সাংবাদিক
সাইবার মামলায় খুলনার ২ সাংবাদিক বেকসুর খালাস
দীর্ঘ ছয় বছর পর সাইবার মামলায় খুলনা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সময়ের খবর’- এর নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ান ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবুকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কণিকা বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হলো।
আসামিপক্ষের আইনজীবী চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, ‘বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালের এ রায় যুগান্তকারী। সিএমএম আদালতের নির্দেশেই মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছিল। এখানে সাংবাদিকদের সংবাদ যে সঠিক ছিল সেটাই প্রমাণিত হলো।’
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
অপর আইনজীবী অচিন্ত কুমার বলেন, ‘সংবাদপত্রের কাজ সত্য তুলে ধরা। যে সংবাদের কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল, সেটি অতিউৎসাহী হয়ে করা হয়েছিল। এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ছিলেন পিপি এম সাজ্জাদ হোসেন ও এপিপি রোকেয়া খানম।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান বলেন, ‘বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায়ে আমরা খুশি। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।’
উল্লেখ্য, মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে ২০১৭ সালের ১৮ মে কর্মচারী নিয়োগে জটিলতা সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় ‘দৈনিক সময়ের খবর’- পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বোর্ড সভাপতি অতিরিক্ত সিএমএম পদত্যাগপত্র জমা দিলে ১৯ মে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেন মহানগর দায়রা জজ। এছাড়া সিএমএম আদালতে একটি চেকের মামলার রায়ের সংবাদ ২২মে একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এই দু’টি সংবাদকে মিথ্যা ও ভুল আখ্যা দিয়ে খুলনার (সিএমএম) আদালতের তৎকালীন বিচারক এমএলবি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ’র নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা বাদী হয়ে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৬৬ ধারায় ২০১৭ সালের ১৪ জুন ‘দৈনিক সময়ের খবর’- এর নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ান ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র পরিদর্শক মো. আফাজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মোট ১২জন সাক্ষীর ১২ জনই আদালতে তাদের সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে ট্রাইব্যুনাল অব্যহতি প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: সাইবার মামলায় সিলেটে ফটোসাংবাদিক গ্রেপ্তার
দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে র্যাবকে নির্দেশনা দেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ)।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউ আমাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিচার তো আমরা করতে পারব না, আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারব। আমরা চেষ্টা করছি, অনেক বছর হয়ে গেছে। আমরাও চাই এ রহস্য উন্মোচিত হোক। উদীয়মান এই দুই সাংবাদিক, যাদের অনেক প্রতিভা ছিলো তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারত। তারা আমাদের মধ্য থেকে চলে গেছেন। আমরাও চাই কেন এই হত্যকাণ্ড হয়েছে, সেটি উদঘাটনের।
মন্ত্রী বলেন, ডিআরইউ’র স্মারকলিপি আমি র্যাবের ডিজিকে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি একটা কিছু জানায় সেই নির্দেশনা তাদেরকে দেবো। আমরা চেষ্টা করছি রহস্য উদঘাটনের। সাংবাদিক নেতাদেরও বলেছি আপনাদের কাছেও যদি কোন তথ্য থাকে সেগুলো আমাদের জানালে আমরা সেটিও দেখব।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিআরইউ’র স্মারকলিপিতে বলা হয়, ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ডিআরইউ সদস্য মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক দশক পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের এখনও শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজা বাজারে নিজ বাসায় তাদের শিশুপুত্রের সামনে নির্মমভাবে খুন হন এই সাংবাদিক দম্পতি।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ ১১ বছর পেরিয়ে গেছে; তদন্তের কোন ধরনের অগ্রগতি নেই। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত থেকে ৯৫ বার সময় নেয়া হয়েছে।
বিচার না পেয়ে সাগর-রুনীর পরিবারে ও গোটা সাংবাদিক সমাজে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। কিছুদিন আগে পরলোকগমন করেছেন মেহেরুন রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা। এখনো বিচারের আশা ছাড়েননি সাগর সারওয়ারের বয়োবৃদ্ধ মা সালেহা মুনির ও সাগর-রুনীর একমাত্র পুত্র মাহীর সারওয়ার মেঘ।
যে কোন হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের সেই অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা দেখেছি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বড় বড় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে; অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার কোন কুলকিনারা তারা করতে পারবে না এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তাই আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ডিআরইউ’র পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এই হত্যার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ডিআরইউ এ দাবি থেকে সরে যাবে না।
এসময় ডিআরইউ'র সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম ও কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
র্যাবের ওপরের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিক তানজিম আনোয়ারের বাবার মৃত্যুতে ডিকাবের শোক
সাংবাদিক তানজিম আনোয়ারের বাবা আনোয়ার হোসাইনের মৃত্যুতে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিকাব) গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। তানজিম আনোয়ার ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-ডিকাবের সদস্য।
আরও পড়ুন:সুগন্ধা ট্রাজেডি: বছর পেরলেও থামেনি স্বজন হারানো পরিবারের শোক
এক শোক বার্তায় ডিকাবের প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস এর বিশেষ প্রতিনিধি তানজিম আনোয়ার ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। এছাড়া তারা মরহুম আনোয়ার হোসাইনের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
আনোয়ার হোসাইন ৭৮ বছর বয়সে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন প্রকার শারীরিক জটিলতা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা বাদ যোহর রাজধানীর সোবাহানবাগ মসিজিদে অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে তাকে ময়মনসিংহের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: দুদু’র মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) সদস্যরা।
বুধবার দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শালগ্রাম সীমান্ত এলাকা থেকে আসামি রাজু মুন্সীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজু মুন্সী (২৫) পটুয়াখালী জেলার নুরুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
খবর পেয়ে এটিইউ-এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং সীমান্ত এলাকা থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক ইত্তেফাকের আফতাব আহমেদকে (৭৮) তার পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডের বাসায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরে চালক হুমায়ুন, হাবিব ও বিল্লাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন যে, বাড়িতে ডাকাতি করার সময় তারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ জানায়, বিল্লাল তার বাসা থেকে ৭২ হাজার টাকা লুট করে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে টাকা ভাগ করে নেয়।
এছাড়া আফতাব ২০০৬ সালে একুশে পদক পান।
এ ঘটনায় আফতাবের ছেলে মনোয়ার আহমেদ সাগর রামপুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পরে পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রাজুসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়।
এদিকে, হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছেন।
এছাড়া ২০১৩ সালে পুলিশ রাজুকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালত থেকে জামিন পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সাতক্ষীরায় সাংবাদিককে তুলে নেয়ার ৭ ঘণ্টা পর থানায় সোপর্দ
সাতক্ষীরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার সাত ঘণ্টা পর তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে দেবহাটা থানায় সোপর্দ করা হয়।
দেবহাটা থানা-পুলিশ সূত্র জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় দেবহাটার খলিশাখালী সাতমরা এলাকা থেকে তাকেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রঘুনাথের বিরুদ্ধে নাশকতার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার রঘুনাথের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। তিনি সাতক্ষীরা শহরের লস্কারপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি দীপ্ত টেলিভিশন ও বাংলা ’৭১ নামের একটি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
গ্রেপ্তার অন্য দুইজন হলেন- উপজেলার ঢেবুখালী গ্রামের রেজাউল করিম ও চালতেতলা এলাকার লুৎফর রহমান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে পিবিআইকে মামলা তদন্তের নির্দেশ
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, রঘুনাথ খাঁসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সোমবার নাশকতার অভিযোগে মামলা করেছেন দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক লাল চাঁদ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্য দু’জন হলেন উপজেলার ঢেবুখালী গ্রামের রেজাউল করিম ও চালতেতলা এলাকার লুৎফর রহমান।
এছাড়া একটি চাঁদাবাজির অভিযোগে রঘুনাথের বিরদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁর অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সাংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী এড. সুলতানা কামাল। তিনি এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতির নতুন সভাপতি সদরুল হাসান, সম্পাদক শফিউল
সোমবার দুপুরে সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন লোক ধরে নিয়ে যায়। সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে তাকে একটি মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এর পর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ১১ টার দিকে পুলিশ সাংবাদিকদেরকে জানায় রঘুনাথ খাঁসহ তিন জনকে দেবহাটা থানায় একটি নাশকতা মালায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রঘুনাথ খাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া রাণী খাঁ জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কয়েক জন লোক তাকে সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। কিন্তু রাত ১১ টা পর্যন্ত কোথাও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশও তার আটকের কথা স্বীকার করেনি। রাত ১১ টার পরে জানতে পারি দেবহাটা থানা পুলিশর হেফাজাতে তার স্বামী রয়েছে। একটি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত শনিবার গভীর রাতে একদল লোক তাদের সাতক্ষীরা শহরের লস্করপাড়াস্থ বাসায় এসে প্রথমে ডাকাডাকি করে। আমরা ভয়ে কোনো সাড়াশব্দ না দিলে পরে তারা দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে চলে যায়।
আরও পড়ুন: মিরপুরের বাসা থেকে সাংবাদিক বিপ্লবের লাশ উদ্ধার
নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিকদের নেতৃত্বে সাইদুর-হিমেল
রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নতুন সভাপতি হয়েছেন ইত্তেফাকের সাইদুর রহমান। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল ২৪ এর মুকিমুল আহসান হিমেল।
নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের এই সংগঠনে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। পরে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ভোটগ্রহণ। এর আগে একই জায়গায় হয় সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা।
নির্বাচনে ৬০ জন ভোটারের মধ্যে সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে একটি ভোট বাতিল হয়েছে।
কোন পদে বিজয়ী হয়েছেন যারা-
সভাপতি পদে সাইদুর রহমানকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৪ ভোট। আর সোমা ইসলাম পেয়েছেন ২৩ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন চারজন। এদের মধ্যে বাংলানিউজ ২৪ এর ইকরাম-উদ-দৌলা পেয়েছেন ৪ ভোট, বাংলাদেশ প্রতিদিনের গোলাম রাব্বানী পেয়েছেন ১৮, বাংলাভিশন অনলাইনের
মো. হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ১১ ভোট, চ্যানেল ২৪) এবং মুকিমুল আহসান হিমেল পেয়েছেন ২৬ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তানিয়া রহমান (৭১ টেলিভিশন)।
আরও পড়ুন: ভোলা প্রেসক্লাব নির্বাচন: সভাপতি হাবিবুর ও সম্পাদক অমিতাভ অপু
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন- বৈশাখী টেলিভিশনের কাজী ফরিদ। তিনি পেয়েছেন
৩৯ ভোট। এই পদের পরাজিত প্রার্থী আরটিভির আতিকা রহমান পেয়েছেন ১৭।
অর্থ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন-আরিফুল ইসলাম (আলোকিত বাংলাদেশ)।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন এখন টেলিভিশনের বেলায়েত হোসাইন। তিনি পেয়েছেন
৩৭ ভোট। আর একই পদের পরাজিত প্রার্থী ঢাকা পোস্টের সাঈদ রিপন পেয়েছেন ২০ ভোট।
দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন- মো. সিরাজুস সালেকীন চৌধুরী (মানবজমিন)।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউজ বাংলার খায়রুল ইসলাম বাশার। তিনি পেয়েছেন ৩৬ ভোট। একই পদের পরাজিত প্রার্থী ডেইলি সানের মুহিবুব জামান পেয়েছেন ২৪ ভোট।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে পাঁচটি পদে পাঁচজন প্রার্থী থাকায় সবাই নির্বাচিত হয়েছেন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তবে সদস্য পদের ধারাক্রম নির্ধারণ করতে এই পদে ভোট হয়েছে।
এই পদে প্রতিদিনের সংবাদের গাজী শাহনেওয়াজ পেয়েছেন ৩৮ ভোট, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির মাহমুদুল হাসান পারভেজ পেয়েছেন ৩৬ ভোট, ডিবিসির মোসা. কাওসারা চৌধুরী কুমু পেয়েছেস ৩১ ভোট, বাংলাভিশনের সৈকত সাদিক পেয়েছেন ৩০ ও নয়াদিগন্তের হামিদ সরকার পেয়েছেন ২৯ ভোট।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আশিষ সৈকত।
কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ নজরুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন আলমগীর জুয়েল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নির্বাচনে সালাউদ্দিন রেজা ও দেবদুলাল সভাপতি-সা. সম্পাদক নির্বাচিত
ডিআরইউ সভাপতি মিঠু, সম্পাদক হাসিব
ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফর যেমন দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে, তেমনি মানুষে মানুষে আত্মিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করতেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে ২৫ জন এবং আসাম ও গৌহাটি থেকে ৯ জন সাংবাদিক ৬ থেকে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে রবিবার চট্টগ্রাম যান।
এ দিন তথ্যমন্ত্রী হাছান ভারতীয় সাংবাদিকদের নিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতির স্থান পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিদর্শন করেন।
ড. হাছান তার বক্তব্যে বলেন, 'এখন আর আকাশ থেকে বাংলাদেশে কুঁড়েঘর দেখা যায় না, বাস্তবিক অর্থে কুঁড়েঘর হারিয়ে গেছে, এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। গত ১৪ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু'দেশের সুসম্পর্কের নতুন মাত্রা আমাদের এই বদলে যাওয়ার উন্নয়ন অভিযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দু’দেশের নাগরিক বটে, কিন্তু আমরা একই পাখির কলতান শুনি, একই নদীর অববাহিকায় আমরা বেড়ে উঠি। একই মেঘ আমাদের এখানে বরিষণ করে। কাঁটাতারের বেড়া আমাদের এই বন্ধন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, ভাষা এবং সর্বোপরি আমাদের ভালোবাসাকে বিভক্ত করতে পারেনি।
হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের এই আত্মিক সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে একাত্ম হয়েছে একাত্তর সালে, যখন আমাদের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতের সেনাবাহিনী রক্ত ঝরিয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের কষ্টের সঙ্গে ভারতের মানুষও কষ্ট স্বীকার করেছে। এক কোটির বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। যতই কাঁটাতারের বেড়া কিংবা অন্য কোন আইন-কানুন হোক না কেন, রক্তের অক্ষরে লেখা হৃদয়ের এই বন্ধন কখনো বিভক্ত করা যাবে না।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, মানুষের আত্মিক খোরাক যোগায়, অনুন্মোচিত বিষয়কে উম্মোচিত করে। সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সঠিক পথে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখে। এখান থেকে গিয়ে যখন আপনারা কলম ধরবেন কিংবা টেলিভিশনে রিপোর্টিং হবে তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে। আমাদের দেশের বদলে যাবার গল্পটা ভারতবাসী জানবে, বিশ্ববাসী জানবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত ও প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বশর মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিষ সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক ও আসামের সিনিয়র সাংবাদিক মনোজ কুমার গোস্বামী।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক স্বাগত বক্তব্য ও সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সাংবাদিক আবদুর রহমান খান আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান খান আর নেই।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মারা যান তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান রাত ২টা ৩০মিনিটে ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সুইডেন আ. লীগ নেতা ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক আর নেই
পিরোজপুর আ.লীগ নেতার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিএনপির ইভেন্ট কাভারের সময় সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কনস্টেবল প্রত্যাহার
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার ইভেন্ট কভার করতে সংসদ এলাকায় যাওয়া এক টেলিভিশন সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায়, পুলিশ কনস্টেবল শাহিনুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, পুলিশ কনস্টেবল শাহিনুর রহমানকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার নাগরিক টিভির সাংবাদিক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাঈদ আরমান সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যদের (এমপি) পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার ইভেন্টটি সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন। তখন কনস্টেবল শাহিনুর রহমান সাংবাদিকের বুম (মাইক্রোফোন) কেড়ে নেন এবং তাকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
রবিবার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানান ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান সোহেল।
ডিআরইউ নেতারা বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
তারা সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্পিকারকে সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য
২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ৯৪ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ঠিক করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ১০ বছর পর হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানিতে উঠছে
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ডিআরইউ’র