খুলনা
রূপসা রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ২
খুলনার রূপসা রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে সারবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এতে জাহাজের দুইজন নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ১টার দিকে রূপসা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
রুপসা নব পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনস্পেক্টর মো. নুরুল ইসলাম শেখ জানান, মোংলা বন্দর থেকে সার ভর্তি করে এম ভি থ্রি লাইট-১ কার্গো নওয়াপাড়ায় যাচ্ছিল। খুলনার রূপসা নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়।
তিনি আরও জানান, এই কার্গোতে জাহাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে কূলে উঠতে সক্ষম হলেও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
খুলনায় বজ্রপাতে মাছচাষির মৃত্যু
খুলনায় বজ্রপাতে এক মাছচাষির মৃত্যু হয়েছে।
আজ রবিবার (০৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়ার কোমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ওবায়দুল্লাহ গাজী (২৯) ওই গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে।
ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গাজী সকাল ৮ টার দিকে মাছ ধরার জন্য কোমলপুর গ্রামে যায়। সে সময় তিনি ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়লে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
যশোরে পুকুরের পানিতে ডুবে বোন-ভাইয়ের মৃত্যু
যশোরের মণিরামপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে বোন ও ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ২ শিশু হলো- বারপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে সামিয়া (৪) ও ছেলে সাবিদ (৩)।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সামিয়া ও সাবিত ভাই-বোন। সকালে তারা বাড়ির পাশে খেলছিল। অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজ শুরু করেন।
আশপাশের বাড়িতে তাদের সন্ধান না পেয়ে এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে তাদের ভাসতে দেখে পান পরিবারের লোকজন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নিলে পল্লী চিকিৎসক আজিজুর রহমান ২ শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৪০.২ ডিগ্রি দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ
চুয়াডাঙ্গায় শনিবার (৬ এপ্রিল) এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া পুরো সপ্তাহজুড়ে এ জেলার উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: ৫ বিভাগে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিকেল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের ও চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম ঝরছে এবং গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন এমন থাকতে পারে এবং জেলায় এ মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা আছে।
আলতাফ হোসেন বলেন, এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এ অঞ্চলে তেমন সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, তীব্র গরমে রোজাদারসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রাণিকূলের অবস্থা আরও খারাপ।
চুয়াডাঙ্গা সদরের আমিরপুর মাঠে গরু চরান জব্বার আলী। তিনি বলেন, যে গরম এতে করে মাঠে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গরুও মাঠে থাকছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হয়।
ভ্যানচালক মিঠুন মিয়া বলেন, এই গরমে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না। সামনে ঈদ অথচ গরমের কারণে যাত্রী নেই। খুব খারাপ অবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮-৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০-৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র বা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, হিট অ্যালার্ট জারি
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই
বাগেরহাটে হাত-পা বেঁধে শিশু হত্যা, অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পৃথক ঘটনায় এক শিশু ও এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার কচুরিয়া গ্রামের একটি বাগান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আহসান বিশ্বাসের (৫) মরদেহ লাশ করা হয়।
আহসান বিশ্বাস নড়াইলের নরাগাথী উপজেলার চর-শুক্তাইল গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে। সে কচুরিয়া গ্রামে নানা মাওলানা ফিরোজ আহম্মেদের বাড়িতে থাকত।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নানা বাড়ি থেকে খেলার জন্য বের হয় আহসান। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। এঘটনায় শিশুটির বাবা কামরুজ্জামান শুক্রবার রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পুলিশ সেই রাত থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে শিশুসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কচুরিয়া গ্রামের একটি বাগান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটিকে কে বা কাহারা কী উদ্দেশে হত্যা করেছে তার কারণ উদঘাটন করতে তদন্ত এবং হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে ওসি জানান।
এদিকে এর আগে একইদিন সকালে উপজেলার চরকান্তি গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর হবে। তার পরনে লাল রঙের জামা ও নীল রঙের সালোয়ার রয়েছে।
ওসি এস এম আশরাফুল জানান, ওই নারীর মরদেহ কীভাবে ঘেরে এল সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর নারীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অজ্ঞাত নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
হিলি স্থলবন্দরে ৬দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৬ দিনের ছুটি ঘোষণায় আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দরে।
সেই সঙ্গে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সব প্রকার কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ৬ দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৭ দিন
১৫ এপ্রিল সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের সহব্যবস্থাপক এস এম হায়দার বলেন, এই কয়দিন সরকারি ছুটির কারণে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সব কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, তবে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু থাকবে। এ সময় আমদানিকারকরা চাইলে তাদের আমদানি করা পণ্যের চালান বন্দর থেকে খালাস করে নিতে পারবেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, যেকোনো সরকারি ছুটিতে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম সব ধরনের সরকারি ছুটির আওতামুক্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের একজন রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ছুটি ব্যতিত দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন, পণ্যের পরীক্ষায়ণ ও শুল্কায়ণসহ অফিসিয়াল কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিদিন কাস্টমসের পাসপোর্ট ব্যাগেজ শাখায় পাসপোর্ট যাত্রীদের ট্রাভেল ট্যাক্স গ্রহণ কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। ট্রাভেল ট্যাক্স জমা দিয়ে যাত্রীরা প্রতিদিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
হিলি স্থলবন্দরে আজ বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি
কুষ্টিয়ায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পূর্ব শত্রুতার জেরে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা নাইফ আহমেদ তুষারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৫এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগর বাজারে প্রকাশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত নাইফ আহমেদ তুষার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ও গোলাপনগর কদমতলা এলাকার ৪নং ওয়ার্ড জাসদের সভাপতি রবিউল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক নাইফ আহমেদ তুষার গোলাপনগর বাজারে রাত ৮টার দিকে রবিউল নামের এক ব্যক্তির চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিশু হত্যার ১৩ বছর পর সৎ পিতার যাবজ্জীবন
এ সময় ১২ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল এসে চায়ের দোকানে সামনে থামে। প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল থেকে নেমে তুষারকে চায়ের দোকানের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তুষার দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পিছু ধাওয়া করে ধরে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে আবারও কুপাতে থাকে। স্থানীয়রা ছুটে আসলে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা চলে যায়।
ছাত্রলীগ নেতা নাইফ আহমেদ তুষারের পায়ে, হাতে, বুকে ও মাথাসহ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রামদার আঘাতের মারাত্মক জখম করা হয়েছে বলে তার স্বজন ও দলীয় নেতারা জানান।
পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তুষারের মৃত্যু হয় ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে কিশোর ভ্যানচালক হত্যা মামলায় ২ জন আটক
ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ বেনু বলেন, জানতে পেরেছি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান আলীর ফকিরাবাদ বাসভবনে ইফতার মাহফিল থেকে এসে এ হামলা চালিয়ে আবার সেখানেই ফিরে যায়।
তিনি বলেন, ‘আসামিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব। ঘটনার পর থেকে পুলিশ এলাকায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী পলাতক
যশোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
যশোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের বেজপাড়া পূজা মন্দির এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানকার একটি স্পিড ব্রেকার ও ড্রেনের নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তার পাশে জমিয়ে রাখা বালি দুর্ঘটনার কারণ বলছেন এলাকাবাসী।
নিহত তানভীর (১৯) শহরের কারবালা পুকুর পাড় এলাকার এসএম বকুলের ছেলে।
এ সময় তার মোটরসাইকেলে থাকা ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার ১৭ বছর বয়সী এক যুবতী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নসিমন-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১
স্থানীয়রা জানান, তানভীর তার বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বেজপাড়া এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান। খাওয়া শেষ করে তারা দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেলে পূজামন্ডপের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে শহরের রেলরোডের দিকে ফিরছিলেন। এমন সময় মন্দিরের একটু সামনে থাকা একটি স্পিড ব্রেকারে ঝাঁকুনি খায় মোটরসাইকেলটি।
এ অবস্থায় স্পিড ব্রেকার পার হয়েই রাস্তার পাশে বালির স্তুপ দেখে মোটরসাইকেল বাম দিক দিয়ে নিয়ে যেতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি ভবনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে তানভীরের মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা আহত ওই যুবতীকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে মোটরসাইকেলে-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত
মাগুরায় ২ কিশোরের মোটরসাইকেল প্রতিযোগিতায় প্রাণ গেল একজনের
মাগুরা শালিখা উপজেলার জুনারী এলাকায় ২ কিশোর মোটরসাইকেল নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চালানোর সময় সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে জুনারি মাদরাসার সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন বলেন, নিহত নাইম হোসেন (১৫) শালিখা উপজেলার জুনারি গ্রামের সোহেল মোল্যার ছেলে। সংঘর্ষে আহত অপর কিশোর রিঙ্কুকে (১৬) মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল দম্পতির
নাইমের চাচা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সাহেদ আলী লিটন বলেন, শুক্রবার দুপুরে নাইম তার বন্ধু রিঙ্কুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর সময় জুনারি মাদরাসার সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একজন আরেকজনকে অতিক্রম করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে তারা গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠানো হলেও অবস্থার অবনতি ঘটায় নাইমকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, সড়কে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ঘটনায় শালিখা থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল পাবিপ্রবি শিক্ষকের ৭ মাসের শিশু ও স্ত্রীর
ভারতের জলসীমা থেকে ট্রলারসহ ২৭ জেলে উদ্ধার
ভারতের জলসীমা থেকে বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে উদ্ধার করেছেন ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের উদ্ধার করে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে।
শুক্রবার ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে বাগেরহাটের মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে তাদের মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট খন্দকার মুনিফ তকির সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া থেকে ১ এপ্রিল এফবি সাগর-২ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে ২৭ জেলে সমুদ্রে যান। ৪ এপ্রিল দুপুরে ট্রলারটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। পরে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। বিষয়টি ভারতীয় কোস্টগার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোগের দৃষ্টিগোচর হলে তারা ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা রেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করে। পরে শুক্রবার ভোরে বাগেরহাটের মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে ট্রলারসহ ওই জেলেদের তাদের মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১৪ জেলে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
৯৯৯-এ ফোন: গভীর সমুদ্র থেকে ২১ জেলে উদ্ধার