ক্ষতিগ্রস্ত
ভোলায় অগ্নিকাণ্ডে ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আড়াইটার দিকে জংশন বাজারের ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কাছে একটি টিভি-ফ্রিজের শো-রুম থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় বাজারের মেশিনারি পার্টসের দোকান, ফাস্টফুডের দোকান, টিভি-ফ্রিজের দোকান, ওয়ার্কশপের দোকান, ফার্মেসি, সুতার দোকান, মেশিনারি মালামালের গোডাউন, ফার্নিচারের দোকানসহ ৯টি পুরোপুরি এবং দুইটি আংশিক, মোট ১১টি দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা সদর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সুমন সাংবাদিকদের জানান, রাত আড়াইটার দিকে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ও কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মনপুরায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও ফরিদপুরে আশানুরূপ ক্রেতা নেই
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩,৮৪৫ জন: ডিএসসিসি
গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অগ্নিকাণ্ডে তিন হাজার ৮৪৫ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তবে, কমপ্লেক্স তৈরির কয়েকটি পৃথক মার্কেটের মধ্যে একটি অ্যানেক্সকো টাওয়ারের ব্যবসায়ীদের নাম তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি। তাদের বীমা থাকায় ওই বাজারের দোকানদাররা ডিএসসিসির তালিকায় নাম লেখাতে চাননি।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে তদন্ত কমিটির সভাপতি ও ডিএসসিসির জোনাল নির্বাহী কর্মকর্তা (জোন-১) মেরিনা নাজনীন প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: উল্লাপাড়ায় ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
তদন্ত কমিটি আগুনের পেছনে শর্ট সার্কিট ও নাশকতার কোনো ঘটনা খুঁজে পায়নি।
প্রতিবেদন অনুসারে ‘একটি জ্বলন্ত সিগারেট বা একটি মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে বিধ্বংসী আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।’
এদিকে, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মোট মালামালের পরিমাণ আনুমানিক ২৮৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা (প্রায়) পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এছাড়া কাঠামোগত দিক বিবেচনায় ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে ডিএসসিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।ডিএসসিসি এলাকায় ভবিষ্যতে যে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মোকাবিলায় তদন্ত কমিটি ১০টি সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
সিলেটে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর কুশিয়ারা থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ইদানীং সবার মধ্যে কেমন যেন একটা অসহনশীলতা দেখা যাচ্ছে। এ অসহিষ্ণুতা বিচার বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, রাষ্ট্রের অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাহলে আমরা আইনের শাসনের জন্য যে সংগ্রাম করে যাচ্ছি, তা প্রতিষ্ঠা করতে পারব না।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
রবিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর আইনজীবী সমিতি ভবনে আইনজীবীদের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওহিদুজ্জামান। সভা পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ব্যাপারী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের ভাবতে হবে, আপনারা আদালতের অংশ। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আদালত ঠিকমতো সচল রাখা সম্ভব নয়। আমরা আইনজীবী ও বিচারকেরা মিলে একসঙ্গে চেষ্টা করতে চাই, যেন মামলার জট ছেড়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি মনে করি জুডিশিয়ালিতে বিচারক যদি হয় ডান হাত, তাহলে আইনজীবী বাম হাত। এক হাত যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কাজ ঠিকমতো হবে না।
তিনি বলেন, দেশের তিনটি স্তম্ভ বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগি ও আইন বিভাগ। এর কোনো একটা যদি দুর্বল হয় তাহলে সে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গণতন্ত্র দুর্বল হয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় না। তাই আসুন আমরা সকলে সম্মেলিত চেষ্টায় বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরে জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে একটি বিচার নিতে আসা ব্যক্তিদের জন্য একটি বিশ্রামাগার স্থাপনের জন্য ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন।
এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় কমপক্ষে চার কোটি লোক জড়িত। তাদের কথা চিন্তা করে এ বিশ্রামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এখানে পানি পান ও শৌচাগারের সুবিধা থাকবে। বিচার চাইতে এসে যেন কাউকে এলোমেলো ঘোরাফেরা করে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, এজন্য এই ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, এসব বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য আইন মন্ত্রণালয় ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি জেলা এ বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকা পাবে।
এছাড়া কাজ যাতে ঠিক মত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঠিকাদার যেন চুরি না করে। কম লাভ করে তারা যেন এ কাজ করে দেয়।
প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরের মামলার নিষ্পত্তির হার বেশি হওয়ায় বিচারক ও আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ফরিদপুরে ২৫ হাজার ৫৫৭টি মামলা হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মামলা। নিষ্পত্তির হার ১১৪ শতাংশ। এ ঘটনা আমাদের আশা জাগায়।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
বঙ্গবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মেগা ক্যাম্পেইনের আয় দান করবে নগদ
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রদানকারী নগদ বৃহস্পতিবার বলেছে যে এটি বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে। যারা একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের জীবিকা হারিয়েছে।
নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেছেন, নগদ তার চলমান মেগা প্রচারাভিযান থেকে সমস্ত উপার্জন দান করবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসাগুলোকে, সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে যাদের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
নগদ ঈদ-উল-ফিতরের আগে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের গাড়ি, মোটরবাইক, স্মার্টফোন, নোটপ্যাড, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন এবং আরও অনেক কিছু জেতার সুযোগ দিয়েছে।
তানভীর বলেন, প্রচারণার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ তারা বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেবেন।
নগদ জানিয়েছে, বুধবার রাত পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন থেকে তার আয় হয়েছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: ঈদ: পুরস্কার পেল নগদ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীরা
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন।
তিনি বলেন, কোনো দুর্যোগ হলে প্রথম কাজ হলো উদ্ধার তৎপরতা। সেটি গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা মানবিক দিকগুলো বিবেচনা করে পরিপূর্ণভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এবং বিনিয়োগকারীদের পাশে থাকব।
আরও পড়ুন: খালের বর্জ্যের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিও অপসারণ করা হচ্ছে: মেয়র তাপস
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে নগরীর খিলগাঁও এলাকায় গোড়ান খেলার মাঠ এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আজ সকালে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন, আমরা তালিকা করে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার পরেই সকল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্তভাবে তিনি অনুদান দিবেন।
মেয়র বলেন, যাতে করে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তারা যেন আবার এই ব্যবসায় নামতে পারে। তাদের পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। সেই দিকটাই এখন আমাদের সকলের অগ্রাধিকার।
বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও মামলার কারণে তা করা যায়নি উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। মামলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এখন বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। কিছুদিন সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, মানবিক দিক নির্ণয় করে তারা যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে তাদেরকে অনুদান দিয়ে আমরা সেটা নিশ্চিত করব। তারপর তারা যাতে সেখানে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আমরা নতুন একটি পরিকল্পনা নিয়ে তাদের সঙ্গে বসব। সেটা নিশ্চিত করার পরেই আমরা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করব।
এই অগ্নিকাণ্ড কোনো ধরনের পরিকল্পিত নাশকতা কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এখন পর্যন্ত এটি একটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তারপরেও, এটি কোথা থেকে শুরু হয়েছে এবং কিভাবে শুরু হয়েছে তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।
পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবাজারে নতুন করে পাইকারী মার্কেটই নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে তাপস বলেন, আমরা তাদেরকে নিয়ে বসব। তারা কিভাবে চায় (তা জানব)। প্রধানমন্ত্রীকেও আমরা ভবনের নকশাটি দেখাব। এটা পাইকারী বাজার। আমরা এটাকে পাইকারী মার্কেট হিসেবেই তৈরি করব এবং যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত নতুন ভবনে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদেরকেই আগে পুনর্বাসিত করা হবে।
আরও পড়ুন: লালে নয়, হকাররা হলুদ-সবুজ চিহ্নিত এলাকায় ব্যবসা করবে: মেয়র তাপস
খালের দখলদারিত্বের আগ্রাসন আমাদের কাজকে ব্যাহত করছে: মেয়র তাপস
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ঘোষণা মেয়র আতিকের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
সোমবার (২৭ মার্চ ২০২৩) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
জানা যায়, সোমবার সকালে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগে। খবর পাওয়ার অল্পসময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুনে বস্তির অনেকগুলো টিনশেড ঘর পুড়ে গেছে।
উত্তর সিটির মেয়র আতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রমজানে বাজার কঠোর মনিটরিং করবে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুদান
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব লস অ্যাঞ্জেলেস (বিএএলএ) তুরস্কের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও নগদ অর্থ অনুদান দিয়েছে।
প্রবাসী সমিতির সভাপতি সৈয়দ এম হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাকসুদা ইয়াসমিন, জায়েদুল মাহমুদ জামি, রাবেয়া জাহিদ, ড. মোহাম্মদ সিরাজুল্লাহ, জিল্লুর রহমান নিরু প্রমুখ।
সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রস্তাবিত অনুদান বাস্তবায়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া সকল সদস্য ও অ-সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের ভূমিকম্প অঞ্চল পরিদর্শনে ব্লিঙ্কেন, ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি
তুরস্কে নতুন করে ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত ২ শতাধিক
সিউলে অগ্নিকাণ্ডে ৬০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। শুক্রবার রাজধানী সিউলের গুরিয়ং গ্রামে লাগা এ আগুন প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলকর্মীরা। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সিউলের গাংনাম জেলার দমকল বিভাগের একজন কর্মকর্তা শিন ইয়ং-হো বলেছেন, উদ্ধারকর্মীরা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তল্লাশি করেছে, সব বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৮
এদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন লাগার পর ৮০০ জনেরও বেশি দমকলকর্মী, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং দুর্ঘটনাকবলিতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কাজ করে।
৬৬ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা কিম সুং-হান দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘চান্দ্র নববর্ষের ছুটিতে এ ধরনের দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে?’
উল্লেখ্য, দেশটির সবচেয়ে বড় ছুটির একটি হলো চান্দ্র নববর্ষ এবং আগামী শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এ উপলক্ষে ছুটি থাকবে।
কিম বলেন, ‘আর কিছু বের করতে না পেরে, আমি শুধু এই পোশাকেই বাড়ি থেকে ছুটে বেড়িয়েছি।’
গ্রামটির একজন নেতা লি উন-চেওল বলেছেন, বাসিন্দারা দ্রুত অন্যদেরকে আগুনের বিষয়ে সতর্ক করতে সক্ষম হয়েছিল এবং দমকলকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লোকেদের সন্ধান করছে এবং তাদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছে।
লি ওয়াইটিএন নিউজ চ্যানেলকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।’
তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
গাংনাম জেলা অফিসের একজন কর্মকর্তা কিম আহ-রিউম বলেছেন, প্রায় ৫০০ জন বাসিন্দাকে একটি স্কুল ও জিমসহ আশেপাশের স্থাপনাগুলোতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন যে, ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই বাড়িতে ফিরতে পারবে বলে আশা করছিল। যাদের বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন কমপক্ষে ৪৫ জনকে অস্থায়ীভাবে একটি হোটেলে থাকতে হবে। পুড়ে যাওয়া ৬০টি বাড়ির মধ্যে কয়েকটি অবশ্য খালি ছিল।
আগুনের খবর পেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বর্তমানে তিনি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে সফররত।
তার মুখপাত্র কিম ইউন-হে বলেছেন, দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
২০২২ সালের অক্টোবরে সিউলের একটি সংকীর্ণ রাস্তায় ভিড়ে ঠেলাঠেলিতে কমপক্ষে ১৬০ জন মারা যান। এটি গত এক দশকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুর্বল পরিকল্পনার জন্য মারাত্মক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কেননা দুই বছর পর হ্যালোইন উদযাপকদের বিশাল সমাবেশের কথা জেনেও, কর্তৃপক্ষ ভিড় নিয়ন্ত্রণের মৌলিক ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়।
গুরিয়ং গ্রাম, সিউলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল কিছু এলাকার কাছাকাছি অবস্থিত একটি অবৈধ ছাউনি। যা সুউচ্চ উঁচু অ্যাপার্টমেন্ট এবং বিলাসবহুল শপিং মলের পাশেই অবস্থিত। এটি দীর্ঘকাল ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদ্যমান আয় বৈষম্যের প্রতীক।
সহজেই আগুনে পোড়ে এমন উপকরণ দিয়ে তৈরি হওয়ায় পাহাড়ের পাশের গ্রামটি কয়েক বছর ধরে প্রায়ই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গত মার্চ মাসে আগুনে ১১টি বাড়ি পুড়ে গিয়েছিল এবং বন্যার কারণে গত আগস্টে প্রায় ১০০ জন লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
গ্রামটিতে প্রায় ৬৭০টি বাড়ি রয়েছে, তবে সবগুলোতে মানুষ বাস করে না।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় অবৈধ আশ্রয়কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ২২ জনের মৃত্যু
ফ্রান্সের অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডে ৫ শিশুসহ নিহত ১০
২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু অর্থায়ন দ্বিগুণ চায় বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো
বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো দাবি করেছে, ২০২৫ সাল নাগাদ জলবায়ু অর্থায়ন দ্বিগুণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো জাতিসংঘের চলমান জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নের নতুন এই রোডম্যাপ দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
মিশরের শারম আল শেখ শহরে ৬ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান কপ২৭ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে শনিবার স্থানীয় সময় রাত পর্যন্ত চলে কপ সম্মেলন।
জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও জলবায়ু বিশেজ্ঞদের সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) কপ সম্মেলন সাপ্তাহিক ছুটি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির গবেষণা: হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ
চলমান জলবায়ু সম্মলেনে বাংলাদেশ থেকে আগত জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা ইউএনবিকে জানিয়েছন, বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলার জন্য নতুন রোডম্যাপ দাবি করছে।
তারা এই দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বলে, আগে অর্থায়নের যে পরিমাণ হিসাব করা হয়ছিল, বর্তমান বাস্তবতার আলোকে তা অনেক কম। ফলে বর্তমান বাস্তবতায় ২০১৯ সালে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন ছিল, ২০২৫ সালে তা দ্বিগুণ করতে হবে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য জিয়াউল হক ইউএনবিকে বলেন, উন্নত দেশগুলোর অর্থায়ন বিষয়ে একটি রোডম্যাপ করার দাবি করা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোর কোন বছর কোন খাতে অর্থায়নের জন্য কী পরিমাণ অর্থায়ন করবে তা ওই রোডম্যাপে উল্লেখ থাকবে।
বিশেষ করে, জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে অর্থ প্রদানে উন্নত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই আলোচনায় বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতি বছর যথাক্রমে চার ট্রিলিয়ন ও সাত ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। যা বর্তমান অর্থায়নের চেয়ে বেশি।
তাই অর্থায়নের এই ফারাক দূর করার জন্য সব পক্ষের জোরালো আলোচনা দরকার।
জিয়াউল হক বলেন, বর্তমানে শারম আল শেখে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আলোকে গ্লোবাল গোল অন এ্যাডাপটেশন চূড়ান্ত করার জন্য আলোচনা চলছে।
প্যারিস চুক্তিতে গ্লোবাল গোল অন এ্যাডাপটেশনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই গোলের লক্ষ্য কি, গ্লোবাল গোল বলতে কী বুঝায়, কিভাবে এই গোল বাস্তবায়ন হবে তা বলা নেই।
এবারের সম্মেলনে সেই গোল ঠিক করার কাজ চলেছে। যা আগামী বছর আবুধাবিতে অনুষ্ঠেয় ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনে এটি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অভিযোজন তহবিলে প্রতিশ্রুতি বাড়ানোর জো বাইডেনের এই ঘোষণা গ্লোবাল গোল অন এ্যাডাপটেশন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য মির্জা শওকত আলী ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো এবার জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে সোচ্চার। বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও উন্নত দেশগুলো জলবায়ু তহবিলে কোন অর্থ প্রদান করছে না। মহামারি করোনার কারণে দ্বিপক্ষীয় অর্থায়নও সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। বিশেষ করে গত জলবায়ু সম্মেলনে অর্থায়নের ক্ষেত্রে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েও উন্নত দেশগুলো কোন অর্থই প্রদান করেনি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে প্রতিশ্রুত অর্থায়ন পেতে আলোচনা চলছে এখনও।
তিনি আরও বলেন, আলোচনার শুরুতেই নেগোসিয়েশনের টেবিলে অর্থ নিয়ে উন্নত দেশগুলো এবারও অর্থ প্রদান না করার জন্য নানা ফন্দি ফিকির করছে। তারা এবার অর্থ না দেয়ার জন্য নতুন কৌশল হিসাবে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশিক মন্দাকে সামনে নিয়ে এসেছে।
উন্নত দেশগুলো বলছে, বৈশ্বিক মন্দার কারণে তাদের কাছে কোন অর্থ নেই। ফলে তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য আগামী বছর কোন অর্থ দিতে পারবে না।
জলবাযুর ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর উদ্দেশ্যে উন্নত দেশগুলো বলছে, বৈশ্বিক মন্দার কারণে উন্নত দেশগুলোই এখন সংকটের মধ্যে পড়েছে। তাদের কাছে কোন অর্থ নেই। ফলে মন্দা কেটে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের পক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কোন অর্থ প্রদান করা সম্ভব নয়।
তবে উন্নত দেশগুলোর এই বার্তায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো হতাশ নয়।
এটি যে তাদের নতুন কৌশল তা তারা বুঝতে পারছে। তাছাড়া খোদ আয়োজক দেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাব জলবায়ু আলোচনার অন্যতম এজেন্ডা হিসাবে অর্থায়ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশে থেকে আগত এক পর্যবেক্ষক আমিনুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, বাইডেনের বক্তব্য প্যারিস চুক্তির সঙ্গে মেলে না।
যুক্তরাষ্ট্র বড় অর্থনীতির দেশ, বড় কার্বন দুষণকারী। তাদের উচিত উন্নত দেশগুলো যে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার করে প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার অংশ জলবায়ু তহবিলে প্রদান করা এবং অন্য দেশগুলোকেও বলা তাদের অংশ জলবায়ু তহবিলে প্রদানের জন্য।
বাইডেন এডহক ভিত্তিতে জলবায়ু তহবিলে অর্থ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।
অভিযোজনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রয়োজন ৬০০ বিলিয়ন ডলার।
ওই অর্থের অংশ দেয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর আগে জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের
শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব চালিয়েছে। শনিবার একদল বন্যহাতির তাণ্ডবে উপজেলায় আব্দুল মোতালেব নামে এক দিনমজুরের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর আব্দুল মোতালেব ওই এলাকার মৃত জানলি শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
সংবাদ পেয়ে শনিবার (৫ নবেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ, রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান।
ইউএনও তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর আব্দুল মোতালেব জানান, শনিবার ভোর আড়াইটার দিকে বন্যহাতির একটি দল তার বাড়িতে প্রবেশ করে বসত ঘরের সিমেন্টের খুঁটি, বেড়া, রান্নাঘর ভেঙে তছনছ করে। বসতঘরে থাকা আলনা, ফ্রিজ, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পা দিয়ে পিষে নষ্ট করে।
এসময় ঘরবাড়ি ফেলে জীবন বাঁচাতে পালিয়েছেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির দল। শুধু তাই নয়, ঘরে রাখা চাল ও ধান নষ্ট করেছে ক্ষুধার্ত হাতির দলটি।
এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রহমত আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে কাঁচা ধান, সবজি, গাছ-পালাসহ মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, গারো পাহাড়ে প্রায় বছরই বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে জানমালের ক্ষতি করে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়।
বন বিভাগের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
বান্দরবানে বুনো হাতির আক্রমণে নিহত ২, আহত ১