ধর্ষণ
মুনিয়া হত্যা মামলা: আনভীরের আগাম জামিন আবেদন
রাজধানীর গুলশানে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
আবেদনটি বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। তবে আবেদনটি কার্যতালিকায় ১৪২৪ নম্বর ক্রমিকে থাকায় এ বিষয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা: আনভীরকে অব্যাহতি
গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া। এ মামলায় গত জুলাই মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (সিএমএম) আদালত গত ১৮ আগস্ট পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। মামলা থেকে অব্যাহতি পান সায়েম সোবহান আনভীর।
আরও পড়ুন: হুমকি পেয়ে থানায় জিডি করলেন মুনিয়ার বোন
এরপর মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলা করা হয়। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে তানিয়া বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আনভীর হাইকোর্টে আবেদন জানান।
আনভীরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানি ১০ অক্টোবর
আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানির দিন ১০ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। রবিবার ঢাকার একটি আদালত এই দিন ধার্য করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানির পর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে, ২৮ এপ্রিল একটি আদালত বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়ার মৃত্যু: বসুন্ধরার এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বসুন্ধরা আনভীরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন।
১৮ আগস্ট, একটি নিম্ন আদালত পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে অব্যাহতি দেন। কলেজছাত্রী মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গুলশানে তরুণী নিহত: বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর মুনিয়ার বোন হত্যার অভিযোগ করে একটি নতুন মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় শুধু আনভীর নয়, তাঁর স্ত্রী এবং বাবা -মা -সহ মোট আটজনকে অভিযুক্ত করেন। দীর্ঘ-বিলম্বিত ডিএনএ ফলাফলসহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ব্যবহার করে, হত্যার আগে ধর্ষণের অভিযোগও করা হয়।
প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের স্কুলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়া সোহরাব আলী মারফত (৫৩) ওই গ্রামের মৃত সমেদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর (১৫) নানী বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সোহরাব আলী ও আপন মিয়ার ছেলে এনামুল হক ওরফে আদু মিয়াকে (৩৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওইদিনই পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সোহরাব আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই কিশোরীর নানী বিভিন্ন মানুষের বাসায় কাজ করেন। তিনি বাড়িতে না থাকার সুবাদে ২ সেপ্টেম্বর আদু মিয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এর আগে ২৫ মে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টা খেতে নিয়ে সোহরাব আলী মারফত ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী তার নানীকে বিষয়টি জানায়। কিশোরীর নানী ধর্ষণের বিষয়টি প্রতিবেশী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিদের জানালে সোহরাব আলী মারফতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সোহরাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। অপর আসামি আদু মিয়া পলাতক রয়েছে।
বিয়ের আশ্বাসে ‘ধর্ষণ’: সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
নেত্রকোণায় বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দরুনবালী বাজার থেকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার বিকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার সোহরাব কাইলাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলার দরুনবালী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
নেত্রকোণা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হুদা মঙ্গলবার জানান, সদর উপজেলায় দুই সন্তানের জননী ভুক্তভোগীর প্রথম স্বামী দীর্ঘদিন আগে মারা যায়। পরে আবার বিয়ে করার পর এই স্বামীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। এ অবস্থায় তার সাথে পার্শ্ববর্তী সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব বিয়ের কথা বলে দীর্ঘদিন যাবৎ দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরে ভুক্তভোগী কয়েকদিন আগে বিয়ের কথা বললে চেয়ারম্যান অস্বীকার করে। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করে।
নাজমুল হুদা জানান, মামলার পর অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার মৌজেবালী বাজার থেকে সোমবার গভীর রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আমলী আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চাকরি দেয়ার নাম করে কিশোরীকে ধর্ষণ
ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
রাজধানীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
চাকরি দেয়ার নাম করে কিশোরীকে ধর্ষণ
বরিশালে চাকরি দেয়ার কথা বলে কিশোরীকে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই সোমবার রাতে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন।মামলায় অভিযুক্ত মাসুম হাওলাদার বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানাধীন পাংশা এলাকার আ. ছালাম হাওলারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাঅভিযোগ ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোবহান পাড়া গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে (১৭)। বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে রবিবার বরিশালে আসে সে এবং চাকরির খোঁজে এক বান্ধবীর কাছে যায়। বান্ধবী ওই দিন সন্ধ্যায় উজিরপুর উপজেলার হারতা বাজারের ব্রিজের পাশে স্বপন মন্ডলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুম হাওলাদারের কাছে চাকরি দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায় ভুক্তভোগীকে। ওই রাতে মাসুম কিশোরীকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। সোমবার সকালে মাসুমের দ্বিতীয় স্ত্রী রুমানা ধর্ষণের বিষয় জানতে পারেন এবং তিনি ওই কিশোরীকে দুই হাজার টাকা দিয়ে তার বাড়ি বরগুনাতে চলে যাওয়ার জন্য বলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তারকিশোরী বাড়িতে না গিয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানায়। বিষয়টি সেখান থেকে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদকে জানানো হয়। এরপর ওসির নির্দেশে পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় মাসুম হাওলাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।মামলার পরির্দশক (তদন্ত) জসিম উদ্দিন জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবনওসি আলী আর্শাদ জানান, মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি মাসুমকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসান চরে রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় কেন্দ্রে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোমবার সকালে শিশুটির বাবা ভাসানচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, শিশুটি ভাসানচর রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র -৩ এ বসবাসরত অন্যান্য শিশুদের সাথে পাশের ১৪ নং আশ্রয়কেন্দ্রে সোমবার সকাল ১১টার দিকে খেলতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি শিশুটিকে ১৪ নং ক্লাস্টারের খালি থাকা ১২ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকতে দেখে তার এক খেলার সাথী। সে তার বাসায় খবর দিলে পরিবারের লোকজন এসে অন্যান্যদের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং পরে জেলা সদরে অবস্থিত জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি জানায়, ওই ব্যক্তিকে দেখলে সে চিনতে পারবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে বিকালে ভাসানচর থানায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে।
রাজধানীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
রাজধানীর হাজারীবাগের কালুনগরে রবিবার সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে ভুক্তভোগী শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
শিশুর মা জানায়, ১৬ বছর বয়সী কিশোর তার মেয়েকে ফুসলিয়ে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
বাসায় ফিরলে শিশুটির অসুস্থ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে ঘটনা জানায়। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহাসিন আলী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত কিশোরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন:ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘মামা শ্বশুর’ গ্রেপ্তার
ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
বরিশালে ধর্ষণ মামলায় ইমদাদুল বেপারি নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রবিবার আসামির উপস্থিতিতে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইমদাদুল বেপারি বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর গ্রামের হানিফ বেপারির ছেলে বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী গোলাম রসুল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৮ মে রাত সাড়ে ১১টায় মুলাদীর ষোলঘর এলাকায় বাদীর বসতঘরে প্রবেশ করে আসামি ইমদাদুল। এসময় বাদীর ১৮ বছরের ঘুমন্ত কিশোরী মেয়ের মুখে কাপড় (গামছা) গুঁজে জোর করে ধর্ষণ করে আসামি ইমদাদুল। এই ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুন কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইমদাদুলকে একমাত্র আসামি করে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ২২ জুন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মুলাদী থানা মামলা রেকর্ড করে।
ওই বছরের ২৮ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুলাদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবুদ্দিন ইমদাদুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামির উপস্থিতিতে আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
পাবনায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় ১১ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিশু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন ছিল। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রেল বিটের পাশে একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তির পর পুলিশ এ ঘটনা জানতে পারে।
পুলিশ জানায়, শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার সময় শিশুটি মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফিরে রেল বিটে খেলা করছিল। অভিযুক্ত মো. রুবেল (২৬) একই এলাকার রেলওয়ে কলোনির জলিলের ছেলে।
এই ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি, তবে মামলা করার জন্য থানায় প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের দায়ে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, দু’দিন আগে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা হাসপাতালের ওসিসি থেকে খবর পেয়েছি। শিশু কন্যাটির অভিভাবককে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তারা থানায় এলে অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার জানায়,মঙ্গলবার বিকেলে মাদ্রাসা থেকে বাসায় এসে পাশের বাসার অন্য বন্ধুদের সঙ্গে রেল বিটে খেলছিল। এ সময় রেল বিট থেকে ১০ ফুট দূরে রুবেলের বাসা থেকে মেয়েটিকে নাশতার কথা বলে ডাক দেয়। বাসার সামনে গেলে তার মুখ চেপে ধরে বাসায় নিয়ে যায় রুবেল। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় রুবেল তাকে খাওয়ার জন্য কিছু ওষুধ দিয়েছিল এবং ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখায়। বাসায় ফেরার পর পরিবারের সদস্যদের চোখে তার অস্বাভাবিক আচরণ ধরা পড়ে। পরে মেয়েকে তারা চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় খালাতো ভাই গ্রেপ্তার
৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
সিলেটে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
সিলেটের ওসমানীনগরে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সেবুল মিয়া (৪০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের মোমিনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত সেবুল মিয়া গ্রামের মৃত মকলিছ মিয়ার ছেলে।
এর আগে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের মোমিনপুর গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার কোনও ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন এবং নিজ বাড়িতে তিনি একাই জীবন যাপন করছেন।
এই সুযোগে গত মঙ্গলবার ভোরে অভিযুক্ত সেবুল মিয়া বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মহিলা স্থানীয়দের বিষয়টি অবগত করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ বৃদ্ধাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়ার মৃত্যু: বসুন্ধরার এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই রুহুল আমিন বলেন, বৃদ্ধা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।