আইএমএফের গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
দুই বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমদানি রপ্তানির চাহিদা কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল।কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর থেকে কমতে শুরু করে ডলারের মজুদ।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রা রপ্তানি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএমএফের নির্দেশিকা (ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল) বা বিপিএম৬ এর আলোকে ২৩ নভেম্বর দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী নিট রিজার্ভ মোট রিজার্ভের পরিমাণের চেয়ে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার কম হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিদিন ব্যয় ও জমা হয়।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ার খবরে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটি দেশের একটি চলমান প্রক্রিয়া।
জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা বিপিএম৬ -এর প্রস্তাবিত একটি নির্দেশিকা বা সূত্র অনুযায়ী বৈদেশিক রিজার্ভ গণনা শুরু করে বাংলাদেশ।
নতুন হিসাব অনুযায়ী, সে সময় দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি: বিশ্লেষকরা