এশিয়া
পাকিস্তানে শিয়া মসজিদে বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৬৩
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে শিয়া মুসলিমদের একটি মসজিদের ভিতরে বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩ জনে পৌঁছেছে। হামলায় কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়েছে। এদিকে এই হামলার মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
এক বিবৃতিতে আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করে জানায়, এই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আইএসের কর্মী, সে পাশের দেশ আফগানিস্তানের নাগরিক। শুক্রবার জুমার নামাজের ঠিক আগ মুহূর্তে সে পেশোয়ারের পুরনো শহরের কুচা রিসালদার শিয়া মসজিদে পাহারারত দু’জন পুলিশের ওপর গুলি চালায় এবং মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করে তার সঙ্গে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার এই হামলার নিন্দা করেছে। গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইএস এই অঞ্চলে তালেবানদের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৫৬
তালেবানের তথ্য ও সংস্কৃতি উপমন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটে জানান, ‘আমরা পাকিস্তানের পেশোয়ারে মসজিদে বোমা হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। বেসামরিক নাগরিক ও মুসল্লিদের ওপর বোমা হামলার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
বোমা হামলাকারী আফগান নাগরিক; আইএসের এ দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখপাত্র আসিম খান বলেন, হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে নিহতদের স্বজনেরা কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে দাফন করেছেন।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করার জন্য ফরেনসিক রিপোর্ট ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার জন্য তিনটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় উপকূলে বিস্ফোরণে ডুবল কার্গো জাহাজ
বিহারে বিস্ফোরণে নিহত ১০, আহত ৯
ইউক্রেনে যুদ্ধ: নো-ফ্লাই জোন প্রত্যাখ্যানের জন্য ন্যাটোর নিন্দা জেলেনস্কির
দেশজুড়ে নো-ফ্লাই জোন বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য ন্যাটো নেতাদের নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী কিয়েভ থেকে দেয়া এক জ্বালাময়ী বক্তৃতায় ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেন, পশ্চিমাদের মধ্যস্থতায় অনীহা রাশিয়াকে ইউক্রেনের একের পর এক শহর ও গ্রামে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যেতে ‘সবুজ সঙ্কেত’ দিয়েছে।
অন্যদিকে ন্যাটোর যুক্তি হলো, নো-ফ্লাই জোনের ফলে মস্কোর সঙ্গে সংঘর্ষ বাড়বে।
তবে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ন্যাটোর এই মতের সঙ্গে একমত নন। সরাসরি পদক্ষেপ ‘ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরাসরি রুশ আগ্রাসনকে উস্কে দিতে পারে’ বলে তিনি মনে করেন না।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ২ শহরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা রাশিয়ার
জেলেনস্কি বলেন, এই যুক্তিটি ‘যারা দুর্বল ও আত্মবিশ্বাসহীন তাদের মনগড়া’। পশ্চিমাদের অবস্থানে বোঝা যায় যে তারা সব দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ইউরোপের প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করে না’।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ থেকে যারা মারা যাবে তারা আপনাদের কারণে মারা যাবে। আপনাদের দুর্বলতা ও অনৈক্যের কারণে মারা যাবে।’
এর আগে শুক্রবার ন্যাটোর সেক্রেটারি-জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেছেন, নো-ফ্লাই জোন প্রবর্তন ‘ইউরোপের আরও অনেক দেশকে জড়িত করতে পারে এবং অনেক বেশি দুর্ভোগের কারণ হতে পারে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও নো-ফ্লাই জোন প্রবর্তনের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, তিনি নিশ্চিত যে ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জিততে পারে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বিবিসিসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ
পুতিনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল চায় ইউক্রেন
পুতিনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল চায় ইউক্রেন
ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার মিত্রদের বিচারের জন্য একটি বিশেষ ফৌজদারি ট্রাইবুনাল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন সরকার এবং সাবেক এক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নাৎসি নেতাদের বিচার হওয়া ট্রাইব্যুনালগুলোর আদলে ‘আগ্রাসনের অপরাধ’ তদন্ত করার জন্য একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি বহুদিনের।
নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইতোমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ চালানোর অভিযোগে তদন্ত করছে। যদিও রাশিয়া আইসিসি আইনে স্বাক্ষর করেনি, তবুও আইসিসি তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করছে।
ব্রাউন বলেন, ‘রাশিয়ার এই আগ্রাসন তদন্ত ছাড়া, বিচারবিহীন ও শাস্তির বাইরে থাকতে পারে না।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় উপকূলে বিস্ফোরণে ডুবল কার্গো জাহাজ
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই পুতিন ন্যায়বিচার এড়াতে পারবেন না।’
অন্যদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবাও এমন একটি ট্রাইব্যুনালের দাবি জানিয়েছেন, যা সারা বিশ্বের আইন বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদেরা সমর্থন করবে।
লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে কুলেবা ইউক্রেন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, ‘আমরা এমন এক শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি, যে আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তবে আন্তর্জাতিক আইন আমাদের পক্ষে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিভল
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৫৬
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের শিয়া মুসলিমদের একটি মসজিদের ভিতরে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ৫৬ জনেরও বেশি মুসল্লি নিহত এবং ১৯৪আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াহেদ খান জানান, পেশোয়ারের পুরনো শহরের কুচা রিসালদার মসজিদে জুমার নামাজের জন্য মুসল্লিরা জড়ো হওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে।
পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মদ এজাজ খান বলেছেন, দুই সশস্ত্র হামলাকারী মসজিদের বাইরে পুলিশের ওপর গুলি চালালে সহিংসতা শুরু হয়। বন্দুকযুদ্ধে একজন হামলাকারী এবং একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং অপর একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বাকি হামলাকারীরা তখন মসজিদের ভেতরে ছুটে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। তবে এর আগে এই অঞ্চলে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এবং পাকিস্তানের তালেবান বিদ্রোহীদের সংগঠন উভয়ই আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: বিহারে বিস্ফোরণে নিহত ১০, আহত ৯
শায়ান হায়দার নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী মসজিদে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই এই শক্তিশালী বিস্ফোরণের ধাক্কায় তিনি ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার চোখ খুলে চারদিকে ধুলা আর লাশ দেখতে পাই।’
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বোমা হামলার নিন্দা করেছেন।
সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমরা বারবার হামলার শিকার হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে পকিস্তানে ব্যাপক সহিংসতা বেড়েছে। এর আগে আফগান সীমান্তে সেনা ফাঁড়িতে বোমা হামলায় কয়েক ডজন সেনা নিহত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওই অঞ্চলে শিয়াদের ওপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিভল
রাশিয়ার হামলায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জটিলতার মুখে
রাশিয়ার উদ্ভাবিত করোনার টিকা উৎপাদনকারী দক্ষিণ কোরীয় একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ব্যবসায়িক জটিলতার মুখে পড়েছে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
সম্প্রতি রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের দ্বারা পরিচালিত। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী স্পুটনিক টিকার বাজারজাত করে।
সিউল-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিএল রাফার একজন কর্মকর্তা কিম গি-ইয়ং বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে সরাসরি টিকা উৎপাদনে বাধা তৈরি করবে না, কারণ টিকা সরবরাহের বিষয়টি নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে।
তবে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক দিক থেকে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোটের সঙ্গে মিলে বিশ্বব্যাপী পেমেন্ট সিস্টেম থেকে রাশিয়ার প্রধান ব্যাঙ্কগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্তে যোগ দিয়েছে।
কিম বলেন,এই মুহূর্তে আমরা এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করব,তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: পুতিনকে ‘মূল্য’ দিতে হবে, হুঁশিয়ারি বাইডেনের
জিএল রাফা নামের প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত এক ডোজ স্পুটনিক লাইট ভ্যাকসিনের পাঁচ মিলিয়ন ডোজ টিকা মজুদ করে রেখেছে। কিন্তু রাশিয়া টিকাদান কর্মসূচি বিলম্বিত করার কারণে সেগুলোর একটিও এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি।
আরডিআইএফ-এর সঙ্গে দুই-ডোজ স্পুটনিক-ভি এর ১৫০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির একটি চুক্তি রয়েছে জিএল রাফার। এবং তারা দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলির একটি কনসোর্টিয়ামে অংশ নেবে, যার ফলে তারা স্পুটনিক-ভি এর আরও ৫০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, তবে এই টিকাগুলো এখনও উৎপাদিত হয়নি।
আরডিআইএফ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে এই নিষেধাজ্ঞার ফলে স্পুটনিক-ভি বিতরণ মন্থর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করল নরওয়ে ও জার্মানি
যুদ্ধ নিয়ে নতুন আলোচনায় রাজি ইউক্রেন ও রাশিয়া
এশিয়ার লাখো মানুষ বাস্তুহারা হবে: জাতিসংঘ
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামী কয়েক দশকে এশিয়ার লাখ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়বে। এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত নিমজ্জিত হয়ে যাওয়া শহরগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা অন্যতম। খুব দ্রুতই জলবায়ু পরিবর্তন শহরটির বিভিন্ন অংশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে। জাভা সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী এক দশকে শহরটির আনুমানিক এক-তৃতীয়াংশ নিমজ্জিত হয়ে যাবে।
ইন্দোনেশিয়া সরকার রাজধানী এক হাজার ২৪০ মাইল (২০০০ কিলোমিটার) উত্তর-পূর্বের বোর্নিও দ্বীপে সরানোর পরিকল্পনা করছে। এজন্য কমপক্ষে ১৫ লাখ বেসামরিক কর্মচারীকে দ্বীপটিতে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
এটি একটি বিশাল উদ্যোগ, তবে এটি মূলত ইন্দোনেশিয়ার জনগণের গণআন্দোলনের ফল। আগামী দিনগুলোতে এশিয়ার অন্যান্য দেশেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ রিপোর্ট অনুসারে, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, খরা, অধিক তাপমাত্রা এবং অন্যান্য জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে আগামী ৩০ বছরে ১৪৩ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়বে।
এশিয়ায় বিভিন্ন দেশের সরকারকে ইতোমধ্যে এটি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন অভিবাসী এশিয়া থেকে এসেছে। চরম আবহাওয়া, ঝড় ও বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যার দিক থেকে এশিয়ার অবস্থান সবার ওপরে। একে একে গ্রামগুলি খালি হয়ে যাওয়া ও জাকার্তার মতো মেগাসিটিগুলি ঝুঁকির মধ্যে থাকায় বিজ্ঞানীরা অভিবাসন বৃদ্ধির ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৪০ মিলিয়ন মানুষ আগামী ৩০ বছরের মধ্যে পানির অভাব, ফসল বিনষ্ট, ঝড়বৃষ্টি এবং অন্যান্য বিপর্যয়ের কারণে স্থানান্তরে বাধ্য হতে পারে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানী ক্রিস ফিল্ড বলেছেন, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে বর্তমানে অল্প কিছু স্থান রয়েছে যেগুলো বসবাসের জন্য অধিক উষ্ণ। তবে এশিয়ায় এরকম স্থানের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এর পরিণতি ও প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কঠোরভাবে ভাবতে হবে।
ইউক্রেন সঙ্কট: রাজধানী কিয়েভে কারফিউ অব্যাহত
একের পর এক বিস্ফোরণ এবং সড়কে লড়াইয়ের জেরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
শহরটির মেয়র ভিটালি ক্লিচস্কো বলেছেন,‘কারফিউ চলাকালীন রাস্তায় থাকা বেসামরিক নাগরিকদের শত্রু পক্ষের লোক বা সাহায্যকারী দলের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’
রুশ সেনারা রাজধানী অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে। বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে ভূগর্ভে আশ্রয় নিচ্ছেন। রাশিয়ান সেনারা কতদূর অগ্রসর হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রুশ হামলা প্রতিরোধে কিছু সাফল্যের কথা জানিয়েছেন, তবে রাজধানীর প্রান্তে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
দেশটির প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি নিরাপদে দেশ ছাড়ার মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন,শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।
অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি, তারা শুধু ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা করছে, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এই হামলায় সবচেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় ১৯৮ জন নিহত, আহত সহস্রাধিক: ইউক্রেনের মন্ত্রী
একটি ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভের একটি বিমানবন্দরের কাছে শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকণ্ঠে উঁচু অ্যাপার্টমেন্টে আঘাত হেনেছে। অ্যাপার্টমেন্টটির বেশ কয়েকটি তলায বিধ্বস্ত হয়েছে।
একজন উদ্ধারকর্মী জানিয়েছেন, এই হামলায় ছয়জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
ইতোমধ্যে কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় বাড়িঘর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে চলে গেছেন।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, এক লাখ ২০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় পোল্যান্ড, মলদোভা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
রুশ সেনারা উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দুই দিনের ব্যাপক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর শনিবারের প্রকাশ্য সড়কে সংঘর্ষ হয়। হামলার ফলে সেতু, স্কুল এবং আবাসিক এলাকা ভেঙে পড়ছে এবং শত শত মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
এখনও এটা স্পষ্ট না যে ইউক্রেনের কতটা এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং কতটা রুশ বাহিনী দখল করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, রুশ সামরিক বাহিনী আজভ সাগর উপকূল থেকে প্রায় ২২ মাইল অভ্যন্তরীণ দক্ষিণের শহর মেলিটোপোলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কিয়েভের সড়কে লড়াই শুরু
তারা আরও বলেছে, রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ডনবাসের পূর্ব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সফল হয়েছে।
ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার অগ্রযাত্রাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রণালয় বলেছে, একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র শনিবার ভোরের আগে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সরকারকে উৎখাত করতে এবং তার নিজের ইচ্ছাধীন একটি শাসনব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করতে বদ্ধপরিকর। এই আক্রমণের মাধ্যমে পুতিন ইউরোপের মানচিত্র পুনরায় আঁকতে এবং মস্কোর স্নায়ু-যুদ্ধ যুগের প্রভাবকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে। এর ফলে পুতিনের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দেয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ঘটনার সূত্রপাত করছে।
জেলেনস্কি শনিবার নতুন করে আশ্বাস দিয়ে বলেছে,দেশের সামরিক বাহিনী রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে।
কিয়েভ থেকে রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, তিনি শহরেই রয়েছেন এবং ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণ করবে এটা মিথ্যা দাবি।
তিনি বলেন, আমরা অস্ত্র প্রত্যাহার করব না। আমরা দেশকে রক্ষা করব। আমাদের অস্ত্রই এখন আমাদের বড় সত্য এবং আমাদের ভূমি, আমাদের দেশ ও আমাদের সন্তান সবই সত্য। আমরা আমাদের সবকিছুকে রক্ষা করব।
জেলেনস্কি শনিবারে রেকর্ড করা দ্বিতীয় ভিডিওতে বলেন, মস্কোর দ্রুত রাজধানী দখল এবং একটি পুতুল সরকার স্থাপনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। আবেগঘন বক্তব্যে তিনি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক এলাকা ও অবকাঠামোতে আঘাতের অভিযোগ তোলেন।
আরও পড়ুন: পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে একটি ফেনালাপে জেলেনস্কি বলেন, তিনি রাশিয়ার এক নম্বর টার্গেট এবং তারা তাকে আর জীবিত দেখতে নাও পারেন।
এরই মধ্য ইউক্রেন থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তবে জেলেনস্কি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
একজন সিনিয়র মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মার্কিন প্রস্তাবের জবাবে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এখানে লড়াই হচ্ছে, আমার গোলাবারুদ এবং অস্ত্র দরকার, আমাকে সরিয়ে নেয়ার দরকার নেই। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।’
শনিবার ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া রুশ আক্রমণে এখন পর্যন্ত তিন শিশুসহ ১৯৮ জন নিহত এবং সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছে। তবে হতাহতরা সামরিক নাকি বেসামরিক নাগরিক বিবৃতি থেকে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধে শত শত রুশ সেনা নিহত হয়েছে। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ কোন হতাহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।
জাতিসংঘ অনুমান, যুদ্ধ আরও বাড়লে চার মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যূত হতে পারে। হাঙ্গেরির সীমান্ত শহর জাহোনিতে আগত শরণার্থীরা বলেছেন যে যুদ্ধ করার মতো উপযুক্ত বয়সী পুরুষদের ইউক্রেন ছেড়ে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
রুশ হামলায় ১৯৮ জন নিহত, আহত সহস্রাধিক: ইউক্রেনের মন্ত্রী
ইউক্রেনে রুশ হামলায় ইতোমধ্যে ১৯৮ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। শনিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াশকো এতথ্য জানিয়ে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে।
তবে তার বিবৃতিতে হতাহতরা সামরিক নাকি বেসামরিক নাগরিক তা স্পষ্ট নয়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ইউক্রেনের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে শুরু হওয়া ব্যাপক রুশ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও সেনা হামলায় ৩৩টি শিশুসহ এক হাজার ১১৫ জন আহত হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যমতে, এ সপ্তাহে রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর থেকে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থী দেশ ছেড়েছে।
আরও পড়ুন: কিয়েভের সড়কে লড়াই শুরু
শনিবার রাজধানী কিয়েভে রুশ সেনারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক ডেপুটি হাইকমিশনার কেলি ক্লেমেন্টস সিএনএন-এ দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি নাগরিক প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে চলে গেছে। পাশের দেশগুলোর নাগরিকেরা তাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে আমরা বেশ আতঙ্কিত, কারণ স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
ইউক্রেনীয়দের অধিকাংশই পোল্যান্ড ও মোল্দোভাতে যাচ্ছে। তবে রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরিতেও ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের ঢল দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের
পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৭, আহত ৮৫
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং ৮৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল বোর্ড ফর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (বিএনপিবি)।
সংস্থাটির মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেছেন, শুক্রবার ছয় দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে পাঁচ হাজারের অধিক মানুষকে অস্থায়ীভাবে পশ্চিম পাসামান জেলার ৩৫টি অপসারণ কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় বিভিন্ন উদ্ধারকারী সংস্থা, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান এখনও অব্যাহত রেখেছেন।
প্রথমে ভূমিকম্পটিকে ছয় দশমিক দুই মাত্রার বলা হলেও পরবর্তীতে এটি সংশোধিত হয়। এ ঘটনায় কয়েক ডজন ভবন ও এক হাজারের অধিক বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ২২
ইউক্রেন নিয়ে চীনা ও রুশ প্রেসিডেন্টের মতবিনিময়
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।
শুক্রবার এক ফোনালাপে তারা এ মতবিনিময় করেন।
এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে বসতে প্রস্তুত রাশিয়া।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে চীনের প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে রাশিয়াকে সমর্থন করে চীন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল বাইডেন, জার্মানিতে সৈন্য মোতায়েন
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট: দ্বিতীয় দিনে কিয়েভে বিস্ফোরণ
ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার