ধর্ষণ
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
শেরপুরে নালিতাবাড়ীর নিভৃতপল্লির বাড়িতে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১০ অক্টোবর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ আলীর ছেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুস সাত্তার (৪২) এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদেক আলী (৩০)।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, শনিবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নালিতাবাড়ীর পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পলাশীকুড়া গ্রামে সাতজন মিলে পালাক্রমে এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। রবিবারর সকালে ৯৯৯ থেকে ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, থানায় মামলা দায়ের করার পর ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ তার কিশোরী কন্যাকে (১৬) নিয়ে নালিতাবাড়ীতে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বেড়ানো শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ইজিবাইকে করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু স্থানীয় এক দালাল ও ওই গৃহবধূর পাড়া-প্রতিবেশি ভাই, মা-মেয়েকে সাথে নিয়ে সারাদিন নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘুরাফেরা করার পর রাতে পলাশীকুড় গ্রামে নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে কৌশলে একটি নির্মাণাধীন জনশুন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় সাতব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথকস্থানে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনরা ৯৯৯ কল করেন।
পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে ওসি জানান।
পড়ুন: পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
ফরিদপুরে এনজিওকর্মী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ১১ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) উপজেলায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, শনিবার বিকালে উপজেলার দিনমজুরের ওই মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু কন্যা বাড়ির পাশে বসে খেলা করছিল। এসময় আবু তালেব নামে প্রতিবেশি এক ব্যক্তি শিশুটিকে পাশের মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে শিশুটি তার মাকে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করে। বিয়টি আঁচ করতে পেরে তারা স্থানীয় গ্রাম প্রধানদের পরামর্শে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করে।
ওসি আরও জানান, আসামি পালাতক থাকায় তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
ফরিদপুরে এনজিওকর্মী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। বুধবার জেলার চরআগস্তি হাক্কাঘাটের খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন, সোলেমান (২২), বাপ্পি প্যাদা (২৪) ও আরিফ খান (২৩)।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে ওই গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে সোলেমানকে প্রধান আসামি করে সাত জনের নামে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে এনজিওকর্মী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় ওই গৃহবধূ তার শ্বশুর বাড়ী গলাচিপার চরবিশ্বাস গ্রাম থেকে চাচাতো দেবর সোলেমানের সঙ্গে বাবার বাড়ি রাঙ্গাবালীর চর বেষ্টনী গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় চরআগস্তি হাক্কাঘাটের খেয়াঘাট এলাকায় এসে সোলেমান তাকে লাইনের ট্রলারে না উঠিয়ে আরিফ খানের ট্রলারে উঠায়। পরে দুপুর একটার দিকে সাপের খাল নামক স্থানে পৌঁছে ট্রলারেই সাত যুবক তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জগলুল হাসান জানান, তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
ফরিদপুরে মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার অভিযোগে জিন্দাত আলী ওরফে পলাশ (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী ওরফে পলাশ জেলার বোয়ালমারীর রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামের কালাম শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় জিন্দার শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: শর্তসাপেক্ষে রিপনের হাইকোর্টে আগাম জামিন
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২০ মে কদমী গ্রামের মো. মোসলেম মোল্লার মেয়ে কদমী আবু জাফর সিদ্দিকীয়া মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রুপালী খানম (২০) বাড়ি ফেরার পথে তাকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়। এরপর একই সময়ে কাচি (কাস্তে) দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় নিহদের বাবা বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলা তদন্তকালে আকলিমা নামের এক নারীকে আটক করে রিমান্ডে নেয়। পরে এই মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের জেলা গোয়েন্দাকে (ডিবি) দায়িত্ব দেয়। অফির্সার ইনর্চাজ ডিবি ফরিদপুরের নির্দেশে এসআই শেখ আবু বক্কর মামলার তদন্তকালে বাদীসহ সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তদন্তকালে আসামি জিন্দার আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় জিন্দার শেখ।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী ওরফে পলাশ একজন কৃষক। রুপালি খানম মাদরাসায় যাতায়াতের পথে সে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতো। পরে তার বাড়িতে ঘটক পাঠিয়েও প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু রুপালির পরিবার এতে রাজি না হওয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় ফৌজদারি কাযবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন, একই আদেশে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ধনঞ্জয় বল বলেন, তার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তিনি নিদোর্ষ।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘মামা শ্বশুর’ গ্রেপ্তার
শ্রেণিকক্ষে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় একটি মাদরাসার পাঁচ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
রবিবার দুপুরে এ ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. আবুল হোসেন (২৭) উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে।
আরও পড়ুন: যশোরে তিন শিশুর বিরুদ্ধে এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় আমার মেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাদরাসায় যায়। মাদসা ছুটির পর মেয়ে বাড়িতে আসে। কিন্তু বাড়িতে আসার পর মন খারাপ দেখে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করতে থাকে। পরে তাকে গোসল করানোর জন্য নিয়ে গেলে মন খারাপের বিষয় বুঝতে পারি। পরে তাকে ভালো করে জিজ্ঞাসা করার পর সে জানায়।
মাদসা ছুটির পর সে যখন ভ্যানের জন্য অপেক্ষা করে তখন মাদরাসার শিক্ষক মো. আবুল হোসেন তাকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে মাদরাসার একটি খালি কক্ষে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
তিনি জানান, পরবর্তীতে মাদরাসা কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের পরার্মশক্রমে মেয়েকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। অবস্থা অবনতি হলে বিকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আরিফুর রহমান বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা হতবাক, দোষীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: মনপুরায় গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ: ছাত্রলীগের সাবেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. শহীদ হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছি। ধর্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নিয়ৃাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
সীতাকুণ্ডে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ওই ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তৌহিদুল আলম হৃদয় (১৯) সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর এলাকার আলমগীরের ছেলে। সে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে আর জুট মিল জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসাছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, যুবক গ্রেপ্তারসীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হৃদয় ভুক্তভোগী কিশোরীর ছোট ভাইকে আরবি পড়াতেন। এর সূত্র ধরে গত ২১ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ওই কিশোরীকে নিজ কক্ষে ডেকে ধর্ষণ করে হৃদয়। বাড়ি ফেরার পর ওই স্কুলছাত্রী তার মাকে ঘটনাটি জানায়। বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে জানানোর পর কোনও সমাধান না পেয়ে শুক্রবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন।ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবার করা মামলায় হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: শর্তসাপেক্ষে রিপনের হাইকোর্টে আগাম জামিন
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’র অভিযোগে করা মামলায় আসামি ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে শর্তসাপেক্ষে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জামিনের শর্তে বলা হয়েছে, তাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। এই সময়ে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না এবং তদন্তকাজে তাকে সহযোগিতা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলা: আনভীরের আগাম জামিন আবেদন
আদালতে রিপনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেস্বর কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ইব্রাহিম আহমেদ রিপনসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ১৮ আগস্ট মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা থেকে অব্যাহতি পান বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা: আনভীরকে অব্যাহতি
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বাদী মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান।
চাঁদপুরে বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসাছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, যুবক গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মো. মিজান (রাসেল) জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষ্মীয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে। তিনি জেলার হাজীগঞ্জে একটি গ্যারেজে শ্রমিকের কাজ করে।
এ ঘটনায় শনিবার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মতলব দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করলে ওই দিন দুপুরে নারায়ণপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১১ দিন আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছাত্রীটির সাথে মিজানের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রীটি তার মাদসায় যায়। মিজান খবর দিয়ে ওই ছাত্রীকে মাদরাসার ফটকের সামনে নিয়ে আসেন এবং ফুসলিয়ে হাজীগঞ্জের তার নিজ বাসায় নিয়ে যান। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাবেক ইউপি সদস্যকে হত্যা: বরিশালে গ্রেপ্তার ৪
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ নারায়ণপুর এলাকা থেকে মিজান রাসেলকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি জানান, ওই ছাত্রীটিকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে এবং আসামি মিজানকে আজ (রবিবার) চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণ: নতুন করে গঠন হবে মামলার অভিযোগ
বহুল আলোচিত সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধধর্ষণের ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলো আজ। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর স্বামীকে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার দু’টি মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবও পাঠানো হয়। উচ্চ আদালতের আদেশে গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের দু’টি মামলার বিচার কার্যক্রম একই আদালতে এক সাথে চলবে । এজন্যে নতুন করে মামলার অভিযোগও গঠন করা হবে। তবে, আগামী ধার্য্য তারিখে কোন আদালতে নতুন করে অভিযোগ গঠন করা হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী প্যানেলের প্রধান এডভোকেট শহিদুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে মামলা দু’টি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সংঘবদ্ধধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের দু’টি মামলার বিচার হবে একই সাথে এবং একই আদালতে। এজন্যে নতুন করে অভিযোগ গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম উচ্চ আদালতের আদেশের ফলে নতুন করে অভিযোগ গঠন করার কথা নিশ্চিত করেন। তবে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দু’টি পাঠানোর ব্যাপারে তার কাছে কোনো তথ্য নেই বলে তিনি জানান।যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রআলোচিত এই গণধর্ষণের ঘটনায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়ার তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান (২৮), হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বাগুনীপাড়ার শাহ জাহাঙ্গির মিয়ার ছেলে শাহ মো মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার উমেদনগরের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), জকিগঞ্জের আটগ্রামের মৃত অমলেন্দু লস্কর ওরফে কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৬), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুরের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫), কানাইঘাট উপজেলার লামা দলইকান্দির (গাছবাড়ী) সালিক আহমদের ছেলে মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সিলেট নগরীর গোলাপবাগ আবাসিক এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল (২৬) ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নটেশ্বর গ্রামের মৃত ফয়জুল ইসলামের ছেলে মিজবাউল ইসলাম রাজনকে (২৭) অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগপত্র গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে জমা দেয় পুলিশ। এতে ৫২ জনকে সাক্ষী রাখা হয়।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ: ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একসাথে চলবে
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য রাজন ঘটনার দুই মাস আট দিন পর ১৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন। গ্রেপ্তার হওয়া এই আট আসামির সকলেই অকপটে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। আট আসামির মধ্যে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক ও অর্জুন লস্কর, মিজবাহুল ইসলাম রাজন ও আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ১৯ বছর বয়সী ওই নববধূকে গণধর্ষণ করে। রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম ধর্ষণে সহযোগিতা করে। আট আসামির সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তারা টিলগড় গ্রুপে সক্রিয় ছিল বলেও সূত্র জানিয়েছে। বর্তমানে আট আসামি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল
উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জৈনপুরের ২৪ বছর বয়সী এক যুবক তার ১৯ বছর বয়সী নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। এ সময় কয়েকজন যুবক ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীকে ঘিরে ধরে। এক পর্যায়ে প্রাইভেটকারসহ তাদেরকে জিম্মি করে কলেজের ছাত্রাবাসের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় । এরপর স্বামীকে আটকে রেখে ছাত্রাবাসের এর সামনে প্রাইভেটকারের মধ্যেই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
মাগুরায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাগুরা সদর উপজেলায় ৪০ বছর বয়সী এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পাশের বাড়ির ফরিদ মোল্লা (৪০) ওষুধ আনার কথা বলে শিশুটিকে নিজের বাড়ির একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ব্যক্তি এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। পরে শুক্রবার শিশুটি তার মা-বাবাকে ওই ঘটনাটি জানায়।
আরও পড়ুন: ১১ দিন আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রসাদ বিশ্বাস জানান, অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, শুক্রবার ওই ছাত্রীকে তার বাবা মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
ওসি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার তিন, ৪ হাজার ইয়াবা জব্দ