সংঘর্ষ
কক্সবাজারে কাভার্ডভ্যান ও বাসের সংঘর্ষে নিহত ২
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (৮ ফ্রেবুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হারবাংয়ে এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ভ্যানে বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় নিহত ৪
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন এবং আহত হন আরও চারজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহত ও আহতদের পরিচয় মিলেনি। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহন দুটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ট্রাক্টর উল্টে নিহত ২
গাইবান্ধায় জমি নিয়ে বিরোধ, সংঘর্ষের ৫ দিন পর আহত নারীর মৃত্যু
গাইবান্ধার সাঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত হেলানা খাতুন ওই উপজেলার কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
সাঘাটা থানা সূত্রে জানা যায়, ৩০ জানুয়ারি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া গ্রামের শফি মিয়ার সঙ্গে পাশের বাড়ির তসলিম উদ্দিনের কথাকাটাকাটি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন হেলানা খাতুন। পরে তাকে গাইবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে আহত হেলানার মৃত্যু হয়।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
কুড়িগ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে নিহত ১
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু-পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার ধরনিবাড়ী ইউনিয়নের মালতিবাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নুর হোসেন (৫৮) একই গ্রামের বাসিন্দা।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মর্তুজা জানান, এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের জাফর আলী ও রাণু বাবু নামে দু’জনকে আটক করেছে উলিপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয় জানান, নিহত নুর হোসেন ও প্রতিপক্ষ জাফর আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে শনিবার জমিতে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে নুর হোসেন নিহত হন।
ওসি গোলাম মর্তুজা জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮
সাভারে গাছের সঙ্গে পিকাপ ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২
কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ
কুমিল্লা নগরীতে সার্কিট হাউজ মোড় এলাকায় ‘রতন গ্রুপ’ ও ‘ঈগল গ্রুপ’ নামে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ৯টি ককটেল জব্দ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কলারোয়া সীমান্তে ৫ কোটি টাকার আইস জব্দ
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান।
পুলিশ সুপার জানান, কুমিল্লা নগরীতে শুক্রবার বিকালে সার্কিট হাউস এলাকায় দুইটি কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশকিছু ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন আহত হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক দল রাতভর কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৩.৪৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ৯টি ককটেল জব্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশফাকুজ্জামান, নাজমুল হাসান রাফি, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
নেত্রকোণায় প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
নেত্রকোণায় প্রাইভেটকারের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে জেলার ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা আঞ্চলিক মহাসড়কের চল্লিশা ঝাউসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নেত্রকোণা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউল জানান।
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার আজিজুল হাকিম ও সদর উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার সোলায়মান ফকিরের ছেলে মো. ফারুখ মিয়া (২১)।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিহতদের মধ্যে আজিজুল নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার ফকিরের বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল আর ফারুখ মিয়া অটোরিকশারটির চালক।
আহতরা হলেন- নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার পাবই গ্রামের রাহাতুল (৪৫), পলাশহাটি গ্রামের পাভেল (৩০), নজরুল ইসলাম (৪০), মাহাবুব (৬৫), সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার শারমিন ( ৩৫) ও প্রাইভেটকারের চালক মাদারীপুর জেলার পানুন মিয়া (৩৫)।
তাদের মধ্যে পানুন মিয়া নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই মশিউল জানান, ওই সড়কের চল্লিশার ঝাউসী এলাকায় নেত্রকোণাগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে ময়মনসিংহগামী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন: সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রাইভেটকার উল্টে যুবক নিহত
৩০০ ফুট সড়কে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় খানজাহান আলী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান রাজুসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য দু’জন হলেন রিফাত হোসেন ও মেহেদী হাসান আকাশ।
শনিবার রাতে কুয়েটের আশপাশ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় এবং তাদের ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গ্রেপ্তার অলিয়ার কুয়েটে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। বাকি দু’জন কুয়েটের ছাত্র নন। তারা ৩ জনই কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রুদ্রের সঙ্গে প্রায়ই তাদের ক্যাম্পাসে এবং লালন শাহ হলে দেখা যেত।
আরও পড়ুন: কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৫০ জনের নামে মামলা
গত ১৪ জানুয়ারি রাতে হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেন কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহের অনুসারীরা। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাহমিদুল হক ইশরাক বাদী হয়ে রুদ্র নীলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মমতাজুল হক জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সংঘর্ষে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
মামলার বাদী তাহমিদুল হক ইশরাক বলেন, ‘এজাহারভুক্ত ১২ আসামি পুলিশের সামনে ক্যাম্পাসে ও হলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার পরও আমার ছেলেদের হুমকি দিচ্ছে, মারধর করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৫০ জনের নামে মামলা
বছরের শুরুতেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং হল থেকে ২১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
রবিবার গভীর রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতরা হচ্ছেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের তাহমিদুল হক ইশরাক, সিভিল ১৮ ব্যাচের যোবায়ের হোসেন নাইম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের সাফায়েত সাইমুম, ম্যাকাট্রোনিক ১৮ ব্যাচের নিলান খালেক পারাবার।
আরও পড়ুন: ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এদিকে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার ২১ জন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রবিবার গভীর রাতে লালন শাহ হলে উঠতে চাইলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ জন ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও অন্তত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
নগরীর খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে কুয়েট শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় তিনি মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগ কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার
ভাঙ্গায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫
পূর্ব শত্রুতা ও গ্রাম্য দলাদলির জের ধরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
জানা যায়, ছোট খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বর দুইটি গ্রাম্য দলের নেতৃত্ব দেন। দুই দলের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
ছয় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জলিল মাতুব্বরের দলের আলমগীর মতুব্বর নামে এক ব্যক্তি মারা যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত
ওই ঘটনায় কাওছার মাতুব্বরসহ তার দলের ৫৫ ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন জলিল মাতুব্বর। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন কাওছার মাতুব্বরসহ আসামিরা। সম্প্রতি জামিনে বের হন কাওছার মাতুব্বরসহ অন্যরা।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলিল মাতুব্বরের লোকজন কাওছার মাতুব্বরের সমর্থক পান্নাল মাতুব্বরকে মারতে এলে তখন কাওছার মাতুব্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি নিয়ে ছুটে এসে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ২
গুরুতর আহত আদম, কাওছার, জাকারিয়া ও অহিদকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ জানান, খারদিয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: সালথায় ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
তিনি আরও জানান, দুই দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
কুমারখালীতে সংঘর্ষে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ!
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সহিংসতায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানালেও অস্বীকার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেরকালোয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু: সহকর্মী
গুলিবিদ্ধ দুই ভাই ওই এলাকার মৃত কেঁদো শেখের ছেলে মো. জিয়ার হোসেন (৪৫) ও আলতাফ হোসেন (৫০)।
তারা বর্তমানে ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা দুজনই জেলে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, ছররা গুলিবিদ্ধ দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল খালেকের সঙ্গে মৃত কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোনো নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে বেরকালোয়ারা মোড়ে দুপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে আহতদের ছোট ভাই ইয়ারুল আলী অভিযোগ করে জানান, সাবেক মেম্বর খালেক ও তার দুই ছেলে রিপন এবং লিটনের সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। তারা নিয়মিত জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি করে। এসব নিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ওই গ্রুপের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। বিরোধের জেরে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় প্রতিপক্ষ তাদের উপর হামলা চালায়। সকালেও তার দুই ভাইকে গুলি করে আহত করেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
তার দাবি, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। অতীতের ঘটনায় কয়েকটি মামলা চলমান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মেম্বরের ছেলে রিপন আলী মুঠোফোনে জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা করেছিল। সেজন্য তারাও প্রতিপক্ষকে পাল্টাধাওয়া দিয়েছিলেন। সে সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এলাকাবাসী জানায়, সকালে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন তারা। অতীতেও কয়েকবার সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
গোলাগুলির ঘটনা অস্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতা ও সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নওগাঁয় ডাম্পট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৩
নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে নওগাঁর মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকায় ডাম্পট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে পিকআপ চালক আকরাম হোসেন (৪৫), একই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাজন ইসলাম (৩৫) ও নওগাঁ সদর উপজেলার বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত আবউল কাদিরের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও হেলপার নিহত
স্থানীয়রা জানান, রাতে শ্রমিকবাহী একটি পিকআপ রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। পথে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের শ্রীরামপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি ডাম্পট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আরো দু’জনের মৃত্যু হয়। ভারী কুয়াশার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা ও পুলিশ ধারণা করছেন।
ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতদের লাশ ও দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো উদ্ধারের কাজ শেষ করেছে মান্দা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও মান্দা থানা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, লাশগুলো মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। ডাম্পট্রাক ও পিকআপ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় কেউ মামলা করলে লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। আর যদি কেউ আপত্তি বা মামলা না করেন তাহলে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী ২ জন নিহত
গাইবান্ধায় বাসের সঙ্গে বিজিবি বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৮