সংসদে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধনী)অধ্যাদেশ-২০২২’ পাস হয়েছে। যা সরকারকে জনশুনানি ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার পথ প্রশস্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অধ্যাদেশটি সংসদে উত্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত বছরের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেন।
আইন মন্ত্রণালয় গত ১ ডিসেম্বর একটি গেজেট জারি করে সংশোধনী ঘোষণা করে যা সরকারকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে সুযোগ করে দেয়।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কোনো গণশুনানি ছাড়াই ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন ও পেট্রোলসহ জ্বালানির দাম সমন্বয় করত। বিইআরসিও গণশুনানির মাধ্যমে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করেছে অতীতে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধনের ফলে গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন মূল্য নির্ধারণের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে শুনানির প্রয়োজন হবে না।
বিইআরসি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অ্যাক্ট-২০০৩ এর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি অবকাঠামো উন্নত করা। এর আগে তিনবার আইনটি সংশোধিত হয়েছে।
কমিশনের গণশুনানি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে জ্বালানি শুল্ক নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারকে দিতে ২৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বিইআরসি অধ্যাদেশ-২০২২ এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: বিইআরসি আইন সংশোধনে সরকারি পদক্ষেপের নেপথ্যে যা রয়েছে
বিইআরসি ছাড়াই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার, মন্ত্রিসভায় সংশোধনী অনুমোদন