মামলা
পটুয়াখালীতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ: ৪৫০ জনের নামে মামলা
পটুয়াখালীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের করা দুটি মামলায় জেলা যুবদল-ছাত্রদল-শ্রমিকদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার ও রবিবার দায়ের করা মামলা দুটির বাদী আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলার খবরে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ মে) রাতে রায়হান হোসেন নামে একজন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওইদিন শনিবার পৌরসভাস্থ মুসলিমপাড়া মোড়ে সারাদেশের মতো আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাসাবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এছাড়া মামলায় জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সিকে প্রধান আসামিসহ ২৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে, একই থানায় শনিবার (২১ মে) দায়ের করা আরেকটি মামলার বাদী জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, মুসলিমপাড়াস্থ মোড়ে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে যুবদল হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
তিনি এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দুজন বাদীই একই অভিযোগ এনেছেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
ওসি বলেন, আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা থানায় মামলা করা হবে।
থানা মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান এই নেতা।
প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
উভয়েই মুখোমখি সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উভয় দলের নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদারসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-যুবদলের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-যুবদলের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গা সদরে নাশকতার মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ২১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার আলমডাঙ্গার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে আদালত চত্বরে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৩০০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল ও আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বরের বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় নাশকতার প্রস্ততির সময় উপস্থিত থাকায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত আলমডাঙ্গার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। ১৭ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা আমলী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, এছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারির মাসের নাশকতা প্রস্তুতিসহ বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
খুলনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৩০০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার রাতে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১২০০/১৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার এসআই খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, শুক্রবার রাতেই মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১২০০/১৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন।
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকে। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, সমাবেশে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে রান্টু নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট লালপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের শ্রমজীবী দম্পতির অনুপস্থিতিতে তাদের বাড়িতে ঢুকে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছিল প্রতিবেশি দিনমজুর রান্টু (৫৩)।
এ ঘটনায় মামলা হলে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক বুধবার এ রায় দেন।
রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেই টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের ভালুকায় ২০০৯ সালে ব্যবসায়ী সিরাজুল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহাদত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলাম। এদের মধ্যে শহীদুল পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
কোর্ট ইন্সপেক্টর ঝুটন চন্দ্র বর্মণ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সিরারুল ইসলাম ২০০৭ সালে জোসনা বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর জোসনা পার্শ্ববর্তী এলাকার শহীদুলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছিল। এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে কাঠাল গাছে সিরাজুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সিরাজুলের ছেলে বাদি হয়ে জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলামকে আসামি উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভালুকা থানায় মামলা করলে তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতে সরকারি পক্ষে আইনজীবী শেখ আবুল হাসেম মামলাটি পরিচালনা করেছেন।
বাদিপক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
না.গঞ্জে ৪ হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, খালাস ১১
২০ বছর আগে ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের চার কর্মীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৩ জনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ১১ জনকে খালাস এবং সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজন মারা যাওয়ায় তাদের আপিল বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
মঙ্গলবার (১৬ মে) ২৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের ওপর রায় দেন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন-আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, এম এম শাহজাহান, ফজলুল হক খান ফরিদ, মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, শেখ মো. শামসুজ্জামান ও ইসরাত জাহান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
যে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন-জহিরুল হক ভূইয়া ওরফে জহির মেম্বার ও আব্দুল আহাদ।
২৩ আসামিদের মধ্যে যে তিন আসামি মারা গেছেন তারা হলেন-আবুল বাশার ওরফে কাশু চেয়ারম্যান, ইউনুস আলী মেম্বার ও ইদ্রিস আলী।
যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে-মো. ফারুক, মো. খোকন, মো. ডালিম, মো. রোহেল, লিয়াকত আলী, আল আমিন ও রুহুল আমিনকে।
এছাড়া খালাস পাওয়া ১১ আসামি হলেন-সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, সাহাব উদ্দিন, মো. হালিম, ইয়াকুব আলী, মো. আমির হোসেন, মো. আবুল কালাম, মো. রফিক মিয়া, গোলাম আজম, আব্দুল হাই, হারুন ও তাজুদ্দিন।
আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ।
জানা যায়, ২০০২ সালের ১২ মার্চ সকালে আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি এলাকার বাড়ি থেকে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আব্দুর বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক এবং কবির হোসেনকে তৎকালীন আড়াইহাজার থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল বাশারের নেতৃত্বে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত বারেকের বাবা আজগর আলী বাদী হয়ে আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নামোল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এর মধ্যে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগে যোগ দেন এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার।
পরবর্তীতে এ মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কামরুন নাহার ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
এরপর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আর আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট বেঞ্চে ‘বকশিশ’ নিষিদ্ধ, নির্দেশনা জারি
দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১ জুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে শেষ বারের মতো অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য সময় মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলাটির অভিযোগ শুনানির কথা ছিল। এজন্য সকালে সম্রাট আদালতে হাজিরা দেন।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
তবে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এরপর আদালত শেষ বারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ শুনানির নতুন তারিখ ১ জুন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়েক করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
এটা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি জানান, ‘৪৮ বছর পর আবারও একটি সম্পূর্ণ মিথ্যাতে সামনে আনা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। এর পিছনে একমাত্র উদ্দেশ্য হল জনগণ যখন গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নামতে শুরু করেছে, তাদেরকে বিভ্রান্ত করা।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ থাকায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মিথ্যাচার ও ৪৮ বছরের পুরনো ইস্যু উত্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পেছনে তাদের (সরকারের) সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা তাদের চক্রান্তের অংশ।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
এর আগে কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের মেয়ে নাহিদ ইজহার খান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় ৪৮ বছর পর গত বৃহস্পতিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
মামলায় নাহিদ দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে আসামি করে দাবি করেন, জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রাতে ভোটের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান সংসদের সংসদ সদস্য এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারের সুবিধাভোগী নাহিদ হয়তো ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বরের ঘটনা নিয়ে তার নিজের মা নিলুফার হুদার লেখা বইটি পড়েননি।
তিনি বলেন,'দ্য ওয়ার অব কর্নেল হুদা অ্যান্ড মি'- বইয়ে নিলুফার হুদা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে জিয়াউর রহমান সেদিন কর্নেল নওয়াজিশকে খালেদা জিয়া, কর্নেল নাজমুল আল হুদা ও মেজর এটিএম হায়দারকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামির লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলম আস্তুল (৫৭) চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামাণিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চাতাল ঘর থেকে ট্রাকচালকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আজিজুল আলম আস্তুল তার স্ত্রী পারুল বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যা মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। করোনাকালীন সময়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সরকার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মুক্তি দেয়।
সে সময় তিনি মুক্তি পেয়ে বছর দুয়েক আগে বাড়িতে আসেন। তারপর তিনি পাগলের মতো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন এবং মানুষের কাছে টাকা-পয়সা চাইতে শুরু করেন। চক্ষু লজ্জায় একপর্যায়ে দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও সনি হোসেনকে বাড়িতে আটকে রাখেন। মাসখানেক আগে ঘরের জানালা ভেঙ্গে আলম আস্তুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
শুক্রবার সকালে একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে খায়রুল ইসলাম পুকুরের পাড় দিয়ে যাওয়ার পথে তার লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে।
পরে স্থানীয়রা গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এছাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পুকুর পাড়ে আম গাছের নিচে তিনি থাকতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আজিজুল আলম আস্তুলের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি ইউডি মামলা করেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, লাশের মাথা, মুখ, চোখ, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ণ রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। এছাড়া তার ছেলে সনি হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাথরুম থেকে অধ্যক্ষের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পাথরঘাটায় যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩ জন আটক
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় যুদ্ধাপরাধের মামলায় তিনজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
সোমবার (৮ মে) ভোরের দিকে পাথরঘাটা উপজেলার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছহেরাবাদ এলাকার ফজলুল হক খান (৭০), মো. ইউসুফ আলী (৭৫) এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ছোট টেংড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাক (৬৯)।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, ২০১৭ সালের ২২ মে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ভাই আবদুর রাজ্জাক, বোন জামাতা হযরত আলীসহ চার থেকে পাঁচ জন খাকি পোষাকধারী ও পাঁচ থেকে সাত জন অজ্ঞাত সাদা পোষাকধারীকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা নম্বর সিআর-১২২/২০১৭।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান আবু পাথরঘাটা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০২/৩৪/৩৮০/৩৫৪/ ৪৩৬/২০১ ধারায় পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ানুজ্জামানের আদালতে আবেদন করলে আইনী পর্যালোচনা শেষে ওইদিন বিকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলাটি স্থানান্তরের আদেশ দেন।
পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলাটি আমলে নেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ জুন মামলার চার নম্বর সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে রাজাকার জালালের বাড়ির সামনে ওয়াপদার ওপরে বসে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুড়ি চালায়। পরদিন ৩০ জুন চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে হত্যা করতে না পেরে আপন চাচা সুরেন্দ্র নাথ অধিকারীকে হত্যা করে লাশ গোপন করে ফেলে।
১৮ আগস্ট বাদির বাবা মতিয়ার রহমান ও ১নং সাক্ষী মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রীর বাবা মনোহর মিস্ত্রী চাচা কর্নধর মিস্ত্রীকে দিনের বেলা গুলি করে হত্যা করে। পরে মনোহরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
মামলার বাদী মিজানুর রহমান আবু বলেন, বাবা হারা আজ ৫২ বছর। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার বাবাসহ প্রতিবেশী দুই ভাইকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
দীর্ঘদিন পর হলেও সেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, এ বিচার দ্রুত কার্যকরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, র্যাব তিনজনকে থানায় নিয়ে এসেছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাজির করবেন বলে জানা যায়।
আটকের বিষয় নিশ্চিত করে র্যাব-৪ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
র্যাব-৪ এর মিডিয়া কর্মকর্তার সরকারি ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।
পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এম. খালেক বলেন, দীর্ঘ বছর পর হলেও যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমরা এর দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
নারায়ণগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২