চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকায় একটি ৪তলা ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় খোরশেদ ম্যানশন নামে একটি ৪ তলা ভবন হেলে পড়ে এক পাশে।
এর পরপরই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিউর রহিম জাদিদ, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক, চাঁন্দগাও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উক্ত ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে চারতলা ভবন
আশে পাশের আরো ৪টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সেগুলোর বাসিন্দাদেরও সরিয়ে আনা হয়েছে। মোট ১০০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, মূল হেলে পড়া ভবনটির পেছনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) খাল খনন প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। সেই খাল খনন করায় ভবনের পিলার দুর্বল হয়ে পড়েছে- এমনটাই দাবি করছেন বাসিন্দারা। অপরদিকে সিডিএ'র প্রধান প্রকৌশলী জানান, উক্ত ভবন অপসারণ করার কথা ছিল এবং ভবনের মালিক অপসারণের জন্য সময় নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে বহুতল ভবনে আগুন
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে উপপরিচালক স্থানীয় সরকারকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উক্ত কমিটিতে সিএমপি'র প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, সিডিএ'র প্রতিনিধি, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, পিডব্লিউডি'র প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি ভবনে কেউ যেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বসবাস না করেন সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য আশেপাশের বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ফটিকছড়িতে পুকুরে ডুবে মারা গেল ২ শিশু
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পুকুরে ডুবে তাবাসসুম (৯) ও ওয়াজিহা (৬) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বক্তপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হিরা গাজী বাড়ির পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুতুবদিয়ায় ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
নিহত দুই শিশুর মধ্যে তাবাসসুম ওই এলাকার মৃত আজম খানের মেয়ে এবং তার বান্ধবী ওয়াজিহা জাহানপুর আব্দুর রশিদ সওদাগর বাড়ির মো. নাছিরের মেয়ে।
বক্তপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোবারক আলী বলেন, তাবাসসুমের বাবা ৪০ দিন আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আজ চল্লিশা ফাতিহার আয়োজন ছিল বাড়িতে।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা এসেছিলেন সেখানে। দুপুরে বাড়ির লোকজন তাবাসসুম ও ওয়াজিহাকে দেখতে না পেয়ে চারদিকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরে তাদের দুজনকে ভাসতে দেখে স্বজনরা।
তিনি বলেন, সেখান উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। লাশ বাড়িতে নিয়ে আনা হয়েছে। দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
ফেনীর ফুলগাজীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের সংঘর্ষে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। হতাহতদের মাঝে সিএনজিচালক ছাড়া সবাই একই পরিবারের সদস্য।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৮টায় উপজেলার আমজাদ হাট-মুন্সিরহাট সড়কের শনিরহাট মনিপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নিহত সিএনজিচালক সাইফুল ইসলাম হাড়িপুষ্করণী এলাকার নুর হোসেনের ছেলে এবং ৮ মাস বয়সী নিহত শিশু আনাস কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার চিওড়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে।
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আকরাম হোসেন, তার স্ত্রী জান্নাতুল মুন্নী, হাসিম বিন আকরাম ও জামাল উদ্দিন শশুরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আমজাদ হাট-মুন্সিরহাট সড়কের শনিরহাট মনিপুর এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও পিকআপের সংঘর্ষ হয়।
পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সিএনজিচালক সাইফুল ও আরোহী শিশু আনাছকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্ব বসন্তপুর এলাকার ইউপি সদস্য জয়নাল আবদীন জানান, সিএনজিচালক সাইফুল ব্যতীত দুর্ঘটনায় হতাহত সবাই হাড়িপুষ্করনী এলাকার গ্রাম সরকার লুৎফুলের বাড়ির একই পরিবারের সদস্য। তারা ওই বাড়ির এক বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরে বাড়িতে এসেছিলেন।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম জানান, দুর্ঘটনার পর পিকআপচালক শাহীনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ ও সিএনজি পুলিশ জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নানী-নাতনি নিহত
চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
কক্সবাজারে যাত্রীবাহী বাস থেকে সাড়ে ৩ কেজি কোকেন জব্দ
কক্সবাজারে একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৩ কেজি ৪৮৫ গ্রাম কোকেন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আরও পড়ুন: খুলনায় কোকেনের মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
শনিবার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে কোকেন জব্দ করা হয়।
কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুষ্টিয়া থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে কোকেনের একটি চালান কক্সবাজারে পাচার করা হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় কক্সবাজার মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি ৪৮৫ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ১৮০০ গ্রাম কোকেন জব্দ, ভারতীয় নারী আটক
চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ: মামলার চার্জ গঠন ১০ নভেম্বর
লক্ষ্মীপুরে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা-নাতির মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা মো. সফিউল্যাহ (৬০) ও নাতি মো. ওমরের (২) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামের মাদার বাড়ির (বক্তের বাড়ি) বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে নুনিয়াপাড়া গ্রামের মাদার বাড়ির সফিউল্যাহ’র সঙ্গে হাঁটতে বের হয় ওমর। দীর্ঘক্ষণ হলেও ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকজন দাদা-নাতিকে খুঁজতে বের হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সেপটিক ট্যাংকে আটকে ২ জনের মৃত্যু
এক পর্যায়ে ওই বাগানের একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে মৃত অবস্থায় তাদের পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সফিউল্যাহর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘দাদার সঙ্গে প্রায়ই হাঁটতে বের হতো ওমর। আজ সকালেও প্রতিদিনকার মতো হাঁটতে বের হওয়ার পর তাদের ফিরতে দেরি হওয়ায় আমরা খুঁজতে বের হই। পরে বাড়ির পাশের বাগানে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের পানিতে আমার স্বামী ও নাতির লাশ ভেসে থাকতে দেখি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে বাবু গুলিস্তানের বঙ্গবাজারে দীর্ঘদিন ব্যবসা করতো। সম্প্রতি গুলিস্তানের বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমার ছেলে সব হারিয়ে বিদেশে যায়। আজ আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: রংপুরে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
চট্টগ্রামে লরিচাপায় ৩ শ্রমিক নিহত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ শ্রমিক নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার তালবাড়িয়া বিসিক সড়কে একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৪ জনকে চাপা দিলে ৩ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- মো. আলমগীর প্রকাশ আলম (৪৫), মো. শফিকুল ইসলাম (৪২) ও মাসুদ মিয়া (৩৫)। আহত অজ্ঞাত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম লেনের পূর্বপাশ হয়ে স্থাপন হচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পাইপলাইন। এখানে কাজ করার সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৪ শ্রমিক সড়কের পাশ দিয়ে হেটে কাজে যাচ্ছিলেন।
এ সময় দ্রুতগতির একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে লরির চাপায় ৪ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে মীরসরাই স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরতর আহত একজনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সরকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে মীরসরাই সদর এলাকা থেকে লরিটি আটক করা হয়েছে। এ সময় লরির চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে শিশুসহ নিহত ২
চট্টগ্রামে দু’টি বাস ও টিসিবি’র ট্রাকে আগুন
মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে বৃদ্ধ নিখোঁজ
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে গোসল করতে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার মেঘনা নদীর পাড়ে গোসল নেমে তিনি নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ আব্দুর রাজ্জাক চাঁদপুর লঞ্চঘাটের পাশে জেলা শহরের উত্তর শ্রীরামদী এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, তার সঙ্গের অন্যরা নদী থেকে উঠে গেলেও তিনি নিখোঁজ থেকে যান। তিনি স্থানীয় মসজিদের স্টাফ ছিলেন এবং বাবুর্চির কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় জন্মের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেল পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা
চাঁদপুর সদর নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, এ সংবাদ লেখা পরযন্ত তিনি নিখোঁজই রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নৌ-পুলিশ টিম, ফায়ার রেসকিউ টিম, ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে ঘটনাস্থল ও আশপাশে নদী এলাকায় খুঁজতে নামে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, সবার ধারণা তিনি নদীতে ডুবে মারা গেছেন। শনিবার আবার তাকে খুঁজতে ডুবুরিরা নদীতে নামবেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় নিখোঁজ জেলের লাশ একদিন পর উদ্ধার
মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন
শান্তি ও মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ৪৮তম কঠিন চীবর দানোৎসব রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে চীবর উৎসর্গের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে লাখো পূণ্যার্থী জমা হয়। প্রয়াত পার্বত্য ধর্মীয় গুরু বনভন্তে স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘণ্টায় প্রস্তুতকৃত চীবর দান করেন। রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে এসব চীবর উৎসর্গ করেন রাঙ্গামাটি সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়।
আরও পড়ুন: মাটিরাঙ্গায় বন বিহারে কঠিন চীবর দান
চীবর উৎসর্গের সময় ভক্তদের সাধু, সাধু, সাধু কণ্ঠধ্বনিতে রাজবন বিহার এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।
এর আগে রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে আসা পূণ্যার্থীদের সামনে প্রধান মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভন্তের অমৃত কথা অডিও উপস্থাপন করা হয়।
পরে দায়ক দায়িকার উদ্দেশে স্বধর্ম দেশনায় দেন রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
এ সময় তিনি কৌশল কর্ম, সৎ চেতনা ও জীবনযাপন করার জন্য হিতোপোদেশ দেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় গেরুয়া কাপড়কে বলা হয় চীবর। প্রাচীন নিয়ম মতে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সূতা কেটে, সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে এর নাম কঠিন চীবর দান।
এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকালে বেইন ঘর উদ্বোধন ও চরকায় সুতা কাটার মধ্যদিয়ে রাজবন বিহারে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী ৪৮তম কঠিন চীবর দানোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
রাতভর তুলা থেকে চরকায় সুতা কেটে, সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে চীবর বুননের কাজ। দুপুরে ভিক্ষু সংঘকে সেই চীবর (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) দান করার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত রাজবন বিহারে দুই দিনের চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়।
রাজবন বিহার উপাসক পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, বৌদ্ধদের যত ধরনের দান রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে পূণ্যের দান হলো কঠিন চীবর দান। এ জন্য কঠিন চীবর দানোৎসবকে দানোত্তম চীবর দান উৎসব বলা হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর রাজবন বিহারে প্রায় ২০০ বেইন ও দেড় শতাধিক চরকার সাহায্যে ৬ শতাধিক দায়ক-দায়িকা চীবর বুননের কাজে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত
সীতাকুণ্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত (২৪ নভেম্বর) মধ্য রাতের দিকে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের টোবাকো গেট এলাকায় মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, জামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ট্রাকটি রাত ৯টার সময় টোবাকো গেট এলাকায় মহাসড়কের পাশে গ্যারেজের সামনে রাখা হয়। ভোরের দিকে ট্রাকটিতে আগুন জ্বলতে দেখেন নাইটগার্ড রুবেল।
আরও পড়ুন: কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী পিকআপভ্যানে আগুন
তিনি বলেন, ‘আমার ডিউটি ছিল গ্যারেজে, রাত সাড়ে ৩টার সময় হঠাৎ দেখি ট্রাকে আগুন জ্বলছে। তবে এ সময় কাউকে দেখা যায়নি। আগুন কীভাবে লেগেছে বুঝতে পারিনি। তখন আমি কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে আগুন নেভাতে এগিয়ে আসি।’
জামাল বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৪টার সময় আমাকে একজন ফোনে আগুন লাগার বিষয়টি জানান। আমি এসে দেখি ট্রাকের সামনের অংশ একেবারে পুড়ে গেছে। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে তা বুঝতে পারছি না।’
সকালে ঘটনাস্থল ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘দাঁড়ানো একটি ট্রাকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। আগুন কীভাবে লেগেছে তা জানা যায়নি। মালিকের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ আসেনি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজয়নগরে বাসে আগুন
সিলেটে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক কিশোরীর ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত সামিয়া আক্তার (১৫) উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামের বিল্লাল মাস্টার বাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীতে রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাশারুক গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারপর তারা পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা জানতে পারেন সামিয়ার স্বামী একজন মাদকসেবি।
তারা আরও জানান, পরে সামিয়া স্বামীর সঙ্গে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী মাদকাসক্ত ও বাবা-মায়ের কটাক্ষ কথা সহ্য না করতে পেরে সামিয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বলেন, 'আজকে (বৃহস্পতিবার) সকালে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: যশোরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার