ঢাকা
আশুলিয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
সাভারের আশুলিয়ায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কবিরপুর গোলাম নবী হাফিজিয়া মাদরাসার পাশে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আবাসিক হোটেল থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, রাস্তা দিয়ে অফিসে যাওয়ার সময় মানুষজন লাশটি দেখে চিৎকার করলে আশেপাশে লোকজন জড়ো হয়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক রাজু মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর শহরে দম্পতির লাশ উদ্ধার
নড়াইলের নবগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হওয়ায় ইজতেমা মাঠে আগত বিদেশিসহ মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা মাঠে প্রস্তুতিমূলক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত হিসেবে বিবেচিত ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি অতিথিরা আগের বছরের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু
মন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমা আয়োজক কমিটির দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে বিগত বছরের মতো আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না।’
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, হাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম ও ইজতেমার আয়োজকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে আখেরি মোনাজাতে শেষ হল ইজতেমা
বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস, আন্দোলন, হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ করে বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী ১১ তারিখ না, আগামী ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যেও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ তারিখ বিএনপি আন্দোলনের নামে যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ তৎপর থাকবে। দলের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও সরকারকে সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিদেশি বা রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা অনেক কমে এসেছে। এক সময় হ্যারিকে, টমাসের মতো অনেক রাষ্ট্রদূতেরা এদেশে নিজেদের কিং বা রাজা মনে করতো, এখন এই পরিস্থিতি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন ও আর্থিক অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ অনেক মর্যাদাশীল জাতি।
মন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের কাছে বিএনপির হাত পাতা জাতির জন্য মর্যাদার নয় এবং এটিকে সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না।
এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে দু’দেশের কৃষি, কৃষিযন্ত্রপাতি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জলবায়ুসহনশীল কৃষি, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার কৃষিযন্ত্রে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। আগামীতে বাংলাদেশে প্রচুর কৃষিযন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা জানান, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ।
এছাড়া, তিনি দু’দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সমঝোতা স্মারকের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও পাটবীজের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, এবছর ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ এনে দেশে চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া গেছে।
এছাড়াও, কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, কাজুবাদাম, কফিসহ উন্নত জাত ও চারা সরবরাহ, এগ্রো প্রসেসিং, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা, মাদক ও মানব পাচার রোধ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন বলেও কৃষিমন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদনের কারণেই দেশ অনেকটা স্বস্তিতে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির চাওয়ায় নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না: কৃষিমন্ত্রী
দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বর্তমান সংসদের ২১তম অধিবেশনে ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সকল আশার কেন্দ্র হলো মহান জাতীয় সংসদ।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জনপ্রতিনিধি, তাই জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী চক্রান্ত রোধ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের উন্নয়নকে গতিশীল করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে গ্রহণ করতে হবে।
তিনি পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও গর্বের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন। কারণ, এটি নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এবং ২০২২ সালের ২৫ জুন, উদ্বোধন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৩ কোটিরও বেশি মানুষ এতে সরাসরি উপকৃত হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাল্টি-লেন টানেলের দক্ষিণাঞ্চলীয় টিউব নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।’
শিগগিরই টানেলটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে বলেও তিনি আশাবাদী।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম মেট্রো ট্রেন চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
২০২২ সালকে চ্যালেঞ্জের বছর হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, জাতি ও সমগ্র বিশ্ব এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি, কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ আমাদের অগ্রগতির গতি কমিয়ে দিয়েছে।’
হামিদ বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ১৬ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন, যা সন্তোষজনক।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিকের জন্য পেনশন চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দেশের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তাদের দলের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ শাসনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত দেশকে অন্যায়, অপশাসন ও অপকর্ম থেকে মুক্ত করা যাবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ তার সকল নাগরিকের। কিন্তু এক চতুর্থাংশ আওয়ামী লীগ জনগণের বাংলাদেশ দখল করে লুণ্ঠনে লিপ্ত হয়েছে। তাই এখন আমাদের সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ হলো দেশের মালিকানা যে জনগণের তা পুনরুদ্ধার করা।’
আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে দল-মত, ধর্ম-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দেশকে উদ্ধার করতে হবে এবং জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এ কারণেই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশকে উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ এ মন্তব্য করেন।
বিগত বছরের মতো এবারও বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র, অর্থনীতি, বিচার বিভাগ ও সামাজিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ায় বাংলাদেশ একটি সংকটময় মোড় অতিক্রম করছে।
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা এই সমস্ত জিনিসগুলো ধ্বংস করেছে তারা আবার এগুলো মেরামত করতে সক্ষম হবে না। সেজন্য আমরা রাষ্ট্রকে মেরামত করতে ২৭ দফা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, তাদের ২৭ দফা ইতোমধ্যেই দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল সব ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সব ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। ‘আমাদের ২৭ দফার ১৩ ধারা অনুযায়ী, সকল ধর্মের বিশ্বাসীরা তাদের নিজ নিজ ধর্মের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সমস্ত সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তাদের উপাসনালয় হামলার শিকার হয়েছে এবং তারা তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সকল সম্প্রদায় ও ধর্মের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে মুক্তি চাই। গণতন্ত্র ছাড়া কোনো বিভাগই সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে সেটাই প্রমাণ করেছে। স্বাধীনতার পর বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে তারা তা করেছিল এবং এখন আবারও করেছে।’
বাইবেলের আয়াত পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রয়াত, বিএনপি নেতারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে কেক কাটেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন: মোশাররফ
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কর্মসূচি সেটিই প্রমাণ করে। তারা ১০ তারিখকে ঘিরেও আগুণ সন্ত্রাস চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পীদের সংগঠন 'অভিনয় শিল্পী সংঘ' নেতাদের সাক্ষাত ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ তারিখ আবারও তারা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছেন। সেখান থেকেও আবার অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। আমরা ১০ তারিখ যেমন সতর্ক পাহারায় ছিলাম এবং ৩০ তারিখও আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম। ভবিষ্যতেও যদি তারা এ রকম বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার উচিত জবাব দেবো।
আরও পড়ুন: দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সংলাপের প্রয়োজনীয়তা কি? নিবার্চনের আয়োজক সংস্থা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারা প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তারপরও যদি কোন অভিযোগ থাকে সেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।
তিনি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে কোনো বাধা নেই। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যদি সহিংসতা করার অপচেষ্টা চালায় তা প্রতিহত করতে জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা থাকবে।
ভারতের মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ভারতের ৩৫ জন সাংবাদিক আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তারা জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে বসবে। এ ধরনের সাংবাদিক আদান প্রদন আমরা বাড়াচ্ছি। আমরা আলোচনা করবো তারা আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াবে।
আরও পড়ুন: সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়: তথ্যমন্ত্রী
আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ব্যক্তিরা হলেন-বাবু, তারিকুল ইসলাম, খায়রুল বাশার এবং সুমন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ: ছাত্র অধিকার পরিষদের সোহাগ-মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন এবং উজ্জল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম বিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শিক্ষার্থী ছিলেন। এর পাশাপাশি ব্যবসা করতেন তিনি ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকালে ডেমরার বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন বিপু। সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশী বাবু বাসায় এসে বিপুকে ঘুম ডেকে নিয়ে যান।
এর ১৫-২০ মিনিট পর বিপুর বাসার কাজের মেয়ে বাসায় এসে জানায়, বিপু মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও প্রতিবেশী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওই দিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ৩০ সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ‘ধর্ষণ’ মামলায় গ্রেপ্তার ২ সন্দেহভাজন রিমান্ডে
ফারদিন আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে: বাবার দাবি
‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত 'ন্যাশনাল সেমিনার টু সাপোর্ট স্মোক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড টোবাকো কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ-প্রতিবেশ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে আমাদেরকে আন্তরিক হতে হবে।
বিশেষ করে তরুণ সমাজকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার হতে দূরে রাখতে রেডিও, টিভি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে এক লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ তামাকের আগ্রাসন। পরোক্ষ ধূমপান অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় ২০ থেকে ৩০ ভাগ। কাজেই, পাবলিক প্লেস ও পরিবহনসমূহ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতে ধুমপান না করে তা নিশ্চিত করতে হবে। তামাককে বিষবৃক্ষ বিবেচনা করে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান ই-সিগারেটের ব্যবহার ভয়াবহ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই এটি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
বাংলাদেশে ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য সংসদ সদস্যগণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংগঠন, এনজিও সহ সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে ধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সভাপতি এবং সংসদ সদস্য ডা. মো. হাবিব মিল্লাত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.ফারহিনা আহমেদ, সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, রওশন আরা মান্নান ও রুবিনা আক্তার এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে মানুষের এই ক্ষতিকর অভ্যাস পরিত্যাগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ২ মাসের মধ্যে বন্ধ হবে হাইড্রোলিক হর্ন: পরিবেশমন্ত্রী
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সংসদে বিইআরসি সংশোধনী অধ্যাদেশ-২০২২ পাস
সংসদে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধনী)অধ্যাদেশ-২০২২’ পাস হয়েছে। যা সরকারকে জনশুনানি ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার পথ প্রশস্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অধ্যাদেশটি সংসদে উত্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত বছরের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেন।
আইন মন্ত্রণালয় গত ১ ডিসেম্বর একটি গেজেট জারি করে সংশোধনী ঘোষণা করে যা সরকারকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে সুযোগ করে দেয়।
আরও পড়ুন: বিইআরসি খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সিদ্ধান্তে বিলম্ব করলে, সরকার সিদ্ধান্ত নেবে: নসরুল হামিদ
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কোনো গণশুনানি ছাড়াই ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন ও পেট্রোলসহ জ্বালানির দাম সমন্বয় করত। বিইআরসিও গণশুনানির মাধ্যমে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করেছে অতীতে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধনের ফলে গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন মূল্য নির্ধারণের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে শুনানির প্রয়োজন হবে না।
বিইআরসি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অ্যাক্ট-২০০৩ এর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি অবকাঠামো উন্নত করা। এর আগে তিনবার আইনটি সংশোধিত হয়েছে।
কমিশনের গণশুনানি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে জ্বালানি শুল্ক নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারকে দিতে ২৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বিইআরসি অধ্যাদেশ-২০২২ এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: বিইআরসি আইন সংশোধনে সরকারি পদক্ষেপের নেপথ্যে যা রয়েছে
বিইআরসি ছাড়াই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার, মন্ত্রিসভায় সংশোধনী অনুমোদন
বিএনপি সহিংস আচরণ করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে: কাদের
বিএনপি সহিংস আচরণ করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দালনের নামে সহিংস আচরণ করলে, জনগণের জানমাল রক্ষায় সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির ৩০তম সম্মলনে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নে ও অর্জনে বদলে গেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর রাষ্ট্রকে ভাবায়। নানা অজুহাতে বিদেশ যায়। কেউ কেউ কষ্টার্জিত টাকা বিদেশে পাচার করে। এদের আমরা ঘৃণা করি।
সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মঈনুল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইসহাক ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: আ. লীগের পক্ষ থেকে খ্রিস্টীয় নতুন বছরের শুভেচ্ছা ওবায়দুল কাদেরের
বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের