এশিয়া
যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা: মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সমর্থনে আইনি পদক্ষেপ
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় স্টার শিপ গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েস গ্রুপ কোম্পানিস লিমিডেট(আইজিজি) ও স্কাই কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিডেট রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের তৎপরতা ও রাজস্ব আয় সীমিত করতে তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী আমান্ডা মিলিং যুক্তরাজ্যের এই মনোভাবের কথা নিশ্চিত করেছেন। আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলায় হস্তক্ষেপ করতে এটি করছেন।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মিয়ানমার জেনোসাইড কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে কিনা তা এই মামলার রায়ে নির্ধারণ হবে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে।
পড়ুন: মিয়ানমারে সহিংসতায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা ও সাত লাখ ৪০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী যৌন নির্যাতন, শিশুদের নির্যাতন করে মাটিতে পুঁতে ফেলা এবং গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার মতো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এগুলো হলো সেনাবাহিনীর দায়মুক্তির জন্য কর্মকান্ড এবং যুক্তরাজ্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে মিয়ানমারের বিরোধী গণতন্ত্রপন্থীদের দমন করতে তারা একই কৌশল নিয়েছে।
যুক্তরাজ্য নিশ্চিত যে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জাতিগত নিধন করা হয়েছে, এবং এখনও মিয়ানমারে যে বর্বরতা চলছে তা বন্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দায় নিতে হবে।
আমান্ডা মিলিং বলেন, যারা আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ছোট ও ধ্বংস করতে চায় যুক্তরাজ্য সব সময় তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
‘পাঁচ বছর ধরে আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করে পাশে আছি এবং ভয়ানক জাতিগত ধ্বংসযজ্ঞের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিন্দা জানিয়েছি।
মন্ত্রী মিলিং বলেন, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলায় মধ্যস্থতা এবং নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ২০১৭ সালের নৃশংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার অর্থনীতি ও অস্ত্র
সরবরাহ সীমিত করাতে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থনের ব্যাপারে শক্তিশালী বার্তা দেয়। ২০১৭ সালের সহিংসতার লক্ষ্য ছিল রোহিঙ্গাদের পরিচয় ও ভবিষ্যৎ বংশধর ধ্বংস করা।
রাখাইন রাজ্যে থাকা ৬ লাখ রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং নিয়মিত বৈষম্যের মাধ্যমে তাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা সীমিত করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য আবারও ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনকে উদ্ধৃত করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্য ২০১৭ সাল থেকে শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রয়োজনীয় খাবার, তাবু, পয়নিষ্কাশন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা খাতে ৩৩০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সত্য আড়ালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
মিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থাকা অবশিষ্ট কয়েক লাখ রোহিঙ্গার সংকট এবং নির্যাতনের শিকার হওয়ার কারণগুলোর সমাধান আন্তর্জাতিকভাবে অবশ্যই সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে।
রোহিঙ্গা সংকটের পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে ইইউ কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বোরেল, কমিশনার লেনারসিক এবং কমিশনার উরপিলাইনেন বলেন, ‘ইইউ আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারিক কার্যক্রমকে পূর্ণ সমর্থন করে।’
ইইউ শরণার্থী রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে নিরাপদে, স্থায়ীভাবে ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরিয়ে আনার পক্ষে কাজ চালিয়ে যাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউরোপীয় কমিশন রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত অপরাধের সম্পূর্ণ দায় মিয়ানমারের নিশ্চিত করতে স্বাধীন তদন্ত কৌশলের কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন করে রাখাইন রাজ্য থেকে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করে দেশ ত্যাগ হতে বাধ্য করে, যার প্রত্যক্ষদর্শী হয় বিশ্ববাসী।
যারা সেখান থেকে বিতারিত হয়েছিল তাদের বিপুল সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অস্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাঁচ বছর পরও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ও তাদেরকে নিজভূমিতে ফেরার শর্ত তৈরি করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হলেও রোহিঙ্গাদের ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের কয়েক দশক ধরে আশ্রয় দিয়ে আসছে। যা ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীর নিরাপত্তা এবং মৌলিক মানবিক চাহিদা সরবরাহ
নিশ্চিত করার হার বৃদ্ধি পেয়ে দশ লাখে দাঁড়িয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইইউ আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে মানবিক ও সংকটকালীন সহযোগিতা করতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে। পাঁচ বছর পর এককভাবে মানবিক সহযোগিতা করার সীমাবদ্ধতায় এসে পৌঁছেছে।’
এতে বলা হয়, তাদের প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত এই সংকটের মাত্রাগুলিকে চিহ্নিত করা, মানবিক, উন্নয়ন এবং শান্তির জন্য আরও টেকসই অন্তবর্তীকালীন সমাধানগুলো চিহ্নিত করা ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
এই প্রক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তি ও পুণর্মিলনের আন্তর্জাতিক সংলাপে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
মিয়ানমার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষদের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ ভয়ঙ্কর সব অপরাধ করেছে।
পড়ুন: স্বাভাবিক জীবনের অপেক্ষায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এসব অপরাধের জবাবদিহি প্রয়োজন। আজকের সামরিক নেতৃত্বাধীন
মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করার তীব্র নিন্দা পুর্নব্যক্ত করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ মিয়ানমারের সকল মানুষ, অন্যান্য সংখ্যালুঘু এবং তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্খার প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন জ্ঞাপন করে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন।
জাপানের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মোদি সম্ভবত ২৭ সেপ্টেম্বর নিপ্পন বুডোকানে আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ নেয়ার জন্য টোকিওতে যাবেন।
৮ জুলাই নারা শহরে প্রচারণায় বক্তৃতা দেয়ার সময় এই সাবেক জাপানি প্রধানমন্ত্রী একজন সাবেক নৌবাহিনীর কর্মকর্তার গুলিতে আহত হন। বিমানে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মোদি লেখেন, 'আমার একজন প্রিয় বন্ধু শিনজো আবের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমি স্তব্ধ ও শোকাহত। তিনি ছিলেন বিশ্বের একজন ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ, একজন অসামান্য নেতা এবং একজন অসাধারণ শাসক। তিনি জাপান ও বিশ্বকে আরও উন্নত করার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন:আমি নির্বাচন নিয়ে ভারত সরকারকে কিছু বলিনি: ড. মোমেন
ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানে ভুল করে একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দায়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তদন্ত আদালত কর্তৃক অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ার পর মঙ্গলবার তাদের বরখাস্ত করা হলো।
গত ৯ মার্চ ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্য পাঞ্জাবের বিমান ঘাঁটি থেকে দুর্ঘটনাজনিতভাবে একটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অভ্যন্তরে পতিত হয়েছিল।
এরপর ১১ মার্চ ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলে, ‘৯ মার্চে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হয়। ভারত সরকার বিষয়টি কঠোরভাবে দেখছে এবং উচ্চ পর্যায়ের আদালতের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।’
সূত্র বলছে, দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪০০ কিলোমিটার দূরবর্তী জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য বিমানবাহিনীর তিন কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং বরখাস্ত করে।
এই দুর্ঘটনার পরদিন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতেখার বলেছিলেন, ‘৯ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে ভারতের অভ্যন্তর থেকে একটি উচ্চ গতিসম্পন্ন বস্তু উড়ে এসেছে পাকিস্তানে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিক গতিপথ বিচ্যুত হয়ে এটি পাকিস্তান সীমায় প্রবেশ করে পাকিস্তানেই আছড়ে পড়ে। ফলে কোনো মানুষ হতাহত না হলেও সাধারণ মানুষের কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিতর্কিত কাশ্মীর এলাকাকে ঘিরে ১৯৪৭ সাল থেকে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত কমপক্ষে তিনবার বড় ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ তীর্থযাত্রী নিহত, আহত ২০
আমি নির্বাচন নিয়ে ভারত সরকারকে কিছু বলিনি: ড. মোমেন
যুদ্ধ: ইউক্রেনে রেকর্ড মানবিক সহায়তা সংকটের মুখে জাতিসংঘ
ইউক্রেনে মানবিক সহায়তার চাহিদা ক্রমবর্ধমান অবস্থায় জাতিসংঘ রেকর্ড সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। তহবিল সংকটে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো তাদের কর্মসূচি বাতিল করছে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, ধনী দেশগুলো থেকে এবছর সহযোগিতার পরিমাণ বেড়েছে, কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় কম। ফলে এই তহবিল দিয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে না পারায় সংকট জটিল পরিস্থিতিতে রূপ নিচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও জরুরি ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান মার্টিন গ্রিফথস বলেন, ‘তহবিলের এই বিরাট সংকট আগে কখনও আমরা দেখিনি, যাদের সহায়তা দরকার তাদের দ্রুত দেয়া দরকার।’
আরও পড়ুন: কসমস-বিআইপিএসএস গোলটেবিল: ইউক্রেন সংঘাতের বিরূপ প্রভাব কাটাতে বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে
ইউক্রেনীয় শস্য বহনকারী প্রথম জাহাজ ওডেসা বন্দর ছেড়েছে
ইউক্রেনের শস্য বহনকারী জাহাজ ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে
দুর্নীতির মামলা: নাজিবের ১২ বছরের সাজা বহাল
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাকের দুর্নীতির মামলায় ১২ বছরের সাজা মওকুফের চূড়ান্ত আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির উচ্চ আদালত। ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ রাষ্ট্রীয় তহবিলের অর্থ লুটপাটের দায়ে তাকে আদালত ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সাজা বহালের পাশাপাশি শুনানিতে আদালত বলেছেন, নাজিব দায় এড়াতে পারেন না।
নাজিব আপিল আবেদনে নতুনভাবে বলেন, প্রধান বিচারপতি মাইমুন তন ম্যাট-এর স্বামী জামানি ইব্রাহিম, যিনি পাঁচ সদস্যের ফেডারেল আদালতের নেতৃত্বে আছেন তিনি ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদের কেলেঙ্কারিকে জটিল করে তুলেছেন।
আদালতে আইনজীবীর পড়া হলফনামায় নাজিব বলেন, ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে নাজিব ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পরই একটি ফেসবুক পোস্টে জামানি ইব্রাহিম চূড়ান্তভাবে বলেছিলেন ‘নাজিব সার্বভৌম সরকারের তহবিল চুরি করেছিলেন।’ নাজিব বলেছেন এটি ‘চরমভাবে বিরক্তিকর’ যে তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করতে জামানি মাইমুনের মনোভাবকে প্রভাবিত করেছিলেন।
নাজিব তার আবেদনে আরও বলেন, ‘আদালতের এই রায়কে পক্ষপাতমূলক হিসেবে দেখা হতে পারে এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের সন্দেহপূর্ণ ধারণা তৈরি করবে।’
আবেদন করে তার চূড়ান্ত আপিল শুনানি বিলম্ব করার জন্য নাজিবকে অভিযুক্ত করেন প্রসিকিউটর।
৬৯ বছর বয়সী নাজিব রাজ্জাকই প্রথম মালয়েশিয়ান সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যিনি দন্ডপ্রাপ্ত হলেন।
কেন্দ্রীয় আদালতে তার সর্বশেষ বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ছিল গত সপ্তাহে, যেখানে নাজিব শুনানি বিলম্ব করতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে হাইকোর্টের যে বিচারক তাকে দণ্ড দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ তুলে ধরে পুনঃশুনানি করতে চেয়েছিলেন। তার সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
আদালত নাজিবের মামলা নতুন করে প্রস্তত করার জন্য আরেক আইনজীবী নিয়োগের জন্য শুনানি স্থগিত করার আবেদন গ্রহণ করেননি।
আরও পড়ুন: বিদেশি কর্মী নিয়োগে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা চায় না মালয়েশিয়া সরকার
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা বক্তাদের
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর কোনো অগ্রগতি নেই
রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনামানের উন্নয়ন ঘটাতে পারে তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও বেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, এর মাধ্যমে শরণার্থীরা বাংলাদেশে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে এবং স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর তাদের সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে এবং সর্বোপরি তাদের জীবন পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই তহবিল প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
২০২০ এর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৮৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা চাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত যার মাত্র ৪৯ শতাংশ তথা ৪২৬.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
একইসঙ্গে ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গারা যাতে বাস্তুচ্যুত হয়ে না থাকে। এবং স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি করতে রাজনৈতিক সংলাপ ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য দ্বিগুণ প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বেশি কিছু করতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
ইমরান খানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান সরকার
পাকিস্তানের বর্তমান সরকার দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার ইসলামাবাদের একটি আদালত গত সপ্তাহে বিচারক জেবা চৌধুরীকে ইমরান খানের দেয়া মৌখিক হুমকির বিষয়ে অবমাননার মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
চৌধুরীকে অপমান করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে রাজনীতি থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে কয়েক মাস থেকে ১৪ বছরের জেল হতে পারে, যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সমতুল্য।
শনিবার আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি তাকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেন। ইমরান খান পুলিশ কর্মকর্তাদের ও দেশটির নারী বিচারক জেবা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে চলতি মাসের শুরুতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শাহবাজ গিলকে প্রথমবার গ্রেপ্তারের পর শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
সমাবেশে তার দেয়া বক্তব্যের জেরে দেশটির কর্তৃপক্ষ খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে, পুলিশ আবারও শাহবাজ গিলের ইসলামাবাদের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে দেশটিতে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।
২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসা ইমরান খান গত এপ্রিল মাসে সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।
দেশটির বেসরকারি টিভি চ্যানেল এআরওয়াই টিভিতে একটি শো চলাকালীন তার সাম্প্রতিক সেনা বিরোধী মন্তব্যের জন্য গিলকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে খান অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চক্রান্ত করেছিল।
তবে ওয়াশিংটন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং খানের পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শাহবাজ শরিফের সরকার; সবাই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এছাড়া তার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকেই খান আগাম নির্বাচনের দাবিও করেছেন এবং ‘জনগণের চাপের’ মাধ্যমে শাহবাজ শরীফের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সর্বশেষ গত শনিবারের সমাবেশে খান ওই নারী বিচারপতির সমালোচনা করে বলেন ‘আপনিও এর জন্য প্রস্তুত হন, আমরাও আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আপনাদের সকলের অবশ্যই লজ্জিত হতে হবে।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে জ্বালানিবাহী ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ২০
খানের হুমকির কারণে শরীফের সরকার তার ওপর অসন্তুষ্ট হয় এবং বিচারককে অপমান করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন।
খান মঙ্গলবার আদালতের শুনানিতে যোগ দেবেন নাকি তার আইনজীবী পাঠাবেন তা স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান একজন আইনজীবী আহসান ভুন বলেন, ‘কাউকেই বিচারকের অবমাননা বা বিচার বিভাগের সুনাম নষ্ট করার সুযোগ দেয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন:‘ঝাড়ুর লাঠি’তে পতাকা: পাকিস্তানি ‘হাবিব ব্যাংকে’র বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ
‘বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষা নিতে পারে পাকিস্তানের নেতৃত্ব’
ইরাকে শিয়া মাজারে ভূমিধসে ৭ জন নিহত
ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলের কারবালা শহরে ভূমিধসের কারণে একটি শিয়া মাজারের ছাদ ভেঙ্গে পড়ে শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার কাতারাত আল-ইমাম আলীর মাজারে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।
ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা তথ্য অনুযায়ী, ভৌগলিক অবস্থান ও অবকাঠামোগত কারণে প্রাকৃতিকভাবে মাজারটিকে অনেকটা গুহার মতো ছিল। এই এলাকাটি মরুভূমি হওয়ায় এবং সেখানে একটি পানির উৎস থাকায় ভূমিধসের কারণে ছাদ ভেঙ্গে পড়তে পারে। তবে মাজারটির প্রবেশদ্বার, দেয়াল ও মিনার এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন: ইরাক যুদ্ধের অন্যতম পরিকল্পনাকারী কলিন পাওয়েলের মৃত্যু
তারা জানায়, মৃতদের মধ্যে চারজন নারী, দুজন পুরুষ এবং একজন শিশু।
উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। সোমবার উদ্ধারকারী দল বুলডোজার ব্যবহার করে এবং ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করে জীবিতদের সন্ধান চালায়।
তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিধসের কারণ জানা যায়নি। বেসামরিক প্রতিরক্ষা অতিমাত্রায় আর্দ্রতাকে কারণ হিসেবে দেখছে।
আরও পড়ুন: ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে আইএস’র ৯ জঙ্গি নিহত
ড্রোন হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী
ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ পুলিশের
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। সোমবার কর্তৃপক্ষ বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সারাদেশে ক্রমাগত রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন ইমরান খান।
শনিবার ইসলামাবাদে ইমরান খান তার বক্তবে গ্রেপ্তারে পর নির্যাতনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও এক নারী বিচারককে দায়ী করেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের এই অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ।
ইমরান খান এখনো মুক্ত এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু বলেননি। ইমরানের রাজনৈতিক দল ও পাকিস্তানের বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সমর্থকরা খানকে ঘিরে রেখে পুলিশকে কাছে যাওয়া থেকে ঠেকাচ্ছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত শত শত লোক সেখানে অবস্থান করছেন।
পাকিস্তানের আইনানুযায়ী, কারো বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ করলে সে সম্পর্কে বিচারিক মেজিস্ট্রেটকে জানাতে হয়। এরপর তিনি তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে আটক করে থাকেন।
খানের বিরুদ্ধে রিপোর্টে ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আলী জাভেদের সাক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যিনি ইসলামাবাদের সমাবেশে পাকিস্তানের পুলিশের ইন্সপেক্টর-জেনারেল এবং অন্য একজন বিচারকের সমালোচনা শুনেছিলেন। পিটিআই প্রধান খান বলেছিলেন,‘আপনি প্রস্তুত থাকুন, আমরা আপনার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আপনারা সকলে অবশ্যই লজ্জিত হবেন।’
আরও পড়ুন: গাড়ি বোমা হামলায় ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ খ্যাত দুগিনের মেয়ের মৃত্যু
পুলিশ ও বিচারককে হুমকি দেয়ার নুতন অভিযোগে ইমরান খান কয়েক বছর কারাদণ্ড পেতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার বিরোধী প্রচারণায় ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ক্ষুদ্র অভিযোগে এখন পর্যন্ত আটক হননি।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক এ্যাডভোকেসি গ্রুপ ফ্রিডম হাউজের মতে, সামরিক ও গণতান্ত্রিক সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিচার বিভাগের রাজনীতিককরণ এবং ক্ষমতাসীনদের পক্ষ নেয়ার ইতিহাস রয়েছে।
খান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের পারিবারিক শাসনের ধারা ভেঙে ক্ষমতায় আসেন। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ইমরান নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে, যেখানে দেশটির ৭৫ বছরের ইতিহাসের অর্ধেক সময় ধরে শাসন করে আসছিল পরিবারতান্ত্রিকভাবে।
এদিকে রবিবার দ্যা ইন্টারনেট অ্যাকসেস এডভোকেসি গ্রুপ নেটব্লক বলেন, ইমরান খান অনলাইনে ভিডিও বক্তব্য দেয়ার পর ইউটিউব যাতে দেখা না যায় সেজন্য পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথোরিটি একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে চলতি মাসে পাকিস্তানের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এআরওয়াই টিভি তে ইমরানের দলের নেতা শাহবাজ গিল সামরিক বাহিনীর বেআইনি নির্দেশ অমান্য করতে অফিসার ও সৈনিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে অভিযুক্ত হন, পাকিস্তানের আইনানুযায়ী তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। এরপরই টেলিভিশনটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গিলকে আটকাবস্থায় পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ইমরান খান। পুলিশ বলছে, গিলকে আটকাবস্থায় নির্যাতন করা হয়নি, তিনি অ্যাজমায় আক্রান্ত।
পড়ুন: আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় নিহত ৯