বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনামানের উন্নয়ন ঘটাতে পারে তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও বেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, এর মাধ্যমে শরণার্থীরা বাংলাদেশে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে এবং স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর তাদের সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে এবং সর্বোপরি তাদের জীবন পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই তহবিল প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
২০২০ এর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৮৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা চাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত যার মাত্র ৪৯ শতাংশ তথা ৪২৬.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
একইসঙ্গে ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গারা যাতে বাস্তুচ্যুত হয়ে না থাকে। এবং স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি করতে রাজনৈতিক সংলাপ ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য দ্বিগুণ প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বেশি কিছু করতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা