চালু
ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা অনলাইনে সম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। এছাড়া যে কোনো স্থান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ সংক্রান্ত কার্যক্রমও সম্পন্ন করতে পারবেন তারা।
শুক্রবার(৫ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রার্থীরা অনলাইনে পছন্দমতো প্রচলিত কার্যকর উপায়ে জামানত জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটির মেয়র নির্বাচিত তাহসিন বাহার
প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে প্রার্থীর সময় বাঁচবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য www.ecs.gov.bd লিংকে (মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমাদান) বা https://onss.ecs.gov.bd/ সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।
অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে হলে প্রথমত প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে এনআইডি যাচাই ও মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ যাচাই-বাছাই করা হয়। সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর যে মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেই নম্বরে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠানো হবে, যা সাবধানে সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো ময়মনসিংহের মেয়র নির্বাচিত ইকরামুল হক টিটু
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর রিটার্নিং অফিসার অনলাইনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র প্রাপ্তি স্বীকার, নিশ্চিতকরণ, বাছাই/যাচাই-বাছাই, আপিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পাদন করবেন। প্রদত্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে প্রার্থী যে কোনো সময় তাদের দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবেন; পাশাপাশি মোবাইলে মেসেজ পাবেন।
অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা যাবে। শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
প্রার্থীদের সুবিধার্থে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফেসবুক পেজ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফেসবুক পেজ ও নিচের লিংকে ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে- https://youtu.be/hcImF47SkO8?si=eloeoZ1rI_liBs_G
আরও পড়ুন: ইসির খসড়া তালিকায় বর্তমান ভোটার ১২.১৭ কোটির বেশি
'রপ্তানি উন্নয়নে মৎস্য খাতে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম চালুর আহ্বান'
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম(ইলেকট্রনিক যাচাই/শনাক্তকরণ পদ্ধতি) চালুর আহ্বান জানিয়েছে মৎস্য খাতের অংশীজনরা।
সম্প্রতি খুলনার নতুন বাজার লঞ্চঘাট রোডে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
সভায় তারা একমত হন যে, দেশে স্মার্ট ফিশারিজ সম্প্রসারণ এবং বিশ্ববাজারে মৎস্য রপ্তানিতে সুনাম অর্জনের জন্য ই-ট্রেসেবিলিটি অপরিহার্য।
ফিশ ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফওএবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
স্মার্ট ফিশারিজ ই-ট্রেসেবিলিটি পাইলট প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, মৎস্য খামার মালিক সমিতির সভাপতি মোল্লা শামসুর রহমান শাহীন, খুলনা মান নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, ক্রিসমন রোজেলা কোম্পানির পরিচালক সৈয়দ আবু মোর্শেদ, খুলনা চিংড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মনজির, সহ-সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, নিউ মেঘনা ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন অর রশীদ এবং এফওএবি খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব শেখ শাকিল হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
বক্তারা বলেন, ই-ট্রেসিবিলিটি সিস্টেম চালুর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে চিংড়ি শিল্পের সুনাম ধরে রাখা সম্ভব হবে।
এজন্য সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে জড়িত মধ্যস্থতাকারী অংশীজনদের চিহ্নিত করে প্রকৃত লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করে মাছের সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তারা আরও বলেন, কৃষক এবং মৎস্য সংগ্রহকারীদের একটি ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ, যা কৃষকদের নিরাপদ পণ্য শনাক্ত করতে সহায়তা করবে। এর ফলে মাছ বিপণনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তরুণ ও নারীদের টেকসই কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল
চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ২০২০ সালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ৪৭১ দিনের মধ্যে সফট ওপেনিং করার কথা ছিল। আজ (২ অক্টোবর) চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ২৪১ দিন। আগামী ৭ অক্টোবর সফট ওপেনিং হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন সফট ওপেনিং এ উপস্থিত থাকবেন। নির্ধারিত সময়ের আগে সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে তৃতীয় টার্মিনালের। সফট ওপেনিংয়ের অনুষ্ঠান তৃতীয় টার্মিনালের ভেতরে অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশের মানুষ যেন উদ্বোধনের দিন গণমাধ্যমের মাধ্যমে এই টার্মিনাল দেখতে পারেন, সেজন্য আমরা ভেতরে উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি নিয়ে এম মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সফট ওপেনিংয়ের আগে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করা। বর্তমানে এখন প্রায় ৮৮ শতাংশের ওপরে অর্থাৎ ৮৯ শতাংশের কাছাকাছি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি ওপেনিংয়ের আগে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যাত্রীদের জন্য টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু (ফুল ফাংশনাল) করার। তবে আমাদের কাজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক আগে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। নির্ধারিত সময়ের আগে যাত্রীদের জন্য টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু হবে বলে আশা করছি।
তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জনবল আছে কি না- প্রশ্ন করা হলে মফিদুর রহমান জানান, জনবলের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। এ ছাড়া আমাদের এখন যারা আছেন তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসহ সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নতুন টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে সেবার মান বাড়বে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই তৃতীয় টার্মিনাল করা হয়েছে যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের জন্য। এভিয়েশন হাব হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এই তৃতীয় টার্মিনাল করা হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান আরও জানান, যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশি একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে বিদেশি সংস্থা কাজ করলেও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকবে আমাদের হাতে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
তিনি বলেন, বিদেশি সংস্থাকে বলে দেওয়া হবে যেন যাত্রী সেবার মান সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর অথবা সমমনা বিমানবন্দরগুলোর মতো হয়। যাত্রীসেবার মান সুনিশ্চিত করতে পারবে। এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করব।
এ ছাড়া আমাদের দেশীয় স্টেকহোল্ডার যারা রয়েছে তাদেরও বলা হয়েছে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। নতুন টার্মিনালে যাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুক অনুযায়ী অফিসের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
নতুন তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রস্তুত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, এটা কোনো একক কাজ না। আমরা সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনা করব, দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরের মতো।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করছে স্যামসাং গ্রুপের কনস্ট্রাকশন ইউনিট স্যামসাং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ট্রেডিং (সিঅ্যান্ডটি) করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির নির্মিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে বুর্জ খলিফা, পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, তাইপে ১০১, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনাল, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আবুধাবির ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা উন্মোচনের মাধ্যমে নির্মাণে আধুনিকতা নিয়ে এসেছে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপ।
এ ছাড়া টার্মিনালের ভেতরের ভবনটির নকশা তৈরি করেছেন বিখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের টার্মিনাল-৩, চীনের গুয়াঞ্জুর এটিসি টাওয়ার ভবন, ভারতের আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইসলামাবাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের নকশা তৈরি করেন।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ডেনিশ মায়ের্স্ক গ্রুপের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
পাটকল চালুর অপেক্ষায় খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকেরা
খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকল বন্ধের তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। ভালো নেই চাকরিহারা প্রায় অর্ধলাখ শ্রমিক। পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
তবুও পাটকল চালু হবে সাইরেন বাজবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন শ্রমিকেরা।
মিল বন্ধ থাকায় অযত্নে নষ্ট হচ্ছে ৯টি পাটকলের ৫ হাজার ৮৩টি তাঁত ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি। ফলে আবার এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে মিলগুলো উৎপাদনে যেতে পারবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় পাটকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শ্রমিকরা জানান, লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের ২ জুলাই রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম, যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিল বন্ধ করে দেয় সরকার।
লিজের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে তিন মাসের মধ্যে মিলগুলো আবার চালুর ঘোষণা দিয়েছিল বিজেএমসি।
শ্রমিকরা জানান, কিন্তু এখনও চালু হয়নি। তাদের কেউ কেউ অন্য পেশায় ঢুকলেও অনেকেই বেকার। খালিশপুর, দিঘলিয়া ও আটরা শিল্প এলাকার পাটকল বন্ধ হওয়ায় ওই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে।
শ্রমিকরা আরও জানান, অনেকে এলাকা ছেড়ে নিজ জেলায় সপরিবারে ফিরে গেছেন। বন্ধ হয়ে গেছে মিল কারখানাকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও দোকানপাট। নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে শিল্প এলাকা।
প্লাটিনাম জুটমিলের শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, মিল বন্ধের সময় বলা হয়েছিল তিন মাসের মধ্যে চালু করা হবে। কিন্তু আজ তিনটি বছর পার হয়েছে। এখনও মিল চালু হয়নি। বেকার হয়ে কষ্টে দিন কাটছে। মাঝে ঢাকা একটি শো-রুমে চাকরি করেছি। পরে সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছে।
তিনি জানান, পরিবারে তিন ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী ও আমিসহ ৫ জন। সংসারের খরচ, লেখাপড়া, চিকিৎসা খরচসহ ঊর্ধ্বগতির বাজারে ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে কাজ পেলে করি, না হলে বেকার বসে থাকতে হয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করছি।
খালিশপুর প্লাটিনাম জুট মিলের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের শ্রমিক ছিলেন আব্দুল জলিল। ১৯৯৬ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ের শুরুতেই মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর বেকার হন জলিল।
তিনি অবসায়নের অর্ধেক টাকা পেলেও পাননি সঞ্চয়পত্রের টাকা। সঞ্চয়পত্রের টাকার জন্য তিন বছর ধরে ঘুরছেন মেইল দপ্তরে। বর্তমানে প্লাটিনাম জুট মিলের সামনেই একটি দোকা ভাড়া নিয়ে চা, বিস্কুট, রুটি, কলা বিক্রি করে কোনোরকম দিন পার করছেন।
এছাড়া অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা, বাড়ি ভাড়া, লেখাপড়াসহ সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
একই মিলের আরেক শ্রমিক মোহাম্মদ আলী বলেন, মিল বন্ধের তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের টাকা পাইনি। মিলের কাছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা পাওনা ছিল। যার মধ্যে নগদে অর্ধেক পেয়েছি। বাকি ৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা সঞ্চয়পত্রে পাওনা রয়েছে এখনও।
তিরি বলেন, গত তিন বছর সংসারের হানি টানতে টানতে নগদ অর্থ সবই শেষ। নিজের কোনো কাজ নেই। তবুও ছয় সদস্যের পরিবার চালাতে হয়। এক ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনি ও স্ত্রীকে নিয়ে হাউজিং বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করি। অনেক কষ্টে আছি, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: বিটিএমসির পাটকল ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩,১৬৮ কোটি টাকা লোকসান করেছে: পাটমন্ত্রী
তিনি বলেন, গেল তিন বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, তবুও সঞ্চয়পত্র পাইনি। মিল বন্ধ করে আমাদের পথে বসিয়েছে। এই বয়সে কোথাও কাজ করার সুযোগ নেই। এক ছেলে পরিবহনে কাজ করে। তার আয় দিয়ে সংসার চলে না। মেয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের লেখাপড়া করে। চিকিৎসাও করাতে পারি না। এখন দেনা হয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, ঘর ভাড়া, বাজার-ঘাট, লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারি না। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।
এছাড়া দ্রুত পাওনা পরিশোধ এবং মিল চালুর দাবি জানান তিনি।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, মিল বন্ধের আগে শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ এবং দ্রুত মিল চালু করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ তিনটি বছর পার হতে চলেছে। এখনও অনেক শ্রমিকের সঞ্চয়পত্রের টাকা পাওনা রয়েছে।
তিনি বলেন, মিল চালুর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আমরা জানতে পারিনি। ২৬টি মিল বন্ধের পর শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ে। অনেকে দিনমজুর, রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালাচ্ছে। অনেকেই কর্ম হারিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। শ্রমিকরা অনেক কষ্টে রয়েছে। আমাদের দাবি শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করা হোক। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় মিলটি চালু করা হোক।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, পাটকল বন্ধের পর থেকে শ্রমিকরা কষ্টে আছে। মিল চালুর প্রতিশ্রুতি থাকলেও অগ্রগতি নেই।
তিনি বলেন, বিআইডিসি সড়কের আলমনগর মোড় থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত অর্ধেক দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
বিজেএমসি সূত্র জানায়, মিলগুলোর কাছে ২১৪ শ্রমিকের নগদ ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং ১ হাজার ৩১৫ শ্রমিকের ৭৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র পাওনা রয়েছে।
বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. গোলাম রব্বানী বলেন, মাসখানেক আগে যশোরের জেজেআই জুট মিল আকিজ গ্রুপকে লিজ দেওয়া হয়েছে। তারা শিগগিরই মিলটি চালুর চেষ্টা করছে। খুলনার প্লাটিনাম জুট মিল ফরচুন গ্রুপকে লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, অন্য ছয়টি পাটকল লিজ দেওয়ার জন্য জুনের মাঝামাঝি তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আর আলিম জুট মিলের মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব থাকায় এটি লিজ দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
তিনি বলেন, অধিকাংশ শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিছু সংখ্যক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা, নামের ভুলসহ বিভিন্ন প্রকার জটিলতা থাকায় তারা এখনও সব টাকা পাননি। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে পরিশোধের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, যন্ত্রপাতিগুলো মাঝেমধ্যে মেইনটেন্যান্স ও চালু করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে মেইনটেন্যান্স করা দরকার, তা অর্থাভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনার বেসরকারি ১৭ পাটকল বন্ধ হওয়ার উপক্রম
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের যৌথ কর্মপরিকল্পনা শিগগিরই চালু
বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজ ও পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগে অংশীদার হতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষই বাংলাদেশে আরও বেশি ডেনিশ বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করার সুবিধার উন্নতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
শুক্রবার কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ডেনমার্ক রাজনৈতিক পরামর্শে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
রাজনৈতিক পরামর্শে গত বছর দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া টেকসই ও সবুজ কাঠামোর আওতায় ২০২৩-২০২৮ সময়ের জন্য বাংলাদেশ-ডেনমার্ক যৌথ কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডেনমার্কের ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন অ্যান্ড গ্লোবাল ক্লাইমেট পলিসি ড্যান জর্জেনসেনের ১২-১৩ জুন বাংলাদেশ সফরের সময় যৌথ কর্মপরিকল্পনাটি চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
ডেনমার্ক নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, সার্কুলার অর্থনীতি, টেকসই নগরায়ন, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মেরিটাইম, আইসিটি এবং ব্লু ইকোনমি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লোটে মাচন রাজনৈতিক পরামর্শে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশের পক্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে ডেনমার্কে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং স্টার্টআপ ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ পারস্পরিক স্বার্থ ও উদ্বেগের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে মতবিনিময় করেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর
তারা জাতিসংঘ ও অন্যান্য ফোরামের বিভিন্ন নির্বাচনে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রাজনৈতিক আলোচনার পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ডেনিশ স্টেট সেক্রেটারি ফর ট্রেড অ্যান্ড গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি লিনা গ্যান্ডলোস হ্যানসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশে ডেনিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল করিম, বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন (ভার্চুয়ালি), বাংলাদেশে ডেনমার্কের মনোনীত রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ প্রমুখ রাজনৈতিক আলোচনায় যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে অক্টোবরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,৭অক্টোবর (ইউএনবি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লি. এর ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শেষে কমিশনিং কাজ চলছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ কমিশনিং শেষ হবে। এরপরই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো.আবদুল মজিদ জানান, বর্তমানে প্রকল্পটির বাস্তব অগ্রগতি ৯৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ । নির্মাণ কাজ শেষে কমিশনিং কাজ চলছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ কমিশনিং শেষ হবে। এবং এরপরই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার পরই বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হবে।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান জানান,দেশের প্রথম অর্থ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রকল্পটি চালু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ যেমন বাড়বে তেমনি জ্বালানি দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে।
জানা যায়, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ২০০৩ সালের পহেলা জুন আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন যাত্রা শুরু করে কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১১ সালে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন নিজস্ব অর্থায়নে ৫৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় চালান মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে বিদ্যমান জ্বালানি ব্যবহার করে কম জ্বালানি দক্ষতা সম্পন্ন ইউনিটগুলোকে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ২০১৫ সালে ২০০ মেগাওয়াট মডিউলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (সাউথ) এবং ২০১৭ সালে আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (নর্থ) দুইটি স্থাপন হয় এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র দু’টি জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পুরাতন অবসরপ্রাপ্ত ইউনিটসমূহের (জিটি-এক, জিটি-দুই ও এসটি লে এসটি ইউনিট-তিন এর গ্যাস ব্যবহার করে উচ্চ ক্ষমতা ও জ্বালানি দক্ষতা সম্পন্ন আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (পূর্ব) প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্পটি ২২শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে একনেকে এর অনুমোদন লাভ করে। প্রকল্পটি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, এপিএসসিএল এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
গত ২০ মার্চ ২০১৮ সালে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান চীনা ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট করপোরেশন এবং চীনা ন্যাশনাল করপোরেশন ফর ওভারসিস্ ইকনমিক কোঅপারেশন এর সঙ্গে প্রকল্পটির ইপিসি চুক্তি সাক্ষরিত হয় এবং ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই চুক্তিটি কার্যকর হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ইপিসি চুক্তি মূল্য প্রায় এক হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নেট উৎপাদন ক্ষমতা ৪২০.০০ মেগাওয়াট এবং জ্বালানি দক্ষতা প্রায় ৫৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অন্যান্য অনুসাঙ্গিক ব্যয় (পরামর্শক, সিডি ভ্যাট, ট্যাক্স) সহ মোট ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটির অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২ লাখ ৯৩১ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা।
গত ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী এর ডি-রেটেড উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট।
আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (পূর্ব) প্রকল্পটি উৎপাদনে গেলে এপিএসসিএল-এর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে প্রায় ১৭০০ মেগাওয়াট। এপিএসসিএল ডিপ্যান্ডেবল ও রিলেয়্যাবল বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পাসি হিসেবে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রকল্পটি গত জুন ২০২১ হতে উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও বিশ্বজুড়ে করোনা সক্রমণের কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে এক বছর পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে জেনারেটরের কারিগরি ত্রুটি এবং গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির ফলে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
‘মোংলা বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ স্থাপনে চুক্তি সাক্ষর রবিবার
রাজশাহী শহরে চালু হলো সিটি সার্ভিস
হঠাৎ অটোরিকশা বন্ধ করে জনগণকে জিম্মি করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এই নৈরাজ্য থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে সোমবার সকাল থেকে রাজশাহী নগরীতে নামানো হয়েছে ইন্টার সিটিবাস। অল্পপরিসরে সাধারণ যাত্রী এসব বাসে করে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রবিবার সকাল থেকে রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চালক-মালিকদের একাংশ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শহরের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিয়ালের কামড়ে ১৮ কৃষক আহত
এই সুযোগে কিছু অটোচালক ও চার্জার চালিত রিকশা চালকদের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া আদায় করে নেয়ার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে দিনভর নগরীতে বিভিন্ন জায়গায় হট্টগোলও দেখা দেয়।
রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বলেন, গত দুদিন থেকে অটোরিকশা চালক-মালিকরা চলাচল বন্ধ করে দিলে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়ে। এছাড়াও অটোচালকদের জিম্মিদশা থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রাথমিক অবস্থায় ৩০টি বাস চলাচল করছে। সোমবার বিকাল থেকে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেছে।
রাসিক মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে সিটিং সার্ভিস বাস নামানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত নিজেদের উদ্যোগে এই সার্ভিস চালু করা হচ্ছে পরবর্তিতে এসব চিন্তা ভাবনা করা হবে বলে জানান।
ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ছাড় রাখা হয়েছে কিনা এসব বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। শহরের মধ্যে ৫ টাকা ১০ টাকা ভাড়া এভাবেই চলবে।
তবে কেবল মাত্র শুরুর পরে এসব বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাজশাহী সিটির ৯৫২ পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশ
প্রেমের টানে রাজশাহীতে মালয়েশিয়ান তরুণী
পুরোদমে চালু হয়েছে নিউমার্কেট
তুচ্ছ ঘটনার জেরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এবং নিউমার্কেটের দোকানমালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে হওয়া টানা দুই দিনের সংঘর্ষের পর আবারও খুলতে শুরু করেছে নিউমার্কেট এলাকার দোকানপাট।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে নিউমার্কেট, গাউসিয়া মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও নুরজাহান মার্কেট আবার খুলতে শুরু করে এবং ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পুরো মার্কেট খুলে যায়। খোলার পর থেকে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
দোকান মালিকদের একজন তামিম বলেন, ‘দুই দিন আগে ঈদ উপলক্ষে দোকানের জন্য কাপড় সংগ্রহ করেছি। কিন্তু সবই পুড়ে গেছে।’
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, তারা আশা করেছিলেন যে তারা এই ঈদ বাজারে করোনা মহামারির ক্ষতি পূরণ করতে পারবেন। কিন্তু সংঘর্ষে তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে কি না জানতে চাইলে আরেক দোকান মালিক সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই ঈদের দুই দিন লোকসান হওয়ায় আমরা আমাদের ব্যবসায় লোকসান গুনছি। তবে ক্রেতারা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বাজারে আসেন, আমি আশা করি আমরা আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: বিএনপি নেতা মকবুল গ্রেপ্তার
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। প্রতিটি মার্কেটের মালিক ও কর্মচারীদের আচরণগত প্রশিক্ষণও দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ওই দিনগুলোতে নিউ সুপার মার্কেটের সাড়ে তিন হাজার দোকান, নিউমার্কেটের সাত শতাধিক দোকান, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ৫০০ দোকান এবং গাউসিয়া মার্কেটের ৪০০ এর বেশি দোকান বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
এতে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
পুরো বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ক্রেতাদের পণ্য কিনতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটের সংঘর্ষই প্রমাণ করে দেশে কোনো সরকার নেই: ফখরুল
সাভার থেকে আসা গ্রাহক রকিবুল হাসান বলেন, ‘এখানে আমরা খুব কম দামে জিনিসপত্র কিনতে পারি। আমি এখানে আমার পরিবারের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার আমি এখানে আসতাম, কিন্তু সংঘর্ষের কারণে মার্কেট বন্ধ ছিল। আমি আশা করছি ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষতি পূরণ করতে সক্ষম হবেন।’
শুক্রবার সকালে নিউমার্কেটে আসা ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী আফরোজ বলেন, ‘আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের দামি পোশাক কেনার সাধ্য নেই। তাই আমরা নিউমার্কেট পছন্দ করি, কারণ এখানে আমরা যুক্তিসঙ্গত মূল্যে জিনিস কিনতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল আমার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংঘর্ষের কারণে আমার ও আমার পরিবারের জন্য ঈদের জামাকাপড় কিনতে দেরি হওয়ায়ে যেতে দেরি হলো।’
নিউমার্কেটে সংঘর্ষ
সোমবার মধ্যরাতে নীলক্ষেত মোড়ে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ ৩০ জনের বেশি আহত হয়।
সহিংস এ সংঘর্ষের ঘটনায় এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনটি মামলার মধ্যে নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ঢাকা কলেজের ৯০০ জন অজ্ঞাত ছাত্র ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর ভাংচুরের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষে নিহত ডিলিংক কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি ম্যান নাহিদ হোসেনের চাচা সৈয়দ বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে পুলিশ।
এর আগে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সহিংস সংঘর্ষে আহত আরও একজন বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ১৩০০
শিগগিরই ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন দেশে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালের কাজ শেষ হলে সেখান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এমন কথা জানান তিনি।প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও ইচ্ছা অনুযায়ী কোভিডের সময়ও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ বন্ধ হয়নি। এই সময়ের মধ্যেই রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণসহ অন্যান্য অনেক কাজ হয়েছে। ফলে এখন ওসমানী বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের হিথ্রোতে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে যে টার্মিনাল আছে সেটি সাধারণত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য এরকম টার্মিনাল উপযোগী নয়। তারপরও যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে, তাদের নির্দেশনা মতো এই টার্মিনাল দিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।মাহবুব আলী বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে। ১১৬টি পাইলিংয়ের মধ্যে আজ প্রথম পাইলিংয়ের বোরিং কাজ শুরু হয়েছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই টার্মিনালের কাজ শেষ করা হবে। এরপর শুধু হিথ্রো নয়, বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে এই বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু ২৫ ডিসেম্বর
শিগগিরই ঢাকা-নিউইয়র্ক বিমানের ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক থেকে একটি অডিট টিম আসছে। কিছুদিন পর তাদের দ্বিতীয় টিম আসবে। আমরা আশাবাদী খুব শিগগির নিউইয়র্কের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে পারবো। সিলেট থেকেও যাতে ভবিষ্যতে নিউইয়র্ক ও টরেন্টোতে ফ্লাইট পরিচালনা করা যায়, এ বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে।’সম্প্রতি বিমান ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির কারণে মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ভাড়া বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটা শুধু বিমানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আন্তর্জাতিক বিষয়। মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীরা সাধারণ ফ্লাইটের চার থেকে পাঁচ দিন আগে তাদের ভিসা হওয়ার সংবাদ পান। তাই কম সময়ের মধ্যে টিকেট কাটতে গিয়ে তাদেরকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। কিন্তু দেড়-দুই মাস আগে টিকেট কাটা গেলে এই সমস্যা থাকতো না। অর্ধেক মূল্যে তারা টিকেট কাটতে পারতো।বিমান ভাড়া নিয়ে দুর্ভোগের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যগামীদের কিভাবে ভর্তুকি দিয়ে সহযোগিতা করা যায় এটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। কোভিডের কারণে যাত্রীদের চাপ বেশি, অন্যদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ চলায় ফ্রিকুয়েন্সিও বাড়ানো যাচ্ছে না। বিমানবন্দর পুরোপুরি অপারেশনে যাওয়ার পর হয়তো এই সমস্যা থাকবে না।’
আরও পড়ুন: ফের চালু হচ্ছে সিলেট-চট্টগ্রাম বিমান ফ্লাইট
ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট চালু ৯ জানুয়ারি
রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় পুনরায় থ্রিজি-ফোরজি চালু
কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইন্টারনেট সেবা থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্ক পুনরায় চালু করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো।