ক্রিকেট
জ্যোতি পাচ্ছেন শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২
শেরপুরের মেয়ে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি পাচ্ছেন শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২।
রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নির্বাচিতদের হাতে এ পুরষ্কার তুলে দেয়া হবে।
ক্রীড়া ক্যাটাগরিতে জ্যোতিকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো: জ্যোতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এ অ্যাওয়ার্ড দিবেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা এবং সম্মমনা স্মারক দেয়া হবে।
বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য এবার পাঁচটি ক্যাটাগরিতে সারাদেশে ১১ জনকে এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত করেছে।
জ্যোতি বর্তমানে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটর বাছাইপর্বের খেলায় অংশগ্রহণের জন্য দলের সঙ্গে দুবাই অবস্থান করছেন। তার পক্ষে বাবা মো. সিরাজুল হক পুরষ্কার গ্রহণ করবেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শেরপুর শহরের রাজবল্লভপুর মহল্লার বাসিন্দা ক্রিকেটার নিগার সুলতানা জ্যোতি’র বাবা মো. সিরাজুল হক এবং সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান জ্যোতির শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, ৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে জ্যোতির অ্যাওয়ার্ড পাওয়া সংক্রান্ত পত্রটি তার পরিবার হাতে পেয়েছেন। জ্যোতি আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাইপর্বের খেলায় অংশগ্রহণের জন্য দলের সঙ্গে দুবাই অবস্থান করায় তার পক্ষে বাবা মো. সিরাজুল হক পুরষ্কার গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: শচীন টেন্ডুলকারের এক শব্দের টুইট ‘ক্রিকেট’
জ্যোতির শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পাওয়ায় শেরপুরের ক্রীড়াঙ্গনসহ সর্বস্তরে বইছে আনন্দের ঢেউ।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে জ্যোতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি শেরপুরবাসীর কাছে জ্যোতির উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।
নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ জ্যোতিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সে আমাদের স্টার। দেশের গর্ব। আমি আশাবাদী জ্যোতির নেতৃত্বে এবার বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল আইসিসি বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে নতুন ইতিহাস গড়বে।
শেরপুরের মেয়ে নিগার সুলতানা জ্যোতি বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের একজন নিয়মিত সদস্য। দলে তিনি মূলত: উইকেট-কিপারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পাশাপাশি ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবেও দলে ভূমিকা রাখছেন।
২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচীতে টি-২০ এবং একই দলের বিপক্ষে ৬ অক্টোবর ওয়ানডে অভিষেক ঘটে। উইকেট কিপিং, ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অদিনায়কত্বের দায়িত্বও পালন করছেন।
নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কারিগর এই উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান নিগার সুলতানা জ্যোতির জন্ম ১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট।
জ্যোতি প্রথম শ্রেণিতে শেরপুরের অধুনালুপ্ত জে আর পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়। পরের বছর চলে যান নবারুণ পাবলিক স্কুলে। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এসএসসি পাশ করে। পরে শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে রাজধানীর উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিষয়ে সম্মান প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছেন।
খেলাধুলা, লেখাপড়ার পাশপাশি অবসর সময়ে শেরপুর আইডিয়াল ক্রিকেট একাডেমিতে উঠতি ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও দরিদ্র খেলোয়াড়দের উপকরণ সহায়তা দিয়ে থাকেন।
যুব উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায় ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডেও তিনি ভুমিকা রাখছেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
অবিশ্বাস্য জয় পেল পাকিস্তান!
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের চতুর্থ ম্যাচে ১৩০ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট হাতে নামে পাকিস্তান টি টোয়েন্টি টিম। আফগানদের কড়া ফিল্ডিংয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থায় শেষ মুহূর্তে ১৯ ওভার ২ বলে ৯ উইকেটে ১৩১ রান করে সুপার ফোরের এই ম্যাচে বিজয় নিশ্চিত করে বাবর আযমরা।
খেলার শেষ সময়টাতে চরম উত্তেজনা তৈরি হয় দুই শিবিরে। একের পর এক উইকেটের পতন হতাশায় ফেলে দিয়েছিল পাক দলকে। তবে পরপর দুটি চার ছক্কা সংকট কাটিয়ে তুলে পাল্টে দেয় খেলার দৃশ্যপট।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়
পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক) ফখর জামান, ইফতেখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও শাহনেওয়াজ ধনি।
আফগানিস্তান একাদশ
হজরতউল্লাহ জাজাই, রাহমানুল্লাহ গুরবাজ(উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, নাজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মোহাম্মদ নবি(অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমাতুল্লাহ উমারজাই, নাভিন উল হক, মুজিব-উর রহমান, ফজলহক ও ফারুকী।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ১৩০ রানের টার্গেট দিল আফগানরা
ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
পাকিস্তানকে ১৩০ রানের টার্গেট দিল আফগানরা
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের চতুর্থ ম্যাচে পাকিস্তান দলকে ১৩০ রানের টার্গেট দিল আফগান টি টোয়েন্টি টিম। পাকিস্তানের দোদর্ন্ড বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে বিশ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে আফগান দল সংগ্রহ করে মাত্র ১২৯ রান।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়
পাকিস্তান দল (১১)
বাবর আযম (ক্যাপ্টেইন), মোহাম্মদ রিজওয়ান(উইকেট কিপার) ফখর জামান, ইফতেখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও শাহনেওয়াজ ধনি।
আফগানিস্তান একাদশ
হজরতউল্লাহ জাজাই, রাহমানুল্লাহ গুরবাজ(উইকেট কিপার), ইব্রাহিম জাদরান, নাজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মোহাম্মদ নবি(অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমাতুল্লাহ উমারজাই, নাভিন উল হক, মুজিব-উর রহমান, ফজলহক ও ফারুকী।
৬ উইকেটে জিতল শ্রীলঙ্কা
টি টোয়েন্টি এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতকে ৬ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা। টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। এরপর মাত্র ১৭৩ রানে রোহিত শর্মার দলকে প্যাকেট করে ফেলে।
এরপর লঙ্কানরা ১৭৪ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নামে। ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যায় লঙ্কান বাহিনী।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়।
ভারতের একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পান্ত, দিপক হুদা, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল, অর্শদ্বীপ সিং, রবি বিষ্ণয়।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
কুশল মেন্ডিস, রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা(অধিনায়ক), হাসারাঙ্গা, নিশানাকা, করুনারত্মে, গুনতিলাকা, আসালাস্কা, থিকসানা, মাদুশঙ্কা,আসিথা ফার্নান্দো।
আরও পড়ুন: ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
শ্রীলঙ্কাকে ১৭৪ রানের টার্গেট দিল ভারত
এশিয়া কাপ ২০২২: ভারতকে পরাস্ত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২
শ্রীলঙ্কাকে ১৭৪ রানের টার্গেট দিল ভারত
টি টোয়েন্টি এশিয়া কাপের সুপার ফোরে টসে হেরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারত ৮ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে। সুপার ফোরে এটি ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচ।
এই প্রতিদেন লেখা পর্যন্ত ১৭৪ রানের টার্গেট নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাট হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছে লঙ্কানরা। এখন পর্যন্ত কোন উইকেট না হারিয়ে ৬ ওভারে ৫৭ রান সংগ্রহ করেছে কুশল মেন্ডিস ও জুটি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়।
ভারতের একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পান্ত, দিপক হুদা, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল, অর্শদ্বীপ সিং, রবি বিষ্ণয়।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
কুশল মেন্ডিস, রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা(অধিনায়ক), হাসারাঙ্গা, নিশানাকা, করুনারত্মে, গুনতিলাকা, আসালাস্কা, থিকসানা, মাদুশঙ্কা,আসিথা ফার্নান্দো।
আরও পড়ুন: ৬ উইকেটে জিতল শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কাকে ১৭৪ রানের টার্গেট দিল ভারত
ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে রবিবার রাতে দুবাইয়ে ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। ভারতে দেয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এক বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানের হয়ে ওপেনার রিজওয়ান ৫১ বলে ৭১ এবং নওয়াজ ২০ বলে ৪২ রান করেন।
ভারতের পাঁচ বোলারই একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৮১ রান করে রোহত শর্মার দল। দলের পক্ষে সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন। এছাড়া দুই ওপেনার রোহিত ১৬ বলে ২৮ এবং রাহুল ২০ বলে ২৮ রান করে করেন।
পাকিস্তানের হয়ে শাদাব ৩০ রানে দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
এর আগে ২৮ আগস্ট গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত।
পড়ুন: এশিয়া কাপ ২০২২: পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারাল ভারত
এশিয়া কাপ ২০২২: ভারতকে পরাস্ত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২
এশিয়া কাপ ২০২২: ভারতকে পরাস্ত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২
টি টোয়েন্টি এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোর-এর ম্যাচে ভারতকে ভরসা দিল বিরাটের ব্যাট। বিরাট কোহলির অর্ধশতকের ওপর নির্ভর করে ভারতের সংগ্রহ ১৮১/৭।
দুবাইয়ে রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৫.১ ওভারে ৫৪ রান করে।
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২৮ রান করেন ১৬ বলে এবং তার সঙ্গী লোকেশ রাহুল ২০ বলে করেন ২৮ রান।
রোহিতকে সরিয়ে দেন শাদাব খান এবং লোকেশকে আউট করেন হারিস রউফ।
ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬০ রান করেন বিরাট কোহলি।
চলমান এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের প্রথম জয়ের নায়ক হার্দিক পান্ডিয়া আউট হন শূন্য রানে।
পাকিস্তানের হয়ে শাদাব ৩০ রানে দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ: টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান
দুবাইতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের সুপার ফোরে রবিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
এর আগে গ্রুপ পর্বের খেলায় একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। যেখানে ভারতের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেছেন, এই ম্যাচে তারা ইতিবাচকভাবে খেলতে যাচ্ছে।
এদিকে বেশকিছু পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে রোহিত শর্মার দল। হার্দিক পান্ডিয়া, দিপক হুদা ও তরুণ লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণয় একাদশে জায়গা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:
ভারতের একাদশ: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পান্ত, দিপক হুদা, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল, অর্শদ্বীপ সিং, রবি বিষ্ণয়।
পাকিস্তানের একাদশ:
বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, ইফতেখার আহমেদ, খুশদীল শাহ, শাদাব খান, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, হ্যারিস রউফ, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন।
আরও পড়ুন: শচীন টেন্ডুলকারের এক শব্দের টুইট ‘ক্রিকেট’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
রবিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিন। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে এবং ঘরোয়া পর্যায়ে টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন।
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বাজে পারফরমেন্সের পরই এই ঘোষণা আসে। আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কোন খেলাই জিততে পারেনি। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সুপার ফোরে খেলার আগেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন মুশফিক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিম
ফেসবুক পেজে মুশফিক বলেন, দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের যাত্রায় আমি আপনাদের সবাইকে পাশে পেয়েছি। ভাল এবং খারাপ দুই সময়েই আপনাদের অকুন্ঠ সমর্থন আমার প্রেরণা। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে আজ আমি অবসর নিচ্ছি। তবে, বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাবো। আশা করছি এই দুই ফরম্যাটে আমি আরো কিছু নিয়ে আসতে পারবো দেশের জন্য।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সহ অন্যান্য ফ্রেঞ্চাইজি লিগে আমি আমার খেলা চালিয়ে যাবো টি- টোয়েন্টি ফরম্যাটে।’
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি শুরু করেন মুশফিক। ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে উভয়ের জন্যই প্রথম টি-টোয়েন্টি। এরপর থেকে মুশফিক দেশের হয়ে ১০২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ছয়টি অর্ধশতকের সাহায্যে তিনি মোট ১৫০০ রান করেছেন।
আরও পড়ুন: অনুশীলনে এবার চোট পেলেন মুশফিকুর রহিম
নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো হলে পাকিস্তান যাব: মুশফিকুর
শচীন টেন্ডুলকারের এক শব্দের টুইট ‘ক্রিকেট’
ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার মার্কিন ট্রেন পরিষেবা প্রদানকারী অ্যামট্রাক এর শুরু করা ‘এক-শব্দের টুইট’ ব্যান্ডওয়াগন ট্রেন্ডে যোগ দেয়া সর্বশেষ পাবলিক ফিগার।
শুক্রবার সকালে ৪৯ বছর বয়সী সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক টুইট করেছেন ‘ক্রিকেট’।
শচীন তার নিজের শহর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তার ২০০ তম টেস্ট ম্যাচ খেলার পর ২০১৩ সালে অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
১৯৮৯ সালের নভেম্বরে করাচিতে ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে টানা ২৪ বছর তিনি তার ক্যারিশমায় বুদ করে রেখেছিলেন ক্রিকেট প্রেমিদের।
সাবেক এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান তার ক্যারিয়ারে দুবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: শচীন টেন্ডুলকার করোনায় আক্রান্ত
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বকালের সর্বোচ্চ রানের মালিক শচীনের ঝুলিতে রয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি রান।
শচীন ২০০ টি টেস্ট খেলা বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি ৪৬৩ ওয়ানডেতে ৪৪.৮৩ গড়ে ১৮ হাজার ৪২৬ রান করেছেন এবং ২০০ টেস্টে ১৫ হাজার ৯২১ রান সংগ্রহ করেছেন।
২০১৪ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি শচীনকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
২০১০ সালে টাইম ম্যাগাজিন শচীনকে তার বার্ষিক টাইম ১০০ তালিকায় ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।
অবসর নেয়ার পর থেকে ‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’ শচীন ভারতের তরুণদের জন্য স্টার্টআপ কমিউনিটিতে একজন আদর্শ মেন্টোরের ভূমিকা পালন করে তার ভক্তের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছেন।
আরও পড়ুন: শচীন টেন্ডুলকার হাসপাতালে ভর্তি