হাসপাতাল
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পুরো বিভাগে মোট ৭৫ জনের মৃত্যু হলো।
এ ছাড়া বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৫৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যা নিয়ে গোটা বিভাগের ৬ জেলার সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ২৮৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মৃতরা হলেন- বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পিয়ারা, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মমতাজ ও ভোলার রোরহানউদ্দিন উপজেলার তারিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫৯৮
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, মৃত তিনজনের একজন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, একজন পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও একজন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৫৮ রোগী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশালে ১৫২ জন, পটুয়াখালীতে ১০৫ জন, পিরোজপুরে ৬৪ জন, ভোলায় ৪৯ জন, বরগুনা ৭৫ জন ও ঝালকাঠিতে ১২ জন।
এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ১৯ হাজার ৬৩৪ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৩৪ জন। এখনো বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ হাজার ২২৫ জন।
ডা. শ্যামল কৃষ্ণ জানান, বিভাগে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৫ জন। এর মধ্যে বরিশালে ৫০ জন, ভোলায় ৮ জন, বরগুনায় ৫ জন ও পিরোজপুরে ৭ জন ও পটুয়াখালীত ৫ জন। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি।
মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না। বিভাগের সব সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩১২২
ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী না পাঠানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফের অভিযান
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
তিনি বলেন, আমরা গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ফের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি।
তিনি বলেন, যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবারও ব্যবস্থা নেব। আগামীকাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একযোগে সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় ইউএনও-ওসিসহ আহত ১০, আটক ৩
১০৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গু আক্রান্ত, ব্যবস্থাপনা কঠিন বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৯৫৬
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫২ জনে।
মঙ্গবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৪৪ জন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৯৪৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯১১ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৯৫৬ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০ হাজার ১৫ জন রোগী। এর মধ্যে ৪ হাজার ২২২ জন ঢাকায় এবং ৫ হাজার ৭৯৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার ২২৮ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৯৯৩
সিলেট গ্যাস স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে ম্যানেজারের মৃত্যু
সিলেটের মিরাবাজারে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে একজন সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক রুমেল সিদ্দিক (২৮) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি সিলেট বিমানবন্দর থানাধীন কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
নিহতের চাচাতো ভাই আহমেদ শাহনূর জানান, রুমেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার ভাই মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
৫ সেপ্টেম্বর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে ৯জন দগ্ধ হন।
আহতদের মধ্যে সাতজন গ্যাস স্টেশনের কর্মচারী, বাকি দুজন পথচারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিরোটি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
১৫-৪০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া আহতদের প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, গ্যাস স্টেশনে অগ্নি নিরাপত্তার অভাব ছিল। গ্যাসের ভালভের ত্রুটির কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
খাগড়াছড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা: প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে
খাগড়াছড়ির গুইমারার সিন্ধুকছড়িতে একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিকযুগল। এ ঘটনায় প্রেমিক তমেজয় ত্রিপুরা (১৮) মারা গেলেও বেঁচে যান প্রেমিকা। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে গুইমারার সিন্ধুকছড়িরর মুরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে ভালোবাসতেন তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে কোনো পরিবারই তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে সম্মত হয়নি।
আরও পড়ুন: মায়ের বকুনিতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
এ পরিস্থিতিতে রবিবার সকালের দিকে প্রেমিক যুগল সিন্ধুকছড়ি মুরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের জঙ্গলে আম গাছের সঙ্গে প্রেমিকার ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এ সময় ওই তরুণ মারা গেলেও ওড়না ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যান তরুণী।
এ সময় আশেপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে গুইমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত তরুণের লাশ উদ্ধার করেন।
গুইমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব চন্দ্র কর বলেন, মৃত ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে তথ্য সম্প্রচার বিভাগের অফিস সহকারীর আত্মহত্যা
পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দিনাজপুরে হাসপাতালের দুই ভবনের মাঝ থেকে রোগীর লাশ উদ্ধার
দিনাজপুর সদর উপজেলায় হাসপাতালের দুই ভবনের মাঝ থেকে এক রোগীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।। শনিবার সকাল ৮টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত আমিনা খাতুন (৮০) দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার উত্তর শানদার গ্রামের আফসার আলীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: যশোরের চৌগাছায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর তাকে জ্বর ও অন্যান্য জটিলতা নিয়ে জেলার এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সকালে হাসপাতালের দুটি ভবনের মাঝখানে একটি স্ল্যাবের ওপর ওই নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে জানান তারা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের একদিন পর ভাই-বোনের লাশ মিলল শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে
চাঁদপুরে বৃদ্ধ দম্পতির লাশ উদ্ধার
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮৭৬
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০৬ জনে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৭৬ জন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২১১৫
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪২ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৪ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯ হাজার ৭৩০ জন রোগী। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৬৫ জন ঢাকায় এবং ৫ হাজার ৪৬৫ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৮৭ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৫১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গুতে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৬৮৯
মারা গেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা চট্টগ্রামের সেই বানর
কয়েকদিন টানা চিকিৎসা দিয়েও বাঁচানো গেল না হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সেই বানরকে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বানরটি মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) চিকিৎসকরা।
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়েছিল বানরটি। এরপর সে নিজেই সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পরপর তিন দিন চিকিৎসা নেয়। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) বানরটির চিকিৎসা চলছিল।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য জানান, চেষ্টা করেও আহত বানরটিকে বাঁচানো গেল না। শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম দুই দিন বানরটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। খাওয়া দাওয়া করছিল, রেসপন্সও ভালো ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। যাই খাওয়ানো হচ্ছিল বমি করছিল। বিকাল ৫টার দিকে তাকে আবার সিভাসুতে পাঠানো হয়। ডাক্তাররা দুটি স্যালাইন পুশ করেন। আর মুখে খাওয়ানোর জন্য লিকুইড খাবার দেন। কিন্তু খুব একটা উন্নতি হয়নি। শুক্রবার দুপুরের দিকে মারা গেছে। আমাদের অফিস এলাকায় কোথাও মাটিচাপা দেওয়া হবে বানরটিকে।
জানা যায়, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে কোনোভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হয় বানরটি। সোমবার বানরটিকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শনিবার থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এটির চিকিৎসা চলছিল।
আরও পড়ুন: অসুস্থ বানরটি চিকিৎসা নিতে নিজেই হাসপাতালে হাজির
কুড়িগ্রামে হাসপাতাল-দোকান কোথাও মিলছে না ডিএনএস স্যালাইন
বেশ কিছুদিন ধরে কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালেও মিলছে না এ স্যালাইন। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয় বাইরের ওষুধের দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না। দু একটি দোকানে পাওয়া গেলেও ১০০ টাকা মূল্যের ডিএনএস স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। ফলে রোগীসহ স্বজনরাও পড়ছে চরম বিপাকে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শিশু বাদে হাসপাতালে দুই শতাধিক নতুন রোগী ভর্তি হন। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন চার শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। এসব রোগীর জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকারের কমপক্ষে ২০০ স্যালাইন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসব স্যালাইনের সরবরাহ নেই। এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সরকারি হাসপাতালে এসব স্যালাইন সরবরাহ করে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে চাহিদা অনুযায়ী তারা স্যালাইন দিচ্ছেন না। ফলে হাসপাতালে স্যালাইনের তীব্র সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: স্যালাইন সংকটের আশঙ্কায় রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন মো. ইউনুস আলী বলেন, আমি ও আমার ছেলে গত ২ দিন ধরে পেট ব্যাথা ও জ্বরে ভুগছি। ছেলেকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতালের ডিএনএস স্যালাইন না থাকায় বাইরে থেকে আনতে বলে। আমি শহরের অনেক ফার্মেসি খুঁজে ১০০ টাকা স্যালাইন ২০০ টাকা দামে কিনলাম। স্যালাইনের এমন সংকট কোনো দিন শুনিনি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি তারা বলেন, হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট চলছে। রোগীরা বাইরে গিয়েও স্যালাইন পাচ্ছেন না। অথচ কোনো দুর্ঘটনা, পেটব্যথা, রক্তক্ষরণ কিংবা অপারেশনের রোগীর জন্য স্যালাইন অত্যাবশ্যক।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, স্যালাইনের সংকট চলছে। আমরা হিমশিম খাচ্ছি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা চাহিদা পাঠাই। কিন্তু খুবই নগণ্য পরিমাণ সরবরাহ করা হয়। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সংকট কেটে যাবে।
গাড়িয়াল পাড়া মোড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. এমদাদুল হক বলেন, ডিএনএস স্যালাইনের সাপ্লাই নেই। কোম্পানি স্যালাইন না দিলে আমরা কী করব। যে দু-চারটা স্যালাইন দেয় তা এক ঘণ্টাও দোকানে থাকে না। দিনভর রোগীর স্বজনরা দোকানে এসে ফেরত যান।
আরও পড়ুন: স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, গত ২৬ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখনও তার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো নয়।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ডাক্তার ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ম্যাডামকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা দিনে দুই বা তিনবার তার সঙ্গে দেখা করছেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করছেন এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে পাঠানো জরুরি: ফখরুল
জাহিদ জানান, তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে তার চিকিৎসা করছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে তাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এখনও হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার মতো উন্নতি হয়নি। তাই তাকে আর কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না মেডিকেল বোর্ড।
জাহিদ বলেন, চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব ধীরগতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে ভুগছেন এবং তার এখন যা প্রয়োজন বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালেই তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, খালেদার জীবন বাঁচাতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধাসহ বিদেশের যেকোনো অত্যাধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো জরুরি। তবে আমরা তার অবস্থা যাতে খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কারণ এখানে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা আশঙ্কাজনক, বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ড্যাবের
খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন