খুলনা
মোংলা বন্দরে সারবোঝাই কার্গো জাহাজডুবি
খুলনার মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ‘এম ভি দেশ বন্ধু’ নামে সারবোঝাই একটি কার্গো (লাইটার) জাহাজ ডুবে গেছে। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নদীর কাইনমারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ১০ নাবিক সাঁতার কেটে নদীর পাড়ে উঠে আসেন।
দুর্ঘটনা কবলিত লাইটার জাহাজের মাস্টার মো. রিয়াদ আলী মোল্লা জানান, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১৪ নম্বরে থাকা একটি বিদেশি জাহাজ থেকে ৮৫০ মেট্রিক টন সার বোঝাই করে তাদের জাহাজটি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পথিমধ্যে শুক্রবার দুপুরে পশুর নদীর চিলা ও কাইনমারী এলাকার মাঝামাঝি এলাকার ডুবো চরে আটকে জাহাজটির তলা ফেটে ডুবে যায়। এতে জাহাজটির ব্রিজের কিছু অংশ দেখা গেলেও বাকি অংশ নিমজ্জিত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান রিয়াদ আলী মোল্লা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ও সচিব (ভারপ্রাপ্ত) কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন জানান, দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে হারবার বিভাগের লোকজন পাঠানো হচ্ছে। তারা পরিদর্শন করে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে কার্গোটি মূল চ্যানেলের বাইরে ডুবেছে। এতে এ চ্যানেল দিয়ে নৌ চলাচলে কোনো সমস্যা ও ঝুঁকি নেই। এরপরও দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও ৪ ইঞ্জিন, ৮ কোচ
গতি ফিরছে বাণিজ্যে, বদলে যাচ্ছে মোংলা বন্দর
মোংলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নারী নিহত, আহত ৪
খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পুলিশ সদস্য স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খুলনার খান জাহান থানাধীন যোগিপোল এলাকায় স্ত্রী যোহানা আক্তার ঊষাকে হত্যার দায়ে পুলিশ সদস্য স্বামী মো. মাহমুদ আলমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৬ অক্টোবর ) খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. মাহমুদ আলম সাতক্ষীরা আশাশুনি থানার জামালনগর গ্রামের জবেদ আলী সরকারের ছেলে। তিনি খুলনার শিরোমনিতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন। ভুক্তভোগী যোহানা আক্তার ঊষা পাইকগাছা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের জামালপুর উদ্দিনের মেয়ে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুরাদ হোসেন গাজী মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ যোগিপোল মনিরুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী যোহানা আক্তার ঊষাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্বামী মাহমুদ আলম। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিএম সোহেল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নৃপেন বিশ্বাস একই বছরের ১৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন আরিফ মাহমুদ লিটন।
খুলনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ২ কোটি টাকার ক্ষতি
খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি দোকান ও গুদাম ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রূপসা সেনের বাজার ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, আগুনে সুধীর সাহা, কালু সাহা, হামিদ শেখের মুদির দোকান, অসীম সাহার রাইস মিল, ইশারুলের চালের দোকান, বিধান সাহার টিনের দোকান, রাইস মিল, তেল-পেট্রো-চালের গোডাউনসহ প্রায় ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার কারাগারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১
তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৪-৫টি দোকান ঘরের কোনো কিছুই নাই। আর পাঁচটি ঘরের অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুধীর সাহা ও কালু সাহার গুদাম ঘরের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
মুদি দোকানি সুধির সাহার দোকানে ভাতের মাড় গলাতে গিয়ে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেরখাদা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোল্যা আব্দুর রাজ্জাক কচি।
সেনেরবাজার ফায়ার সার্ভিসের ইন্সটেক্টর নূর ইসলাম বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর আমাদের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।’
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবিদা সুলতানা বলেন, ‘খবর শোনার পরই ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে জানিয়েছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে সব মিলিয়ে ১০-১৫টি দোকান, রাইস মিল ও মালামালের গুদাম পুড়ে যায়।’
আরও পড়ুন: সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: হাসেম, ২ ছেলের জামিন
গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
শার্শায় ট্রাক-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২
যশোরের শার্শা উপজেলার নীলকান্তপুর মোড়ে ট্রাকের সাথে মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাভারন- সাতক্ষীরা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের রহিম বক্রের ছেলে মাহেন্দ্রা চালক নুরু বক্র (৪৫) ও একই উপজেলার সামটা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মাহিন্দ্রার যাত্রী রাকিবুল ইসলাম রাকিব (১৮)।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, আগআঁচড়া থেকে ছেড়ে আসা নাভারনমুখী একটি মাহিন্দ্রা নীলকান্তপুর মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি খালি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নুরু ও রাকিব গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় দাদা-নাতি নিহত
তিনি জানান, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকচালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
২ বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা: যশোরে ২ আসামির ফাঁসি আজ
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুই বান্ধবীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে যশোর কারা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মিন্টু ওরফে কালু (৫০) ও একই গ্রামের আজিজ ওরফে আজিজুল (৫০)।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান জানান, শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে শেষবারের মতো তাদের দু’জনের স্বজনেরা তাদের সাথে দেখা করেছেন। এই সময় পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: সিলেটের নতুন কারাগারে প্রথম ফাঁসি কার্যকর
তিনি জানান, বিচারিক ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে টানা ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ফাঁসির জন্য যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জল্লাদ মশিয়ার, কেতু কামালসহ বেশ কয়েকজনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া তিন জল্লাদ ফাঁসির রায় কার্যকরে অংশ নেবেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, আজিজুল বা আজিদ ওরফে আজিজ এবং মিন্টু ওরফে কালু আলমডাঙ্গার রায় রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের দুই বান্ধবীকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই আসামি আজিজুল ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড ও পাশাপাশি দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এরপর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। আসামিপক্ষ মামলাটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যান। চলতি বছরের ২৬ জুলাই সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ হয়। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া হলেও তা নামঞ্জুর হয়। চলতি মাসের ৬ তারিখে কারা অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় সুরক্ষা সেবা বিভাগ। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ৮ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ২ বছর, আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর চায় পরিবার
মামলা সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের দুজনকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলাকাটা হয় ওই দুই নারীকে। এ ঘটনার পরদিন নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দু’জনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দুজন হলেন একই গ্রামের সুজন ও মহি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রবাসীকে গলাকেটে হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসির আদেশ
মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আসামি মহি মারা যান। ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুজন, আজিজ ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামিপক্ষের লোকজন হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট তা বহাল রাখেন। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে বেকসুর খালাস দেন।
চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
দেশে চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যবান্ধব সরকারের যথপোযুক্ত পদক্ষেপের কারণে বিশেষ করে চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে। দেশে কোন খাদ্য সংকট নেই।’
রবিবার সকাল ১০টার দিকে নওগাঁর সান্তাহার কেন্ত্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারে (সিএসডি) বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের কল্যাণই প্রধানমন্ত্রীর ‘ধ্যান জ্ঞান’: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ১০ টাকা কেজি মূল্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রি ব্যবস্থা চালু রয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি যথাযথভাবে চলমান রয়েছে। সারাদেশে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য গুদামগুলোতে ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেগুলোতে মানসম্মত খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ছোঁয়া সবখানে পৌঁছে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদর বলেন, খাদ্য গুদামগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের জীবনমান উন্নত করতে আধুনিকমানের আবাসন ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারগুলোতে গেস্ট হাউজ ও কনফারেন্সরুম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালেও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে: খাদ্যমন্ত্রী
সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারে (সিএসডি) এক কোটি ৩৩ লাখ ৫ হাজার ৪৭৬ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট আনসার ব্যারাক, সাত কোটি ৫৫ লাখ ৫৮ হাজার ১১০ টাকা ব্যয়ে আভ্যন্তরীণ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ এবং ৯৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ম্যানেজারের দ্বিতল অফিস ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মন্ত্রী এসব প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করে কাজরে অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কয়রায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং গ্রামের এক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে আংটিহারা নামক স্থানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মো. নুরুজ্জামের স্ত্রী ডলি খাতুন তার নিজ বাড়িতে একটি নবজাতক প্রসব করেন। প্রসবের পর নবজাতক ও নবজাতকের মা দুজনই সুস্থ ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে নবজাতকের শরীরে জ্বর দেখা দিলে একই এলাকার নগেন্দ্র নাথ নামের এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের চিকিৎসা নেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কোন পরিবর্তন না হলে ওই চিকিৎসককে বিষয়টি পুনরায় জানানো হয়। তখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের ছেলে পল্লী চিকিৎসক দীলিপ মন্ডলকে বিষয়টি দেখার জন্য নবজাতকের বাড়িতে পাঠান। শারীরিক অবস্থা দেখে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পল্লী চিকিৎসক দীলিপ মন্ডল নবজাতকের শরীরে ২টা ইনজেকশন পুশ করে চলে যান। ইনজেকশন পুশের পর সকাল ৮টার দিকে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। বিষয়টি পল্লী চিকিৎসক দীলিপকে পুনরায় জানানো হলে তিনি আর আসেনি। সে সময় শিশুটির পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে আংটিহারা গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছালে নবজাতকের মৃত্যু হয়।
পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
নবজাতকের চাচা সুজাউদ্দীন জানান, আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী গত বৃহস্পতিবার একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। পুত্র সন্তান জন্ম নেয়ায় আমরা সকলে খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু সে খুশি বেশি সময় স্থায়ী হলো না। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সব মুহূর্তে শেষ হয়ে গেল।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক দিলিপ বলেন, আমি অতিরিক্ত জ্বরের জন্য ট্রাজিট ১২৫ এমজির ২টা ইনজেকসন পুশ করি। তবে হঠাৎ নিউমনিয়ার চাপ দেয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার ব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন বলেন, ‘নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: সন্তানের মুখ দেখা হলো না মায়ের, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা, ট্রাকচালকের সহকারী নিহত
নাটোরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ট্রাকের ধাক্কা লেগে আব্দুর রাজ্জাক (২৫) নামে এক চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে শহরের বাইপাস সড়কের পিটিআই মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক ইদ্রিস আলী আহত হয়েছেন।তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুরজিত কুমার জানান, সহকারী আব্দুর রাজ্জাকে ট্রাক চালাতে দিয়ে চালক ঘুমিয়ে পড়েন। নাটোর থেকে রাজশাহীগামী ট্রাকটি সকালে শহরের বাইপাস সড়কের পিটিআই মোড় এলাকায় গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে ট্রাকটি রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে চালকের সহকারী নিহত ও চালক আহত হন।
আরও পড়ুন: পাথরবোঝাই ট্রাকের ভারে ভেঙে পড়ল বেইলি সেতু
বাগেরহাটে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাটের শরণখোলায় পুকুর ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার বড় রাজাপুর সাভারের পাড় গ্রামের একটি পুকুর ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
নিহত দুই শিশু হলো পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার আরজি গ্রামের এনামুল হাওলাদারের ছেলে মাহিম (৮) এবং একই জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার পশ্চিম বালিয়াপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে সোহান (৮)। সম্পর্কে তারা দুজন মামতো-ফুফাতো ভাই।
নিহত দুই শিশুর পারিবারিক সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে সোহান তার মায়ের সাথে শরণখোলা উপজেলার বড় রাজাপুর সাভারের পাড় গ্রামে দাদা মিন্টু হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আর মাহিম তার মায়ের সাথে একই গ্রামে নানা সৈয়দ হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পাশাপাশি এবং দুজন আত্মীয় হওয়ায় ওই দুই শিশু মিন্টু হাওলাদারের পুকুর পাড়ে দুপুরে খেলা করছিল। হঠাৎ তারা দুজন নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখোঁজি করে ভাসমান অবস্থায় পুকুর থেকে ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
পড়ুন: পানিতে ডুবে শিশুসহ ৫ মৃত্যু, নিখোঁজ ৭
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমি আক্তার জানান, হাসপাতালে আসার আগেই দুই শিশু মারা গেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাঈদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শিশু দুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে টেকনোলজিস্ট
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস (৪৫) বিদেশগামীদের করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আত্মগোপনে থাকা প্রবাসীদের পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণা
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ নমুনা পরীক্ষার ফি নেয়া ও ল্যাব ইনচার্জেরও দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি ২০২০ সালে ২ জুলাই থেকে প্রতিদিন যতজন পরীক্ষা করাতেন, তার চেয়ে কম সংখ্যক মানুষের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করতেন। বাকি টাকা আত্মসাৎ করতেন।
এ বিষয়ে তাদের সন্দেহ হওয়ার পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চিঠি দিয়ে প্রকাশের কাছে লিখিত হিসাব চাওয়া হলে প্রকাশ কুমার বিভিন্ন তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এরপর চলতি বছরের ২২ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তদন্ত কমিটি ১৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, যে পরিমাণ টাকা জমা হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা কম জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার’ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন যুবলীগ নেতা সম্রাট
তদন্ত কমিটি মৌখিকভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করলে প্রকাশ কুমার হিসাবে গড়মিল রয়েছে বলে স্বীকার করেন। এরপর তাকে শোকজ করা হয় এবং লিখিতভাবে হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার তার হিসাব ও টাকা জমা দেয়ার শেষ দিন ধার্য্য ছিল। ওই দিন দুপুরে অফিসে বসে হিসাব করার একপর্যায়ে প্রকাশ কুমার কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি আর অফিসে আসেনি।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন আবু ত্ব-হা : পুলিশ
সিভিল সার্জন জানান, আত্মসাত করা টাকার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আইনজীবীকে দিয়ে মামলার এজাহার লেখানো হচ্ছে, লেখা শেষ হলে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, প্রকাশ কুমার দাশ যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।