২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
রবিবার মন্ত্রণালয়টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাওয়া টিম স্বীকার করে যে তারা আইনের বিধান সম্পর্কে অবগত ছিল না । তাই সিনেমার পরিচালকের আপোষ নিষ্পত্তি করার আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন্যপ্রাণী অপরাধ প্রতিরোধ ইউনিটের করা মামলাটি প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের আপিল গ্রহণ করেন।
যেহেতু মামলাটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৩ এবং সিআরপিসি’র ২৪৮ ধারা অনুযায়ী জটিলতাপূর্ণ, আপিল জমা দেয়া হয়েছিল।
আদালত আপিলের শুনানি করে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দেখে গত ১৭ আগস্ট বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা মামলাটি করেন।
২২ আগস্ট, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের জন্য হাওয়া চলচ্চিত্রের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইনি নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশে সিনেমাটির লাইসেন্স প্রত্যাহার এবং শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বিশ্বব্যাপী এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা উচিত বলেও জানানো হয়েছে।
উপরন্তু, ভবিষ্যতে কোন সিনেমাকে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র দেয়ার আগে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে চলচ্চিত্রটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন-২০১২-এর কোনও ধারা লঙ্ঘন করে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিনেমায় ট্রলারে শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে পাখিটিকে মেরে খেয়ে ফেলা হয়।
এছাড়া সিনেমাটিতে বেশ কিছু দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন, ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এর ফলে মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় বন্দি ও নিধনে উৎসাহিত হবে।
এই দৃশ্য প্রচারের জন্য বন বিভাগ থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি, বিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ