চট্টগ্রাম
লক্ষ্মীপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নুর নবী বকুল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বকুল একই এলাকার আলী রাজা পাটওয়ারী বাড়ির মৃত অজি উল্যা মাস্টারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, স্থানীয় আব্দুর রউফ গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই এলাকার নুর নবী বকুলদের। সকালে বিরোধের জমি থেকে সুপারি পাড়তে যায় প্রতিপক্ষ আব্দুর রউফ মাস্টার, আসরাফ ইসলাম বাবুল, জাফর আহমেদ পলাশ গংরা।
আরও পড়ুন: যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালককে পিটিয়ে হত্যা
তারা আরও জানান, বকুল এতে বাধা দেওয়ায় উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বকুলকে ঘুষি দেয় ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ তার পরিবারের। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে তার গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত, বাড়িতে হামলা
যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালককে পিটিয়ে হত্যা
নোয়াখালীর চাটখিলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সাখাওয়াত উল্ল্যাহ (৫৫) নামে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সাখাওয়াত উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাইক বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘চোর’ সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
আটককৃতরা হলো- উপজেলার হালিমা দিঘীর পাড় এলাকার ল্যাংটা বাড়ির মৃত মো. নবীর ছেলে মো. রাজু (২২) ও একই এলাকার সুইপার আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৪)।
স্থানীয়রা জানায়, সাখাওয়াত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে নিজের সিএনজি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। যাত্রাপথে তিনি চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেট এলাকায় পৌঁছলে দেখেন কয়েকটা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। এ কারণে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাৎক্ষণিক সিএনজি থামিয়ে তিনি এলোমেলোভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে অটোরিকশাচালক রাজুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাজু ও তার বন্ধু সিএনজিচালক জাহাঙ্গীর, মুন্না একসঙ্গে সিএনজিচালক সাখাওয়াতকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষিসহ বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর বলেন, আটক আসামিরা রাস্তার মধ্যে এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নিহত সাখাওয়াত সিএনজি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে গাড়ি পার করতে না পেরে, সিএনজি থেকে নেমে এভাবে গাড়ি রাখার কারণ জিজ্ঞেস করেন।
তিনি আরও বলেন, এ কথা জিজ্ঞেস করায় আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২ আসামিকে আটক করা হয়েছে। ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফেনীতে আগুনে ঘুমন্ত ২ শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ মা
ফেনীতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আগুনে দগ্ধ হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাদের মা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেনী পৌরসভার বিরিঞ্চি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- পচিঁ ফকির বাড়ির মুহাম্মদ রনির ছেলে মাইদুল ইসলাম শাহাদাত (১৩) ও রাহাদুল ইসলাম গোলাপ (৬)।
পুলিশ জানান, মঙ্গলবার রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে তাদের মা কামরুল নাহার পলি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে বিছানায় আগুন দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। তারা ঘটনাস্থল থেকে এক সন্তানের লাশ উদ্ধার করে। পলি ও অন্য ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে আরেক সন্তানও মারা যায়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
আহত পলির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়ে গেছে বলেও জানায় পুলিশ।
ফেনী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জসিম বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। আগুনের সূত্রপাত কোথায় থেকে সেটি এখনও বলা যাচ্ছে না। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ছেলের ধাক্কায় বাবার মৃত্যু
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও আরএসও'র দুই সদস্য নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথক ঘটনায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ও বুধবার ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘটনা দু’টি ঘটে।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ এলাকায় আরএসও ও আরসার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে আরএসও'র ছোঁড়া গুলিতে আরসার কিলিং গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার চাকমাইয়া ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি: শেখ হাসিনা
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এপিবিএন-১৪ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল জানান, আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়, সেখানে চাকমাইয়া ইউসুফ নামে একজন নিহত হয়। তিনি ক্যাম্প-৯ এলাকার বাসিন্দা।
তার বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে এই ঘটনার জেরে আরসার সদস্যরা বুধবার ভোর ৫টার দিকে ১৫ নম্বর ক্যাম্পে আরএসও'র ওপর হামলা চালায়। এ সময় আরাফাত নামে আরএসও'র এক সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আরসার সদস্যরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক আমির জাফর।
আরও পড়ুন: তহবিল কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে নতুন সংকটের মুখে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা: জাতিসংঘ
চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: পরিবারের অভিযোগ
চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চান্দগাঁও থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল পার্কভিউতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার জানায়।
সৈয়দ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর পরিবার পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে কোনো ওয়ারেন্ট না দেখিয়েই ধস্তাধস্তি করে শহিদুল্লাহকে বাসা থেকে পুলিশ নিয়ে যায়। তিনি দুদকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। ন্যূনতম সম্মানটা উনাকে দেয়নি তারা। খুন করেছে তারা, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার আমিন কলোনির আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-উত্তর) পংকজ দত্ত বলেন, ‘একটি সিআর মামলায় রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের ১৫ মিনিট পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
শহিদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে চান্দগাঁও থানার দু’জন সহকারী উপ-পরিদর্শক গিয়ে আমার বাবাকে থানায় নিয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার চাচারা থানায় যান। উনি হার্টের পেশেন্ট, উনার ইনহেলার আর মেডিসিন লাগে সবসময়। বাবাকে থানায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটক বন্ধ করে দেন। ইনহেলার ও মেডিসিনও বাবার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। পরে রাত ১২টার দিকে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।’
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘শহিদুল্লাহ সাহেবকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনার পর খারাপ লাগছে বলে তিনি জানান। তখন আমার কক্ষে এনে বসিয়েছি। পরে তার ভাইদের জানিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন।’
থানায় তার সঙ্গে কোনো ধরণের অসদাচরণ করা হয়নি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুত্রবধুকে নিয়ে হাসানের মাথার খোঁজে পিবিআই
চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার আমিন কলোনির আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রামচট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার একটি টিনশেড কলোনিতে আগুন লাগার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের স্টেশন অফিসার (মিডিয়া সেল) তালহা বিন জসিম বলেন, বুধবার সকাল ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে আমিন কলোনির একটি ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়, যেখানে বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ বাস করেন এবং পরবর্তীতে অন্যান্য ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে বায়েজিদ স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং পরে আরও পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: নাটোরে ঘরে আগুন লেগে নারীর মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৩
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠানে আগুন লেগে নিহত শতাধিক
চট্টগ্রামে পুত্রবধুকে নিয়ে হাসানের মাথার খোঁজে পিবিআই
চট্টগ্রামে লাগেজ ভর্তি খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত হাসানের মাথার সন্ধানে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (২ অক্টোবর) হাসানের পুত্রবধূ আনারকলিকে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো তল্লাশি চালায় পিবিআই টিম। তবে আনারকলির দেখানো মতে সাগর পাড়ে বড় বড় পাথরের ফাঁকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও ভুক্তভোগীর কাটা মাথার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান জানান, আনারকলিকে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন শনিবার আদালতে হাজির করলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৮ টুকরো লাশের রহস্য উদঘাটন
তিনি বলেন, আনারকলি হাসান হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত নয়। তবে তিনি হত্যার আলামত গোপনে সহযোগী। প্রথমে তাকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়। এরপর রবিবার ও সোমবার তাকে নিয়ে ভুক্তভোগী হাসানের কাটা মাথা উদ্ধারে অভিযানে যাই। কিন্তু এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মো. ইলিয়াস খান জানান, পতেঙ্গায় টানেলের প্রবেশমুখে একটি পুলিশ বক্স আছে। এর পেছনে পাথরের ব্লকের ভেতরে খণ্ডিত মাথাটি আছে বলে আনারকলি আমাদের দেখিয়ে দেন। আমরা কয়েকঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছি। সেখানে লাশ পচা দুর্গন্ধও পেয়েছি, কিন্তু জোয়ার চলে আসার কারণে মাথাটি পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা, ব্লকের ভেতরে মাথাটি এখনও আটকে আছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) ভোরে ভাটার সময় আবারও তল্লাশি চালানো হবে।
খুনের শিকার মো. হাসান চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামের সাহাব মিয়ার ছেলে। সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে মা ছেনোয়ারা বেগমের সহযোগিতায় বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানায়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেইটে একটি ট্রলিব্যাগ পাওয়া যায়। কফি রঙের ট্রলিব্যাগে ছিল মানব শরীরের দুই হাত, দুই পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি বাবাকে হত্যার কারণ, কীভাবে হত্যা করা হয় এবং কীভাবে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় তার বর্ণনা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চাঁদপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার, আহত ৩
চাঁদপুরের কচুয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের ঘাগড়া বাজার নতুন পাড়া জামে মসজিদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সিএনজি ও পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩
নিহত ওমর ফারুক উপজেলার উত্তর পালাখাল গ্রামের হাবিব উল্যার ছেলে এবং কচুয়া উপজেলা ছাত্রদলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- উপজেলার রাগদৈল গ্রামের আবু তাহের, আবু তাহেরের স্ত্রী জাবিন খান ও নবীর হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকাগামী আল-আরাফাহ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওমর ফারুক মারা যান।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল ইউএনবিকে জানান, আল-আরাফাহ বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দুর্ঘটনার পরপর উভয় পরিবহনের চালক পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: আরও ২ আদিবাসী যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানের কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে অপহরণ ও খুনের পরিকল্পনায় জড়িত আরও দুই আদিবাসী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- উচিংথোয়াই মারমা (২৩) ও ক্যাসাই অং চৌধুরী (৩৬)।
সংবাদ সম্মেলনে মো. মাহবুব আলম বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের মুরগির খাবার চুরি করার প্রতিবাদ করায় হৃদয়কে খুন করা হয়। খুনের পর যাতে লাশ শনাক্ত করতে না পারে, তাই লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৪০ ভাগ আদিবাসী নিজ ভাষায় শিক্ষার সুযোগ পান না: ইউনেস্কো
তিনি বলেন, অভিযুক্তরা মুরগিকে পর্যাপ্ত খাবার না দিয়ে বিক্রি করে দিতে। এ নিয়ে পোল্ট্রি ফার্মের ম্যানেজার হৃদয় তাদের ভৎর্সনা করে। এ কারণে খামারে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা কাটাকাটি হয়। তখন হৃদয়কে শিক্ষা দিতে অপহরণের পরিকল্পনা করে তারা।
তিনি আরও বলেন, অপহরণের একদিন পর ২৯ আগস্ট বিকালে রঙিন পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। উচিংথোয়াই মারমা নিজেই ছুরি দিয়ে হৃদয়ের গলা কাটে। তার সহযোগী ক্যাসাই অং চৌধুরীসহ আরও চারজন হৃদয়ের হাত-পা এবং মুখ চেপে ধরে। হত্যার পর মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। লাশ যাতে চিহ্নিত করতে না পারে এ জন্য টুকরো টুকরো করা হয়।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে উচিংথোয়াই মারমাকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকাল ৫টার দিকে আসামি ক্যাসাই অং চৌধুরীকে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা খুনের বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের অধিনায়ক জানান, হৃদয়কে হত্যার পর মাংস খেয়ে ফেলেছে- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তারা জানে না। তবে শরীরের মাংস আলাদা করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এটি সত্য। মাংস খাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাউজানের গহীন অরণ্য থেকে হৃদয়ের খন্ড-বিখন্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ফেরার সময় গণপিটুনিতে নিহত হন অভিযুক্ত উমংচিং মারমা নামে এক যুবক। লাশ উদ্ধারের ১৪ দিন আগে অপহৃত হন হৃদয়।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেলচাপায় আদিবাসী নারী নিহত, চালক আটক
দিনাজপুরে আদিবাসী নৈশ প্রহরীর লাশ উদ্ধার
ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার অভিযোগ, রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর
ফেনীতে ছাত্রলীগ নেতা শফি উল্যাহ শুভর উপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় শহরের শহীদুল্লা কায়সার সড়কের পাঠানবাড়ির মাথায় ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত, বাড়িতে হামলা
হামলায় আহত শফি উল্যাহ শুভ ফেনী পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এ সময় শুভর মামা আবদুল ওয়াদুদ শিপন ও বন্ধু শিপনও আহত হন।
আহত শফি উল্যাহ শুভ জানান, তিনি ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁয় বসা ছিলেন। এ সময় তার মামা আবদুল ওয়াদুদ শিপন ও বন্ধু শিপন সঙ্গে ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মাথা, পায়ে ও ডান হাতে গুরুতর জখম হয়। এ ছাড়া হামলাকারীরা রেস্তোরাঁয় ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আমির হোসেন বাহার জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার নিন্দনীয়। হামলাকারীরা বহিরাগত বলে তিনি শুনেছেন।
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হায়াত উল্যাহ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থৈয়াই অংপ্রু মারমা জানান, প্রকাশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনাটিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড