%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশ টেকসই ফ্যাশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এখানে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত ২০৬টি সবুজ কারখানা রয়েছে। ৭৬টি প্ল্যাটিনাম-রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড-রেটেড সুবিধার কারখানা রয়েছে, এর মাধ্যমে পরিবেশগত বিষয়ে দেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
গত ছয় মাসে ১৬টি প্ল্যাটিনাম এবং ৮টি গোল্ড সার্টিফিকেশনসহ ২৪টি নতুন কারখানা সংযোজনের মাধ্যমে এই প্রবৃদ্ধি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিজিএমইএ'র পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ সম্প্রসারণের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বিজিএমএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের মুকুটে আরও ২টি প্লাটিনাম রেটেড লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশকে ২০৬টি লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা আবাসস্থলে পরিণত করেছে। এবারে সাফল্যটি আমাদের জন্য আরও বিশাল। গাজীপুরের এস. এম. সোর্সিং পোশাক কারখানাটি ১০৬ স্কোর করেছে; এই স্কোর ইউএসজিবিসি অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কোর। এর অর্থ হলো- গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেডের (ইউনিট-৪) রেকর্ডও (স্কোর-১০৪) ছাড়িয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল স্বীকৃতি। লিড প্রত্যয়িত দ্বিতীয় কারখানাটি হলো গাজীপুরের নাইস কটন লিমিটেড। এটি ৮১ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
বিশ্ববাজারকে পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনের দিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
রুবেল স্থায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতির গুরুত্বকে উল্লেখ করে আরও বলেন, শুধু প্রশংসার জন্য নয়, শিল্পের স্থায়ী সাফল্য ও কার্যকারিতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই অর্জনের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হলো, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি এলইইডি সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৪টি এখন বাংলাদেশে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি একটি মাইলফলক যা সম্ভবত আরও বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্ব আকর্ষণ করবে। এটি টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রুবেল আরও বলেন, বাংলাদেশে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার উত্থান পরিবেশগত স্থিতিশীলতার প্রতি পোশাক শিল্পের অবিচল নিষ্ঠা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
ফরিদপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা ফরিদপুরে নতুন ফসল আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।ফরিদপুর শহর ও আশপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইউএনবির প্রতিবেদক জানান, নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, যা পুরনো ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং পুরাতন পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। কয়েকদিন আগে নতুন পেঁয়াজ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব ও সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে প্রাথমিকভাবে পেঁয়াজ কাটা বিলম্বিত হয়। তবে পানি কমে যাওয়ায় কৃষকরা আংশিক ফসল তুলতে শুরু করেছেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ফরিদপুরে প্রাথমিকভাবে তিনটি জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। শীতকালীন মুড়িকাটা এবং গ্রীষ্মকালীন হালি ও ডানা।
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এক লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিবি প্রধানের
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ এশিয়ায় খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় মশলা রপ্তানির ওপর ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর শনিবার ঢাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ২০০-২২০ টাকা বা তার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩০ টাকা।
এটি ভোক্তাদের উচ্চ ব্যয়ের জীবনযাত্রার মধ্যে আরেকটি কষ্টকর পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
৩১ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে ভারত।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা নতুন কিছু না হলেও বাংলাদেশের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা হঠাৎ দাম বাড়ার জন্য ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোকে দায়ী করছেন।
তারা বলেন, নিষেধাজ্ঞাটি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে এবং এটি কেবল বাড়ানো হয়েছে এবং এটি বর্তমান পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগে। কিন্তু হঠাৎ করে দাম বাড়ানোর পেছনে বাজারের একদল নিয়ন্ত্রণকারী বা সিন্ডিকেট কাজ করেছে।
খুচরা বিক্রেতারা আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২০৪ টাকায়, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১০৫ থেকে ১২৫ টাকা এবং আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৯০-১১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ পাইকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেশের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। গত কয়েক দিন ধরে আকস্মিক বৃষ্টিও দামে প্রভাব ফেলেছে।
শুধু ঢাকায় নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাবনায় আজ সকালে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
পাইকাররা জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে জেলার পাইকারি বাজারে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
ঋণসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) আয়োজনে 'সেটেলমেন্ট অব ডকুমেন্টারি ক্রেডিট ডিসপিউটস থ্রু এডিআর: রিভিউ অব আইসিসি আরবিট্রেশন অ্যান্ড ডকডেক্স কেস’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এতে বলা হয়, কর্মশালায় বিআইবিএমের চারজনসহ ২৫টি ব্যাংকের ৯৬ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন আইসিসি বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয়।
এছাড়া কর্মশালায় বক্তব্য দেন আইসিসিবির মহাসচিব আতাউর রহমান এবং কর্মশালার প্রশিক্ষক কে এম লুৎফর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: সূত্র
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: সূত্র
আইএমএফের গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
দুই বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমদানি রপ্তানির চাহিদা কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল।কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর থেকে কমতে শুরু করে ডলারের মজুদ।আরও পড়ুন: আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রা রপ্তানি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএমএফের নির্দেশিকা (ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল) বা বিপিএম৬ এর আলোকে ২৩ নভেম্বর দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী নিট রিজার্ভ মোট রিজার্ভের পরিমাণের চেয়ে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার কম হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিদিন ব্যয় ও জমা হয়।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ার খবরে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটি দেশের একটি চলমান প্রক্রিয়া।
জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা বিপিএম৬ -এর প্রস্তাবিত একটি নির্দেশিকা বা সূত্র অনুযায়ী বৈদেশিক রিজার্ভ গণনা শুরু করে বাংলাদেশ।
নতুন হিসাব অনুযায়ী, সে সময় দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি: বিশ্লেষকরা
অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অবরোধ ও হরতালের রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের বিক্ষোভের দিনে অর্থনীতিতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হয়।
চলতি সপ্তাহে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন চাই। হরতাল বা অবরোধে প্রতিদিন সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাই আমরা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই।’
আমরা ধর্মঘট বা অবরোধ চাই না। ধর্মঘট বা অবরোধ অর্থনীতির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মহাসড়কে সহিংসতা সৃষ্টি করছে, যা বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ায় এবং পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ বেশি দামে পণ্য কিনছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের পূর্বে ক্রয় করা পণ্য সময়মতো পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, সরবরাহকারী ও পণ্য উৎপাদনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে: এফবিসিসিআই
হরতাল ও অবরোধের কারণে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায়শিল্পখাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এলসি খোলার জন্য ডলার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ এবং রমজান পর্যন্ত শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এফবিসিসিআই'র আহ্বানতিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবের পর উদ্যোক্তারা রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সৃষ্ট ক্ষতি সহ্য করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অসম্ভব এবং নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে জনগণের কল্যাণ আসবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাপক প্রচেষ্টায় এখানে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে।
অভ্যন্তরীণ অঙ্গনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বিদেশি ক্রেতাদের নেতিবাচক সংকেত দেবে বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে রপ্তানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা শিল্প খাতের টিকে থাকার পাশাপাশি তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য অপরিহার্য।
তাই সরকার ও বিরোধী দলের উচিত রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে হরতাল-অবরোধের পরিবর্তে বিকল্প কর্মসূচি নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি, তাই বিনিময় হার কমানো যৌক্তিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিবির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, গত বছর স্বল্পমেয়াদী বৈদেশিক ঋণের দায় ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে।
এছাড়া চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তাৎক্ষণিক ডলার পেমেন্ট দিয়ে এলসি খোলা হয়। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ এখন চাহিদার চেয়ে বেশি। ফলে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেডা) সিদ্ধান্ত সঠিক বলেও জানান ওই মুখপাত্র।আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
তিনি বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে মার্কিন ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়। ডলার পরিষেবা এবং পণ্য ক্রয় এবং পরিষেবা ঋণ এবং বৈদেশিক দায় পরিশোধ করতে ব্যবহৃত হয়।
এখন আমদানি মূল্য মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে ডলারের চাহিদা কমে গেছে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার এক বছরের ও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলারের বিনিময় হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ডলারের দাম ০.৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে ৩৩,২০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে বিজিবি
এছাড়া আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য ডলারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা।
বুধবার সন্ধ্যায় বাফেডা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এক বৈঠকে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী কিনতে ডলারের দাম হবে ১১০ টাকা এবং রপ্তানি আয় হবে ১১০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগে ছিল ১১১ টাকা।
তবে প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারে। এর ফলে সুবিধাভোগীরা অভ্যন্তরীণ প্রবাসী আয়ের জন্য ডলার প্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন বিবৃতি সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো এখনো ডলার প্রতি ১২১ টাকা বা তার বেশি হারে প্রবাসী আয় কিনছে।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এফবিসিসিআই'র আহ্বান
অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) গুলশান কার্যালয়ে বিরাজমান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতা, অর্থনীতিবিদ এবং এফবিসিসিআই এর সাবেক নেতাদের নিয়ে একটি মতবিনিময় এই আহ্বান জানানো হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা, ডলার সংকট, মূল্যস্ফীতি, বিলাসী পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, এলসিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবৎ দেশে অত্যন্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে যা ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়ছে। একই সঙ্গে, তৈরি পোশাক খাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা জাতীয় অর্থনীতিকে শঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি দেশের সাপ্লাই চেইনকে ভীষণভাবে বিঘ্নিত করছে। যার প্রভাব পণ্যের উৎপাদন, বাজার মূল্য এবং রপ্তানি ও সেবা খাতের উপরও পড়ছে। এসময় রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে সব ধরণের সহিংস কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক ও কর্মচারীদের চাহিদা অনুযায়ী মজুরি কমিশন গঠন এবং শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে মজুরি পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। তা সত্ত্বেও তৈরি পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। প্রকৃত শ্রমিকরা কোনভাবেই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে: এফবিসিসিআই
ডলার সংকট সমাধান এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বর্তমান সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সারাদেশের সকল চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ী সংহতি সমাবেশ আয়োজনের জন্য এফবিসিসিআইকে পরামর্শ দেন।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অর্থনীতির এই সংকটের মুহূর্তে রাজনৈতিক সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের বির্তকিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করতে এফবিসিসিআইকে কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও বিদ্যমান সহিংস কর্মসূচির বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এফবিসিসিআইকে আহ্বান জানান তিনি।
সভায় এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ডলারের উপর চাপ কমাতে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আরও সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আগামী ৬ মাস থেকে এক বছর সময়ে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানির হার আরও কমিয়ে আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কাট-ছাটের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করলেন সালমান এফ রহমান
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, প্রকৃত শ্রমিকরা কখনো নিজ কারখানায় আগুন দিতে পারে না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক মূখ্য সচিব ও এফবিসিসিআই এর প্যানেল উপদেষ্টা মো. আব্দুল করিম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ও প্যানেল উপদেষ্টা খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই এর প্যানেল উপদেষ্টা ড. মাসরুর রিয়াজ, আব্দুল মুক্তাদির, এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, শমী কায়সার, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বিকেএমইএ’র এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ,বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, নাসিব সভাপতি মির্জা নুরুল গণি শোভন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, এফবিসিসিআই’র পরিচালকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে এফবিসিসিআই: মাহবুবুল আলম
ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ আয়োজনে প্রস্তুত ই-ক্যাব
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) আবারও আয়োজন করছে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড (ইকমা)-২০২৩।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব জানায়, ইতোমধ্যে ইকমা-২০২৩ আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক জমকালো অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ই-ক্যাব জানায়, এ দেশের মানুষের নতুন স্বপ্ন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এই স্বপ্ন পূরণে ই-কমার্স শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এ শিল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে তাড়িত করে। শুধু তাই নয়, জনসাধারণের জীবনযাপনের মানেও আনে উন্নতির ছোঁয়া।
আরও পড়ুন: করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
ই-কমার্স সেক্টরের মার্কেট প্লেয়ারদের এই অসাধারণ অবদানকে সম্মানিত করা এবং স্বীকৃতি দেওয়াই ইকমা পুরস্কারের মূল লক্ষ্য।
মোট ২৭টি নমিনেশন ক্যটাগরির মাঝে থাকছে- সেরা ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস, সেরা পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম, সেরা লজিস্টিকস ই-কমার্সের জন্য, সেরা ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম, সেরা এমএফএস প্লাটফর্ম, সেরা পেমেন্ট গেট আওয়ে প্রভৃতি। যা ইন্ডাস্ট্রির পরিধির বহুদিককে উপস্থাপন করে।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এছাড়া, সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন সালমান এফ রাহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ব্যবসার ক্ষমতায়নের জন্য ই-ক্যাব এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে ই-কমার্স সেক্টরে একটি ইতিবাচক পরিবেশ প্রচার করতে চায়।
এছাড়া, ইকমা পুরস্কারের মতো সম্মানজনক স্বীকৃতি ই-কমার্স ইকোসিস্টেমকে সহজতর করতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: এফআইসিসিআই’র ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন
ডেনিম উদ্ভাবনের বৈচিত্র্য প্রদর্শনে ১৫তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো
করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
‘ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস’- সেবার মাধ্যমে ব্র্যাক আইটি’র কর্মীদের খাবার ও গ্রোসারি অর্ডার প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডার সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে ব্র্যাক আইটি।
এই অংশীদারিত্বের ফলে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট সেবার মাধ্যমে খাবার, গ্রোসারি ও অন্যান্য পণ্য অর্ডারে আকর্ষণীয় ডিলস এবং করপোরেট সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ পাবেন ব্র্যাক আইটির কর্মীরা।
চুক্তিটির ফলে ফুডপ্যান্ডা অ্যাপে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডারে বিশেষ ছাড় পাবেন ব্র্যাক আইটির কর্মীরা। ফুডপ্যান্ডা অ্যাপের মাধ্যমেই কর্মীদের জন্য সুবিধা অনুযায়ী অ্যালাওয়েন্স নির্ধারণ করতে পারবে ব্র্যাক আইটি। পরে তাদের কর্মীরা এসব অ্যালাওয়েন্স ফুডপ্যান্ডা অ্যাপে ই-ভাউচার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়াও ব্র্যাক আইটির অনুষ্ঠান, সভা বা বিশেষ আয়োজনে প্যান্ট্রি সল্যুউশন দেবে ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস নামের সেবাটি। এসব অর্ডার প্রক্রিয়া যাতে সহজ ও নির্বিঘ্ন হয় তাই ব্র্যাক আইটি’র জন্য একজন অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার থাকবেন। একটি অ্যাডমিন প্যানেলের মাধ্যমে এসব অর্ডার তাৎক্ষণিক ট্র্যাক করতে পারবে ব্র্যাক আইটি।
এই চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ব্র্যাক আইটি লিমিটেডের সিইও শাহরিয়ার হক; ব্র্যাক আইটি’র হেড অব এইচআর আহমেদ জাকারিয়া আমিন; ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের করপোরেট বিজনেস ডেভলপমেন্ট এর সিনিয়র ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান খান; ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের করপোরেট বিজনেস ডেভলপমেন্ট এর অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার হাবিব উর রহমান এবং ব্র্যাক আইটি’র এইচআর বিজনেস পার্টনার তাজুল ইসলাম দোলন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেল ফুডপ্যান্ডা
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব বি-টু-বি অ্যান্ড শেয়ারড কিচেন এইচএম নাফিস বলেন, ‘আমাদের করপোরেট সেবার মাধ্যমে আমরা প্রতিষ্ঠান এবং তার কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের সংযোগ তৈরি করতে চাই। তাদের নির্ঞ্ঝাট সুবিধা উপভোগের সুযোগ দিয়ে আমরা আমাদের সেবা যথাযথভাবে নিশ্চিত করি। আমাদের এই বি-টু-বি সেবার মাধ্যমে আমরা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরও সহজ করতে কাজ করি। যেখানে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা প্রাধান্য পেয়ে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্র্যাক আইটি’র কর্মীদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্বে আমি উচ্ছ্বসিত। প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সুবিধাজনক উপায়ে সেবা দিয়ে তাদের কার্যক্রমকে সহজ করার লক্ষ্যে আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব।’
ব্র্যাক আইটি লিমিটেডের সিইও শাহরিয়ার হক বলেন, ‘ফুডপ্যান্ডার সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আরও সহজে আমাদের খাবার ও গ্রোসারি চাহিদা পূরণে এবং ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে। আমাদের কর্মীদের জন্য এখন নির্বিঘ্নে খাবার প্রাপ্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি কর্মস্থলের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঝামেলাহীনভাবে পেতে ‘ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস’ নামের সেবাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, এর ফলে আমাদের প্রতিদিনকার জীবন আরও সহজ হবে।’
ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস একটি বি-টু-বি সেবা। যার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা আকর্ষণীয় ছাড়সহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের কোনো বিশেষ আয়োজন, সভা বা অনুষ্ঠানের জন্য প্রি-অর্ডার অপশন ব্যবহার করে করপোরেট ক্যাটেরিং সেবাও পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবারহ, কর্মীদের জন্য গিফট ভাউচার ও গিফট প্যাকেজ সুবিধাও পাওয়া যায় ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস এর মাধ্যমে। মাসভিত্তিক বিল সুবিধা ব্যবহারের ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো আরও সহজে তাদের ব্যয় শনাক্ত ও ব্যবস্থাপনা করতে পারে।
আরও পড়ুন: রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা