সুপ্রিম কোর্ট
সেই জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় বিনা অপরাধে চার বছর কারাভোগ করায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়ার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে উল্লেখ করে তাঁকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জজ মিয়ার পক্ষে বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ কাউছার এই আইনি নোটিশ পাঠান। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১১ ব্যক্তি বরাবর এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আইনি নোটিশ যাঁদের কাছে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবর, পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক খোদা বকশ চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান ও সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাওলাদারকে দেয়া দুদকের নোটিশ কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট
নোটিশে বেআইনিভাবে জজ মিয়াকে কারাবাসে রাখার জন্য লুৎফজ্জামান বাবর, খোদা বকশ চৌধুরী, আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান, রুহুল আমিন বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির দায় আছে কি না, তা নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
জজ মিয়ার মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ায় লুৎফজ্জামান বাবর, খোদা বকশ চৌধুরী, আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান, রুহুল আমিন বা অন্য কোনো ব্যক্তি দায়ী হলে তাঁদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশ গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ জানাতে বলা হয়েছে। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেলিটকের তারেককে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
প্রতি বছর ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ প্রদানের সিদ্ধান্ত, নীতিমালা প্রণয়ন
এখন থেকে প্রতি বছর ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অধস্তন আদালতের পাঁচজন বিচারক এবং সকল জেলার মধ্য থেকে দলগতভাবে একটি জেলা জজশীপ/মহানগর দায়রা জজশীপকে এই পদক দেয়া হবে। আর এ জন্য ‘প্রধান বিচারপতি পদক নীতিমালা, ২০২২’- প্রণয়ন করা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম রব্বানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং বিচারিক সেবার উৎকর্ষ অর্জন, কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি, শুদ্ধাচার, সক্ষমতা, দক্ষতার উন্নয়ন ও বিকাশে এবং বিদ্যমান মামলার জট নিরসন করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য মামলা-মোকদ্দমার নিষ্পত্তি আরও গতিশীল করতে প্রতিবছর এ পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি পদক নীতিমালা, ২০২২ এবং প্রধান বিচারপতি পদকের আবেদন ফরম সংশ্লিষ্ট সবার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নীতিমালার বিধান ৯(গ) অনুসারে জেলা ও মহানগর বাছাই কমিটি গঠন সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি ও কমিটির সদস্যদের নাম ও পদবিসহ তালিকা সরাসরি অথবা ডাকযোগে ‘রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (দৃষ্টি আকর্ষণ: সাচিবিক সহায়তা প্রদানকারী কর্মকর্তা, প্রধান বিচারপতি পদক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাছাই সংক্রান্ত জাজেস কমিটি)’ বরাবরে এবং উক্ত বিজ্ঞপ্তির সফট কপি নির্ধারিত মেইলে পাঠাতে হবে। প্রধান বিচারপতি পদকের আবেদন ফরম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়নে মন্ত্রিসভায় নীতিমালা অনুমোদন
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জ্বালানি তেল ডিজেল, পেট্রল ও অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে তেলের দাম বৃদ্ধি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। জ্বালানি সচিব, জ্বালানি মন্ত্রাণলয়ের উপসচিব ও বিইআরসির (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের) চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সোমবার (৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আগামীকাল বুধবার রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
আইনজীবী ইউনুল আলী আকন্দ জানান, আইন অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করবে বিইআরসি। কিন্তু সেটা না করে একটা গেজেট জারির মাধ্যমে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। দাম বৃদ্ধির গেজেটে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই সিদ্ধান্ত জারি করা হলো। কিন্তু সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে জ্বলানি তেলের দাম বৃদ্ধিও এখতিয়ার দেয়া হয়নি। আইনের লঙ্ঘন করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করায় হাইকোর্টে রিট করেছি।
গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এর পরই জনমনে দেখা দেয় চরম ক্ষোভ। পেট্রল পাম্পগুলোতে জ্বালানি সংগ্রহের পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য (১ লিটার) ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রল ১৩০ টাকা হবে। এতদিন কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা এবং পেট্রল ৮৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পরে গত ৬ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। শনিবার ৬ আগস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমানোসহ পাচার হওয়ার শঙ্কা থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এরপর ৭ আগস্ট যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়।
জ্বালানি তেলে মূল্যবৃদ্ধির পর ডিজেল চালিত বাস ও মিনিবাসের সর্বোচ্চ ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ এর ৩৪ (২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ ভাড়া ১ টাকা ৮০ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ২০ পয়সা; ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সার স্থলে ২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী মিনিবাস এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) আওতাধীন জেলার (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা) অভ্যন্তরে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ০৫ পয়সার স্থলে ২ টাকা ৪০ পয়সা; ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া যথাক্রমে ১০ টাকা ও ৮ টাকা নির্ধারিত হলো।
পড়ুন: পশ্চিমারা আমাদের বিপদে ফেলেছে: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: গণপরিবহন বন্ধে দেশজুড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বাড়ছে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া
হাইকোর্টে ১১ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১১ জন নতুন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। রবিবার এই নিয়োগের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন-পিআরএল ভোগরত জেলা ও দায়রা জজ মো.শওকত আলী চৌধুরী, কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ মো.আতাবুল্লাহ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট মো. আলী রেজা, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. ইমরুল কায়েশ, টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ, সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট এস এম মাসুদ হোসেন দোলন এবং সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট এ কে এম রবিউল হাসান।
আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মাহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে ১১জন ব্যক্তিকে শপথগ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এ নিয়োগ শপথগ্রহণের দিন থেকে কার্যকর হবে।’
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ১১জন অতিরিক্ত বিচারপতির শপথ পড়ানো হবে। প্রধান বিচারপতি মো. হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাদের শপথ পাঠ করাবেন।
আরও পড়ুন: ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সহজ ডটকমের রিট
টেলিটকের তারেককে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে: প্রধান বিচারপতি
বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান- ২০২২ উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ খুলনা বিভাগীয় আইনজীবী সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, নানা কারণে বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে। আমাদের সচেতনতা ও কর্মনিষ্ঠায় মামলা জট কমে, হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী ন্যায় বিচার পেয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারে।
হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ পুনর্গঠনের বিষয়ে প্রদান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বেঞ্চ গঠন করতে গেলে আমাকে অনেক কিছু মনে রাখতে হয়। এখনও কজ লিস্টে আশির দশকের ৯০ দশকের মামলা তালিকায় আসে। এরপর ২০০০ সালের পর থেকে পর্যায়ক্রমে মামলা তালিকায় আসে।
অনেক মামলা আছে যেটা ৪০ বছর পর্যন্ত পেন্ডিং আছে। মানুষ বিচারের আশায় আদালতে কত দিন ঘুরবে? এভাবে ঘুরতে ঘুরতে যদি একসময় মানুষের বিচারের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে বলে এই দেশে বিচার নাই, তাহলে এটাকে কি অন্যায় বলা হবে?
তিনি বলেন, ‘বেঞ্চ গঠন করতে গিয়ে আমার মনে রাখতে হয়, যেই লোক বিচার পেতে বছর বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরছে; তাদের কিভাবে বাড়ি ফেরানো যায়। বেঞ্চ গঠনের সময়, এটা আমার মনে রাখতে হয়।’
করোনার সময় অনেক বিচারপতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেঞ্চ গঠনের বেগ পেতে হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি আমরা কিছু দিনের ভিতরেই নতুন বিচারক পাবো। তখন হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চের সংখ্যা আরও বাড়বে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য যেভাবে বেঞ্চ গঠন করলে ভালো হয়, সেটাই আমি করার চেষ্টা করি।’
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের ১২ বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত: প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, আইনজীবীদের জায়গা সংকটের পাশাপাশি আমি মনে করি যারা গ্রামগঞ্জ থেকে সাধারণ মানুষ বিচারের আশায় উচ্চ আদালতে আসে, তাদেরও বসার জায়গা করার দরকার। এজন্য আমি যখন শপথ নেয়, তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার প্রার্থীদের জন্য সব আদালত এলাকায় বসার জায়গা করার জন্য শেড নির্মানের অনুরোধ করি। তিনি তাৎক্ষণিক রাজি হয়ে যান। এখন কথা হলো টাকা তো আমার হাতে থাকে না। আলাদিনের চেরাগ পেলে আমি সাথে সাথে আপনাদের দাবি পূরণ করে দিতাম। তারপরও কথা হলো আমাদের প্রধান সমস্যা হলো জায়গার। আমাদের এখন যতটুকু জায়গা আছে তার মধ্যে আগামী ১০০ বছরের প্ল্যান করতে হবে। প্রতিটি ইঞ্চি জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমাদের মহাপ্লান করে এগোতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইন পেশার সুমহান মর্যাদা রক্ষা করতে সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে বার (আইনজীবী) ও বেঞ্চ (বিচারক)কে সোচ্চার থাকতে হবে। আইনজীবীদের প্রতি একান্ত প্রত্যাশা থাকবে যে, আদালতের পবিত্র অঙ্গন থেকে অসাধু ও প্রতারক চক্রকে উচ্ছেদের মাধ্যমে এই অঙ্গনকে কলুষ মুক্ত করবেন।
আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘খেটে খাওয়া সর্বস্ব হারানো মানুষকে আইনের সেবা প্রদানের সুযোগ আপনাদেরই করে দিতে হবে। জীবন যুদ্ধে ক্লিষ্ট মানুষগুলোর জায়গায় একবার নিজেকে ভাবুন, মুহূর্তে তাদের কষ্টে ভারাক্রান্ত হয়ে যাবেন। বিচার প্রত্যাশি জনগণের হয়রানি নিরসনে আপনাদের হৃদয় নিংড়ানো আন্তরিকতা খোদার কাছে ইবাদতের মর্যাদা পাবে।’
এসময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা ফেল করলে আইনের শাসন ফেল করবে। আইনের শাসন ফেল করলে ডেমোক্রেসি ফেল করবে। ডেমোক্রেসি ফেল করলে রাষ্ট্র অকার্যকর হয়ে যাবে। সেজন্য আমরা আমাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবো।’
সমিতির সভাপতি মো. এহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আমির উল ইসলাম। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার, বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সারোয়ার জাহান বাদশা, সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও ইমাম হোসেন।
আরও পড়ুন: আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি
আবারও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে: প্রধান বিচারপতি
সাংবাদিক জুবায়েরকে জামিন দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে গত মাসে গ্রেপ্তার মুসলিম সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়েরকে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বুধবার জামিন দিয়েছেন।
সাংবাদিক জুবায়ের জনপ্রিয় ফ্যাক্ট চ্যাকিং ওয়েবসাইট অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ওয়েবসাইটটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের সমালোচনায় বেশ সরব।
ভারতের শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জুবায়েরকে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি দিয়ে বলেছেন তাকে ‘ক্রমাগত আটক রাখা যুক্তিযুক্ত নয়।’
আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে জুবায়েরকে হেফাজত থেকে মুক্তি দেয়া নিশ্চিতের আদেশও দিয়েছেন আদালত।
দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক এফআইআর একত্রিত করে এবং মামলাগুলো দিল্লিতে স্থানান্তর করতে হবে বলেও আদেশ দিয়েছেন আদালত। ‘এই জামিন তার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যে কোনো এফআইআরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে’ বলেও জানিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পপ গায়ক দালের মেহেন্দির ২ বছরের কারাদণ্ড
জুবায়েরের সাম্প্রতিক টুইট নবী মুহাম্মদকে নিয়ে বিজেপির মুখপাত্রদের কটূক্তি করার মন্তব্য তুলে ধরে। যার ফলে অনেক মুসলিম দেশ ও ভারতে প্রতিবাদ হয়।
জুনের শেষ সপ্তাহে এই মুসলিম সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীকালে উত্তরপ্রদেশ ও ভারতের রাজধানীতে তার বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়। এর আগে কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
নূপুর শর্মার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
মহানবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে পুরো দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দুজন বিচারপতির বেঞ্চের এক বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন, ‘এটি লজ্জাজনক। তার (শর্মার) পুরো দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তর করার আবেদনের শুনানি করার সময় হয়েছে।’
বিচারপতি কান্ত বলেন, ‘দেশে যা ঘটছে তার জন্য এই নারী একাই দায়ী।’
আরও পড়ুন: নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট: অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা
নূপুর শর্মা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পরপরই ভারতের প্রধান বিরোধী কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী সারা দেশে মুসলিম বিরোধী মনোভাব জাগানোর জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারকে দোষারোপ করেছেন।
প্রসঙ্গত, নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে গত মাসে সারা ভারতজুড়ে মুসলমানরা ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে। এর ফলে ভারত ও বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ - সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত এবং কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
গত মাসে বিজেপি তার মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং দলটির দিল্লি মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন কুমার জিন্দালকে পদ থেকে বরখাস্ত করে।
বিজেপি জানায়, শাসক দল ‘সকল ধর্মকে সম্মান করে’।
দলটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বিজেপি এই ধরনের ব্যক্তি বা দর্শনকে প্রচার করে না... এই দল (বিজেপি) কোনো ধর্মের কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অপমানকে দৃঢ়ভাবে নিন্দা করে।’
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ভারতে মুসলমানদের ব্যাপক বিক্ষোভ
ভারতে নবীজিকে নিয়ে মন্তব্য: বাগেরহাটে বিরোধের জেরে হিন্দু বাড়িতে হামলা
সুপ্রিম কোর্টের ১২ বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত: প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (২৭ জুন) সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের ১২ জন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত। দ্বৈত বেঞ্চের একজন করোনায় আক্রান্ত হলে ওই বেঞ্চের বিচার কাজ বন্ধ থাকে। করোনার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বেঞ্চে বিচারকাজ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় আপনারা যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে আমাদের জন্য বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়ে। আপনারা সহযোগিতা না করলে আমাদের ভার্চুয়ালি কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপরও ধৈর্য ধরেন আমরা দেখতেছি।
এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আমাদের অনেক আইনজীবীও করোনায় আক্রান্ত। আমরা আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
আরও পড়ুন: করোনায় আতঙ্কিত নই, তবে চিন্তিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এদিকে, রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং এ সময়ে এক হাজার ৬৮০ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪০ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং মোট পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৬৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ছয় হাজার ৬৮৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ফের করোনায় আক্রান্ত
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সাক্ষাৎ
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন এবং বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, নতুন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে আপিল বিভাগের বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তির কাজ দ্রুত হবে।
বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির মতো সংকটের সময়েও জনগণ যাতে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য বিচার বিভাগের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোরও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
সুপ্রিম কোর্টে ৬০ দিনের মধ্যে তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ হাইকোর্টের
তথ্য অধিকার আইন অনুসারে সুপ্রিম কোর্টে ৬০ দিনের মধ্যে তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদেশের পরে শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের প্রতি ওই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বাদী হয়ে রিটটি করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে তথ্য সেল প্রতিষ্ঠা ও অফিসার নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে। অথচ সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সেল বা অফিসার নেই। এছাড়া সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অবাধ তথ্য প্রবাহ ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। তথ্য সেল না থাকায় এ অধিকার খর্ব হচ্ছে।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, রিট আবেদনকারী মৃত্যুদণ্ডাদেশ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন। প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি। পরে তথ্য অধিকার আইনের বিধান বাস্তবায়নের জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান। তাতেও কোনো জবাব না পেয়ে এই রিট আবেদন দায়ের করেন।
পড়ুন: ভেজাল প্যারাসিটামলে মৃত্যু: ১০৪ শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ হাইকোর্টের
বোরকা পরায় শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের