামি একই এলাকার সাদ্দাম এবং একটি চুরি ও তিনটি মাদক মামলার আসামি হৃদয়কে চোরাই মোটরসাইকেল ও চোরাই মালামালসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন বলেন, এই চোর চক্রটি বিভিন্ন সময়ে কুড়িগ্রাম শহরে চুরি ও মাদক কারবারি করে আসছিল। পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এই চক্রটিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়।
তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে, আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
নাটোরে স্যান্ডেলের ভেতর থেকে ২১ লাখ টাকার হেরোইন জব্দ, নারীসহ গ্রেপ্তার ২
মাদক ব্যবসা: গাজীপুরে ৭ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সাত বছর পর মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আব্দুল আহাদ ওরফে লিমন ওরফে ভিপি লিমন (৩৪) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
র্যাব-২ এর সিনিয়র অতিরিক্ত পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল মধ্যরাত ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে কাশিমপুরে অভিযান চালিয়ে লিমনকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর লিমনকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা করা হয়।
ফজলুল বলেন, তিনি দুই বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। এরপর তিনি তার পরিচয় জাল করে অবৈধ ওষুধ বিক্রি করতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, লিমনের সহযোগীদের ধরার চেষ্টা চলছে। তাকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদক ব্যবসা: ঢাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ১
কুষ্টিয়ায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত চীনা নাগরিকদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র, বেশ কিছু ডলার ও নগদ টাকা জব্দ করার দাবি করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকত দলের এই পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার জানান, মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন এনইপিসি পাওয়ার প্লান্ট-৩ প্রকল্পে কর্মরত তিন চীনা নাগরিকসহ আরও কয়েকজন কর্মচারী উপজেলার পিরোজপুর এলাকায় একটি জমি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাদের আবাসস্থলে দশ থেকে বারোজনের একদল সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। তারা তিন চীনা নাগরিকসহ পাঁচজনকে হাত পা বেঁধে মারধর করে ১১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা সমমানের ডলার ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীর গাড়ি আটকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ
এ ঘটনার পরদিন ২১ জানুয়ারি জমির মালিক বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করলে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে ডাকাত দলের মূল হোতা ওমর ফারুক ওরফে চাপাতি ফারুককে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১০/১২ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তার দেয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তার করা হয় ডাকাত দলের আরও চারজনকে।
অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: এশিয়ান টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধির ওপর হামলা!
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ আহত ২
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর এবং তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র এবং গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গি আস্তানা শনাক্তের পর সোমবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করলে গুলি ছুড়ে জঙ্গিরা। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। দীর্ঘক্ষণ গোলাগুলির পর জঙ্গিরা গ্রেপ্তার হন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান চালায়।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভোরে অভিযানে নামেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতিতে টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টাগুলি শুরু করে।
তিনি জানান, এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আস্তানা থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠন 'জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া'র শীর্ষ নেতা, শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র ও গোলা-বারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এঘটনায় বিস্তারিত জানাতে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রেসব্রিফিং করার কথা জানিয়েছেন র্যাব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উদ্ধার গ্রেনেড নিষ্ক্রিয়, মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ
১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন