%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি নিবেদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) দেশটির উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ালে তা আত্মঘাতী হবে: এফবিসিসিআই
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এছাড়াও হাইটেক পার্ক ও ৬ লাখের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার থাকায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান।
এছাড়াও গত ১৩ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অভুতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল অর্থনীতি বাংলাদেশ। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সাপ্লাই চেইনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম তরুণরাও যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে আনবে।
ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচলিত খাতগুলোর বাইরেও নতুন নতুন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিকশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সভাপতি। ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, রোবোটিকস, ব্লকচেইন, স্পেস, বায়ো-হেলথসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানি রোধের পদক্ষেপ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে মুদ্রা বৈচিত্র্যকরণ সত্ত্বেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত সোমবার ছিল ৩৭ দশমিক শুন্য ৮ বিলিয়ন ডলার।
এই মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) এর জুলাই-আগস্টের বকেয়া এক দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ৩৭ দশমিক শুন্য ৬ বিলিয়ন হয়ে গিয়েছিল। গত বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ১১ দশকিম ৫ বিলিয়ন ডলার ।
এলসি কেনার জন্য মার্কিন ডলার বিক্রির চাপ, ভ্রমণ, চিকিৎসার খরচ এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মেটাতে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এটি হচ্ছে।
পড়ুন: আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক শুন্য ৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে 'স্থিতিশীলতা' আনতে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এবং চলতি অর্থবছর ২০২২-২৩-এ রিজার্ভ থেকে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, রেমিটেন্স বাড়লেও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে গেলেও কোন সমস্যা নেই। কারণ, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভ
বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
বর্তমানে দেশে কম আমদানি সত্ত্বেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে।
এলসি কেনার জন্য মার্কিন ডলার বিক্রির চাপ, ভ্রমণ, চিকিৎসার খরচ এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মেটাতে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এটি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভ
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ)-এর জুলাই-আগস্টের জন্য বকেয়া এক দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নামবে।
তিনি বলেন, ‘আগামীকালের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে।’
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত (১ সেপ্টেম্বর ২০২২) বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৭৬ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
সর্বমোট, দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: দেশে রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই: ফখরুল
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, রেমিট্যান্স বাড়লেও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমদানি কমছে; রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে। এ অবস্থায় মনে হচ্ছে আগামী দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। বাংলাদেশ এর আগে কোনো এক অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে এত বেশি পরিমাণ ডলার বিক্রি করেনি।
এছাড়া আগের অর্থবছরে (২০২০-২১), বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক রেকর্ড আট বিলিয়ন ডলার কিনেছিল।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের খাবার আমদানি করতে পারবো: শেখ হাসিনা
‘সেপা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য লাভজনক’
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেছেন, ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশদারিত্ব চুক্তিটি(সেপা) বর্তমানে আলোচনাধীন, যার মাধ্যমে উভয় দেশের লাভ হবে।
এটিতে উভয় পক্ষের লাভ হবে উল্লেখ করে শনিবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, এরূপ একটি কাঠামোগত চুক্তি ভবিষ্যতের বাণিজ্যকে এগিয়ে নিবে। বাংলাদেশ ও ভারত সেপা সমঝোতা সাক্ষরের জন্য প্রয়োজনীয় আলোচনা শুরু করতে চায়।
এ সপ্তাহে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এই বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা থাকবেন।
আরও পড়ুন: ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বন্ধনের অপার সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেয়।
গতবছরের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদি বাংলাদেশ সফরকালে উভয় পক্ষই সেপা’য় প্রবেশের বিষয়ে আলোচনা করেছিল।
দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে উভয় প্রধানমন্ত্রী অশুল্ক প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই -এর সাবেক সভাপতি মাতলুব বলেন, বাংলাদেশ যদি কোন সংকটের মুখোমুখি হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন গম, পেঁয়াজ, চিনি, তুলা ইত্যাদি তাৎক্ষণিক সরবরাহের বিষয়ে উভয় পক্ষেরই আলোচনা করা উচিৎ।
‘এটি পারস্পরিক হতে পারে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত যদি প্রয়োজনীয় কোন পণ্য সংকটের মুখোমুখি হয় এবং বাংলাদেশে তা সহজলভ্য থাকে তাহলে বাংলাদেশও সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারে।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাত এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে পারে সেক্ষেত্রে দু’দেশের সরকারকে সেই ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।
আরও পড়ুন: অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যম: বৈধভাবে টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন?
আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য টাটা পাওয়ার ডিডিএল ও ব্লকনটসের মধ্যে চুক্তি
পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টরে যোগ্য ও প্রশিক্ষিত জনশক্তির একটি বৃহৎ হাব তৈরি করার লক্ষ্যে উত্তর দিল্লির ৭০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যাকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি টাটা পাওয়ার দিল্লি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ব্লকনটসের সঙ্গে ভারতের নয়াদিল্লীতে একটি সমঝোতা স্মারকলিপিতে সাক্ষর করেছে।
এই চুক্তির অংশ হিসেবে টাটা পাওয়ার-ডিডিএলের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রামে টেকনোলজি পার্টনার হিসেবে কাজ করবে ব্লকনটস লিমিটেড।
এই চুক্তি পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টরের কর্মীদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীতা মেটাবে। চুক্তির ফলে দুই দেশের দুই শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও জনবলের সমন্বয় হবে যা ভারত, বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টরেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন টাটা পাওয়ার-ডিডিএলের চিফ এইচআর অ্যান্ড আইআর জনাব প্রবীণ আগরওয়াল ও ব্লকনটস লিমিটেডের চেয়ারম্যান তামিম হাসান।
সমঝোতা স্মারক নিয়ে প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, ‘সারা বিশ্বে প্রযুক্তির ল্যান্ডস্কেপ দ্রুত গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তি সফলভাবে প্রয়োগ করেছে টাটা পাওয়ার-ডিডিএল। ভারতে এবং সারা আমরা হ্যান্ডহোল্ডিং ডিস্ট্রিবিউশন ইউটিলিটিজ ও কেস স্টাডির মাধ্যমে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টরের কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নিজের সাফল্যের গল্প তুলে ধরতে সহায়তা করে চলেছি।’
তিনি বলেন, ‘ব্লকনটসের সঙ্গে এই সমাঝোতা চুক্তি, বাংলাদেশে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে টাটা পাওয়ার-ডিডিএলের অবস্থান আরও জোরদার করার দুর্দান্ত একটি পদক্ষেপ। পাওয়ার সেক্টরের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম সফলতার সাথে পরিচালিত হবে আমাদের এই প্রত্যাশা।’
সমাঝোতা চুক্তি বিষয়ে তামিম হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি দ্রুত বর্ধনশীল দেশ যেখানে বাংলাদেশ সরকার সকল ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। এই চুক্তিটি আমাদের পাওয়ার সেক্টরে লেটেস্ট টেকনোলজি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের দেশের পাওয়ার সেক্টরের কর্মীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে। পরিবর্তনের এই যাত্রায় আমাদের টেকনোলজি পার্টনার হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য টাটা পাওয়ার -ডিডিএল কে ধন্যবাদ জানাই এবং আমরা একসঙ্গে পরিবর্তনের সূচনা করবো এই প্রতাশা করি।’
এই চুক্তির অধীনে টাটা পাওয়ার- ডিডিএল কাস্টমাইজড অন সাইট প্রোগ্রাম এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম সহ নতুন প্রযুক্তি এবং জ্ঞান দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন অনুসারে ট্রেইনিং প্রোগ্রাম ডিজাইন করবে।
টাটা পাওয়ার-ডিডিএল ডিস্ট্রিবিউশন পাওয়ার সেক্টরে তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশেষ কোর্স তৈরি, বিকাশ এবং প্রদান করতে সাহায্য করবে আর ব্লকনটস এই প্রকল্পের টেকনোলজি পার্টনার হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: নেপাল থেকে বিদ্যু কিনতে ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে বাংলাদেশ
যৌথ নদী কমিশন: ঢাকা, দিল্লি পানি-বন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা
অফুরান উল্লাসে ৮ বছরে দারাজ
‘৮ বছরের অফুরান উল্লাস ধন্যবাদ, বাংলাদেশ!’-এই স্লোগান নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ নিজেদের আট বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে এক বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনটির উদ্বোধন করা হয়।
দারাজের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এ ক্যাম্পেইনটি চলবে ৪-১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সফলতার আট বছ পদার্পণের মূহুর্তটি অফুরন্ত উল্লাসের মাধ্যমে অবিস্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ বর্ষপূর্তি ক্যাম্পইন নিয়ে এসেছে দারাজ বাংলাদেশ। দেশব্যাপী দারাজের অগণিত ক্রেতা ও সহযোগীদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে এই ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হচ্ছে।
নিজেদের যাত্রায় উদ্ভাবন ও ব্যবসায়িক উৎকর্ষে প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে দেশের মানুষের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে দারাজ।মাত্র ৫ জন কর্মী এবং একটি ওয়েবসাইট নিয়ে আট বছর আগে যাত্রা শুরু দারাজের। ৭০ লাখের বেশি ক্রেতা ও ৪১ হাজার বিক্রেতা নিয়ে দারাজ এখন দেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।
দারাজের এই সফলতার পেছনের রয়েছে দেশজুড়ে অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতা, সহযোগী ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা। তাদের এই সহযোগিতাকে স্মরণীয় করে রাখতে আট বছরপূর্তির এই ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দারাজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী বিয়ারকে মিকেলসেন।
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
আট বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন নিয়ে তিনি বলেন, ‘দারাজ বাংলাদেশ একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। এটাই দারাজ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের দক্ষ কর্মীদের মাধ্যমেই দারাজ বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ দারাজ গ্রুপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দারাজ গ্রুপ থেকে এ মার্কেটকে সম্ভাবনাময় হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি এবং এ দেশের ই-কমার্স অবকাঠামো ও ইকোসিস্টেমের বিকাশে দারাজের শেয়ারহোল্ডাররা আগামী ৩-৪ বছরে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ ও ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে টেকসই ই-কমার্স ব্যবসা ও ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দারাজের গ্রুপের সিওও জর্নিকা জাফিরোভা, দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান, চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাব্বির হোসাইন এবং চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মো. রিয়াদ হোসেন সহ দারাজের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েনসার, অভিনেতা ও মডেলরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘সাত বছরের দীর্ঘ যাত্রায় দারাজ বাংলাদেশ অনেক মাইলফলক অর্জন করেছে, যা ই-কমার্স খাত এবং দারাজ বাংলাদেশের জন্য সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্বল্পসময়ে নিজেদের শীর্ষ অবস্থানে নিতে সফল হয়েছি। আমাদের ৫০ হাজারের বেশি সেলার পার্টনার রয়েছে। এর মাধ্যম, আমাদের বিশ্বাস আমরা দেশজুড়ে ই-কমার্সের পরিধি বিস্তৃত করতে পেরেছি এবং সমাজের রূপান্তর ও ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা পরিবর্তনে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করেছি। এক্ষেত্রে, আলিবাবার বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান বলেন,‘বর্তমানে, দেশের রিটেইল পণ্য বিক্রিতে ই-কমার্স খাতের হিস্যা মাত্র ১-২ শতাংশ। আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এক্ষেত্রে ই-কমার্স নিয়েও আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আারও বলেন, ‘বিগত সাত বছর ধরে দারাজ দেশজুড়ে ই-কমার্স সেবার বিস্তৃতি এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা পরিবর্তনে তাদের সচেতন করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে,আমরা আমাদের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একটি মেগা ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছি। যার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা আকর্ষণীয় নানা ডিল উপভোগ করতে পারবেন।’
বর্ষপূর্তির আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে দুর্দান্ত সব অফার দিয়ে ক্যাম্পেইনটি সাজিয়েছে দারাজ। ক্রেতাদের জন্য দারাজ দিচ্ছে ব্র্যান্ড-ফ্রি শিপিং, মিস্ট্রি বক্স, ফ্ল্যাশ সেলস, হট ডিলস এবং মেগা ডিলস সহ আকর্ষণীয় আরও অনেক অফার। ক্রেতাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে দারাজের এই ক্যাম্পেইনে দেয়া হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ, গেমিফিকেশন গিভঅ্যাওয়ে, ভাউচার, পেমেন্ট অফার, নিউ ইউজার গিফট, ফ্ল্যাশ পাজল চ্যালেঞ্জ, এক্সক্লুসিভ লঞ্চ এবং বিশেষ ইএমআই সুবিধার মতো দারুণ সব অফার।
ক্যাম্পেইনটির সহযোগী স্পন্সর হিসেবে আছে ডেটল, বাটা, ওরাইমো গ্লোবাল, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, সিঙ্গার, শাওমি এবং লোটো। ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে আছে ফ্যাব্রিলাইফ, লাক্স, পিউরইট, মোশন ভিউ, লিভিংটেক্স, মটোরোলা, ইনফিনিক্স, রিবানা, ম্যাসকিউলিন, গোদরেজ, হাইয়ার, প্যারাসুট ন্যাচরাল, ফার্নিকম এবং স্কেয়িন।
এছাড়াও, ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে জায়নাক্স হেলথ, লেভিশ বুটিক স্যালন, নাহিলা হেদায়েতের প্রিভে, গালা মেইকওভার এন্ড স্যালন, আনিকা বুশরার স্প্লেন্ডর এবং এশা রুশদির পাউডার রুম।
আরও পড়ুন: দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
জন্মাষ্টমী: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তনি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগামী শনিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে এ বন্দর দিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
পড়ুন: যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে সারাদেশে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে
ইউএস-বাংলার ব্যাংকক রুটের ‘টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি’
ঢাকা, ১০ আগস্ট (ইউএনবি)-দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পর শুরু হতে যাওয়া ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ‘টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি’ এর আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। করোনা পরবর্তী বাংলাদেশি পর্যটকদের থাইল্যান্ডের বিভিন্ন আকর্ষণীয় গন্তব্যে ভ্রমণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। পর্যটকদের ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় করতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। যাত্রা শুরুর প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশি পর্যটকদের দুটি টিকেট কিনলেই দুই রাত হোটেল ফ্রি অফারটি দিচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
অফারটি ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। অফারের অন্তর্ভূক্ত হোটেলগুলোর মধ্যে ব্যাংককের অত্যন্ত জনপ্রিয় হোটেল ম্যানহাটন সুকুমভিত, অ্যাম্বাসেডর হোটেল, গ্র্যান্ড প্রেসিডেন্ট হোটেল রয়েছে। আকর্ষণীয় এ অফারটি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যেকোনো নিজস্ব সেলস্ কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার খরচে পাইলট হবার সুযোগ
প্যাকেজের নূন্যতম খরচ জনপ্রতি ৩৮ হাজার টাকা। অফারটি প্রাপ্ত বয়স্ক দুইজন পর্যটক এর জন্য প্রযোজ্য হবে। এছাড়া প্যাকেজে বুফে ব্রেকফাস্ট অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। শর্তসাপেক্ষে অতিরিক্ত রাত ও বাচ্চাদের জন্য প্যাকেজটিতে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
‘টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি’ অফারটি মালদ্বীপের রাজধানী মালে ও বাংলাদেশের অন্যতম গন্তব্য কক্সবাজারে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। মালদ্বীপ ও কক্সবাজারে অফারটি সংগ্রহের সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রয়েছে। মালে ও কক্সবাজারে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অফারে ভ্রমণ করা যাবে।
অফারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইউএস-বাংলার সকল সেলস কাউন্টারে অথবা ০১৭৭৭৭৭৭৮৮১-৮৮৩ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বাড়ল চেন্নাই ও মালেতে
বাংলাদেশে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ মানতিতস্কি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে তিন লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।
প্রাথমিকভাবে তিনি তিন লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও গম রপ্তানীসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী রাশিয়ার গম রপ্তানির আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পূনর্গঠনে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
এসময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩.৯৮ বিলিয়ন ডলার
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
গত অর্থবছরে ঘাটতি এবং পরিশোধের ভারসাম্যের ব্যবধান বাড়ার মধ্যে মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জুলাইয়ে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই মাসে ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ছিল। এতে দেখা যায় রপ্তানি আয় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
সরকার জুলাইয়ের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন। মাস শেষে রপ্তানি ৬০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তবে, জুনের তুলনায় জুলাই মাসে রপ্তানি প্রায় এক দশমিক শুন্য বিলিয়ন কমেছে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
জুলাইয়ের রপ্তানি তথ্য অনুসারে, নিট এবং বোনা পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
গত বছরের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তবে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সেবা খাত থেকে বাংলাদেশ অর্থবছরে ৭ দশমকি ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যের বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমকি ৬৭ শতাংশ বেশি।
সরকার চলতি অর্থবছরে ১৫ শতাংশ ঋণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং ৬৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর