%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, ২ যুবকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ২ যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পারলক্ষীপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বোড়াই গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলের খালিদ হোসেন (১৮) ও একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে তামিম হোসেন (১৮)। আহত সজিব আলী (১৯) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সিন্দুরিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ৩
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে কুষ্টিয়ায় একটি কনসার্টে গিয়েছিলেন ওই ৩ যুবক। পরে একই মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। এ সময় পারলক্ষীপুর গ্রামে পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান খালিদ ও তামিম। গুরুতর আহত হন সজিব। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
মেহেরপুরে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু
মেহেরপুরে গরুর জন্য ঘাস কেটে বাড়ি ফেরার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পথেই এক কৃষক মারা গেছেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গাংনী পৌরসভার শিশিরপাড়া গ্রামের মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্তারুল ইসলাম শিশিরপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আক্তারুল বিকালের দিকে গ্রামের পাশের মাঠে নিজের গরুর জন্য ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তার শরীরে জড়িয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
ফরিদগঞ্জে গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
নড়াইলে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শেখ ফরিদ উদ্দিন ও হাফেজ নাসির উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাবরা-হাছলা ইউনিয়নের বাবরা গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আটক ৪
আহতরা হলেন- মনিরুল ইসলাম, সাকিবুল খান, ফারজানা, কল্পনা বেগম, আখতারুজ্জামান, আশরাফুজ্জামান, সজল শেখ, সাব্বির শেখ, জসিম শেখসহ অন্তত ১৫ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শেখ ফরিদ উদ্দিন ও হাফেজ নাসির উদ্দিনের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় দলের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে কোনো পক্ষই এখনও লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
বাগেরহাটে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
বাগেরহাটে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক সন্তানের জননীকে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ পাঁচ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলার মোল্লাহাট উপজেলার ঘাটবিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে তরুণী ধর্ষণ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিষ্কার
গ্রেপ্তাররা হলেন- বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর গ্রামের আকরাম শেখ, রাজিব শেখ, সোহাগ মোল্লা, নাসিম মোল্লা ও কমির শেখ।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ওই নারী স্বামী-সন্তানসহ বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ির কয়েকজন তরুণ তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলাদা মোটরসাইকেলে নিয়ে রওনা হয়। স্বামীকে রেখে তারা ওই নারীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে আগে চলে আসে। পরে ঘাটবিলা এলাকায় দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নারীকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে চার যুবককে আটক করে। পরে ধাওয়া করে আরও একজনকে আটক করা হয়।
এঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদি হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা ওই বিয়ে বাড়ির পরিবারের সদস্য এবং তাদের স্বজন বলে পুলিশ জানায়। অপর আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড
বাগেরহাটে কনে পক্ষের হামলায় বরের দুলাভাই নিহত, গ্রেপ্তার ২
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষের হামলায় বরের এক দুলাভাই নিহত হয়েছেন। এসময় এলোপাতাড়ি মারধরে বরসহ আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১৫ জন বরযাত্রী।
শুক্রবার(১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কনে পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে বরের দুলাভাই আজিজুল হক মোল্লা নিহত হয়।
এ ঘটনায় কনের বাবাসহ দুইজন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত আজিজুল হক মোল্লা খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের শাহাদাত মোল্যার ছেলে। নিহত আজিজুল বরের বোন শীলা বেগমের স্বামী। তার স্ত্রী ও চারটি মেয়ে রয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কনের বাবা শাহদাত মুন্সি এবং কনের খালাতো বোন স্বপ্না খাতুন।
বরের বাবা মোহাম্মদ আলী গাজী জানান, তার বাড়ি মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রাম থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে আংড়া গ্রামের কৃষক শাহদাত মুন্সির মেয়ের সঙ্গে তার ছেলে হাফিজুর রহমানের বিয়ের কথা হয়। সে নিজে মেয়ে দেখলেও তার ছেলে ওই মেয়ে দেখেনি। এজন্য আমরা আগেই বলেছিলাম, ছেলে যদি মেয়ে দেখে পছন্দ করে তবেই বিয়ে হবে। সেই শর্তে শুক্রবার আত্মীয়-স্বজন মিলে ২৫ জন বরযাত্রী নিয়ে আমরা বিয়ের জন্য ওই বাড়িতে যাই। কিন্ত মেয়ে দেখে ছেলের পছন্দ হয়নি।
পরে ওই মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে না দিয়ে আমরা ফিরে আসছিলাম। এসময় মেয়ে বাড়ির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বড় মেয়ের জামাই (মেয়ের স্বামী) আজিজুল হক মোল্লা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এছাড়া আমার ছেলে, আত্মী-স্বজনসহ ১৫ জন আহত হয়।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, শনিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী শীলা বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ওই মামলায় কনের বাবা শাহদাত মুন্সি এবং কনের খালাতো বোন স্বপ্না খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার
বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ৯ টায় উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শৈলদাহ গ্রামের মো. হাসান শেখের মৎস্য ঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।
পরে ট্রাকে করে কুমিরটিকে খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও)‘র কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়ছেন ডিএফও নির্মল কুমার পাল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত থেকে কুমিরটি মো. হাসান শেখের মৎস্য ঘেরে অবস্থান করছিল।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে মৎস্য ঘেরে কুমিরটি দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা কুমির দেখতে ভিড় জমায়। এক পর্যায়ে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার রয়েছে। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা কুমিরটিকে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, কেউ যাতে কুমিরটির ক্ষতি না করে সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। খবর শোনার পর থেকে আমরা বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। খুলনা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্যর নেতৃত্বে একটি দল ট্রাকে করে কুমিরটিকে খুলনায় নিয়ে গেছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও)নির্মল কুমার পাল বলেন, আমরা কুমিরটিকে উদ্ধার করেছি। কুমিরটি সুস্থ্য রয়েছে। পরবর্তীতে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ জানার জন্য গত ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে চারটি কুমির সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে অবমুক্ত করা হয়। ৪টি কুমিরের ৩টি কুমিরের অবস্থান সুন্দরবনে পাওয়া গেলেও, অন্য একটি কুমিরের অবস্থান মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগন্জ, পিরোজপুর এলাকায় পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়। অবমুক্ত করা ৪টি কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি নারী কুমির রয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে ২০০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের গতিবিধি এমনভাবে নজর দেওয়া হয়নি। তবে এর আগে একইভাবে শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে কচ্ছপ ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো ৪টি কুমিরের মধ্যে ৩টি কুমির সুন্দরবন এলাকায় অবস্থান করলেও একটি কুমির অন্যত্র চলে গেছে। কিছুদিন ধরে সেটি পিরোজপুরের নদ-নদীতে ঘুরছে। নিজের জন্য কোনো নিরাপদ স্থান পেতে তার এমন পথ চলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। কুমিরটি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে হত্যা, আটক ১
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধু হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম ঈদ যাত্রায় মানুষ স্বস্তিতে রেল ভ্রমণ করেছে। রেলের টিকিটে কোনো কালোবাজারি হয়নি। এই সিন্ডিকেটের অনেকেই ধরা পড়েছে। এটা যখন শুরু হয়েছে, শেষও হবে ইনশাআল্লাহ।’
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে মুক্তিযুদ্ধকালীন রণাঙ্গনের স্মৃতি বিজড়িত গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রাম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
মেহেরপুরের রেল সংযোগ নির্মাণে ধীরগতি প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর রেললাইন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রকল্প। এটির কাজ চলমান। এটি যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেকগুলো প্রক্রিয়া আছে। কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করা হয়। এই প্রতিবেদন ইতিবাচক হলে সেই অনুযায়ী প্রকল্প স্টেটমেন্ট ও ডিজাইন করা হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষ হলে সেটি প্রকল্প আকারে একনেকে তোলা হয়। একনেকে পাস হলে ইআরডিতে যাবে। তারাই প্রকল্পের অর্থের যোগানের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে। মুজিবনগর রেললাইন প্রকল্প এখনো ওই পর্যায়ে যায়নি। এসব প্রসেসের জন্য যতটুকু সময় লাগবে এবং যতটুকু দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করা হবে।’
রেল সংযোগ মেহেরপুর শহর হয়ে গাংনী উপজেলা থেকে ভেড়ামারা বা মিরপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা যায় কি না এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর পর্যন্ত রেল পথের সম্ভাব্যতা পরীক্ষার প্রতিবেদন করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে মুজিবনগর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এটিকে বর্ধিত করতে হলে আবারো একই নিয়ম অনুস্মরণ করতে হবে। তারপরেও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করব। রেলপথের সচিব, ডিজিসহ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসময় তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধকালীন তার স্মৃতি বিজড়িত এলাকা নিয়ে কথা বলেন।
মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
পরে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে ফুল দেন।
আরও পড়ুন: মক্তিযুদ্ধ সময়ের কথা রাখতে মেহেরপুরের ষোলটাকায় যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী
রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
যশোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সেনা সদস্য নিহত
যশোরের মনিরামপুরে ঈদের দিন ঘুরতে বেরিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম রাব্বি নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর-চুকনগর মহাসড়কের বেগারীতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
নিহত রাকিবুল মনিরামপুর উপজেলার বাজুয়াডাঙা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের দিন মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হলে যশোর-চুকনগর মহাসড়কের বেগারীতলায় যাত্রীবাহী একটি বাস সামনে থেকে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন রাকিবুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মনিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, মনিরামপুরের বেগারীতলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাকিবুল নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
তার লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্য মামলা হয়েছে। ঘাতক বাস ও বাস চালকে আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ঈদের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
যশোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মক্তিযুদ্ধ সময়ের কথা রাখতে মেহেরপুরের ষোলটাকায় যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা আক্রমণ শুরু করলে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ শুরু করেন। সে সময় জিল্লুল হাকিম (বর্তমান রেলমন্ত্রী) ভারতে প্রশিক্ষণে যাওয়ার সময় তৎকালীন কুষ্টিয়ার গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামে আশ্রয় নেন।
ষোলটাকায় বেশ কয়েকদিন থাকার কারণে যে পরিবারে ছিলেন তার ও স্থানীয় কিছু মানুষের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে ওঠে বর্তমান রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের। ভারতে যাওয়ার সময় কথা দিয়েছিলেন প্রাণে বেঁচে থাকলে আবারও এই মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন তিনি।
যুদ্ধের প্রায় ৫৩ বছর পার হয়েছে। ষোলটাকা গ্রামের আশ্রয়দাতা সেই নাসির উদ্দিন ও স্থানীয় মানুষগুলোকে ভুলে যাননি তিনি। বর্তমান সরকারের রেলমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। এবার সেই গ্রামে ক্ষণেকের জন্য সে সময়ের আপনজনগুলোর সঙ্গে স্মৃতিচারণ করতেই ষোলটাকা গ্রামে ছুটে আসছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ষোলটাকা গ্রামে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সই করা এক প্রেস নোটে জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল ৩টার সময় মেহেরপুর জেলাস্থ গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামে মুক্তিযুদ্ধকালীন তার রণাঙ্গনের স্মৃতি বিজড়িত স্থান গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামে পরিদর্শন করবেন। এ সময় ষোলটাকা গ্রামের লোকজনের খোঁজখবর নেবেন ও মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করবেন।
এর আগে ১২টার সময় মেহেরপুর জেলা সার্কিট হাউজে উপস্থিতি হবেন এবং স্থানীয় মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করবেন।
এদিকে রেলমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যেও খুশির আমেজ বিরাজ করছে।
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে শোনা গেছে।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় ঈদের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
চুয়াডাঙ্গায় এক কিশোর বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
ঈদের দিন অর্থাৎ ১১ এপ্রিল বিকাল ৪টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শামীম (১৭) চুয়াডাঙ্গা সদর বেগমপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী পাড়ার মো. শাহ জামালের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টায় শামীম বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলে প্রতিযোগিতার একপর্যায়ে দোস্ত বাজার হয়ে হিজল গাড়ির দিকে যাওয়ার পথে ডিহি কেষ্টপুর ফার্মের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খেজুর গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নেওয়ার পথে সন্ধ্যা ৭টায় মারা যান।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত