বিএনপি
সমঝোতার ভিত্তিতে ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ
২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
রবিবার মন্ত্রণালয়টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাওয়া টিম স্বীকার করে যে তারা আইনের বিধান সম্পর্কে অবগত ছিল না । তাই সিনেমার পরিচালকের আপোষ নিষ্পত্তি করার আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন্যপ্রাণী অপরাধ প্রতিরোধ ইউনিটের করা মামলাটি প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের আপিল গ্রহণ করেন।
যেহেতু মামলাটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৩ এবং সিআরপিসি’র ২৪৮ ধারা অনুযায়ী জটিলতাপূর্ণ, আপিল জমা দেয়া হয়েছিল।
আদালত আপিলের শুনানি করে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দেখে গত ১৭ আগস্ট বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা মামলাটি করেন।
২২ আগস্ট, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের জন্য হাওয়া চলচ্চিত্রের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইনি নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশে সিনেমাটির লাইসেন্স প্রত্যাহার এবং শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বিশ্বব্যাপী এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা উচিত বলেও জানানো হয়েছে।
উপরন্তু, ভবিষ্যতে কোন সিনেমাকে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র দেয়ার আগে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে চলচ্চিত্রটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন-২০১২-এর কোনও ধারা লঙ্ঘন করে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিনেমায় ট্রলারে শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে পাখিটিকে মেরে খেয়ে ফেলা হয়।
এছাড়া সিনেমাটিতে বেশ কিছু দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন, ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এর ফলে মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় বন্দি ও নিধনে উৎসাহিত হবে।
এই দৃশ্য প্রচারের জন্য বন বিভাগ থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি, বিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
নারীকে মারধরের অভিযোগে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি গ্রেপ্তার
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার বিকাল ৪টার দিকে কাজলশাহ ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আদালতে তার বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় সেনাবাহিনীতে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র, প্রতারক গ্রেপ্তার
সেনাসদস্য লাঞ্ছিত, ৩ আরএনবি সদস্য গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাপ্তাইয়ে ১৪৪ ধারা জারি
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বিএনপি ও উপজেলা ছাত্রলীগ একই জায়গায় সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার রাতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, রবিবার (২৮ আগস্ট) উপজেলা সদর বড়ইছড়ি এলাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এছাড়া একই স্থানে একই সময়ে কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তারেক জিয়ার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে জনজীবনে অসুবিধা ও উপজেলার স্বাভাবিক শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা ও আশঙ্কায় আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলা সদর এবং এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হল।
এ বিষয়ে কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, যেকোনো নাশকতা, দাঙ্গা হাঙ্গামা ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করতে এবং এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাপ্তাইয়ের আশেপাশে ও সমাবেশের স্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা কঠোর অবস্থানে থেকে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এই ব্যাপারে তৎপর রয়েছে। তবে ১৪৪ ধারা জারির কারণে সকাল থেকে কোন দল সমাবেশস্থলে আসতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
খুলনা নগরীর খালিশপুরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় হামলাকারীরা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বাড়িতে হামলা, দলের খুলনা অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের দায়ী করেছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
শনিবার রাতে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন, খালিশপুর বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলাকারীরা বিএনপি নেতাদের বাড়িও ভাঙচুর করে।
তিনি জানান, হামলায় বিএনপির প্রায় ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার বিকালে বৈকালী মোড়ে একই স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খালিশপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আটক
তিনি জানান, বিএনপির মিছিল এগিয়ে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
বিকালে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রবিবার আবারও রাজনাধীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নেয়া হবে। ছয়দিন আগেও তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে আজ (রবিবার) বিকালে ম্যাডামকে কিছু পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে। এ বিষয়ে হাসপাতালে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
এর আগে ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
আটকের কয়েক ঘন্টা পর বিএনপির ২ নেতার মুক্তি
নড়াইলে আটকের কয়েক ঘন্টা পর মুক্তি দেয়া হয়েছে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুব মোর্শেদ ও সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুজাহিদুর রহমানকে।
শুক্রবার বিকালে মাইজপাড়া থেকে সদর থানা পুলিশ থানায় হাজিরার শর্তে তাদেরকে জামিনে মুক্ত করেন।
আরও পড়ুন:নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: আ’লীগ নেতাকে অব্যাহতি
নড়াইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জানান, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার মাইজপাড়া বাজারে জেলা বিএনপি’র বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ নেতা-কর্মীরা দলীয় কর্মসূচি পালন করছিলেন। সেখান থেকে তাদেরকে কোন কারণ ছাড়াই আটক করা হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আইন শৃংখলা পরিস্থিতির কোন প্রকার অবনতি না হয়, সেজন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। পরে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় থানায় হাজিরার শর্তে শুক্রবার রাত ১০টার পর মুক্তি দেয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:নড়াইলে হিন্দু বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর
শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩ মামলা
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ‘বিএনপির মিছিলে বাধা দেয়ার’জের ধরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
এসব মামলায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত তিন থেকে চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বাঁশখালী থানার কালীপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ১৫ পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে দুটি এবং শনিবার সকালে একটিসহ বাঁশখালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মোট তিনটি মামলা করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, মানুষের যান চলাচলে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলাগুলো করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, সারাদেশের মানুষ আজ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। মানুষের এ গণজোয়ার দেখে সরকার দিশাহারা হয়ে পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির সভাসমাবেশে বাধা এবং হামলা চালিয়ে উল্টো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। এসব হামলা মামলা দিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে দমানো যাবে না। মানুষ এদের পতন করেই ঘরে ফিরবে।
উল্লেখ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে প্রধান সড়কের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ লেগে যায়।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পুলিশের রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। পুলিশের দাবি সংঘর্ষে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি মো. হুমায়ুন কবির, ওসি কামাল উদ্দিন, এসআইসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাবির ছাত্রীকে ‘যৌন নিপীড়ন’ ঘটনায় মামলা
খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
নোয়াখালীর চাটখিলে বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ সভার মঞ্চ, চেয়ার ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চাটখিল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু হানিফ ও সদস্য সচিব শাহজাহান রানাসহ ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে চাটখিল পৌরসভার চাটখিল আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জ্বালানি তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চাটখিল পৌরসভার এলাকার আলিয়া মাদরাসার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪টার দিকে এই সভার জন্য সকাল থেকে প্যান্ডেল ও মঞ্চ বানানো হয়। জুম্মার নামাজের শেষে হঠাৎ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মী এসে হামলা চালিয়ে মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। প্রতিবাদ সভায় আসার পথে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে আমাদের ৩০ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আটক
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, গত তিন দিন ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি প্রতিবাদ সভা করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিবাদ সভা পণ্ড করার কোনো নির্দেশনা নেই। তবে চাটখিল উপজেলা বিএনপির মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদ সভাস্থলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কোনো নেতা-কর্মী হামলা করেনি বলে তিনি দাবি করেন।
এব্যাপারে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলে বাধা, সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৪০
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিএনপির মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিনও রয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি একটি মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:বরিশালে বাস-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ৩
বিএনপি নেতারা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে দল। এরই অংশ হিসেবে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা আজ বাঁশখালীতে সমাবেশ করেছি। এরপর শান্তিপূর্ণ একটি মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ ও গুলি করে। আমাদের ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৬ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আরিফুর রহমান জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে রাস্তায় উঠে গাড়ি ভাঙচুর করতে চেয়েছিল। তখন তাদের রাস্তায় উঠা যাবে না বললে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তিনি আরও জানান, বিএনপির হামলায় আমাদের ওসি স্যার কামাল উদ্দিন, এসআইসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ১৫ জন আহত
ফেনীতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সরকারের পতনই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতনই এখন বিরোধী দলের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার বাস্তবতা হলো ফ্যাসিস্ট একনায়কতান্ত্রিক শাসক আওয়ামী লীগ আমাদের যা ছিল তা সব ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্যই হলো সরকারের পতন ঘটানো।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা বিদ্রোহী কবির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা নজরুলকে নতুনভাবে স্মরণ করি এবং তার চেতনাকে ধারণ করে সামনে অগ্রসর হই। তার মৃত্যুর এই দিনে এটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিৎ।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নজরুলের রাজনীতি-বাংলাদেশের রাজনীতি’ শিরোনামে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুলকে ‘বিশ্বমানবতার কবি’ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তার সকল কবিতা নিপীড়িত মানুষকে জেগে উঠার অনুপ্রেরণা দিত।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান বিএনপির
তিনি বলেন, ‘আজকের এই সময়ে অবিচার, স্বৈরাচার, নির্যাতন ও নিষ্পেষনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষকে উজ্জীবিত করতে কাজী নজরুল ইসলাম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যখন ভোলায় আমার ভাই নূর-এ- আলম গুলিতে নিহত হন, যখন আমার ভাই ইলিয়াস আলী গুম হন এবং আমাদের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হন, যখন দেখি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে তখন আমি নজরুলকে আরও বেশি অনুভব করি।’
আজকে বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে নজরুলকে উপেক্ষা করা দেখে ফখরুল মর্মাহত হওয়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তার কবিতা ও রচনাসমূহ বাংলা সাহিত্যর শিক্ষাক্রমে অন্তভুর্ক্ত নাই। আমি নজরুলের গানগুলোকে খুব বেশি বেশি ইলেকট্রনিক চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, পত্রিকাগুলো আর নজরুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মৃত্যুবার্ষিকী বা জন্মদিনে বিশেষ সংখ্যা ছাপায় না। ‘আমি এরকম সংকীর্ণতা। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভুলপথে চালিত করার নির্দেশনা।’
আগামী শনিবার কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হবে।
এরমধ্যে বিদ্রোহী কবির রাজনৈতিক সামাজিক কাজকে মূল্যায়নে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ। তিনি বাংলা ১৩৮৩ সনের ১২ ভাদ্র (২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে) ঢাকায় মারা যান। রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
নজরুল প্রেম, মানবতা, নাস্তিকতা, ধর্মীয় নীতি এবং সকল প্রকার জুলুমের বিরুদ্ধে আধ্যাত্মিক বিদ্রোহের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকগুলো কবিতা লিখেছেন।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিএনপির সমাবেশস্থলে আ.লীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান বিএনপির