লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা মো. সফিউল্যাহ (৬০) ও নাতি মো. ওমরের (২) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামের মাদার বাড়ির (বক্তের বাড়ি) বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে নুনিয়াপাড়া গ্রামের মাদার বাড়ির সফিউল্যাহ’র সঙ্গে হাঁটতে বের হয় ওমর। দীর্ঘক্ষণ হলেও ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকজন দাদা-নাতিকে খুঁজতে বের হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সেপটিক ট্যাংকে আটকে ২ জনের মৃত্যু
এক পর্যায়ে ওই বাগানের একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে মৃত অবস্থায় তাদের পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সফিউল্যাহর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘দাদার সঙ্গে প্রায়ই হাঁটতে বের হতো ওমর। আজ সকালেও প্রতিদিনকার মতো হাঁটতে বের হওয়ার পর তাদের ফিরতে দেরি হওয়ায় আমরা খুঁজতে বের হই। পরে বাড়ির পাশের বাগানে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের পানিতে আমার স্বামী ও নাতির লাশ ভেসে থাকতে দেখি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে বাবু গুলিস্তানের বঙ্গবাজারে দীর্ঘদিন ব্যবসা করতো। সম্প্রতি গুলিস্তানের বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমার ছেলে সব হারিয়ে বিদেশে যায়। আজ আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: রংপুরে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের