মামলা
গয়েশ্বরের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মামলা বাতিলের রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ মামলার বিচারের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে বিচারিক আদালতকে দ্রুত বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: খুলনার বার সমিতির সভাপতিসহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এ রায়ের ফলে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করতে কোন বাধা রইলো না।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি মামলা দায়ের করে। রাজধানীর রমনা থানায় করা এ মামলাটিতে দুই কোটি ৮৬ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। একই বছরের ৫ জুলাই এ মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে দুদক। পরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পক্ষ থেকে মামলা বাতিলের আবেদন জানালে হাইকোর্ট ২০১০ সালে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন ও রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই থেকে মামলাটির বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ আসামিকে অব্যাহতির আদেশ বাতিল হাইকোর্টের
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: হাইকোর্টে জামিন পেলেন রাজবাড়ীর স্মৃতি
রাজধানীতে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
রাজধানীর পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদী হাসান হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ।
গত ১১ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
মামলাসূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসানের বাবা হাজী মো. মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা করেন। নান্নু ও শাহিনুর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বাসার পাশেই মোশারফ হোসেনের বাসা। স্থানীয় অন্যান্য লোকজনসহ মো. মোশারফ হোসেন মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন।
আরও পড়ুন: ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওলি মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যান। মেহেদীর ভাগ্নে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান। সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, মেহেদী অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান।
১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরু করা হয়।
বিচার চলাকালে আদালত ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় কৃষককে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের যাবজ্জীবন
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলায় যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচণা মামলায় তাহাবুর রহমান নামের এক যুবককে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
দণ্ডিত তাহাবুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলার কামারাইল গ্রামের জবেদ আলী মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, কামারাইল গ্রামের মাদরাসাছাত্রী শিরিনা খাতুনকে উত্যক্ত করত একই গ্রামের তাহাবুর রহমান। ২০০৭ সালের ১ আগস্ট বাড়ির পাশের নদীতে গোসল করতে যাওয়ার সময় তাকে লাঞ্ছিত করে তাহাবুর রহমান। এই অপমান সইতে না পেরে পরেরদিন গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে শিরিনা খাতুন।
এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর তাহাবুর রহমানকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে শিরিনা বাবা আখের আলী।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত মঙ্গলবার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত তাহাবুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে: কুড়িগ্রামে নানা-নাতির কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে মারপিটের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার আল আমিনের জামিন
যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন
মঙ্গলবার ঢাকার ৮ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
আদালত শুনানি শেষে তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন আল আমিন। পরের দিন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আটক জঙ্গি ও কুকি-চিনের ১০ সদস্যকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত
আট সপ্তাহ পরে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের জন্য বলেন আদালত।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আট নং আদালতে আইনজীবী আব্দুর রহমান সুমনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২ সেপ্টেম্বর মামলা আকারে নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা। ১৩ অক্টোবর মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়।
এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
আরও পড়ুন: নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা বেগম, আদালতে ছেলের জবানবন্দি
চুয়াডাঙ্গায় আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া ভেঙে আসামি পালালো!
কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বনগ্রামে রেজাউল নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে সহোদর পাঁচ ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রামের মৃত রহমত আলী শেখের ছেলে উজ্জল শেখ (৫১), সেজ্জাত প্রকাশ সুজাত শেখ (৪১), সুজন শেখ (৩৯), আব্দুল গফুর শেখ (৬১) ও জালাল উদ্দিন শেখ (৫৪) ।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার সাত আসামিকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে আব্দুল গফুর, ও জালাল উদ্দিনসহ মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত সাতজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌশুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাঝগ্রামের কৃষক আফিল উদ্দিন এবং তার ছোট ভাই জামাল উদ্দিন যৌথভাবে মাঠে সেচ দেয়ার জন্য একটি যন্ত্রচালিত সেচযন্ত্র পরিচলনা করতেন। জমিতে সেচ দেয়াসহ জায়গা-জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে আসামিদের পূর্ব বিরোধ ছিলো।
পূর্ব বিরোধের জেরে ২০০৭ সালের ১১ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেচযন্ত্র চালু করার জন্য মাঠে যাওয়ার পথে আসামিরা জামাল উদ্দিন এবং তার ভাগনে রেজাউলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে ঘটনাস্থলেই রেজাউল নিহত হন। এসময় জামাল উদ্দিন গুরুতর আহত হন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরের দিন নিহতের মামা আফিল উদ্দিন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক ফতেহ্ ওসমানী হত্যা: ৬ আসামির যাবজ্জীবন
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
৯৩ বারের মতো পেছাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। আগামী ১ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাবের প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদুল আলমের আদালত র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শফিকুল ইসলাম মামলার প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ১০ বছর পর হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানিতে উঠছে
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ডিআরইউ’র
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান আর্টিকেল ১৯’র
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: ডেথরেফারেন্স ও আপিল শুনানির দিন ধার্য হতে পারে সোমবার
একুশে আগস্টের আলোচিত গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির দিন সোমবার ধার্য হতে পারে। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলা সম্পর্কিত ডেথ রেফারেন্স ও আপিলগুলো রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় ছিল।
কিন্তু এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলার বিষয়টি কার্যতালিকায় না থাকায় সোমবার তা তালিকার্ভূক্ত করতে বলেন আদালত।
রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন এসব ডেথরেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হতে পারে।
তিনি বলেন, হত্যা মামলাটির ডেথ রেফান্স আদালতের লিস্টে ছিল। আদালত বিস্ফোরক আইনের মামলাটিও লিস্টে আনতে বলেছেন। সোমবার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলগুলোর শুনানির দিন করা হতে পারে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ওই ঘটনা ঘটে। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক , সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
ঘটনার পরদিন এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলা দুটির বিচার শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। আর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় আরও ১১ আসামিকে। যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া এই ১৯ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ অনেকেই পলাতক।
পরে একই বছরের ২৮ অক্টোবর নিয়ম অনুযায়ী আসামির মৃত্যদণ্ড অনুমোদনের জন্য এ মামলার রায়ের কপিসহ ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার যাবতীয় নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।
গত বছরের ১৬ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে তৈরির পর সুপ্রিম কোর্টে এসে পৌঁছায়। গত আগস্টে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল, জেল আপিল দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। পরে এ মামলার শুনানির জন্য হাইকোর্টে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা
গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজির সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহম্মেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জল, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও হানিফ পরিবহনের মালিক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হানিফ।
পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল ওরফে খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল ওরফে ইকবাল হোসেন, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, রাতুল আহমেদ ওরফে রাতুল বাবু।
তাদের দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্য দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা
এছাড়া পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ডিজিএফআইয়ের মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, ডিএমপির সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, আরেক সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডির সাবেক বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অন্য একটি ধারায় আসামি খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার ৪৯ আসামির মধ্যে রায় দেয়ার সময় ৩১ জন কারাগারে ছিলেন। পলাতক ছিলেন বাকি ১৮ জন। পলাকত আসামিরা হলেন- তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, এটিএম আমিন, সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, খান সাঈদ হাসান, ওবায়দুর রহমান, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, রাতুল বাবু, মোহাম্মদ হানিফ, আবদুল মালেক, শওকত ওসমান, মাওলানা তাজউদ্দিন, ইকবাল হোসেন, মাওলানা আবু বকর, খলিলুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম।
কুষ্টিয়ায় ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা
কুষ্টিয়ার খোকসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ১২ টার পরে গাড়ি চালক মো. বাদশা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।
রবিবার সন্ধায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মামুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো আটক বা গ্রেপ্তার নেই। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছেন।'
জানা গেছে, গত শনিবার রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পিছন থেকে ছোঁড়া ইটের আঘাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির পিছনের গ্লাস ভেঙে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
তবে রাতে পাল্টা ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা অস্বীকার করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন খোকন।
তিনি বলেন,‘সন্ধ্যায় জানিপুর ইউনিয়নের একতারপুর হোটেল মোড়ে বাবুল আখতারের সমর্থক ও জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইকে হাতুরিপিটা করেন। হয়তো সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন বাবুল আখতারের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এঘটনা ঘটতে পারে। আমি বা আমার লোকজন ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত নয়।’
খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমানে খোকসায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে দুপক্ষের উত্তেজনা ঠাণ্ডা করে কার্যালয়ে ফিরছিলাম। ফেরার পথে বাবুল আক্তার ও শান্ত সাহেবের অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছালে সরকারি গাড়ির পিছনে ইট লাগে। এতে পিছনের গ্লাস ভেঙে যায়। তবে কেউ আহত হয়নি।’
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা, জানেন না পরিচালক
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমার বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের করা হলো। তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অমান্য করার অভিযোগে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। যেখানে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে সিনেমায় বিধি অনুসারে ধূমপানের ক্ষতিকর সতর্কবার্তা প্রদান করা হয়নি।
এই অভিযোগে চলচ্চিত্রটির পরিচালক, প্রযোজক, মূল চরিত্র এবং সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জুয়েল সরকার।
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েল সরকার বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তারা বিধি অনুসারে সতর্কবার্তা সংযোজন করেননি। তাই তামাক বিরোধী কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও চলচ্চিত্রটির নির্মাতা-প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।’
নোটিশে বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমায় বিধিমালার চরম অবমাননা দেখা গেছে। সিনেমার মূল চরিত্র জনাব চঞ্চল চৌধুরী দেশের সব শ্রেণির, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনে ধূমপানের যেসব দৃশ্য সংযোজিত হয়েছে, তার সঙ্গে ধূমপানের ক্ষতিকর সতর্কবার্তা বিধি অনুযায়ী প্রদান করা হয়নি।
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে ‘হাওয়া’র পরিচালক মেসবাউর রহমান সুমনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু আমরা জানি না। আমাদের প্রযোজকের কাছেও এমন কোনো নোটিশ আসেনি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ 'হাওয়া': পরিবেশক সংস্থার দাবি
আইনি নোটিশের বিষয়গুলো মেসবাউর রহমান সুমনকে জানানো হলে উল্লেখ করা বিষয়গুলো ভিত্তিহীন বলে তার দাবি।
এ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সতর্কবার্তা নিয়ে এখানে যে অভিযোগ রয়েছে পুরোটা ভিত্তিহীন। যারা সিনেমাটি দেখেছেন বিষয়টি অবশ্য জানেন যে ধূমপানের প্রতিটি দৃশ্যে সতর্কবার্তা দেয়া আছে। আর বিষয়টি সেন্সরবোর্ডেও নজর রাখা হয়।’
মামলা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেন আরও জানান ‘হাওয়া’র পরিচালক।
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
চট্টগ্রামে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং: চট্টগ্রামে ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদারসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ির স্টেডিয়াম এলাকায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ঘটে।
এ সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্য সহ ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এ ঘটনার সময় ১০জন সহ মোট ১৪জনকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর চালু
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৪, আটক ১০