চাঁদপুর নদী উপকূলীয় ও চর এলাকায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরাঞ্চলের মতোই কনকনে ঠান্ডা পড়েছে সেখানে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবন অনেকটা স্থবির। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা।
জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে বের হতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
শুক্রবার(১২ জানুয়ারি) সকাল থেকেই উত্তরের হাওয়া বইতে শুরু করে। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ ও আলো কিছুটা থাকলেও বাতাসের তীব্রতা আবারও বাড়তে থাকে। যার ফলে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়। শহরের যানবাহন কমে যায়। লোকজনও বেশিরভাগ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি।
সন্ধ্যায় শহরের পালপাড়া সড়কের মুখে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আগুন জালিয়ে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শহরের ট্রাকরোডে দেখা গেছে শীতের গরম জামাকাপড় বিক্রি করছেন এক হকার। গত কয়েকদিন শীত থাকলেও বাতাস কম ছিল। আজকে বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শীতের কাপড়ের কদরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
ট্রাকরোডের ওষুধ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বলেন, এ বছরের মধ্যে আজকে বেশি শীত পড়ছে। মূলত বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শহরের পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, মেঘনা পাড়ের লোকজন শীত খুবই নাজুক অবস্থা। আজকে উত্তরের বাতাসে মানুষের শীতের কষ্ট বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেকে বসেছে শীত, বিক্রি বেড়েছে হকার্স মার্কেটে
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব ইউএনবিকে জানান, চলতি শীত মৌসুমে আজকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আজকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমি ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগী