চট্টগ্রাম
বঙ্গবন্ধু টানেল: পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩ মিনিট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পতেঙ্গা অংশ থেকে আনোয়ারা অংশে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩ মিনিট। তবে এক্ষেত্রে গাড়ির গতিসীমা রাখতে হবে নির্ধারিত ৬০ কিলোমিটার বেগে।
এদিকে শনিবার (২৮ অক্টোবর) টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গাড়ি বহর নিয়ে পরিদর্শন করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে সেতু কর্তৃপক্ষ, সেতু বিভাগ, প্রশাসন মিলে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।
তিনি আরও বলেন, এ টানেল শুধু দুই কর্ণফুলী নদীর পাড়কে সংযুক্ত করেনি, ওয়ান সিটি টু টাউনের যে কনসেপ্ট সেটাও বাস্তবায়িত হয়েছে। এই টানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক সড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, টানেলের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি থাকবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরাও। টানেলে ১০০টির বেশি অত্যাধুনিক ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ৫ মিনিটের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা চলবে।
হারুনুর রশিদ বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই এই টানেলের ব্যবস্থাপনা চলবে। স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড এ এলাকায় থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশও।
তিনি বলেন, গাড়ির গতিবেগ নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২০১৯ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার বছর ৭ মাসে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শেষ হয়েছে বিশাল নির্মাণযজ্ঞ।
নদীর তলদেশে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। পাশাপাশি সংযুক্ত করা হয়েছে দুটি টিউব। টানেলের বাইরে অ্যাপ্রোচ সড়ক থাকছে প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭২৬০ যানবাহন চলাচল করতে পারবে
উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল, টোলের হার চূড়ান্ত
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮৮ জেলে আটক
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স।
এর মধ্যে নৌপুলিশ ৭২ জন, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স ৫ জন ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১ জনকে আটক করে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নৌপুলিশ চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান নৌপুলিশের অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নৌপুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭২জন জেলেকে আটক করেন। এর মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৪৫ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
এসব ঘটনায় দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োজিত ও ১৪টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযানে জব্দ ৬৭২ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ, ৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৬টি মাছ ধরার নৌকা নৌপুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২৪ জেলে আটক
কক্সবাজারে ৩৭,৮৫৪ বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, নিহত ৩
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার ৭০টি ইউনিয়ন, কক্সবাজার ও মহেশখালী পৌরসভার ৩৭ হাজার ৮৫৪ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১০৫টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি বাড়ি-ঘর। এতে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জন মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার উপকূল অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
জেলা প্রশাসন মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিভিন্ন বরাদ্দের কাজ চলছে।
হামুনের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার। ৪৯৬ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া এলাকা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজার শহরের সিংহভাগ এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। খাবার ও পানীয়জলসহ নানা সংকটে রয়েছে মানুষ। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি বেসরকারি একটি বিমানে করে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান কক্সবাজার পৌঁছান।
মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী।
তিনি কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া ও কুতুবদিয়া পাড়া ঘুরে দেখার পর সদর ও মহেশখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসাছাত্রী নিহত
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের স্ক্রাপবাহী লরির ধাক্কায় এক মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরসরাইয়ের ১৫নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাকঘর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিনা আক্তার (১৪) ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গারপুল এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। সে হয়রত শাহসুফী মাওলানা নুর আহম্মদ (র.) দাখিল মাদরাসা প্রকাশ বড়দারগারহাট বুড়া হুজুর মাদরাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার জন্য সড়ক পার হতে গেলে বিএসআরএম কারখানার স্ক্রাপবাহী লরি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কুমিরা হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি দ্রুতগামী লরি ধাক্কা দিলে এক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, লরিটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি সদস্য নিহত, যুবলীগ নেতা আহত
কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামাতে বলায় চট্টগ্রাম বন্দর ফের চালু
২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতের আশঙ্কায় সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সচল হওয়ার পর জেটিতে জাহাজ প্রবেশের পাশাপাশি পণ্য ওঠানামাও শুরু হয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এ কারণে বহির্নোঙ্গরে পণ্য ওঠানামা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ১০টা থেকে জেটি ও ইয়ার্ডে কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতের আশঙ্কায় মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ জারি করা হয়েছিল। জেটিতে অবস্থানরত সকল জাহাজকে গভীর সাগরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল।
সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের মোট ২২টি জাহাজকে জেটি থেকে চলে যেতে হয়েছিল। এর মধ্যে ১৩টি জাহাজ আবার ফেরত এসেছে। সকাল ১০টা থেকে জোয়ারের মধ্যে পর্যায়ক্রমে জাহাজগুলো ফিরে আসে। বাকি জাহাজগুলো দুপুরের পর জোয়ার শুরু হলে ফিরবে। এ মুহূর্তে বন্দরের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা নেই। জেটি ও ইয়ার্ডে পণ্য পরিবহন, ওঠা-নামা স্বাভাবিকভাবে চলছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' আজ রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। কক্সবাজার এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে রাত ১টার দিকে সেটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।
বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারসহ সকল নৌযানকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ বন্দরের বহির্নোঙ্গরে গভীর সাগরে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (ডব্লিউটিসি)।
লাইটার জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মাহবুব রশীদ বলেন, ‘আউটার থেকে মাদার ভ্যাসেলগুলো গভীর সাগরে নিরাপদে অবস্থান নিয়েছিল। সেগুলো ফিরলেও লাইটার জাহাজ আউটারে পাঠানো যাচ্ছে না। সাগর খুব উত্তাল। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
সম্ভাব্য প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত করেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। চালু করা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, চট্টগ্রামে সর্বমোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী, কালীন এবং পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
সিভল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, ১৫টি উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নের ২০০টি মেডিকেল টিম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে ৭৫টি টিম, ৯টি আরবান ডিসপেনসারিতে ৯টি মেডিকেল টিম, স্কুল হেলথ ক্লিনিকে ১টি মেডিকেল টিম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫টি মেডিকেল টিমসহ ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বা তথ্য জানার জন্য আমাদের ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুল চালু আছে। যেটা সারা বছর থাকে। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতিতে উপজেলাসহ আমাদের মোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় হামুন: বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, সরিয়ে নেয়া হল ২২টি জাহাজ
সাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নিজস্ব ‘অ্যালার্ট ৩’ জারিসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজকে গভীর সাগরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের উপর নির্ভর করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা নেবে তা নির্ধারিত আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে যাতে বন্দর চ্যানেল, জাহাজ, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, কার্গো ও কনটেইনারের ক্ষতি না হয় সেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। বর্তমানে বন্দরের নিজস্ব সতর্কতা সংকেত ‘অ্যালার্ট- ৩’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেতের জন্য এ অ্যালার্ট জারি করা হয়। সকাল ১১টায় বন্দর ভবনে কর্মকর্তাদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। ‘হামুন’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বাড়তে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এদিকে দমকা হাওয়ার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছ থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে 8৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বন্দরে পাইলটের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ কনট্রোল রুমে খোলা হয়েছে। বন্দরের মেরিন ডিপার্টমেন্ট নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশের সহায়তায় বন্দর চ্যানেল ও জেটি থেকে ছোট বড় সব জাহাজ বহির্নোঙরে কিংবা শাহ আমানত সেতুর পূর্বপাশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বন্দরের নিজস্ব ছোট জাহাজ-নৌযানগুলো জেটিতে বাঁধা হচ্ছে। কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি) সহ সব কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট পর্যায়ক্রমে প্যাকিং করা হচ্ছে। খালি কনটেইনারগুলো নিচে বা নিরাপদে রাখা হচ্ছে। বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জেটি, টার্মিনাল ও ইয়ার্ডে পূর্বনির্ধারিত ডেলিভারি কার্যক্রম চলছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক ১০) চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজারকে ৬ ও মোংলা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা, সচেতনতামূলক মাইকিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি সদস্য নিহত, যুবলীগ নেতা আহত
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে কাঠবোঝাই চাঁদের গাড়ির (জিপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. হেলাল উদ্দিন (৩৮) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিহত এবং এক যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে ২ নম্বর ওয়ার্ড বটতল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. হেলাল উদ্দিন বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ওই এলাকার করিম উল্লাহর ছেলে।
অন্যদিকে আহত মো. নুরুন্নবী (৪০) রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া নাপিত পুকুরিয়া ব্রিজঘাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্র নিহত
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, পদুয়ার বটতল এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে কাঠ বোঝাই চাঁদের গাড়ির (জিপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে মোটরসাইকেল থাকা দুইজন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক ইউপি সদস্য হেলালকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, নুরুন্নবীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কাছে হেলালের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। জিপটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১১
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বন্ধ হলো চট্টগ্রামের জিয়া শিশু পার্ক
চট্টগ্রাম সদরের কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন জিয়া স্মৃতি শিশু পার্ক বন্ধ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং ও রাকিবুল ইসলাম পার্কটি সিলগালা করেন।
সিলগালা শেষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহেরকে জিয়া স্মৃতি শিশু পার্কের জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে লাশ উদ্ধার
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং বলেন, শিশু পার্কের জায়গাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) যেসব শর্তে জমিটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল তার ব্যত্যয় ঘটায় শিশু পার্ক সিলগালা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ ও জিয়া স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন জিয়া শিশু পার্কটি সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছিল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
তবে, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পার্কটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিল।
এছাড়া এটি বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন সময় কয়েকটি সংগঠন মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকার কর্ণফুলী নদীর তীরে পড়ে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হৃদয় মাহমুদ লিটন জানান, লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়ার পর লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যাই। যেহেতু লাশটি নদীর তীরে আটকে ছিল, তাই নৌ-পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরনে ছিল লম্বা প্যান্ট ও হলুদ রঙের শার্ট। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরসরাই থেকে ফেনীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার