আত্মহত্যা
চট্টগ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কলাউজান এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত রোকসানা আক্তার (৩২) ওই এলাকার আল আমিনের স্ত্রী ও কবির আহমদের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গৃহবধূ রোকসান আক্তারের দুই বিয়ে হয়েছে। প্রথম স্বামী লিটনের ঘরে দুই ছেলে রয়েছে। ১২ বছর আগে লিটনকে ডিভোর্স দিয়ে আল আমিনকে বিয়ে করেন রোকসানা। পরের সংসারে তার কোনো সন্তান নেই। বেশ কিছুদিন ধরে প্রথম ঘরের বড় সন্তানের সঙ্গে তার ঝগড়াঝাঁটি হয়ে আসছিল। সোমবার সকালে মানসিক চাপ সইতে না পেরে নিজ ঘরে ভিমের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
তবে এর আগেও তিনি অনেকবার ঘুমের ওষুধ খেয়ে মানসিক ভারসম্যহীন হয়ে পড়েন।
রোকসানার ছোট ভাই মুহাম্মদ মোকতার হোসেন জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে আমার বোন অনেকবার ঘুমের ওষুধ খায়।
আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কীটনাশক পানে তরুণীর আত্মহত্যা
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, খবব পেয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূ রোকসানা মানসিক চাপ সইতে না পেরে পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা করেছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাকলিয়া থানার বাস্তুহারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ ফাহিম (২৩) একই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে ও পেশায় দিনমজুর।
ফাহিমের ভাই মো. শাহিন বলেন, আমার ভাই দিনমজুরের কাজ করতেন। পারিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা ছিল। তবে এ নিয়ে কখনও ঝামেলা হয়নি। হঠাৎ করে কি কারণে এ আত্মহত্যা- বুঝতে পারছি না।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সাদিকুর রহমান বলেন, নিজ বাসায় গলায় গামছা পেঁছিয়ে ফাহিম আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে রাজশাহীতে তরুণীর ‘আত্নহত্যা’
আইনি প্রক্রিয়ার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কীটনাশক পানে তরুণীর আত্মহত্যা
চট্টগ্রামের পটিয়ায় কীটনাশক পান করে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শোভনদন্ডী উইনিয়নের কুরেংগিরী গ্রামের নুর জাহানের বাড়িতে ওই তরুণী কিটনাশক পান করে।
নিহত সারজিনা আক্তার (১৯) একই এলাকার মো. আলী মেয়ে।
পারিবারিক বিষয় নিয়ে মায়ের বকা খেয়ে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জমিতে পানি না পেয়ে বিষপানে সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যা!
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, আত্মহত্যার চেষ্টা করা এক তরুণীকে গুরুতর অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
গত সোমবার নিজ ঘর থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তু আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু তার এ আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও কেউ কিছুই বলতে পারছেন না। পরিবারও কিছু জানে না।
অন্তুর বাবা দেবব্রত রায় বলেন, তার মৃত্যুর কারণ জানা নেই। আমার আর্থিক সঙ্কট আছে ঠিক। কিন্তু তার পড়াশুনার জন্য কখনও অর্থ সমস্যা হয়নি।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থীরা তৈরি করলেন ‘কিলোফ্লাইট আলফা’ গাড়ি
তিনি বলেন, তিনি একজন রাজমিস্ত্রি সহকারী। তার স্ত্রী কৃষিকাজ করেন এবং মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ঘটনার দিনের কথা বর্ণনা করে তিনি বলেন, অন্তু ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি এসে জানায় সে চার্জার ফেলে গেছে। কিন্তু বাড়িতে খুঁজে তার চার্জার পাওয়া যায়নি। রাতে অন্তু ও তার মাসহ তিনি খাবার খান। এরপর অন্তু ঘুমানোর জন্য তার প্রতিবেশী দাদার কাছে যায়। সেখান থেকে ৪ এপ্রিল সকালে অন্তুকে তিনি ডেকে আনেন। তারপর তার মা কথা বলে কাজে যান। তিনিও কাজে যান। ১০টার দিকে ছোট মেয়ে কলেজে যায়। অন্তু বাড়িতে একা ছিল। দুপুরে ছোট মেয়ে কলেজ থেকে ফিরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তিনি বা অন্তুর মা কেউই লাশ দেখেননি। ময়নাতদন্ত শেষে একদিন পর লাশ বাড়ি আনলে তারা লাশ দেখেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ড. এম এ রশীদ হলের প্রভোস্ট ড. সজল কুমার অধিকারী বলেন, হলে অন্তুর বকেয়া ছিল ছয় হাজারের কিছু বেশি টাকা। এ টাকা বকেয়া থাকার পরও তার ডাইনিং কার্ড অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। ওই বকেয়ার জন্য কোনও চাপ দেয়া হয়নি। আর ১৮ হাজার টাকা বকেয়ার বিষয়টি গুজব ছড়ানো হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে, সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বুধবার দুপুরে অন্তুর ডুমুরিয়ার বাড়িতে যান এবং অন্তুর মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অন্তু ঠিকমতো কুয়েটের টিউশন ফি দিতে পারতো না। কিন্তু কুয়েটে কৈফিয়ত দিতে হতো। সে এ জন্য একটা পরীক্ষায় অংশও নিতে পারেনি। কিন্তু তার টিউশন ফি মওকুফ করা হয়নি।
তিনি বলেন, মেধাবী ছাত্রের দায়িত্ব নেয়া উচিত ছিল। অর্থ সঙ্কটের কারণে ছোট বোনকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করাতে পারেনি। ছোট্ট একটু ঘরে চার জন শোয়ার মতো জায়গা নেই। সেই ঘরের এক কোণে থাকা ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে অন্তু আত্মহত্যা করে। সবকিছু মিলিয়ে ধারণা করা যায়, মনোকষ্টে মেধাবী ছাত্র অন্তু আত্মাহুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থীদের ৩০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া মওকুফ
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আবদুল হাকিম জানান, অন্তুর পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কথা তাদের জানা ছিল না। আর আর্থিক সঙ্কটের কারণে কুয়েটে কারও পরীক্ষা বন্ধ করার নজির নেই। সময়মতো রেজিস্ট্রেশন করলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে। অন্তুর কোনও পরীক্ষায় অনুপস্থিতির বিষয়ে তিনি ফাইল না দেখে বলতে পারবেন না। তবে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান জানান, তিনি খবর পেয়ে অন্তুর লাশ হাসপাতালে গিয়ে দেখেন। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হবে।
গত ৪ এপ্রিল খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে অন্তুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
খুলনায় নববধূর আত্মহত্যা!
খুলনার পাইকগাছায় এক নববধূ নিজ ঘরের আড়ায় রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ভোর ৫টার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাতিখালীর পুরাতন গুদাম ঘর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নববধূর নাম আঁখি (১৭)। তিনি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাতিখালীর পুরাতন গুদাম ঘর এলাকার শিহাব গাজীর স্ত্রী।
জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে নিজ ঘরের আড়ায় রশিতে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেন। স্ত্রীর আত্মহত্যার খবরে স্বামী শিহাবও আত্মহননের চেষ্টা চালায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
স্বামী শিহাব গাজী জানায়, সোমবার রাত ১০ টার দিকে বাপের বাড়ী যাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের স্বামী- স্ত্রী দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। মূলত শিহাব যেতে রাজী না হওয়াতে তার স্ত্রী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি আরও জানান, মোবাইলে পরিচয়ের এক পর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে প্রায় ৩ মাস আগে বিয়ে করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় মাথায় গুলি চালিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা!
রৌমারীতে পুলিশ কনস্টেবলের ‘আত্মহত্যা’
জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে: বিএনপি
দেশে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তারা বলেন, জনগণের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ফখরুল বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার জন্য বিএনপির নীতিনির্ধারকরা কঠোর সমালোচনা করেছেন। তারা মনে করছেন যে, সরকার সমর্থিত বিভিন্ন সিন্ডিকেটের বাজার কারসাজি এবং সড়ক-মহাসড়কে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।’
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ: বিএনপি
তিনি বলেন, তাদের নীতিনির্ধারকরা দেখেছেন যে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বারবার বাড়ানোর কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াও পণ্যের দাম বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।
বৈঠকে ফখরুল আরও বলেন, দেখা গেছে সরকার সমর্থিত ব্যবসায়ীদের লোভ ও দুর্নীতির কারণে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, শাকসবজি, মাছ-মাংস-গ্যাস, জ্বালানি তেল ও পানিসহ সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক, শ্রমিক, নিম্ন আয়ের মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দুই কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় । দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির তীব্র সংকটের কারণে সেচ ব্যবস্থা না থাকায় তারা আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে ‘নেতৃত্ব সংকট’ নেই, কাদেরকে ফখরুল
এর আগেও এখানে কৃষকরা আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ করে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা অভিযোগ করেন, দুর্নীতি ও রাজনীতিকরণের কারণে সরকার কৃষকদের কৃষি উপকরণ, সেচ, সার ও বীজ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, বৈঠকে এলপিজির দাম বাড়ানোর সরকারের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিএনপির নেতারা মনে করছেন মন্ত্রী এবং (প্রধানমন্ত্রীর) উপদেষ্টাদের জন্য ব্যবসা এবং লাভের সুযোগ তৈরি করতেই অযৌক্তিক উপায়ে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছিল।’
বৈঠকে সরকারের কাছে অবিলম্বে এলপিজির দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি জানানো হয়।
খুলনায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
খুলনার পাইকগাছায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত স্কুলছাত্রী প্রিয়া দাশ পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাবু লাল দাসের মেয়ে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় মাথায় গুলি চালিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা!
স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরার এক ছেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রিয়ার। বিয়ের দাবিতে সে ওই ছেলের বাড়িতেও অবস্থান নেয়। তবে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সালিসির মাধ্যমে তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয় এবং সে বাড়ি ফিরে ওই রাতেই নিজ ঘরের আড়ায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, প্রেম ঘটিত কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রৌমারীতে পুলিশ কনস্টেবলের ‘আত্মহত্যা’
তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ওসি।
নওগাঁয় মাথায় গুলি চালিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা!
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় নিজের লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে এক বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের চেরাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াকুব আলী (৫৫) একই গ্রামের বাসিন্দা।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম জানান, চেরাডাঙ্গা গ্রামে পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে বসবাস করতেন ইয়াকুব আলী। নিজের নামে লাইসেন্স করা একটি একনলা বন্দুক ছিল তার। বুধবার সকালে বাড়ির ছাদে ওই বন্দুক দিয়ে নিজের মাথায় গুলি চালান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২ কৃষকের আত্মহত্যা: তদন্তে সরকারি প্যানেল গঠিত
এ সময় তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছাদে উঠে ইয়াকুব আলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইয়াকুব আলীর লাশ উদ্ধার করে এবং বন্দুকটি জব্দ করে।
তিনি জানান, ইয়াকুব আলীর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতনন্তের জন্য দুপুরে নওগাঁ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রৌমারীতে পুলিশ কনস্টেবলের ‘আত্মহত্যা’
রৌমারীতে পুলিশ কনস্টেবলের ‘আত্মহত্যা’
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এক পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ টাপুরচর গ্রামে নিজ বাড়ির গোলাঘরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম আব্দুর রহিম। তিনি দক্ষিণ টাপুরচর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। আব্দুর রহিমের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।
মৃত আব্দুর রহিম প্রায় ১৮বছর ধরে পুলিশের চাকরি করছেন। সর্বশেষ তিনি জামালপুর সদর থানার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ মার্চ ২৮ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি রৌমারীতে নিজ বাড়িতে আসেন।
আরও পড়ুন: জমিতে পানি না পেয়ে বিষপানে সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যা!
নিহত পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন শিল্পী জানান, তার স্বামী মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তিনি ধানচাল রাখার ঘরের ভিতর আত্মহত্যা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনতাসির বিল্লাহ জানান, ঘটনাস্থলে উপপরিদর্শক আনছার আলীসহ একটি টিমকে পাঠানো হয়েছে। তারা লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে থানায় নিয়ে আসলে মঙ্গলবার (২৯মার্চ) কুড়িগ্রামে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, পারিবারিক সূত্রে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনার দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা!
স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে আত্মহত্যা!
স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে আত্মহত্যা!
নড়াইলের কালিয়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে বিয়ের তিন মাস পর এক নববধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এই ঘটনার পর থেকে নিহতের কথিত স্বামী মনির খাঁন পলাতক রয়েছেন
নিহত জেসমিন খানম (২৫) উপজেলার নড়াগাতি থানার মাউলী ইউনিয়নের মহাজন উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত বজলুর রহমান মোল্যার মেয়ে।
আরও পড়ুন: জমিতে পানি না পেয়ে বিষপানে সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যা!
নিহতের পরিবারের বরাতে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, তিন মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে একই গ্রামের রিয়াজ খাঁনের ছেলে মনির খাঁনের সঙ্গে জেসমিনের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের দুইদিন পর থেকে মনির জেসমিনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং ঘরে তুলতেও অস্বীকৃতি জানায়। তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারাও এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এই অপমানে সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জেসমিন নিজ বাড়িতে বিষপান করে। পরিবারের লোকজন তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিষপানে নারীর ‘আত্মহত্যা’
ওসি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বড় বোন সালমা বেগমের অভিযোগ, ভালোবেসে বিয়ে করে আমার বোন স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটি আত্মহত্যা নয় হত্যা।