চট্টগ্রাম
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে উম্মোচন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে নির্মিত মেগা প্রকল্প ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
যানজট নিরসনে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি সহ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) আরও দুটি প্রকল্প বাকলিয়া এক্সেস রোড ও ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়কের উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ৬
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করবেন।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দুই ঘণ্টার সড়কপথ অতিক্রম করা যাবে মাত্র ৩০ মিনিটে।
নগরীর পতেঙ্গা প্রান্তে বঙ্গবন্ধু টানেলের পাশেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মূল শহর থেকে সেখানে গিয়ে সংযুক্ত হবে।
গত ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল উদ্বোধনের পর ১১ নভেম্বর উদ্বোধন হয় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ।
যাতায়াত ব্যবস্থায় দুই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের পরই মঙ্গলবার আরেক মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া চট্টগ্রামবাসীর জন্য সরকারের উপহার হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দল। এটি চালু হলে মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পৌঁছানো যাবে।
তবে দিতে হবে নির্ধারিত হারে টোল। নগরীর আগ্রাবাদ বন্দর ইপিজেড এলাকার দীর্ঘ দিনের বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ায় টানেলমুখী যানবাহনের চাপ সামলাতে এই এক্সপ্রেসওয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘পতেঙ্গা টানেলের মুখ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আপাতত এই অংশ খুলে দেওয়া হবে। তবে লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখনই খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বাকি সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: রামপুরা-আমুলিয়া ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২৬১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
নগরীর যানজট নিরসনে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেক সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অনুমোদন পায়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ দশমিক ৫ মিটার চওড়া এই অবকাঠামোর প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সূত্র জানায়, যৌথভাবে নির্মাণকাজ পায় বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান রর্যঙ্কিন।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানেবাড়ি গোষ্ঠি ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠি একটি পক্ষে এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠি আরেকটি পক্ষ।
একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মিয়া।
এই দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মেম্বারের পক্ষের দোলা গোষ্ঠির বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত ও তার ছেলেকে মারধর করে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়ার পক্ষের খানে বাড়ি ও সিরাজ আলীর গোষ্ঠির লোকজন।
বিষয়টি রাতেই স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সোমবার সকালে সদর থানায় মিমাংসা করার জন্য সালিশ সভা ডাকা হয়। সকালে সভা চলাকালে এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ কলেজছাত্রী আহত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যাত্রীবাহী একটি লেগুনা খাদে পড়ে ১২ জন কলেজ ছাত্রী আহত হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার পৌরসভার শেখপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তারা সবাই ছোট দারোগারহাট তাহের-মঞ্জুর কলেজের ছাত্রী। আহতদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে এপিসি কারে বিস্ফোরণ, ৫ পুলিশ আহত
আহত ছাত্রীরা হলেন- নাদিয়া আক্তার (১৬), বিবি ফাতেমা স্বপ্না (১৭), রাজিয়া সুলতানা (১৭), সুলাইয়া (১৭), সানজিদা (১৭), মনিষা রানী দাশ (১৯), নাফিজা ইবনাত (১৭), ইফরাতুল তাসফিয়া (১৬), ইবনে সুলতানা (১৭), মায়মুনা আক্তার (১৮), জেসমিন আক্তার(১৭) ও পায়েল রানী দাস (১৮)।
দুর্ঘটনার শিকার হওয়া লেগুনার আহত যাত্রী তাসলিমা আক্তার জানান, লেগুনাটি পৌরসভার শেখপাড়া এলাকায় অতিক্রম করার সময় বড় দারোগারহাট থেকে সিটি গেট পর্যন্ত চলাচলকারী ৮ নম্বর একটি বাস লেগুনাকে ধাক্কা দিলে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী একটি খাদে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন রাশেদ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ১২ ছাত্রীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে আহত পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৩
কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের অষ্ট্রগ্রাম এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলেন- অষ্টগ্রাম পূর্ব পাড়ার লিটন সূত্রধরের পুত্র আনন্দ সূত্রধর (৫) ও যুবরাজ সূত্রধরের পুত্র পাবন সূত্রধর (৫)।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে ২ বোনসহ ৩ শিশুর মৃত্যু
এরা দুজনেই আটগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্পর্কে তারা দুজন চাচাতো-জ্যাঠাত ভাই।
স্থানীয়রা জানান, তারা বাড়ির পাশ্ববর্তী পুকুরে গোসল করতে যায়। ফিরে না আসতে দেখে পরিবার খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে গিয়ে তাদের পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান মেহবুব বলেন, নিহত শিশু দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে তারা প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক পার হওয়ার সময় ফুফু-ভাতিজি নিহত
কুমিল্লায় চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসক ও স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বাঁশখালী পৌরসভার নেয়াজর পাড়া ও শীলকূপ ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- শীলকূপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বৈরাগ পাড়া গ্রামের আহমদ শফির ছেলে রিফাত মিয়া (দেড় বছর) ও পৌরসভার নেয়াজর পাড়া এলাকার মো. আবছারের ছেলে মো. মুনতাসীর (৩)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে নিজ বাড়ির উঠানে খেলার সময় শিশু মুনতাসীর বাড়ির সবার অগোচরে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মুনতাসিরকে না পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় পুকুরে তল্লাশি করে শিশু মুনতাসিরকে উদ্ধার করে। তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে পুকুরে ডুবে যমজ বোনের মৃত্যু
অন্যদিকে একই সময়ে শীলকূপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে উঠানে খেলতে গিয়ে পাশের পুকুরে পড়ে যায় রিফাত মিয়া নামের দেড় বছরের শিশু। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ডা. হীরক কুমার পাল ও ডা. হাসান জানান, এক ঘণ্টার ব্যবধানে পুকুরে ডুবে যাওয়া দুই শিশুকে হাসপাতালে আনা হলে আগেই শিশু দুটির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চট্টগ্রামের পটিয়া, ফটিকছড়ি ও চন্দনাইশ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ও রবিবার (১২ নভেম্বর) রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শিক্ষার্থী তাইরিন তাবাসসুম তোহা (৯) নুর ও হোসেন (১৩) এবং পথচারী মন্টু কর (৫০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের টেকের দোকানের সামনে চাঁন্দের গাড়ির চাপায় তাইরিন তাবাসসুম তোহা নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও দুইজন শিক্ষার্থী। তাদের উদ্ধার করে নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন গাড়িটি আটক করেছে।
মৃত তোহা ওই এলাকার হাফেজ জাহেদুল ইসলামের মেয়ে। সে সুয়াবিল ইসলামিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আরেফিন আজিম বলেন, তিনজন শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় আনা হলে একজন মারা যায়। আহত একজন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং আরেকজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চন্দনাইশের বরমা কলেজের সামনে দ্রুতগতির সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নুর হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
নুর হোসেন চন্দনাইশ পৌরসভার ৫ নম্বর দক্ষিণ হারলা নিজাম উদ্দীন পাড়া এলাকার রিকশাচালক শাহা আলমের ছেলে এবং পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সকালে সাইকেলে ছোট ভাইকে বরমা রউলিবাগ মাদরাসায় দিয়ে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পুলিশ সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. জাহাঙ্গীরকে (৩২) আটক করেছে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম সড়কের একপাশে দাঁড়ানো অবস্থায় সাইকেল আরোহীকে সিএনজি ধাক্কা দিলে ছেলেটির মৃত্যু হয়। সিএনজি চালককে আটক করে সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে রবিবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ায় ঈগল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক পথচারী। তার নাম মন্টু কর (৫০)। তিনি উপজেলা খরনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিবারন করের ছেলে বলে জানিয়েছেন পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মন্টু কর নামের এক লোক রাতে বাজার করে মহাসড়ক পার হয়ে বাড়িতে ফেরার পথে ঈগল পরিবহনের বাসটি তাকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধের লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। গাড়িটি জব্দ করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
চট্টগ্রামে নাশকতা ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন
সরকার পতনের একদফা দাবি, বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধের প্রথম দিন রবিবার (১২ নভেম্বর) মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবি'র অভিযান: ২ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ
এদিকে অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যায়নি পণ্যবাহী গাড়ি কিংবা যাত্রীবাহী বাস। এছাড়া নাশকতা রোধে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব পুলিশের পাশাপাশি চট্টগ্রামে টহল দিচ্ছে বিজিবি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি টহল দল মহাসড়ক ছাড়াও নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়েছে।
বিজিবি চট্টগ্রাম-৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী বলেন, চট্টগ্রামে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিজিবি চট্টগ্রামে টহল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সর্বশেষ অবরোধে সারা দেশে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
মেহেরপুর সীমান্তে ৩৩,২০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে বিজিবি
মিরসরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে ও বিকালে উপজেলার বড়দারোগাহাট ও ছোট কমলদহ এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ট্রাক চালকের সহকারী ইউসুফ (৪২) ও মোটরসাইকেল আরোহী বাসু দেব (৩৬)।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ছোট কমলদহ এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে বিকাল ৪টায় অজ্ঞাতনামা গাড়ির ধাক্কায় বাসু দেব পাল নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। তিনি উপজেলার জোরারগঞ্জ খানাধীন দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর হাজীশ্বরাই গ্রামের বাবুল পালের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
এর আগে সকালে বড় দারোগার হাট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অপর একটি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দিলে চালকের সহকারী ইফসুফ (৪২) নিহত হন। নিহতের লাশ গাড়িতে আটকে থাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে উদ্ধার করেন।
নগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বড়দারোগাহাট এলাকায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে পেছন থেকে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এ সময় পেছনের ট্রাকের চালকের সহকারী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা লাশ উদ্ধার করেন।
পৃথক দুর্ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ছোট কমলদহ এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে বিকাল ৪টায় অজ্ঞাতনামা গাড়ির ধাক্কায় বাসু দেব পাল নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ট্রাকের ধাক্কায় এক ট্রাক চালকের সহকারী মো. ইফসুফ নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় একজন মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১১
রাজধানীতে পৃথক স্থান থেকে ২ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে ৪৮ মামলা: ৭০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ, হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৫ দিনে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর দক্ষিণ জেলায় এ পর্যন্ত ৪৮টি মামলায় ৭০০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মহানগর বিএনপির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর মধ্যে- মহানগরীর ১১ থানায় ১৬ মামলায় গ্রেপ্তার ৩৪০ জন, উত্তর জেলার আওতাধীন বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলায় ১৮০ জন এবং দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ১৮০ জন নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন: রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
শনিবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৫ দিনে নগরীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসময়ে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ইকবাল চৌধুরীসহ এ পর্যন্ত ৩৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় একই পরিবারের চার ভাইকে আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির আরও ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ২০ জনসহ এ পর্যন্ত মোট ৩৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলো। এসব মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে হুদা তোতন, মো. শাহ আলম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হাশেম, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তিসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিভিন্ন থানায় মামলাগুলোর মধ্যে চান্দগাঁও থানায় একটি, পাঁচলাইশ থানায় একটি, বায়েজিদ থানায় ৩টি, আকবর শাহ থানায় ২টি, খুলশী থানায় ৩টি, পাহাড়তলী থানায় একটি, ইপিজেড থানায় একটি, কোতোয়ালি থানায় একটি, হালিশহর থানায় একটি, পতেঙ্গা থানায় একটি ও সদরঘাট থানায় একটিসহ মোট ১৬টি মামলা।
এদিকে উত্তর জেলায় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে হাটহাজারী থানায় দায়ের করা মামলাসহ মোট মামলা হয়েছে ১৯টি। আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ২১০ জনেরও অধিক। দক্ষিণ জেলায় ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ১৮০ জন নেতা-কর্মী।
এদিকে এক বিবৃতিতে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশের গণগ্রেপ্তার, মামলা ও গণবিরোধী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা।
নেতারা আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিএনপি'র ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধ কর্মসূচি পুলিশের গণগ্রেপ্তার উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করার জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের গণগ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। বিন্দুমাত্র বল প্রয়োগ না করেই ধৈর্য্যের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি সফল করছেন। জনগণ বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে দেখে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আগের কায়দায় তাদের পেটোয়া বাহিনী পুলিশকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। ভূয়া, গায়েবি অভিযোগ তুলে পুলিশের সদস্যরা এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিরাতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে, পরিবারের সদস্যদের অকথ্য নির্যাতন করছে। পুলিশের কারণে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এখন ঘরে থাকতে পারছে না। পেলেই গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন গায়েবি মামলার আসামি করে দিচ্ছে। সক্রিয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির সমর্থকরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
গণগ্রেপ্তার ও মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, হরতাল অবরোধের নামে যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে সম্পদ নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের স্বীকারোক্তি ও পুলিশের তদন্তে যাদের নাম পাওয়া যাচ্ছে তাদেরকে নাশকতা মামলায় আসামি করছে পুলিশ। কাউকে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে কোনো অভিযান পরিচালনা কিংবা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
রাজনৈতিক সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩৩ : র্যাব
কক্সবাজারে বড় পরিসরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন
ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত একটি চোখ ধাঁধানো রেলস্টেশন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে, যা বিনোদনের গন্তব্যে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল রেললাইন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দরনগরীকে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত করার লক্ষ্যে শনিবার এই স্টেশনটির উদ্বোধন করেন।
কক্সবাজার শহরের নিকটবর্তী ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর রেলস্টেশনটি নির্মাণ করা হয়।
১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুটের রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে, যেখানে একটি ৬তলা ভবন এবং একটি বড় ঝিনুক আকৃতির ঝর্ণা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার যাত্রী আইকনিক স্টেশনটি ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্টেশনটিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৩টি বড় জায়গা রয়েছে। স্টেশনটিতে যে সব আধুনিক সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে- টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, শপিং মল, রেস্তোঁরা, লাগেজ লকার, শিশু যত্ন কেন্দ্র, মসজিদ, এসকেলেটর, এটিএম বুথ, আবাসিক হোটেল, পোস্ট অফিস এবং পর্যটন তথ্য বুথ।
পর্যটন শহরে লাগেজ লকার একটি আকর্ষণীয় সেবা, কারণ যে কেউ স্টেশনে পণ্য রেখে একদিনের জন্য সমুদ্র সৈকত বা অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন।
এছাড়াও, স্টেশনটি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ। ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের প্রথম রেলপথের সংযোগ স্থাপনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার