চট্টগ্রাম
ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
চাঁদপুর নদী উপকূলীয় ও চর এলাকায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরাঞ্চলের মতোই কনকনে ঠান্ডা পড়েছে সেখানে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবন অনেকটা স্থবির। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা।
জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে বের হতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
শুক্রবার(১২ জানুয়ারি) সকাল থেকেই উত্তরের হাওয়া বইতে শুরু করে। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ ও আলো কিছুটা থাকলেও বাতাসের তীব্রতা আবারও বাড়তে থাকে। যার ফলে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়। শহরের যানবাহন কমে যায়। লোকজনও বেশিরভাগ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি।
সন্ধ্যায় শহরের পালপাড়া সড়কের মুখে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আগুন জালিয়ে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শহরের ট্রাকরোডে দেখা গেছে শীতের গরম জামাকাপড় বিক্রি করছেন এক হকার। গত কয়েকদিন শীত থাকলেও বাতাস কম ছিল। আজকে বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শীতের কাপড়ের কদরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
ট্রাকরোডের ওষুধ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বলেন, এ বছরের মধ্যে আজকে বেশি শীত পড়ছে। মূলত বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শহরের পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, মেঘনা পাড়ের লোকজন শীত খুবই নাজুক অবস্থা। আজকে উত্তরের বাতাসে মানুষের শীতের কষ্ট বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেকে বসেছে শীত, বিক্রি বেড়েছে হকার্স মার্কেটে
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব ইউএনবিকে জানান, চলতি শীত মৌসুমে আজকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আজকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমি ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগী
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে মশারি ও অন্যান্য জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন।
আরও পড়ুন: আবেদন খারিজ, ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যানকে লাখ টাকা জরিমানা
রেশমা খাতুন জানান, অর্থদণ্ড প্রাপ্ত এসব জেলে পাশের শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার তারাবুনিয়া ও চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনার পশ্চিমে অবস্থিত রাজরাজেশ্বর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল এবং নিষিদ্ধ চাই অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
এ সময় মেঘনা নদীর সদর উপজেলার কাছিকাঠা এলাকায় মশারি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ধরা অবস্থায় ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় জব্দ করা হয় ১০টি মশারি জাল এবং নিষিদ্ধ ৬০ হাজার মিটার কারেন্টজাল। জব্দ করা জাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে পাঁচটি নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ, জরিমানা
চট্টগ্রামে কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় গলা কাটা অবস্থায় মো. আরিফ (১৬) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চরলক্ষ্যার নিমতলা এলাকার বড়বিল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত আরিফ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের আব্দুর রহমানের ছেলে। চরপাথরঘাটা ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইছানগর গ্রামের গান্ধীর বাড়িতে বসবাস করত এবং অটোরিকশা চালাত।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারীকে হত্যা, লাশ পড়ে ছিল রাস্তায়
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ইছানগর মির্জাবাড়ী এলাকার সম্রাটের গ্যারেজ থেকে জাহেদ নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে প্রতিদিনের মতো বের হয় আরিফ।
পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা চরলক্ষ্যা নিমতলা এলাকার বড়বিলে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহাম্মদ জহির হোসেন বলেন, এক কিশোরের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: মেয়ের বাড়িতে এসে ট্রাকচাপায় লাশ হলেন মা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়েছে ৮ টি শেড। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্প-৫ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে, হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি ক্যাম্প-৫ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই একই স্থানের পাশে আবারও আগুন লাগে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই ৮টি শেড আগুনে পুড়ে যায়।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
এ ঘটনায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের ৩ জনের কেউই বেঁচে নেই
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুনে দগ্ধ আশীষের পরিবারের তিনজনের কেউ আর কেউ বেঁচে রইল না।
আগুন লাগার ঘটনার ১৩ দিনের মধ্যে একে একে মারা গেলেন আশীষ চন্দ্র সরকার, তার একমাত্র সন্তান রিক সরকার ও স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার (৩০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তারা তিনজনই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আশীষ, টুম্পা ও রিক। গ্যাসের চুলায় তিতাসের সংযোগ লাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনার কথা স্বজনদের বলেছিলেন আশীষ ও টুম্পা।
গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মারা যান আশীষ চন্দ্র সরকার, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে রিক সরকার ও সর্বশেষ গত সোমবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় আশীষের স্ত্রী টুম্পা রানী সরকারের।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বাসে আগুন, দগ্ধ ৭
আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আশীষের ৮২ শতাংশ, টুম্পার ৬০ শতাংশের বেশি এবং রিকের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শুরু থেকেই রিককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আর আশীষ ও টুম্পাকে এইচডিইউ ভর্তি করা হয়। তিনজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন ছিল।
সোমবার টুম্পার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার সময় তাকে এইচডিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে টুম্পার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
তার লাশ নিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দিকে রওনা দিয়েছেন। এর আগে আশীষ ও রিকেরও শেষকৃত্য হয় ধোবাউড়ায়।
আশীষের ভাই পরিতোষ জানিয়েছিলেন, তাদেরও বাসার দরজা-জানালা সব সারা দিন বন্ধ ছিল। রাতে আশীষ অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর ভাত রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে যান। চুলা জ্বালানোর পরপরই দুই কক্ষের বাসায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগা অবস্থায় তারা নিজেরাই দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চিৎকার শুনে তারা গিয়ে দেখেন, শরীরে আগুন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নামছেন তিনজন। কাপড় জড়িয়ে দিয়ে সেই আগুন নেভান তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে থাকতেন। ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়।
ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রিক ফেনীতে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
কক্সবাজার-ঢাকা রুটে যুক্ত হলো ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’
কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যুক্ত হয়েছে নতুন ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’।
বুধবার(১০ জানুয়ারি) বিকাল তিনটার কিছু সময় পর ঢাকা থেকে ৭৮০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা ট্রেনটি সাগরপাড়ের দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ১০ জানুয়ারি থেকে চলবে নতুন ট্রেন 'পর্যটক এক্সপ্রেস'
কক্সবাজার পৌঁছে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। তুলে ধরেন ট্রেনে চড়ে সাগরপাড়ে আসার অভিজ্ঞতা। কেউ ট্রেনের ব্যবস্থাপনা দেখে অভিভূত, আবার কেউ কেউ বর্ণনা দেন পথে পথে দেখা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের। আবার কেউ কেউ পরামর্শ দেন ব্যবস্থায় আরও একটু উন্নতি করার।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, কক্সবাজারে ট্রেন নিয়ে মানুষ অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। সবাই চায় ট্রেনে করে ঢাকায় যেতে এবং আসতে। তবে আগে একটি মাত্র ট্রেন হওয়ার কারণে টিকেট নিয়ে নানা সংকট হতো। এখন পর্যটক এক্সপ্রেস যুক্ত হওয়াতে টিকেট সংকট কমে যাবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যু
গত ১১ নভেম্বর উদ্বোধনের পর ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ৭৮০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার কক্সবাজার এক্সপ্রেসের। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় টিকেট সংকটের বিষয় নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। চাহিদার প্রেক্ষিতে বুধবার থেকে নতুন করে যুক্ত হলো পর্যটক এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭৮০ জন। বিরতিহীন ট্রেনটি ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছে বিকাল ৩ টায়। আবার রাত ৮ টায় ছেড়ে যাবে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ভোট দিতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যু
কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে আব্দুস সালাম (৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের ঈদগাঁও উপজেলার নাপিতখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
নিহত আব্দুস সাত্তার ইসলামপুর জুমনগর এলাকর বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, সাত্তার ইসলামপুর জুমনগর থেকে কৃষি কাজের উদ্দেশে ইসলামাবাদে যাওয়ার পথে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৯
বাকৃবি অধ্যাপক আব্দুল কাফির মৃত্যু, বগুড়ায় দাফন
নবীনগরে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল খালা-ভাগনির
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুকুরে ডুবে খালা-ভাগিনীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কনিকাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে সায়মা (১২) ও কসবা উপজেলার কুডি গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে ইলমা (৬)।
তারা সম্পর্কে খালা ও ভাগনি।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে পুকুরে ডুবে মারা গেল ২ শিশু
নিহত সায়মার মা জুহেরা বেগম জানান, দুপুরে ইলমা ও তার খালা সায়মা বাড়ি পাশ্ববর্তী পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ইলমা পানিতে পড়ে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে সায়মাও পানিতে লাফ দেয়।
সাঁতার না জানার কারণে তারা তীরে আসতে পারেনি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, পানিতে ডুবে দুইজনের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি।
আরও পড়ুন: মণিরামপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় ত্রিপুরা সর্দার নিহত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় শংকর ত্রিপুরা (৬৫) নামে এক ত্রিপুরা সর্দার নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকাল পৌনে চারটার সময় উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সুলতানা মন্দির এলাকায় মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শংকর ত্রিপুরা ওই এলাকার পাহাড়ি ত্রিপুরা পাড়ার মৃত মনকরাই ত্রিপুরার ছেলে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের ধাক্কায় প্রাইভেটকারের চালক নিহত
জানা যায়, নিহত শংকর ত্রিপুরা প্রতিদিনের মতো সুলতানা মন্দির এলাকায় একটি মন্দিরে গীতা পাঠ করতে যাওয়ার সময় জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার সামনে ঢাকামুখী একটি স্টার লাইন বাস তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন।
এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সালাউদ্দিন তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ত্রিপুরা সর্দার শংকর মারা যাওয়ার খবরে পাহাড় থেকে শতাধিক ত্রিপুরা অধিবাসী মহাসড়কে এসে স্টার লাইনের সব বাস আটকে বিক্ষোভ করে।
আরও পড়ুন: ডেমরায় লেগুনায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
খবর পেয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে গাড়ির মালিক পক্ষের সঙ্গে সমোঝোতার আশ্বাস দিলে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সড়ক থেকে সরে যান।
ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, স্টার লাইনের একটি বাসের ধাক্কায় এক ত্রিপুরা ব্যক্তি নিহত হয়। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অকটেনের আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত গিয়াস উদ্দিন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত গিয়াস উদ্দীন উপজেলার আমিলাইশ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ডলু ঘোনার পাড়ার শাহ আলমের ছেলে। রশি দিয়ে আটকানো বোতল খুলতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউপি সদস্য মামুনের মোটরসাইকেলে অকটেন শেষ হয়ে গেলে প্লাস্টিকের বোতলে করে অন্য একটি মোটরসাইকেলের পাশে রশি দিয়ে বেঁধে দোকান থেকে অকটেন কিনে নিয়ে আসে। পরে উক্ত প্লাস্টিকের বোতলটি হাত দিয়ে খুলতে না পেরে আগুন দিয়ে খোলার চেষ্টা করার সময় অসাবধানতা বশত গিয়াস উদ্দিন অগ্নিদগ্ধ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিলাইশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, প্লাস্টিকের বোতলে করে কিনে আনা অকটেনের বোতল রশি দিয়ে বাধা ছিল।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু
সেটি দিয়াশলাই দিয়ে খুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, অগ্নিদগ্ধে গিয়াস নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাট কারাগারে হাজতির মৃত্যু