চুক্তি সই
দ্বৈত কর এড়াতে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের নতুন চুক্তি সই
দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নতুন একটি চুক্তি সই হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং নেদারল্যান্ডসের কর ও কর প্রশাসনমন্ত্রী এমএলএ ভ্যান রিজ নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে প্রায় ৩০ বছর আগে ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
এরই মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে আন্তর্জাতিক রীতিনীতিতে নানা পরিবর্তন এসেছে, যেমন ওইসিডি মডেল বা জাতিসংঘের মডেল।
এছাড়া স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন চুক্তিতে ৩৩টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে করের পরিধি বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, আবার নতুন বিষয় উৎপত্তির জন্য কিছু নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়েছে।
চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে বলা হয়েছে, নতুন চুক্তিতে বিদ্যমান বিধান সংশোধন করে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং কারিগরি সেবা ফি সংযোজনের ফলে সেবার বিপরীতে সেবা ও বিল পরিশোধের ওপর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে কর আদায় নিশ্চিত করা হবে।
নতুন চুক্তিতে শেয়ার হস্তান্তরে মূলধনী মুনাফা বাংলাদেশে করযোগ্য বলে বিধান রাখা হয়েছে। ফলে উৎস দেশে বাংলাদেশের অর্জিত মূলধনী মুনাফা থেকে কর আদায় করা সম্ভব হবে।
বিদ্যমান চুক্তির কোনো অনুচ্ছেদের আওতাভুক্ত নয় এমন কোনো আয়ের ক্ষেত্রে করদাতার উপর তার নিজ দেশে কর আরোপের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় নতুন চুক্তিতে সংশোধন করে করদাতার এ ধরনের আয় যে দেশে উৎপন্ন হয়, সেখানে করারোপ করা হয়েছে।
দাবি করা কর আদায়ে সহায়তার জন্য একটি অনুচ্ছেদ নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ উভয় রাষ্ট্রকে রাজস্ব আদায়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। নেদারল্যান্ডসের ১৫টি অংশীদার দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডে ২০০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। দেশটি বাংলাদেশের নবম বৃহত্তম রপ্তানি অংশীদার।
বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিটওয়্যার, ওভেন, গার্মেন্টস, গলদা চিংড়ি, জুতা, টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য এবং বাইসাইকেল।
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডস থেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শাকসবজি, প্রস্তুতকৃত খাদ্য উপাদান, জীবন্ত প্রাণী (পশু ও পাখি), খনিজ, রাসায়নিক, ওষুধ, জৈব রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও রাবারসহ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) দিক থেকে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান চতুর্থ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে ২ হাজার ৫৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে নেদারল্যান্ডস।
জ্বালানি, বাণিজ্য, চামড়া খাত, চামড়াজাত পণ্য ও সিমেন্ট খাতে নেদারল্যান্ডসে বিনিয়োগ বাড়ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, অসঙ্গতি দূর করতে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সংশোধনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস নতুন চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, অর্থ সচিব, নেদারল্যান্ডসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স সোনজা কুইপ।
আরও পড়ুন: ইইসি’র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সঙ্গে চারটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এই চুক্তিগুলো সই করা হয়।
চুক্তি চারটি হলো- টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স টু দ্যা ডাইভার্সিফাইড রেজিলিয়েন্ট এগ্রিকালচার ফর ইম্প্রোভড ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি প্রজেক্ট (রেইনস-টিএ), একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন (অ্যাক্সেস), জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ সাগর চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে: এফএও
চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে এফএও-এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি আর্নউ হ্যামিলার্স।
৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর।
সর্বমোট ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রাম (জিএএফএসপি) থেকে অর্থায়িত এবং এর তত্ত্বাবধানে আছে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)।
রেইনস এর কারিগরি সহায়তার বাজেট ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা জিএএফএসপি থেকে অর্থায়নকৃত একটি অনুদান। এর তত্ত্বাবধানে কাজ করছে ইফাদ এবং কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে এফএও।
বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতা ও সংকট নিরসন
একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন ( অ্যাক্সেস ) প্রকল্পটি জিএএফএসপি’র অধীনে ৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান পেয়েছে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে এফএও এবং উৎপাদক সংস্থাগুলোর একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক- সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি (এসবিকেএস)।
প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারে সহায়তা প্রদান
কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা প্রকল্পটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বাজেটে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের মধ্যে জলবায়ু-স্মার্ট, পুষ্টি-সংবেদনশীল কৃষি সম্পর্কে প্রচার করা এবং এর মাধ্যমে কৃষকদের জীবিকার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: তথ্য সভায় এফএও বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য উপস্থাপন
প্রকল্পটি এফএও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) এর একটি যৌথ উদ্যোগ, যা অর্থায়ন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ম্যাকগভর্ন-ডোল ফুড ফর এডুকেশন প্রোগ্রাম এবং সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) ও বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
ধানী জমির জন্য আঞ্চলিক প্রকল্প
জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা একটি আঞ্চলিক প্রকল্প। এটি বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে বাস্তবায়িত হবে; এবং এর অর্থায়ন করছে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বাজেটের এই প্রকল্প একটি নতুন মিশ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সহায়তা করবে। এটি জলবায়ু-সহনশীল ধানী জমি, মূল্য শৃঙ্খল এবং জীবিকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। এশিয়া মহাদেশের ধানী জমির অভিযোজন এবং সহনশীলতা বৃদ্ধিতে এটি সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও সহায়তা করবে।
এফএও’র সহকারী প্রতিনিধি (কর্মসূচি) নূর আহমেদ খন্দকার বলেন, ‘বিশেষ করে পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সহনশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতা।’
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ-ইইউ'র ৪০০ কোটি ইউরোর চুক্তি সই
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শীর্ষ পর্যায়ের এই আলোচনা শুরু হয়।
সেই উপলক্ষে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের টেকসই সবুজ রূপান্তরে অবদান রাখতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি সই করেছে ইইউ’র ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) ও বাংলাদেশ। এটি দেশের জলবায়ু প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যেও করা হয়েছে।
শিক্ষা সহায়তা, নিরাপদ কাজ, সবুজায়ন, ই-গভর্নেন্স ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়তার জন্য ৭০ কোটি ইউরো মূল্যের পাঁচটি অতিরিক্ত সহযোগিতামূলক পদক্ষেপও চালু করা হয়েছে।
ব্রাসেলসের বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেন, 'ইইউ ও বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত অংশীদার। এখন, গ্লোবাল গেটওয়ের অধীনে সবুজ রূপান্তরের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইউরোপীয় কমিশন, ইআইবি ও বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবে। এই ৪০০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই উদ্যোগ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অবকাঠামোগত ঘাটতি দূরীকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল উদ্ভাবন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আরও অনেক কিছুতে বিনিয়োগ করতে সক্ষম করবে। গ্লোবাল গেটওয়ে বন্ধুত্বের, অংশীদারিত্বের, বিশ্বাসের, স্বার্থসংশ্লিষ্ট পারস্পরিক নির্ভরশীলতার একটি প্রতীক।
নবায়ণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোর জন্য ইইউ এবং ইআইবি (৩৯৫ মিলিয়ন) ইউরোর মধ্যে ঘোষিত ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর অংশীদারিত্বের মধ্যে সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর ইইউ-গ্যারান্টিযুক্ত ইআইবি ঋণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বিনিয়োগ অনুদানসহ ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর মিশ্রণ সহায়তা প্যাকেজের পরিপূরক।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বেলজিয়াম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
উপরন্তু, ১২ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন প্রকল্প, যার মধ্যে ৭ মিলিয়ন ইউরো রয়েছে যা জার্মানির সহ-অর্থায়নে পরিচালিত হয়, যার লক্ষ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ জ্বালানি রূপান্তরকে সহজতর করার নীতি, আইনি কাঠামো এবং বিনিয়োগের পরিবেশে কাজ করা।
প্রকল্পগুলো মূলত ইউটিলিটি স্কেল সৌর ফোটোভোলটাইক এবং উপকূলীয় বায়ু প্রকল্প এবং সম্ভাব্য সম্পর্কিত ব্যাটারি শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থার সমন্বয়ে সমগ্র বাংলাদেশে জ্বালানি ও গ্রামীণ উন্নয়নে অ্যাক্সেস বাড়াতে অবদান রাখবে।
এই কার্যক্রম বাংলাদেশে আনুমানিক ৭৫০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা স্থাপনে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগগুলো বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিকেন্দ্রীকরণের উন্নতি করবে, শেষ পর্যন্ত জাতীয় ও সম্ভাব্য আঞ্চলিক, সংযোগ ও সহনশীলতা বাড়াবে।
কারিগরি সহায়তার অংশ হিসেবে, ইইউ একই জমিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং খাদ্য উৎপাদন, সৌর শক্তি, হাইব্রিড সৌর শক্তি/বায়ু ও ব্যাটারিচালিত সৌরশক্তি একত্রিত করার উপায়সহ প্রকল্প প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব অংশীজনদের সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সৌর প্রকল্প ও উপকূলীয় বায়ু প্রকল্প জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।
গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের জন্য অংশীদারিত্ব বাংলাদেশি আইনি কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে যা অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ জ্বালানি রূপান্তরের জন্য বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এবং জ্বালানি খাতে নারী পেশাদারদের কর্মসংস্থানের সুযোগও উন্নত করবে।
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা খাতের (৩০ মিলিয়ন ইউরো), নিরাপদ কাজের কর্মসূচির উন্নয়নে, সবুজ নির্মাণ, কার্যকর ডিজিটাল গভর্নেন্স জোরদার এবং দেশের উন্মুক্ত স্থানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে (প্রতিটি ক্ষেত্রে ১০ মিলিয়ন ইউরো) সহযোগিতার জন্য অতিরিক্ত ৭০ মিলিয়ন ইউরোর একটি প্যাকেজ সই হয়।
এ বছর ইইউ-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী। এই সময়ে ইইউ বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন, বাণিজ্য ও মানবিক অংশীদার হয়েছে।
এই পাঁচ দশকে রাজনীতি, বাণিজ্য, উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও কানেক্টিভিটির সমন্বয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ-হাঙ্গেরির মধ্যে ৩টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই
বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরি মধ্যে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সোমবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তোর উপস্থিতিতে নথিগুলো সই হয়।
তিনটি বিষয় হলো: 'অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তি', '২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্টিপেনডিয়াম হাঙ্গারিকাম প্রোগ্রামের কাঠামোর আওতায় সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই' এবং '২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই'।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা সই করেন।
বৈঠকে দুই দেশের মন্ত্রীরা খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশ্বজুড়ে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে যুদ্ধের অবসানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও সম্মত হন।
আরও পড়ুন: গায়ানার পক্ষে আইসিজে রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ: মোমেন
তারা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই সফরে তিনটি চুক্তি ‘দ্বৈত কর পরিহার’, ‘বিনিয়োগের নিরপত্তা বিষয়ক চুক্তি’ এবং ‘পানি সহযোগিতার চুক্তি’ সই হবে।
মন্ত্রীরা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে হাঙ্গেরির সহযোগিতা কামনা করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে হাঙ্গেরির প্রচেষ্টা থাকবে বলে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান।
মোমেন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ঢাকা থেকে হাঙ্গেরির ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, হাঙ্গেরির মন্ত্রী জানান যে বুদাপেস্ট ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধু পরামর্শ দিতে পারে’: মোমেন
দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
এলএনজি টার্মিনাল পরিষেবা প্রদানকারী হিসেবে তাদের বিদ্যমান চুক্তির বাইরে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এলএনজি সরবরাহ পেতে সামিট গ্রুপ ও এক্সেলারেট এনার্জির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করতে যাচ্ছে সরকার।
বুধবার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের দেওয়া পৃথক দুটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এক্সেলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের স্থাপিত কক্সবাজারের মহেশখালীর একটি ভাসমান টার্মিনাল এবং রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এর মাধ্যমে ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর ১ থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এলএনজি সরবরাহ করবে।
অনুরূপ আরেকটি প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে সামিট গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের স্থাপিত কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি এফএসআরইউ এর মাধ্যমে ২০২৬ সাল থেকে বার্ষিক ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
মন্ত্রিপরিষদ কমিটির বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল আহসান। তবে তিনি সামিট ও এক্সেলারেট এনার্জি এবং এলএনজির দর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে (সিসিজিপি) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এলএনজির দর সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
বর্তমানে এক্সেলারেট এনার্জি ও সামিট উভয়ই কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
দুটি কোম্পানি আরও দুটি এফএসআরইউ স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। এর একটি সামিটের মহেশখালীতে, আরেকটি পটুয়াখালীর পায়রায়।
সামিট গ্রুপ মহেশখালীতে দ্বিতীয় এফএসআরইউ স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জির প্রস্তাবটি অনুরূপ অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ মরিয়া হয়ে এলএনজি আমদানির দিকে তাকিয়ে আছে।
পেট্রোবাংলা প্রতিদিনি ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে যার মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর আমদানি করা হয় ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
ফলে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার এমএমসিএফডি ঘাটতি থাকছে।
সম্প্রতি, পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দু’টি নতুন চুক্তি সই করেছে যাতে দুটি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান দু’টি চুক্তির বাইরে ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যায়।
এদিকে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মূল প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে ইলেকট্রিক (সুইজারল্যান্ড) জিএমবিএইচ সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতি (ডিপিএম) এর অধীনে ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারড কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের গ্যাস টারবাইনের ক্ষতিগ্রস্ত কম্প্রেসারের মেরামত পরিষেবা গ্রহণের জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদের অর্থনীতিবিষয়ক কমিটি।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর ‘পূর্বাচল নিউ টাউনে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ কমিটি নীতিগতভাবে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
রাজউক পূর্বাচল নিউ টাউনে একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সামিট গ্রুপ আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন পেল
২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি আমদানির জন্য ওমানের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি সই
বাংলাদেশের তেল গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা আরও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের ওকিউটি-এর সঙ্গে আরেকটি চুক্তি সই করেছে।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ওমানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ওকিউটি ২০২৬ সাল থেকে ১০ বছরে বাংলাদেশে বার্ষিক শূন্য দশমিক ২৫ থেকে দেড় মিলিয়ন মেট্রিক টন(এমটিপিএ) এলএনজি সরবরাহ করবে।
সোমবার সোনারগাঁও হোটেলে চুক্তিসই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি দেশে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার একটি অগ্রগতি।’
আরও পড়ুন: ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে ঢাকা স্বাগত জানাবে
তবে চুক্তির কোনো মূল্য বা আর্থিক বিবরণ অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়নি। বাংলাদেশে ওমানি রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার আলবুলুশি বলেন, ‘এটি দুই পক্ষের মধ্যে একটি গোপনীয় বিষয়’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওকিউটি-এর প্রধান নির্বাহী সাইদ আল মাওয়ালি এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এবং সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি সচিব ড. খাইতুজ্জান মজুমদার।
২০১৮ সালের ৬ মে পেট্রোবাংলা এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল (বর্তমানে ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড-ওকিউটি নামে পরিচিত) সই করা এলএনজির বিদ্যমান বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তির (এসপিএ) অধীনে, ওমান দু’দেশের সরকারি পর্যায়(জিটুজি) ১০ বছরের সময়কাল ভিত্তিতে ১ দশমিক শূন্য থেকে দেড় এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করছে।
নতুন চুক্তির অধীনে, ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড (ওকিউটি) জি-টু-জি ভিত্তিতে ১০ বছরের মধ্যে আরও এলএনজি সরবরাহ করবে।
এটি ২০২৬ সালে ৪টি কার্গো এলএনজি, ২০২৭ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত বছরে ১৬টি কার্গো এলএনজি এবং ২০২৯ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ২৪টি কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে।
বর্তমানে বিদ্যমান দুটি চুক্তির অধীনে সাড়ে ৩ থেকে ৪ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি ১০ বছরের চুক্তির অধীনে আরও ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন আমদানি বাড়ানোর জন্য ওমানের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির অতিরিক্ত হবে’।
বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে ঘন ঘন দামের ওঠানামার কারণে অস্থিরতা ধরে রাখতে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ তার এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে দেখছে।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বার্ষিক অতিরিক্ত ১৫ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাওয়ার জন্য কাতারের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি সই করেছে।
আরও পড়ুন: গ্রিন-ফিচার্ড বিল্ডিং বিনির্মাণে বিএইচবিএফসি ও এএফডি’র মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সভা
পেট্রোবাংলা কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাস লাফান লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (কাতারগাস) সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করেছে।
নতুন চুক্তির অধীনে, কাতার ২০২৬ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় দেড় এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ১২টি এলএনজি এবং ২০২৭ সালে ২৪টি কার্গো পাবে।
দেশের মোট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) চাহিদা ৪০০০ এমএমসিএফডি’র বিপরীতে প্রায় ১০০০ এমএমসিএফডি’র ঘাটতি রয়েছে। মোট উৎপাদনের মধ্যে ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয় যখন চাহিদা ২৩০০ এমএমসিএফডি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি’র চুক্তি
চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের সঙ্গে এভারকেয়ার হসপিটালের স্বাস্থ্যসেবা চুক্তি সই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (সিইউসিএজেএএ)-এর সঙ্গে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত চুক্তি সই।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের কার্যালয়ে চুক্তিটি সই হয়।
চুক্তিতে সিইউসিএজেএএ-এর সাধারণ সম্পাদক মো. নুর উদ্দিন আলমগীর এবং এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং নিজ-নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন।
এ সময় সিইউসিএজেএএ-এর সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম (শিমুল), সিনিয়র সহ-সভাপতি হামিদ উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের হেড অব কর্পোরেট মার্কেটিং ফারাহ সুলতানা শহীদ, ব্র্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের এজিএম মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন মামুন ও কর্পোরেট রিলেশন্স বিভাগের এক্সিকিউটিভ রিয়াজ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যসেবা চুক্তির আওতায় চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যগণ তাদের পরিবারসহ এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সকল সেবায় বিশেষ সুবিধা ভোগ করবেন।
উল্লেখ্য যে, এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামের অন্যান্য স্বনামধন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা কীভাবে এই চুক্তির সুবিধাসমূহ ভোগ করবেন পরবর্তীতে তা বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল
শিগগিরই থিম্পু-ঢাকা জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তি সই: ভুটানের রাষ্ট্রদূত
ভুটান এবং বাংলাদেশ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জলবিদ্যুতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের কাছাকাছি রয়েছে।
মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কেনসি।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে পিটিএ সই করবে ঢাকা-থিম্পু: ভুটানের রাষ্ট্রদূত
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভুটানের জনগণের অটল সমর্থনের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের আগেই প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৭১ সালেন ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনে আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।
এছাড়া সমগ্র অঞ্চলের সুবিধার জন্য বিদ্যমান সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করতে দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।
ভুটান বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিমালয় রাজ্যের বাজারে পোশাকসহ অনেক বাংলাদেশি পণ্য প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা।
আরও পড়ুন: সৌদি সহায়তায় ৮ বিভাগে নির্মিত হবে আট ‘আইকনিক মসজিদ’: প্রধানমন্ত্রী
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
উপবৃত্তি বিতরণে নগদ-এর সঙ্গে সরকারের পাঁচ বছরের চুক্তি সই
প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি বিতরণে ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেড-এর সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি সই করেছে।
এতে আগের মতো ধারাবাহিকতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণ করবে নগদ লিমিটেড।
বুধবার ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সই হয়।
চুক্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) শাহ রেজওয়ান হায়াত, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. ছালেহ আহাম্মদ ও নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন।
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হারুনুর রশীদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানি চেঞ্জাররা নগদ ২৫ হাজার ডলারের বেশি রাখতে পারবে না: বিবি
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মায়ের হাতে উপবৃত্তি পৌঁছে দেওয়াটা একটা অসাধারণ কাজ হয়েছে। আমি আশ্বস্ত করব, নগদ-এর দিক থেকে যতভাবে সম্ভব, যতটা ত্রুটিহীনভাবে করা সম্ভব, সেই চেষ্টাটা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটু সচেতন যদি করে দেন, যাতে গ্রাম পর্যায়ে মায়েরা এসব প্রতারকের ফাঁদে না পড়ে, তাহলে আমার মনে হয় এটাকে একেবারে ত্রুটিহীনভাবে করা যেতে পারে।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আমি বলব আজ নগদ-এর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন, কারণ আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণের খবর পাওয়া আজ নগদ-এর জন্য বড় ঘটনা।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নগদ-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়ার জন্য পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করেছি, এর মধ্যে মূল্যায়নও আছে, আমরা মূল্যায়নও করব। আমরা দেখভালের ব্যবস্থা করব, নগদ যাতে বিকাশ বা শিওর ক্যাশের মতো আমাদের কষ্ট না দেয়, সেটাই আশা করব।’
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৬-২৭ অর্থ বছর পর্যন্ত মধ্য মেয়াদে পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের শর্তে পাঁচ বছরের জন্য নগদ লিমিটেড-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেড-এর চুক্তি হয়।
চুক্তির বিষয়ে নগদ লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘সরকারের উপবৃত্তি বিতরণের ফলে এখন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার অনেক কমে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক জানে না যে উপবৃত্তি আসে কোথায় থেকে! আমরা নগদ-এর পক্ষ থেকে সারা দেশে সবাইকে জানাতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী এই উপবৃত্তি বিতরণ করে থাকেন।
চুক্তি থেকে জানা যায়, প্রতি অর্থবছরে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটি-এর মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করছে।
এতে পরিচালন বাজেটে প্রতি অর্থবছর প্রায় ২০০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের জন্য আজ ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সম্পাদিত হলো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মেগা ক্যাম্পেইনের আয় দান করবে নগদ
ঈদ: পুরস্কার পেল নগদ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীরা
ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি সই হলো।
তিনি বলেন, এই যুগান্তকারী চুক্তির ফলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য মুভমেন্ট অব ট্রাফিক ইন ট্রানজিট অ্যান্ড প্রটোকল’ এই শিরোনামে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যুগান্তকারী এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হওয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে।
এছাড়া সই করা চুক্তি দেশের জন্য কুটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংযোগ এবং কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ আন্ত:যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর অংশ হিসেবে চারিদিকে স্থলভাগ বেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করছে।
এ চুক্তির ফলে উভয় দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক যোগাযোগে ব্যাপক প্রসার ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভুটানের পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফি এবং চার্জ লাভ করবে।
এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে। ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুন্দ্র বন্দরসমূহ অধিকতর কর্মক্ষম হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। অধিকন্তু কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ বন্দরসমূহের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি গর্বিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তির প্রাক্কালে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশ ভুটানের নিবিড় বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দ্বিপক্ষীয় এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে উভয় রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
টিপু মুনশি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থ-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা এবং যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে রুপান্তরিত হয়েছে, পরিচিতি পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।
চুক্তি সইয়ের সময় ভুটানের শিল্প বাণিজ্য কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব দাশ তাশি ওমাং এবং জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য সম্পদ বিষয়ক সচিব জনাব দাশ কর্মা শেরিং, ভুটান চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি এবং ভুটানের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকরাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রমজানে সামান্য মুনাফা করুন, ব্যবসায়ীদেরকে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী