আত্মহত্যা
রাজশাহীতে বিষপানে স্বামী-স্ত্রীর 'আত্মহত্যা'
রাজশাহীতে বিষপানে এক দম্পতির আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে স্ত্রীর এবং সোমবার সকালে স্বামীর মৃত্যু হয়।
নিহত রোজিনা খাতুন (২০) ও মো. সজল (২২) দম্পতির বাড়ি মহানগরীর শাহ মখদুম থানার বড় বাড়িয়া মিয়াপাড়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: মতলবে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, রবিবার রাতে একসঙ্গে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন ওই দম্পতি। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন রাতেই তাদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে ভর্তির পর রবিবার রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোজিনার মৃত্যু হয়। আর সোমবার সকালে মারা যান সজলও।
তিনি বলেন, ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কি কারণে তারা আত্মহত্যা করছে তা পরিস্কার জানা যায়নি। তদন্তে রহস্য বের হবে।
আরও পড়ুন: নাসিক প্যানেল মেয়রের ‘প্রাক্তন’ স্ত্রীর আত্মহত্যা
সৌদিতে কাজ না পেয়ে হতাশায় ফেসবুক লাইভে এসে যুবকের আত্মহত্যা!
নাসিক প্যানেল মেয়রের ‘প্রাক্তন’ স্ত্রীর আত্মহত্যা
সাততলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ‘প্রাক্তন’ স্ত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়ার বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদিয়া নিঝু ওই ওয়ার্ডের শাহ্জালাল বাদলের প্রথম স্ত্রী।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান মোল্লা জানান, কাউন্সিলর বাদল দ্বিতীয় বিয়ের পর তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ায়, বালুর মাঠের বহুতল ভবনটিতে সাদিয়া তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। ওই ভবনের তৃতীয় তলায় তার মায়ের মালিকানাধীন ‘নিঝু বিউটি পার্লার’ অবস্থিত। সাততলা ভবনের ছাদের পিছনের অংশে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন নিঝু। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ্জালাল বাদলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন: মতলবে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে কাউন্সিলর বাদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন নিঝু। তার অভিযোগ ছিল প্রথম স্ত্রীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন কাউন্সিলর বাদল।
নিঝু আরও অভিযোগ করেন, ২০০৭ সালে তাদের বিয়ে হয়। আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) এর মাধ্যমে একটি সন্তানও জন্ম হয় তাদের। সম্প্রতি তাকে না জানিয়ে বাদল দ্বিতীয় বিয়ে করেছে।
মেয়র কাউন্সিলর শাহ্জালাল বাদল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাতখুন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুর হোসেনের ভাতিজা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়কও ছিলেন বাদল।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার অভিযোগ
সৌদিতে কাজ না পেয়ে হতাশায় ফেসবুক লাইভে এসে যুবকের আত্মহত্যা!
সৌদি আরবের দাম্মামে মাসের পর মাস কাজ না পেয়ে বেকার থাকায় হতাশ হয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে আত্মহত্যা করেছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের এক যুবক। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দাম্মামে ভাড়া বাসায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
নিহত আরিফুল ইসলাম নয়ন (২৭) হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের খানবাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী ও দুই মেয়েশিশু রয়েছে। ফাঁস দেয়ার আগে পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার অভিযোগ
আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন।
তিনি জানান, দক্ষিণ শ্রীপুর বাজারে নয়নের একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান ছিল। গত রমজানে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সৌদি আরবে চাকরির জন্য যান তিনি। কিন্তু গত ১০ মাসেও আকামা না পাওয়ায় /হওয়ায় কোন কাজ পাননি তিনি। এ কারণে সংসার ও ঋণের চাপে অসুস্থ ও হতাশ হয়ে পড়েন নয়ন। ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছে। সবশেষে তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দুটি সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী অসহায় হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা
হবিগঞ্জে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে নার্সের আত্মহত্যা!
কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার অভিযোগ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপ নিতে না পেরে এক ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ভোলাগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী কামাল মিয়া (৪০) সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার নিজগাঁও গ্রামের মন্নান মিয়ার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে ভালাগঞ্জ উত্তর পাড়া গ্রামে বসবাস করতেন।
নিহতের স্ত্রী জানান, সকালে স্বামীকে বাড়িতে রেখে তিনি তার বাবার বাড়ি যান। আসরের নামাজের পর বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পান। দরজা খুলে তিনি দেখেন তার স্বামী ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে নার্সের আত্মহত্যা!
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কামাল মিয়া ভোলাগঞ্জে এলসি কমিশন ব্যবসা করে আসছেন। তিনি তার এক নিকট আত্মীয়কে এলসির ভারতীয় চুনা পাথরের জন্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা দেন। প্রায় দুই বছর আগে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঋণ করে কামাল এই টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা আটকা পড়ায় দীর্ঘদিন ধরে পাওনাদাররা তাকে টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। তাদের চাপের কারণে নিকট আত্মীয়ের ওপর অভিমান থেকে তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিতে পারে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায়।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা ও উপস্থিত লোকজন কামাল মিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা
শাহরাস্তিতে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। রবিবার উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের আহম্মদনগর গ্রামের মোক্তার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত সৈকত হোসেন (২৫) ওই গ্রামের আনিস মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের আহম্মদনগর গ্রামের হাসেম মোক্তার বাড়ির আনিস মিয়ার ছেলে সৈকত হোসেন বাড়ির পাশে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। শ্বশুরবাড়িতে আসা-যাওয়ার সময় স্থানীয় মনির ও সাগর নামের দুই যুবক তাকে ‘চোর’ বলে খেপাত।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে ট্রাক চাপায় শিশু নিহত
এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে শনিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কীটনাশক পান করেন।
ওই দিন তার স্ত্রী ও শ্বশুর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরের দিন রবিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মৃতের মা রেহানা বেগম শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন।
শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার, আটক ২
চাঁদপুরে ডোবায় পড়ে শিশুর মৃত্যু
হবিগঞ্জে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে নার্সের আত্মহত্যা!
হবিগঞ্জে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে এক নার্সের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার শহরের ঘোষপাড়ার ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নীপা তালুকদার (২৩) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের শ্যামল তালুকদারের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
৩১ জানুয়ারি হবিগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে ইন্টার্নি শেষ করে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কাজ করতেন তিনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই বাসার একটি কক্ষে অপর একজন সহকর্মীকে নিয়ে নীপা থাকতেন। রবিবার সকালে ডিউটি না থাকায় তাকে ঘরে একা রেখে অপর সহকর্মী ডিউটিতে যান। বেলা ৪টার দিকে বাসায় এসে দরজা বন্ধ পান।
অনেকে ডাকাডাকির পরও সাড়া না দেয়ায় এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলকে খবর দেন।
পরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
এছাড়া পুলিশ একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে। কিন্তু আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা, স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি গ্রেপ্তার
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান।
মৃত মিনহাজুল আবেদীন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সালামতপুর গ্রামের মো. ফারুক উদ্দিনের ছেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। এছাড়াও, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস বিষয়ক সংগঠন ‘রোবোআড্ডা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়িতে আমাদের বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদীন আত্মহত্যা করেছেন। তার মা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ফোন দিয়ে আমাদের জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তবে কি কারণে আত্মাহত্যা করেছে সেটা জানা যায়নি। আমরা শুনেছি সে আগেও কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর আত্মহত্যা
ভাবি-ভাতিজির প্ররোচনায় নিজ গলায় ছুরি চালিয়ে প্রবাসীর আত্মহত্যা!
ভাবি-ভাতিজির প্ররোচনায় নিজ গলায় ছুরি চালিয়ে প্রবাসীর আত্মহত্যা!
সিরাজগঞ্জে ভাবি-ভাতিজির প্ররোচনায় নিজ গলায় ছুরি চালিয়ে এক প্রবাসীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। জেলার শাহজাদপুর পৌর এলাকার আইগবাড়ী পারকোলা মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবাসী সাইদুল ইসলাম লেদু (৫০) ওই এলাকার বাসিন্দা। তবে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
এদিকে গলাকেটে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় ভাবি ও ভাতিজিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা তারা হলেন- নিহতের বড় ভাইয়ের স্ত্রী জাহানারা (৪৭) ও তার মেয়ে সাথী (২৭)।
শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদ হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উক্ত সাইদুল ইসলাম কয়েক বছর মালয়েশিয়া ছিলেন। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি দেশে ফিরে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। আরেক ভাই আগেই মারা গেছেন এবং তার তিন ভাই বর্তমানে মালয়েশিয়া রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে ওই ভাবি ও ভাতিজির প্ররোচনায় তিনি নিজ গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ওইদিন বিকালে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান এবং গলাকাটায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
সিআইডি পুলিশের একটি তদন্ত টিম ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরদিন সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
সিরাজগঞ্জে সাদিয়া (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চক শিয়ালকোল গ্রামে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে সাদিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাদিয়া চক শিয়ালকোল গ্রামের সামিদুল ইসলামের মেয়ে ও শহরের হোসেনপুর মহল্লার তারেকের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার হোসেনপুর মহল্লার সুরুতজ্জামানের ছেলে তারেকের সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে সাদিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তারেক স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতো।
তিনি আরও জানান, রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে সাদিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে ২০২২ সালে: গবেষণা
গত বছর দেশের স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ জন স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত সংস্থাটির গবেষণায় তারা দেখিয়েছে যে ৩৪০ জন স্কুলছাত্র এবং ১০৬ জন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণাটি ১৫০টিরও বেশি জাতীয়, স্থানীয় সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্কুল ও হাইস্কুল শিক্ষার্থী, ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ তাদের জীবন শেষ করেছে।
এরপরের অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম (১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ) ও রাজশাহী (১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ), খুলনা (১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ), রংপুর (৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ), বরিশাল (৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ), ময়মনসিংহ (৬ দশমিক ২৭ শতাংশ) এবং সিলেট (৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ)।
এছাড়াও ৮৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৪ জন মাদরাসা ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে দেখা যায় গড়ে প্রতি মাসে ৩৭ জন স্কুল এবং হাইস্কুল ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার তথ্যের একটি লিঙ্গ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি (৬০ দশমিক ১৫ শতাংশ)।
আর স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা করে ৬৩ দশমিক ৯০ শতাংশ মেয়ে। এবং আত্মহত্যাকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৪৪ শতাংশই মেয়ে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুই সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যাকারী স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত (২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ), আবেগপ্রবণ জনিত সমস্যা (২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ), পারিবারিক দ্বন্দ্ব (তিন দশমিক ১৪ শতাংশ), বিষণ্নতা (দুই দশমিক শূন্য এক শতাংশ), মানসিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ) সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
এছাড়া আর্থিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), হয়রানি (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), এবং ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির ঘটনা (এক দশমিক ৩৪ শতাংশ)।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার সিয়াম বলেন, ‘আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয় হল, ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। ‘ছোটবেলা থেকেই, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আবেগ ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো বাড়িতে পরিবার, সামাজিক অবস্থান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো উচিত।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা