মামলা
হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে একটি হত্যা মামলায় ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়া জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে আরও দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করেতে হবে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। রায় প্রদানের পর তাদের কড়া পুলিশ প্রহড়ায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাবর আলী (৭৩), মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৩), মাসুদ শেখ (৫৩), মাহমুদ শেখ (৪৩), টেপু শেখ (৫৮), জুয়েল শেখ (৩৩), সাত্তার শেখ (৮৩), আবু তালেব শেখ (৪৩) ও সৈয়দ নেপুর আলী (৩৮)।
আরও পড়ুন: খুলনায় আ.লীগ নেতা হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এরা সকলে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের আটকবানা গ্রামের বাসিন্দা।
এ হত্যা মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ওই গ্রামে একটি মসজিদের ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ২১ জুন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সংর্ঘষে মাফুজার শেখ (৪০) নামে এক ব্যক্তি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থার মারা যান।
এ ঘটনায় মাহফুজার শেখের চাচা মোক্তার শেখ (৭৬) বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম তদন্ত শেষে গত ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল এহজাহারভুক্ত ১০ জনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তবে মামলা চলাকালীন সময়ে এ মামলার আবু বক্কার শেখ (৫০) মারা যান। ফলে তার নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দেন আদালত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই আদালতের সহকারি সরকারি কৌশলী (এপিপি) নওয়াব আলী বলেন, ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৩০২/১৪৯ ধারায় আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে এ আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কক্সবাজারে বহিষ্কৃত সাত ডিবি পুলিশের ৭ বছরের সাজা
কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিষ্কৃত ৭ সদস্যকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, এসআই মনিরুজ্জামান (৩৫), এসআই আবুল কালাম আজাদ (৩৯), এএসআই গোলাম মোস্তফা (৩৬), এএসআই ফিরোজ আহমদ (৩৪), এএসআই আলাউদ্দিন (৩২), কনস্টেবল মোস্তফা আজল (৫২) ও কনস্টেবল মো. আল আমিন (২৬)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ব্যবসায়ী অপহরণ: ডিবির বহিস্কৃত ৭ সদস্য ফের কারাগারে
এর আগে সকাল ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। পরবর্তীতে বেলা ১২টার দিকে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন। বিচারক ৩৬৫ ধারায় ৫ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেন। উভয় সাজা এক সাথে ভোগ করতে হবে। ফলে সাজা ৭ বছর বলে গণ্য হবে।'
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল দণ্ডপ্রাপ্তরা। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবির ৬ সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গাড়ির গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর জড়িত অন্য এক জনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবির ৭ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন সেই ব্যবসায়ী গফুর আলম। ২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন অভিযুক্ত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ৮ লাখ টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৬
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দেন-দরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় ব্যবসায়ীর পরিবার। টাকা পৌঁছে দেয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার প্রায় ১০ মাসের মাথায় ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জামিনে থাকা ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন বিচারক এবং মামলার রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
বনজসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে বাবুলের মামলার আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে।
পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন চট্টগ্রাম আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিয়মিত আদালত ছুটিতে থাকায় বাবুল আক্তারের মামলার আবেদনের শুনানি ২৫ সেপ্টেম্বরের দিন ধার্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে আইনজীবীরা এ আবেদন করেন।
ওইদিন আদালত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আদেশের তারিখ ধার্য করেছিলেন।
তবে আজ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা ছুটিতে থাকায় পুনরায় এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলার আবেদনে পিবিআই’র প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ছাড়াও যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন-চট্টগ্রাম জেলার এসপি মো. নাজমুল হাসান, পিবিআই মেট্রো এসপি নাঈমা সুলতানা, খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা, সিএমপির ডিবি বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।
মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।
সময়কাল বলা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে সকাল ১০টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়।
ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ফেনীর ওসির বিরুদ্ধে
পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার মাদক মামলায় ছয় মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-০১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম তিন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের দবির কশাইয়ের ছেলে বাবুল (৩৫), রমজান আলীর ছেলে মুসলাম আলী (৩২), লিয়াকত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলী (৩২), সিরাজ মন্ডলের ছেলে বকুল মন্ডল (৩০), মমিনের ছেলে জাহিদুল (২৫) এবং একই উপজেলার ডাংমড়কা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে হাবু মন্ডল (৩০)।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর, জাহিদুল এবং হাবু মন্ডল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি পলাতক আছে।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৪ সালের ২৪ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে পান বরজের পাশে অভিযান চালিয়ে ৪৬ কেজি গাঁজা এবং ৬৭১ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় জব্দকৃত মাদক ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে কিশোর হত্যার অভিযোগে ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খাদেমুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এস এম জাহিদ বিন আলম।
এই মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রবিবার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
জোরপূর্বক গুম: জাতিসংঘ ২১ দেশের ৬৯৬ মামলা পর্যালোচনা করবে
জাতিসংঘের জোরপূর্বক বা অনিচ্ছাকৃত গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ ২১টি দেশের ৬৯৬টি মামলা পর্যালোচনা করার জন্য ১২৮তম অধিবেশন বসবে ১৯-২৮ সেপ্টেম্বর।
পাঁচটি স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞের দল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত জোরপূর্বক গুম সম্পর্কে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করবে এবং এগুলো নথিভুক্ত করবে৷
বিশেষজ্ঞরা জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন, রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে পৃথক ঘটনা ও কাঠামোগত বিষয় এবং জোরপূর্বক গুম সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে তথ্য বিনিময়ের জন্য বৈঠক করবেন।
এই দলের সদস্যরা ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গঠিত ‘জোরপূর্বক গুম বিষয়ক কমিটি’র সঙ্গে বার্ষিক যৌথ সভা করবেন।
আরও পড়ুন: দেশে গুম নেই, স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ নেই: ব্যাচলেটকে বললেন মোমেন
অধিবেশন চলাকালীন বিশেষজ্ঞরা জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা সংক্রান্ত ঘোষণার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলো পরীক্ষা করবেন। যেমন প্রত্যাবর্তনমূলক আইন ও অনুশীলন, বা বলপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো মোকাবিলায় পদ্ধতিগত ব্যর্থতা; বিশেষত সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে।
তারা অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় ও ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করবে। যেমন: নির্দিষ্ট দেশসমূহ পরিদর্শন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে নতুন প্রযুক্তি ও জোরপূর্বক গুম নিয়ে তাদের করা গবেষণা প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাচেলেটে সঙ্গে সাক্ষাতের পর ‘গুম’ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫১তম অধিবেশনে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সঙ্গে এই গ্রুপের অধিবেশনও হবে।
১২৮তম অধিবেশন চলাকালীন ওয়ার্কিং গ্রুপের সিদ্ধান্তগুলো এর পরবর্তী পোস্ট সেশনাল রিপোর্টে প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সতর্কতা: ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
কুষ্টিয়ায় ২ মাদরাসাছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন: বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই মাদরাসা ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত বাড়িয়ালার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় এই মামলাটি করে।
অভিযুক্ত হাজী মো. শহিদুল ইসলাম পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার মৃত নুরুল হক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি উপজেলা সাব রেজিট্রার’র কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ট্যাক্স কালেক্টর ও দুই সন্তানের জনক।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মাদরাসার পরিচালনা পরিষদ জানায়, প্রায় সাত মাস আগে মহিলা মাদরাসাটি দুর্গাপুর এলাকার হাজী মো.শহিদুল ইসলামের বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। মাদরাসার একটি কক্ষে বাড়ি মালিক ও তার স্ত্রী থাকেন। মোবাইল চার্জ দিতে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ওই কক্ষে যায়। সেই সুযোগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেন বাড়ির মালিক মো.শহিদুল ইসলাম। এরপর থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়মিত যৌন নিপীড়ন করে আসছিলেন তিনি।
গত বুধবার আরেক ছাত্রী মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে শহিদুলের অপকর্ম দেখে ফেলে। তাকেও হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করে বাড়ির মালিক শহিদুল।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ চালকের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে প্রভাবশালী একটি মহল থানায় অভিযোগ না করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তবে শুক্রবার মাদরাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন চলাকালে গণমাধ্যমকর্মীরা কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলমকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মামলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আতিকুল ইসলামকে কুমারখালী থানায় পাঠান।
আরও পড়ুন: রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ২০১৯ সালে হজ্জ করেছি। এমন কাজ আমি করতে পারি না আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মীরসরাইয়ে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ চালকের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহতের ঘটনায় তিন গাড়ির চালককে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার এটিএসআই সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, জোনাকী পরিবহন, কাভ্যার্ডভ্যান ও লরির তিন চালককে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার বাদি এটিএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, তিন গাড়ির চালকের ভুলের কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাইয়ের সোনাপাহাড় ফিলিং স্টেশন থেকে একটি লরি বের হওয়ার পর চট্টগ্রামগামী জোনাকি পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গাড়ি দুটি মহাসড়কে থামিয়ে চালক- হেলপাররা তর্কাতর্কি করছিল। ঘটনাস্থলে জড়ো হয় আশপাশের লোকজন ও স্থানীয় সিএনজি চালকরাও। খবর পেয়ে সেখানে এসে ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা করে হাইওয়ে পুলিশ। তখনই পেছন থেকে দ্রুতগামী একটি মিনি কাভার্ড ভ্যান এসে জড়ো হওয়া মানুষের ওপরে উঠিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিন সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ চারজন মারা যান। আহত হন জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের এএসআই ও কনস্টেবলসহ ছয়জন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রাজশাহীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএমডিএর ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
দুর্নীতির মামলায় সেলিম চেয়ারম্যানের ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন
৩৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় চাঁদপুরের ‘বিতর্কিত’ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে তাকে
বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সেলিম খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুদকের পক্ষ ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আগাম জামিন চেয়ে ফের হাইকোর্টে আবেদন করেন সেলিম চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট
১৪ আগস্ট ৩৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন সপ্তাহের মধ্যে চাঁদপুরের বিতর্কিত চেয়ারম্যান সেলিম খানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করতে পারায় সেলিম খান পুনরায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।
সেলিম খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, হাইকোর্টের আদেশে মামলা নম্বর ভুল ছিল। এ কারণে নতুন জামিন আবেদন করা হয়েছে।
দুদক সচিব জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেলিম খানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্পদ বিবরণী চায় দুদক। সেলিম খান ৬৬ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব জমা দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধান কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন সভায় সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১ আগস্ট আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৩৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে চাঁদপুর সদরের ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ কেলেঙ্কারি, মেঘণা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সাক্ষাৎ
২ মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠিত হবে:তথ্যমন্ত্রী
রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সংঘর্ষের এই ঘটনায় শুক্রবার বিকালে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএমডিএর ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যাসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গঙ্গাচড়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে উপজেলার পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গঙ্গাচড়া বাজারের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশ ও বাজারের দোকান উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেনসহ ১৫ পুলিশ সদস্য ও বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক মিলে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ছুঁড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হোসাইন রায়হান বলেন, বর্তমানে গঙ্গাচড়ার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ও পিবিআই চট্টগ্রামের এসপি নাজমুল হাসান সহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার আইনে মামলার আবেদন করেছেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেসার আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন-পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ও পিবিআই চট্টগ্রামের এসপি নাজমুল হাসান, কর্মকর্তা নাঈমা সুলতানা, পরিদর্শক (ওসি খুলশী) সন্তোষ কুমার চাকমা, পরিদর্শক (বর্তমানে ডিবি সিএমপি) এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও পুলিশ পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবীর।
আরও পড়ুন: খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য তার ওপর শারিরীক নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে শুনানীর জন্য রেখেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি মামলায় খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাই কারাগারে