ঢাকা
রিজভীর বক্তব্য পাগলের প্রলাপ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী মিয়ানমার সংকটের জন্য সরকারের নীতিকে দায়ী করেছেন- এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই। তারা ভেবেছিল নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করবে। কিন্তু তারা এখন হতাশ হয়ে এই ধরনের কথা বলছে। তাই এখন তারা যা বলছে সেটা পাগলের প্রলাপ।’
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিকে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সফরকালে ওই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা রয়েছে। এখানে আমরা সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমরা ভারতের সহযোগিতা সব সময় চেয়ে এসেছি। সুতরাং এ বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই আলোচিত হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আগামীকাল বুধবার নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন।
এর আগে মন্ত্রণালয়ে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার ভেন্ডসেন এবং ভ্যাটিকানের দূত আর্চবিশপ কেভিন স্টুয়ার্ট র্যান্ডাল মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। নরওয়ের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের হাতে তার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তাটি হস্তান্তর করেন। নরওয়ের সঙ্গে দূষণমুক্ত শক্তি বা ক্লিন এনার্জি বিষয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি ভ্যাটিকানের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা জানান বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশনকে এগিয়ে নিতে আমরা দুই দেশ আগেও একসঙ্গে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে আমাদের এই দুইটি খাতে আরও সাহায্য করতে পারে তা আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অতীতেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মতের অমিল হলেও আমরা বন্ধুত্বের স্বার্থে সেটা আলোচনা করে সমাধান করেছি। পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে আমাদের অংশীদারিত্ব যাতে আরও জোরদার হয় বিশেষ করে নিউইয়র্কে আমাদের বিমানের স্লট যেন আমরা তাড়াতাড়ি ফিরে পেতে পারি সেই বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সামনে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনও কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে আমরা তা দ্রুত শেষ করতে সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি ও বাংলাদেশ বিমানকে সহায়তা করব।
তিনি আরও বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং তার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আমরা চাই বোয়িং যেন এই উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়াটি যেন একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই চায় যে বাংলাদেশ বিমানে আরও বোয়িং উড়োজাহাজ যুক্ত হোক। তবে আমরা আর্থিক ও কারিগরী দিকসহ সবকিছু বিবেচনা করে যেটি ভালো হবে সেই সিদ্ধান্ত নেব। বোয়িং বা এয়ারবাস যে কোম্পানি থেকে কিনলে বাংলাদেশের জন্য সুবিধা হবে আমরা সেখান থেকেই কিনব।
নিউইয়র্কের সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এফএএ অডিট কবে নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষে আইকাও এর একটি অডিট টিম কাজ করছে। তারা যাওয়ার পরে আমরা একটা সুবিধাজনক সময় এফএএকে অডিটের জন্য আমন্ত্রণ জানাব। তবে সেটা এ বছরই হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন। সভা শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে নজরদারির ক্ষেত্রে একটা সুনির্দিষ্ট এরিয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনেক সময় দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে, সংবাদ ছাপা হয়। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে শক্তহাতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে বলেছেন। বিশেষ করে ছিনতাই, কিশোরগ্যাং বা এ রকম যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
আরও পড়ুন: আগামী রোজা পর্যন্ত দেশে কোনো খাদ্যসংকট হবে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
ইতালিতে বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু
ইতালিতে আলমগীর হাওলাদার নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে আলমগীর ইতালির নেপোলি শহরে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নড়িয়ার প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই দুই-একজন করে প্রবাসী রয়েছেন। উন্নত জীবনের আশায় আলমগীরও বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়ে রেখে দুই বছর আগে লিবিয়া হয়ে ইতালি প্রবেশ করেছিলেন। ইতালির নেপোলি শহরে তিনি কাজ করতেন। শনিবার সন্ধ্যার দিকে তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন আলমগীর। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। স্বজনদের এখন একটাই দাবি, আলমগীরের লাশ যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। নিহত আলমগীরের পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা লাশটি দেশে আনার ব্যবস্থা করব।
তার পরিবারের পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত
মূল্যায়ন পদ্ধতি ও নতুন কারিকুলাম সংক্রান্ত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে, কারিকুলাম এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও মানোন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম সংক্রান্ত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এনসিটিবির প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বোর্ডসমূহের প্রতিনিধিরা এই কমিটির সদস্য হবেন।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তা, ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন জুয়ার অ্যাপস শতভাগ বন্ধ করা হবে: পলক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধ প্রোপাগান্ডা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর অনলাইন জুয়ার অ্যাপস শতভাগ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে স্থাপিত সাইবার থ্রেড ডিটেনশন অ্যান্ড রেসপন্স সেন্টার পরিদর্শনকালে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে টেলিযোগাযোগ অধিদপপ্তরের সম্মেলনকক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় স্বল্প সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে ভালো ফল পাওয়া যায় সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাত, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সাহাব উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৬ প্রকল্পে চীনের কাছে এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ: পলক
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরকে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য একটি উপযোগী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।তিনি বলেন, ২০২৪ সাল নতুন বছরে আমাদের সামনে নতুন রূপকল্প দিয়েছেন সরকার প্রধান, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিকরূপ, দক্ষ মানবসম্পদ, ক্যাশলেস এবং পেপারলেস সমাজ ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য আগামী ৫ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অনুপ্রেরণা ও পরামর্শে ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন। পরিকল্পনা ঘোষণার পর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথনকশা এবং মেধাবী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরের যাত্রায় সফল বাস্তবায়নের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল। একইভাবে আগামী ১৭ বছরে কীভাবে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করব আগামী ৫ বছরেই আমাদের তার ভিত্তি তৈরি করতে হবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট এই চার স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা কী হবে, প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্পের সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত তা বিবেচনা করে আমাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
দৈনিক, মাসিক ও বাৎসরিক কী কী কাজ টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা করবেন এবং তার আউটপুট কী হবে তার একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং বিগত বছরগুলোতে অর্জন কী ছিল এসব তথ্যের সমন্বয়ে একটা তুলনামূলক চিত্র সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনও জরুরি। পাশাপাশি এই পরিবর্তনে আমরা কি শুধু খাপ খাইয়ে নেব না নেতৃত্ব দেব, সেটা আমাদের নির্ধারণ করতে হবে। আমরা যদি খাপ খাইয়ে নিতে চাই, তাহলে আমাদের কর্মপরিকল্পনা হবে একরকম আর যদি আমরা নেতৃত্ব দিতে চাই তাহলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে অতিরিক্ত পরিশ্রম করে উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরি করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী টেলিযোগাযোগ বিভাগকে কীভাবে একটা স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে তখন সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা কী হবে তার একটা পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দেশের ৫০০ পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করা হবে: পলক
টঙ্গীতে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
গাজীপুরের টঙ্গীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অটোরিকশার চালক, যাত্রী ও পথচারীসহ আহত হয়েছেন ১১ জন। নিহত ২ জন বিশ্ব ইজতেমায় এসেছিলেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের আগে সকাল ৭টার দিকে টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ সাধারচর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে জনি (১৮) দক্ষিণ সাদারচর হাই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং একই গ্রামে কাজল মিয়ার ছেলে সোহেল (৪০)।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন - মো. ফিরোজ (৫০) মো. জহিরুল ইসলাম (৫২), জিসান (২২), জাহিদ হাসান (৩৫), ইকবাল হোসেন (৫৫), অজ্ঞাত (৪০), অজ্ঞাত (৪০), নজরুল ইসলাম (৫০), আনিসুর রহমান, মো. বোরহান উদ্দিন (৫০) ও বাছির উদ্দিন (৫৫)। এদের আহতদের মধ্যে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
আহত জাহিদ হাসান জানান, ইজতেমার ময়দানে যেতে মিরেরবাজার এলাকায় গিয়ে মাইক্রোবাস থেকে নেমে অটোরিকশায় করে তারা ইজতেমার ময়দানের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একটি কাভার্ডভ্যান তাদের অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের আগে সকাল ৭টার দিকে টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান খানসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন করেছে জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তদের আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে সাভারের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মোস্তাফিজুরকে আটক করা হয় এবং রাত আড়াইটার দিকে অভিযুক্তদের পালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগে আটক করা হয় মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার ওরফে সাগর সিদ্দিকী, ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের সাব্বির হোসেনকে।
আরও পড়ুন: সাভারে নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে মূল অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর জাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তবে ঘটনার পর তাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ধর্ষণের আরেক অভিযুক্ত বহিরাগত মামুন (৪৫)। এছাড়া, ভুক্তভোগীর স্বামীকে বেঁধে রেখে মারধর করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুরাদ।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন করেছে জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তারা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িততের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী ও তার স্বামী সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মামুন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন। তারপর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন। এরপর তার স্ত্রীর মাধ্যমে নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন। ওই নারী জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে আসলে মামুন হলের ভেতরের ওই কক্ষে সেগুলো রেখে আসেন। সবশেষে তার স্বামী অন্যদিক থেকে আসবেন বলে ভুক্তভোগী নারীকে হল-সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও মামুন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
ইজতেমায় আরও ৪ মুসল্লির মৃত্যু
৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে শনিবার রাতে আরও ৪ জন মুসল্লি মারা গেছেন। এ নিয়ে এই পর্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- রাজবাড়ী জেলা পাংশা থানার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার আব্দুল জলিলের ছেলে মো. আলম, নরসিংদী জেলার নুরুল হকের ছেলে মো. শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার মৃত ওসমান গনীর ছেলে আল মাহমুদ।
এবারের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ৭ জন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিয়ে মোট ১০ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার প্রথম পর্ব
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোণা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।
এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চারজন হলেন- নেত্রকোণা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) ও জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু, মোট মৃতের সংখ্যা ১০
এছাড়া ইজতেমা ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে আসার পথে বাসচাপায় পুলিশের এএসআই হাসান উজ্জামান (৩০) শুক্রবার ভোরে মারা যান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান ও টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম তাদের মৃত্যুর বিষয় জানান।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার প্রথম পর্ব
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
সকালে মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের নেতা ও ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের প্রধান ইমাম মাওলানা হাফেজ জোবায়ের আহমেদ।
লাখ লাখ মুসল্লি মহান আল্লাহর কাছে দু'হাত তুলে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য রহমত কামনা করেন। তারা দেশের মঙ্গলও কামনা করে দোয়া করেন।
এর আগে ফজরের নামাজের পর পাকিস্তানি মাওলানা জিয়াউল হক আম বয়ান করেন, যা বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরুল রহমান।
আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী-কামারপাড়া সড়ক, টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত এবং আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া বাইপাস পর্যন্ত শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে দুপুর ২টায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে পারে বা সময় বাড়ানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
ইজতেমায় আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু, মোট মৃতের সংখ্যা ১০