ঢাকা
অতি উৎসাহী পুলিশ ও আ.লীগ ‘ক্যাডারদের’ তালিকা করতে বললেন বিএনপি নেতা খসরু
বিএনপি’র সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তার দলের নেতাকর্মীদের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারী এবং কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টিকারী ‘অতিউৎসাহী’ পুলিশ সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডারদের’ তালিকা তৈরি করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, পুলিশ সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করছে। আমি আমাদের নেতাকর্মীদের বলতে চাই যে গতকাল (বুধবার) আওয়ামী ক্যাডারদের যারা বাধা সৃষ্টি করেছে, আপনাদের ওপর হামলা করেছে, আহত করেছে এবং ভাঙচুর করেছে তাদের তালিকা তৈরি করুন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সমাবেশ: বিএনপির নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা, আহত ৩০
বৃহস্পতিবার নগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান, দেশের আইন ও পুলিশের নিয়ম লঙ্ঘন করে অন্যায়ভাবে কাজ করা অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের তালিকা তৈরি করুন।’
খসরু অভিযোগ করেন, বুধবার বন্দরনগরীতে বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী ও যুবলীগের ‘ক্যাডাররা’ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
এছাড়া সমাবেশের আগের দিন পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী সদস্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী নগরীর বিভিন্ন স্থানে ও প্রবেশপথে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের যানবাহন অবরোধ করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশ বুধবার, আওয়ামী লীগের হুঁশিয়ারি
প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন,দেশে ডিজিটাল অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি থানায় একটি করে সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উপলক্ষে রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি ভবনে ‘সাইবার সুরক্ষা কী, কেন এবং কীভাবে’-শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন,একসময়ে ফিজিক্যাল অপরাধের জন্য যে ব্যবস্থা নিতে হতো, এখন ডিজিটাল ব্যবস্থার জন্য তার চেয়ে বেশি ব্যবস্থা নিতে হবে। কেবল মাত্র ডিএমপিতে একটি সাইবার ইউনিট দিয়ে পুরো দেশের ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলা করতে পারবেন না। আর ডিজিটাল অপরাধ শুধু ঢাকাভিত্তিক নয়। ডিজিটাল অপরাধ এখন ১৫ কোটি পৌঁছে গেছে, সেই পর্যায়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,এক সময় ফোন নম্বর ট্র্যাক করে ফোনের মালিক কোন বাড়িতে,কোথায় আছে,এটি হয়তো ঢাকাকেন্দ্রিক কিছু পুলিশ অফিসার ব্যবহার করতেন। এখন সারাদেশেই অপরাধী ধরার জন্য এটি একটি ভালো টুল।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের পুলিশ ও বিচার বিভাগ উভয়ের জন্যই এটি (সাইবার ক্রাইম ইউনিট) দরকার। কারণ,সারাদেশে ডিজিটাল অপরাধ হবে আর কেবল বিভাগে ট্রাইব্যুনাল করে তার বিচার করবো,এটি যথাযথ না। প্রত্যেক থানায় আমি মনে করি সাইবার ক্রাইম ইউনিট করুক বা ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট করুক। একটা ইউনিট থাকতে হবে। ওখানে দুজন করে অফিসারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে রাখা দরকার।’
ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন,আজকে যে সব অপরাধ নিয়ে চিন্তা করতে হয় ২০ বছর আগে সেগুলোর অস্তিত্ব ছিল না।
তিনি বলেন, এখন এই অপরাধের পরিধি যুদ্ধ-বিগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছেছে। তার মানে যুদ্ধের একটি হাতিয়ার হয়ে গেছে ডিজিটালি অপরাধ করা। এক দেশ অস্ত্র দিয়ে যেমন হামলা করে তেমনি করে ডিজিটাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাকে বিপর্স্ত করার চেষ্টা করে। আমরা যতো ডিজিটাল হবো ডিজিটাল অপরাধের মাত্র ততো বাড়বে। ততো ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে জানে না বলে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়ে যায়। ডিজিটাল অপরাধ রোধ করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি লাগবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর কনটেন্ট অপসারণে নির্ভরতা কাটাতে চেষ্টা চলছে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা শত অনুরোধ করলে একটিও এন্টারটেইন করতো না। এখন ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শতভাগ পর্যন্ত হয়েছে।
ডিজিটালাইজেশন যে পরিমাণে বাড়ছে সচেতনতাও প্রচুর বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যাতে পুরো মাস সচেতনতা কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারি সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক (অপারেশন) তারেক এম বরকতউল্লাহ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূইয়া, সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ বক্তব্য দেন।
সাইবার নিরাপত্তা ও বিটিআরসির কার্যক্রম বিষয়ে বক্তব্য দেন কমিশনের সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগ কাটিয়ে বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ প্রতিরোধী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। আমরা দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম…আমাদের এটি বজায় রাখতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করুন, দুর্যোগ এড়ান: ফারাক্কা কমিটি
এসময় তিনি ২৫টি জেলায় ত্রাণ গুদাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র, ৮০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৫০টি মুজিব কিল্লা বা বন্যার সময় জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য নির্মিত স্থাপনা উদ্বোধন করেন।
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিড়ে বিএনপির দায়িত্বহীনতার সমালোচনা করে, ভবিষ্যতে যাতে বিএনপির মতো শক্তি আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য দেশের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,তার দল যখন সংসদে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপি সরকারের গাফিলতির কথা তুলে ধরেছিল, তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন যে চট্টগ্রাম অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল তাতে খুব বেশি মানুষ মারা যায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন,এ ধরনের মন্তব্য করে বিএনপি তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৯০ সালের শেষ দিকে এইচএম এরশাদের পতনের পর একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি দেশের ক্ষমতায় আসে এবং খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৯১ সালের এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আনুমানিক এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল এবং প্রায় এক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। সামগ্রিক সম্পত্তির আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল বিলিয়ন ডলারে।
বিশেষজ্ঞরা জানান যে এটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে মারাত্মক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্য ও পদক্ষেপের প্রতি আলোকপাত করে তিনি বলেন,বাঙালি জাতিকে কেউ আর অবমূল্যায়ন করতে পারবে না।
তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্রদের রাজনৈতিক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগই নয়, বাংলাদেশ অগ্নিসংযোগের মতো মানবসৃষ্ট দুর্যোগেরও সম্মুখীন হয়।’
তিনি বলেন, দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো কিছুই বাধা দিতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা সব ধরণের দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাব – হোক সেটা প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ডিজাইন করেছে এবং এটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, যে কোনো পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় তার সরকার সব সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সতর্ক থাকে। ‘রাস্তা,সেতু ও স্কুল নির্মাণের সময় আমরা বৃষ্টির পানি বা বন্যার পানির চ্যানেল করার প্রক্রিয়াটি অন্তর্ভুক্ত করা বিষয়েও সজাগ থাকি।’
তিনি আরও বলেন, পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে সরকার খাল-বিল ও অন্যান্য জলাশয় পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নদীগুলো ড্রেজিং করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নদীভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন,সরকার দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস,প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া ও পুনরুদ্ধার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) প্রণয়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সারাদেশে মোট চার হাজার ২০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৬৬টি ত্রাণ গোডাউন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করেছে তার সরকার।
এছাড়া সরকার প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ, অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী হওয়ার মতো কার্বন নিঃসরণ করে না বাংলাদেশ, তবুও আমাদের দেশটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
তিনি বলেন,উন্নত দেশগুলো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিল প্রদানে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে দুর্ভাগ্যজনক যে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো তাদের (উন্নত দেশের) প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুব কমই তহবিল পায়।
আসলে আমাদের নিজেদের ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করতে উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ এলাকা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দেশে ‘দুর্যোগের জন্য প্রাথমিক সতর্কতা, সবার জন্য পদক্ষেপ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন দিবস-২০২২ উদযাপিত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে সাইক্লোন প্রিপারেডনেস প্রোগ্রামের (সিপিপি) আওতায় দুইজন সেরা স্বেচ্ছাসেবক- লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার জয়শ্রী রানী দাস এবং ভোলার লালমোহনের মো. জসিম উদ্দিনকে পুরস্কৃত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ডা. এনামুর রহমান তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ভবিষ্যতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ হবে ইজতেমার প্রথমধাপ এবং ২০ থেকে ২২ তারিখ হবে দ্বিতীয়ধাপ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ ও আইন শৃঙ্খলা সভা শেষে মন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, দুই গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জুবায়ের গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা ১৩-১৫ জানুয়ারি এবং অন্য গ্রুপের ইজতেমা ২০-২২ জানুয়ারি হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুইবছর ইজতেমা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের ইজতেমা সংক্ষিপ্ত আকারে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিরোধ ছিল এবং তা চলছে। আমি দলগুলোর কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছি। আমি তাদের আগের বারের মতো সাজানোর প্রস্তাব দিয়েছি এবং তারা মেনে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে সাইবার নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্তির দাবি টেলিযোগমন্ত্রীর
প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের পাঠ্যক্রমে ‘সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়টিকে অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বৃহস্পতিবার বিটিআরসি সম্মেলন কেন্দ্রে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট যুব কর্মশালা ২০২২’- ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এখন যুদ্ধের হাতিয়ার হয়ে গেছে ডিজিটাল ডিভাইস। তাই ডিজিটাল সংযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এছাড়া ডিজিটাল অপরাধ ঠেকাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি দরকার। মাথা ব্যথা হলেই মাথা কেটে ফেলবো না। ওষুধ খেতে হবে। সেক্ষেত্রে সচেতনতা প্রধান হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
ডিজিটাল অপরাধের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অপরাধের চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বেশি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক থানায় একটি সাইবার বা ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট করা দরকার। সেখানে কর্মরতদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কেপিআই’ এর মতো ‘সিআইএ’ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ডিজিটাল রূপান্তরে সমস্যার চেয়ে সুবিধাই বেশি এমন ইঙ্গিত করে মোস্তাফা জব্বার বলেন,‘ই-নথি’ আমাদের দেশে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
এসময় আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, সাবাইর সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (ডিএসএ) পরিচালক তারেক বরকতুল্লাহ,পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল অংশ না নিলে সরকার তাদের দায় নিতে পারবে না। একই সঙ্গে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন উপসচিব ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (নির্বাচনে অংশ না নেয়া রাজনৈতিক দলসমূহের) দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি তাকে(শেরম্যান) নির্বাচন কমিশন গঠন, সার্চ কমিটি এবং রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয়েও জানিয়েছেন। যাতে (রাষ্ট্রপতির সংলাপে) কিছু রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি।
এসময় চট্টগ্রামে এক রাজনৈতিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এক প্রশ্নোত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল, আগামী নির্বাচনও গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বকশীবাজারে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় যুবক নিহত
রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. আরিফ (৩০)।
আরও পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় কেসিসির টোল আদায়কারী নিহত
পথচারী বাপ্পি নামের এক শিক্ষার্থী জানান,তিনি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। বকশীবাজার মোড়ে ভর্তা বাড়ি হোটেলের সামনের রাস্তায় ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। সেখানে টোকাই ছাড়া আর কেউ ছিল না। ওই টোকাই বলছিলেন একটি কাভার্ডভ্যান তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে। তখন আমি দুই থানায় ফোন করি,কেউ আসনি। পরে একটি রিকশায় করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়ে চলে যাই। সকালে সংবাদ পেয়েছি লোকটি মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, আহত অবস্থায় লোকটি বলেছিলেন,তার নাম আরিফ, তার কেউ নেই।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
বরিশালে জেলেদের হামলায় পুলিশসহ আহত ২০
আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা: বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের কাছে মানববন্ধন করেছে স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার (এসএটি) সদস্যরা।
এসএটি সদস্যরা 'সাধারণ ছাত্রদের' ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। যেখানে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী যোগ দেয়।
এসএটি’র আহ্বায়ক সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ‘আমরা হামলার বিচার ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি, যাদের কোনো অন্যায় করা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের একচোখা আচরণ আবারও প্রকাশ পেয়েছে, কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় অন্য দলের সদস্যরা গুরুতর আহত হয়।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১২
ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এসএটি’র সদস্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘কারাগারে থাকায় পরীক্ষা দিতে পারেননি ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন কর্মী।’
ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাবির উর্দু বিভাগের ছাত্র ও এসএটি’র সদস্য আহনাফ সাঈদ খান বলেন, ‘আবরার এমন একজন যিনি দেশকে ভালোবাসতেন এবং দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার স্মৃতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলার অর্থ সরাসরি দেশের প্রতি অসম্মান।’
৭ অক্টোবর নিহত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত কর্মসূচিতে হামলা চালায় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মীরা।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর আরেকবার হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
হামলায় আহত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ কর্মীকে পরবর্তীতে আদালতে হাজির করা হলে তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটে চান্স পেয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোটভাই
ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ সদস্য আদালতে হাজির
ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভবন নির্মাণে কোড মানা না হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এ ‘ডিজাস্টার মেনেজমেন্ট এক্সারসাইজ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, 'ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি এগুলো নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। অনেক বাণিজ্যিক ভবনে দেখা যায় সিড়িতে দোকান বসিয়ে দেয়া হয়।
আমরা যেকোনো সময় পরিদর্শনে যাবো। কোন ভবনের সিড়িতে প্রতিবন্ধকতা পেলে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে।'
আরও পড়ুন: বনানী সড়ক সংলগ্ন সেতু ভবন সরাতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ডিএনসিসি মেয়র জানান, 'বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) অনুযায়ী ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, গ্যাস ও বিদ্যুত বিভাগের ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক। উঁচু ভবনের ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে ফায়ার ডিটেক্টর, স্মোক ডিটেকটর, উচ্চগতির পানি স্প্রে সিস্টেম ও কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন সিস্টেম থাকাও বাধ্যতামূলক। কিন্তু অন্তত পরিতাপের বিষয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নগরীর বেশিরভাগ ভবন নির্মাণে এসব কোড ঠিকমতো মানা হয় না। যার ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে।'
সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমি বিজিএমই'র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার এক মাস পরেই রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে সরাসরি উদ্ধার কাজ শুরু করি। ছাত্রজীবনে বিএনসিসি আমাদের শিখিয়েছে দুর্যোগের সময় ঘরে বসে থাকলে চলবে না। মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে হবে।'
মেয়র আরও বলেন, 'রানা প্লাজা ধ্বংসের পরে গার্মেন্টস সেক্টর হুমকির মুখে পড়ে যায়। তখন আমি বিজিএমই'র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি এলায়েন্স ও একর্ড এর সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং করি কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিয়ে। ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেক্ট এসোসিয়েশেন (এনএফপিএ) এর সঙ্গে মিটিং করে ফ্যাক্টরিগুলোর ফায়ার সেফটি, ইলেক্ট্রিক সেফটি এবং বিল্ডিং সেফটি নিয়ে কাজ করি। এনএফপিএ এবং বিএনবিসি এর সঙ্গে সমন্বয় করে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে গার্মেন্টস সেক্টরকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হই।'
এসময় তিনি বলেন, 'আমি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিকে বায়ারদের কাছে ওপেন করে দেই। এর ফলে আমরা তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হই। তারা ফ্যাক্টরি ভিজিট করে অনলাইনে রিপোর্ট করে দিয়েছে। যেসব ফ্যাক্টরিতে নেগেটিভ রিপোর্ট হতো তাদের কাছে অর্ডার আসতো না। এর ফলে ধীরে ধীরে সবাই কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়েছে।'
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউপি'র উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ: আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার: ডিএনসিসি মেয়র
এলইডি লাইট নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার: ডিএনসিসি মেয়র
সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে: ব্যারিস্টার তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, দখলদারের নাম নিয়ে চিন্তিত না তারা। সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কালু নগর স্লুইস গেইট সংলগ্ন এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা নাম নিয়ে চিন্তিত না। নাম আমাদের কাছে বিষয় না। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, এখানে ১০ তলা ভবন হয়ে গেছে। আজ থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে। বুধবার আবার পরিদর্শনে আসব। আমরা আশা করি, (অবৈধ ভবনের) যে অংশটা খালের মধ্যে বা নদীর মধ্যে পড়েছে সে অংশটা থাকবে না। সুতরাং সবাইকে ছেড়ে দিতে হবে। এতদিন যে দখল করে খেয়েছে সেটা এখন থেকে ছেড়ে দিতে হবে। আর যদি না ছাড়ে তাহলে আমরা এটা ভেঙে দিব।’
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে এই সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারে আমরা বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। আমরা এরই মাঝে খনন কাজ শুরু করেছি। আজকে থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে আমাদের জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, আমাদের সম্পত্তি বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাসহ সকলেই যৌথভাবে আমরা পরিমাপ করছি। সীমানা চিহ্নিত করেছি। আজকে থেকেই আমরা সেই সীমানা চিহ্নিতকরণ এবং স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার লাগিয়ে দিব। আমরা আশাবাদী, এই কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ অচিরেই দৃশ্যমান হবে এবং আদি বুড়িগঙ্গা তার সেই পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবে।’
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
স্থায়ীভাবে আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধার করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গার সিএস এবং অন্যান্য নকশা অনুযায়ী-নদীর অববাহিকা বা নদীর সীমানা যেখানে বেশি আছে আমরা সেটাকে ধরছি। সেটাকেই ধরে আমরা সকল অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করব। সেখানে নদীর অববাহিকা ও নদীর গতিপথ সৃষ্টি করে আমরা তার পাশ দিয়ে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। যাতে করে মানুষজন হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করতে পারে। আমরা গণপরিসর প্রতিষ্ঠা করব যাতে করে মানুষজন নদীকে উপভোগ করতে পারে এবং ঢাকার পূর্বের সেই প্রতিচ্ছবি ফিরে আসে।’
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে আজ আশ্বিন মাসের ২৭ তারিখ হওয়া সত্ত্বেও এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। এখনও আমরা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। যার কারণে আমরা লক্ষ্য করছি যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনও রয়েছে। কিন্তু ১০ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী (সারাদেশে মোট) ৬৪২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৪০ জন হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। সুতরাং আমাদের সার্বক্ষণিক যে কার্যক্রম চলছে, তাতে আমরা ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। ডেঙ্গু পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত, প্রাদুর্ভাব নেমে না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’
এর আগে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ডগাইর এলাকায় দক্ষিণ সিটির ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররা, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ সিটির গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হকার নয়: মেয়র তাপস
ওষুধের দোকান বন্ধের সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে: তাপস