খুলনা
মাগুরার মহম্মদপুরে গণকবরের সন্ধান লাভ
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের ভেতরে পুরোনো হলরুমের পাশে ভবন নির্মাণের জন্য মঙ্গলবার মাটি খোঁড়ার সময় মানুষের হাড়, মাথার খুলি ও দাঁতের অংশবিশেষ দেখতে পেয়ে ৭১ সালের গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন শ্রমিকেরা। পরে সেগুলোকে সংশ্লিষ্ট ইউএনও, পুলিশ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী স্থানে পুঁতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, এগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সাধারণ মানুষের কঙ্কাল। মঙ্গলবার সকালে নির্মাণশ্রমিকেরা বেজ ঢালাইয়ের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে সেগুলো দেখতে পান।
স্থানীয়রা বলছেন, কৃষি যন্ত্র সংরক্ষণাগার ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় মানুষের হাড়, মাথার খুলি ও দাঁতের অংশ বেরিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেগুলো দেখতে ছুটে যান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন
এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উপজেলা পরিষদের পুরোনো হলরুমের (তৎকালীন টিটিডিসি ভবন) ছাদে পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। ১৯ নভেম্বর বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের যুদ্ধ হয়েছিল। যে কঙ্কাল পাওয়া গেছে সেগুলো একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীদের হত্যার শিকার সাধারণ মানুষেরর।
কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া আরও বলেন, সেই যুদ্ধে মহম্মদপুরের বীর সন্তান আহম্মদ ও মহম্মদ নামের দুই ভাই শহীদ হন। শহীদ হন মহম্মদ উল্লাহ্ নামের এক ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট সদস্য।
খননকাজে নিয়োজিত শ্রমিক কিবরিয়ার ধারণা, ওই স্থানের মাটি খুঁড়লে আরও হাড়-গোড়, মাথার খুলি পাওয়া যেতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী মাথার খুলি, হাড় উপজেলা পরিষদ চত্বরের এক পাশে মাটির নিচে রাখতে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, ‘রাস্তা বা অন্যান্য কোথাও খোঁড়ার সময় কবর পাওয়া গেলে সেটা স্থানান্তর করা হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী পরে উপজেলার এক পাশে হাড় ও মাথার খুলি পুঁতে রাখা হয়েছে।’
উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইউএনও, ওসি, কৃষি কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় নিয়ম মেনে হাড়গোরগুলো মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নিশ্চিহ্নের পথে ৭১ এর আট গণকবর
চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
মাগুরায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
মাগুরা সদর উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার লস্করপুর ও নারায়ণপুর গ্রামে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু সাদিকুল মোল্যা (২) উপজেলার মালিক গ্রামের সজীব মোল্যার ছেলে। অপর দিকে আলিফ বিশ্বাস (আড়াই) মহম্মদপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের তিলাম বিশ্বাসের ছেলে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জব্বারুল ইসলাম জানান, নিহত সাদিকুলের মামা গোলাম রসুল মোল্যা জানান, নানা বাড়ি মাগুরা সদরের লস্করপুর গ্রামে বেড়াতে এসে সাদিকুল সকাল ১১টার দিকে নিখোঁজ হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু
আলিফ বিশ্বাসের চাচা পিয়াস শেখ জানান, আলিফ দুপুরে ১টার দিকে খেলা করতে গিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কৃষ্ণ বিশ্বাস জানান, সাদিকুল ও আলিফ নামে দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। হাসপাতালে আনার অগেই তাদের মৃত্যু হয়।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশিত কুমার রায় জানান, পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ডুমুরিয়ায় এক বছরেও শেষ হয়নি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, দুর্ভোগে মানুষ
খুলনার ডুমুরিয়ায় ১৫ মিটার গার্ডার ব্রিজ নির্মাণে মেয়াদ ছিল ছয়’মাস। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ডুমুরিয়া বাজারের দক্ষিণে শালতা নদীর শাখা খালের উপর সাড়ে ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। অভিযোগ উঠেছে মাত্র ৩০ ভাগ কাজ করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেশিরভাগ বিল তুলে নিয়েছে। অবশ্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় বিষয়টি অস্বীকার করে বলছে, কাজে ৪০ ভাগ অগ্রগতি হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কোনো বিলই পরিশোধ করা হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, যোগাযোগ সহজ করতে ডুমুরিয়া বাজার হতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অভিমুখে শালতা নদীর শাখা খালের উপর ১৫ মিটার গার্ডার ব্রিজ এবং দুই পাশে ১৫ মিটার করে মোট ৩০মিটার ডাবল ইট বসাতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
ব্রিজটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় সাড়ে ৭৮ লাখ টাকা। কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওমর ফারুক। ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মেয়াদ ধরা ছিল ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট। অর্থাৎ সময় ছিল মাত্র ছয়’মাস। কিন্তু এক বছরেও সেই কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’, গুজরাটে ব্রিজ ধসে ১৩৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এক অভিযুক্তের মন্তব্য
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেইজ ঢালাইয়ের কিছু কাজ করা হয়েছে। অন্য কোনো কাজই হয়নি। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে ব্রিজে ব্যবহৃত রডে মরিচা এসেছে। কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।
প্রদীপ নাথ ও গোবিন্দসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সামান্য কাজ করে ঠিকাদারের লোকজন চলে যায়। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ। কিন্তু কাজ ফের শুরু হচ্ছে না। কাজ বন্ধ থাকায় নদী লাগোয়া দোকানঘর ভেঙে পড়ছে। এছাড়া ক্রেতারাও দোকানে আসতে চায় না। ফলে বেচা-বিক্রি একদম কমে গেছে। জনগণকেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঠিকাদার ওমর ফারুক বলেন, কাজ তো চলছে, ইতিমধ্যে অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাসেল আহমেদ বলেন, নির্মাণ সামগ্রী দাম চড়া সেকারণেই ঠিকাদার মূলত কাজ করেনি। এছাড়া জোয়ারের পানিও কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।
তিনি জানান, কাজে ৪০ ভাগ বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি। বরং নির্ধারিত সময়ে কাজ না করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আসিফ রহমান বলেন, অর্থ সংকটে প্রকল্পটি সময় মতো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। প্রকল্পটির টাকা বাড়ানো হবে। এরপর ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ না করলে কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।
ডুমুরিয়ায় এক বছরেও শেষ হয়নি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, দুর্ভোগে মানুষ
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রাক-অটোরিকসাসহ বেইলি ব্রিজ ভেঙে খালে, আহত ৩
দিশেহারা সাধারণ আয়ের মানুষ, ফের বাড়ছে পোল্ট্রি মুরগির দাম!
খাদ্যের দাম বেশির কারণ দেখিয়ে খুলনার বাজারে ফের দাম বাড়তে শুরু করছে গরীবের একমাত্র আমিষের চাহিদা পূরণের ভরসা ব্রয়লার মুরগির। খুলনার বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও রাতারাতি হরিলুটের মতো চার থেকে পাঁচদিনের ব্যবধানে ১৯০টাকার ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বাজারের বর্তমান দৃশ্যমান দামের আগে শীতকালীন সময়ে টানা কয়েকমাস ১৪০ টাকা কেজি দরে স্থিতিশীল ছিল ব্রয়লার মুরগির দাম। তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে ২৪০টাকা দরে পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
প্রতিদিনই খুলনার বিভিন্ন অঞ্চল- তালা, বটিয়াঘাটা, তেরখাদা, কৈয়া বাজার, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, জামিরা, পথের বাজার, দিঘলিয়াসহ স্থানীয় এলাকার খামার হতে মুরগি আসে খুলনার খুচরা বাজারে।
রমজানকে ঘিরে খুলনা মহানগরী এলাকার রূপসা নতুন বাজার, জোড়াকল বাজার, সন্ধ্যা বাজার, বয়রা বাজার, বৈকালি বাজার, দৌলতপুর বাজার, খালিপুর বাজারসহ স্থানীয় এলাকার বাজারসমূহে জাতীয় ভোক্তা ও অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কেসিসি কর্তৃক মোবাইল কোর্ট, জেলা প্রশাসনের অভিযানসহ অন্যান্য সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে করার ফলে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের নিয়মবর্হিভূত কেনাবেচা অনেকটাই রোধ হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। মাত্র তিন দিনের মাথায় কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রেডি মুরগির বাচ্চা সরবরাহকারী পরিবেশক ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ খাতে কর্পোরেট গোষ্ঠী তাদের ইচ্ছেমতো ফিড ও মুরগির দাম বাড়াচ্ছে, আর সেই দাম মেনে নিয়ে প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন করলে বাজারে দাম কমিয়ে দিয়ে লোকসানে ফেলা হচ্ছে তাদের। এতে করে প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়ছে।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
তারা আরও জানান, বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানির সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিনিয়ত পোল্ট্রি মুরগির দাম ওঠা নামা করছে। ওই কোম্পানিগুলো গোটা বাংলাদেশে এই খাতের ব্যবসাটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে। খাদ্যে ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধির জন্য কতিপয় কোম্পানি, কন্ট্রাক্ট ফার্মের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিসহ কিছু কর্মকর্তার কারসাজিতে চাহিদার তুলনায় বাচ্চা কম উৎপাদন করে রেডি মুরগির কৃত্রিম সংকট করছে, যার প্রভাব গোটা বাংলাদেশের উপর পড়ছে।
ফুলতলা আলকা ট্রান্সপোর্ট বাজার ফুলতলার মিতু পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিড’র সত্ত্বাধিকারী এবং কাজী ফার্মস’র পরিবেশক রেজাউল ইসলাম সরদার জানান, গোটা বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাতের যারা মাথা, তারা হাজার হাজার ডিলারদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ী এই খাতটাকে নিয়ে খেলছে। আমি কাজী ফার্মের পরিবেশক। গোটা দেশে আজ পোল্ট্রি খাতে যে দামের ওঠা নামা চলছে, তা মাত্র কয়েকটি কোম্পানির কারণে হচ্ছে। তারা এ খাতটাকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশে বাচ্চা উৎপাদনে এই কোম্পানিতে লিডিংয়ে রয়েছে তারা। গোটা বাংলাদেশে যে বাচ্চা উৎপাদন হয়, তার ৫০ হতে ৭০ শতাংশ বাচ্চাই কাজী ফার্মের।
খামারিরা জানিয়েছেন খাদ্যের ও বাচ্চার দাম বেশি। রবিবার (২ এপ্রিল) প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি স্থানীয় এলাকার খামারিদের কাছ থেকে ১৯০ টাকা দরে পাইকারি দরে কিনে এনেছি। খুচরা বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ২১০ টাকা দরে। খামারিরা যে দাম কাটে তা হতে কিছু লাভে বিক্রি করি।
মুরগি বিক্রেতা মোস্তাক বলেন, কোম্পানি রেট, খাবার ও বাচ্চার দাম বেশির কারণেই মুরগির দাম বেশি। আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোম্পানি।
ক্রেতা রাজিব জানান, মাঝে ১৪০ টাকা ব্রয়লার মুরগি ধাপে ধাপে ২৪০টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। হাতে গোনা কয়েকদিন আগে সেই মুরগি ১৯০ টাকা হওয়ার বেশ স্বস্তি নেমেছে ক্রেতাদের মাঝে। গরুর গোস্ত যাদের কেনার সমার্থ নেই, মুরগি তাদের অন্যতম ভরসা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো- হঠাৎ আবার মুরগির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
কেসিসি’র বাজার সুপারভাইজার মো. মাজেদ মোল্লা জানান, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে পবিত্র মাহে রমজানে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করছে কেসিসি। বাজারে যেহেতু ব্রয়লারের দাম বাড়তির ব্যাপারে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে বাজার মনিটরিং করা হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান কাজ। জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার মনিটরিং, ভেজাল, মূল্য প্রদর্শন, পচাবাসী খাবার, মানহীন পণ্য, মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্যসহ বিবিধ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। চলতি রমজানে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। ইতোপূর্বেও আমরা নানামুখী বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। নতুন করে আবার মুরগির দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা মার্কেট মনিটরিং করব। দামের কারসাজিতে যারা যুক্ত থাকবেন তাদের ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসিন আরেফীন জানান, আগের থেকে মুরগির দাম বেশ কমে এসেছিল। তবে যেহেতু নতুন করে বাড়তির দিকে যাচ্ছে, আমরা আবার মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করবো।
আরও পড়ুন: খুলনায় খামারে দাম কমলেও বাজারে কমেনি পোলট্রি মুরগির দাম
ভারতের পেট্রাপোলে কাজ বন্ধ থাকায় বেনাপোলে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থবির আমদানি-রপ্তানি
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যবাহী মাছের ট্রাকে স্বর্ণ পাচারের ঘটনায় ভারতীয় ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) স্টাফ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে বন্ধ রয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য।
শনিবার (১ এপ্রিল) সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো কর্মবিরতির ডাক দিলে বন্ধ হয় রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ সাতক্ষীরার মোস্তফা অরগানিক নামক একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তিন টন তেলাপিয়া মাছ ট্রাকের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করে। পণ্য চালানটি রপ্তানির জন্য ‘ব্রাদার্স সেন্ডিগেট’ নামক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল কাস্টমসে ডকুমেন্টস দাখিল করে। মাছ আমদানি করে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার ‘বাবা ইন্টারন্যাশনাল’। ওই দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ট্রাক তল্লাশি করে মাছের কার্টুনের মধ্য থেকে চার কেজি ৬৬৬ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গেট পাস জটিলতা: দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
তিনি আরও বলেন যে এ ঘটনায় বাংলাদেশি ট্রাক চালক সু শঙ্কর দাস ও ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ লালটুর বিরুদ্ধে মামলা দেয় বিএসএফ। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই মামলা তুলে নেওয়ার দাবিতে ব্যবসায়ীরা শনিবার কর্মবিরতি ডাক দেয়। এতে বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কেমিকেল গার্মেন্টস, মাছসহ জরুরি মালামাল রয়েছে।
দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে বাণিজ্য সচলের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, আগে সীমান্ত পথে পাচার কার্যক্রম হলে এখন বৈধ পথে স্বর্ণ, মাদক পাচার বেড়েছে। এতে বাণিজ্য বিঘ্ন ও সাধারণ ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা গেলে পাচার কার্যক্রম বন্ধ হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, স্বর্ণ পাচার মামলা নিয়ে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের জেরে ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতিতে শনিবার দিনভর রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল এবং আজও বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
সুন্দরবনে আজ থেকে মধু আহরণ শুরু
সুন্দরবনে আজ থেকে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হচ্ছে। শনিবার (০১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় মধু আহরণের মধ্য দিয়ে মধু মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
পশ্চিম বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী বন অফিস সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে মৌয়ালদের প্রশিক্ষণের পর মধু আহরণের অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা নষ্ট ও চুরি, আটক ১৪
এছাড়া এই পাস নিয়ে মৌয়ালরা গভীর বনে চলে যাবেন মধু সংগ্রহ করতে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে নির্বিঘ্নে মধু আহরণের জন্য বন বিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া এবার বন্যপ্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য মৌয়ালদের সাবধানে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এ বছর সুন্দরবনে তিন হাজার কুইন্টাল বা তিন লাখ কেজি মধু ও ৮০০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে সবচেয়ে বেশি মধু পাওয়া যায়।
বন বিভাগের তথ্যমতে, ২০২১ সালের মধু ও মোম আহরণের জন্য এক হাজার ১২টি অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া হয়। এসব অনুমতিপত্রের বিপরীতে ছয় হাজার ৭৯৭ জন মৌয়াল সুন্দরবনে যান।
তারা তিন হাজার ৩৭৬ দশমিক ৯০ টন মধু ও ১১৩ দশমিক ০৯ টন মোম আহরণ করেন। আর মধু থেকে ২৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৬৩ টাকা ও মোম থেকে ১০ লাখ ২৫ হাজার ৮৫০ টাকা রাজস্ব আয় হয়।
২০২২ সালে সুন্দরবনের মধু থেকে রাজস্ব আয় হয় ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং মোম থেকে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা।
সে বছর সুন্দরবন থেকে দুই হাজার ৩২০ কুইন্টাল মধু ও ৬৯৬ কুইন্টাল মোম পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের বাঘের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন আব্দুল ওয়াজেদ
৫ ঘণ্টা পর সুন্দরবনে পথ ভুলে আটকে পড়া ১০ পর্যটক উদ্ধার
যশোরে পৃথক ঘটনায় ছুরিকাঘাতে নিহত ২
যশোরে পৃথক ঘটনায় এক যুবক ও এক কিশোর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড়ভাই নিহত হয়েছেন।
নিহত যুবক ইউনুস (২২) যশোর সদরের ওই গ্রামের সাদ্দামের মোড় এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে।
অপরদিকে শহরের বারান্দি নাথপাড়ায় এক কিশোর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে।
নিহত নাহিদ হাসান (১৭) শহরতলী শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়া এলাকার মোহাম্মদ বাচ্চু মোল্লার ছেলে।
তাদের লাশ যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন, গ্রেপ্তার ২
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউসুফের সঙ্গে বড় ভাবী সুরাইয়ার ঝগড়া হয়। এই ঝগড়ার এক পর্যায়ে ইউসুফ বড়ভাই ইউনুসের বুকে ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা ইউনুসকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, হামলাকারী ইউসুফ মাদকসেবন করতেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সে সুরাইয়াকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এর জের ধরে ঝগড়া ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
অপরদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধে যশোর শহরের বারান্দি নাথপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে নাহিদ হাসান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাহিদ তার বড়ভাই বোরহানের সঙ্গে শহরের আরএন রোডে মোটরপার্টসের দোকানে ব্যবসা করতো। শুক্রবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে পূর্ব পরিচিত হাসানকে নিয়ে বারান্দি নাথপাড়া এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে অজ্ঞাত কিশোর গ্যাং গ্রুপের সঙ্গে তাদের বিবাদের সৃষ্টি হয়। আর এই বিবাদের জের ধরে ওই কিশোররা নাহিদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এ সময় ছুরিকাঘাতে হাসানও আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত হাসানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপন কুমার সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পারিবারিক বিরোধে ঘুরুলিয়ায় ছোটভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন যে অন্যদিকে বারান্দি নাথপাড়ায় কিশোর গ্রুপের ছুরিকাঘাতে আরেক কিশোর নিহত হয়েছে। দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ঘটনা অনুসন্ধান ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করেছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: তুরাগে পুলিশকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৩ মাদক ‘ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক্টর-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অপর একজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গার বটতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মঈনুদ্দিন হোসেন(২৫) উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। আহত হাসিবুল একই গ্রামের বগা মিয়ার ছেলে।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহেদ বলেন, শুক্রবার রাতে দুই যুবক মোটরসাইকেল যোগে কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে ব্যক্তিগত কাজে দামুড়হুদায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কার্পাসডাঙ্গার আরামডাঙ্গা বটতলা মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির মাটিবোঝাই একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে মঈনুদ্দিন হোসেন মারা যায়। আহত হাসিবুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বাগেরহাটে পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা কিশোরী আটক
বাগেরহাটে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে দেয় পাসপোর্ট অফিস।
আটক আমিনা আক্তার জিগার (১৫) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা ক্যাম্পে অবস্থান করা খোকন রাহামাতুল্লাহ-এর মেয়ে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিষাক্ত জুস খেয়ে ছেলের মৃত্যু, মা আটক
জানা যায়, আমিনা আক্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের মো. খোকন ও সাদিয়া বেগমের মেয়ে পরিচয়ে জন্মনিবন্ধন করে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন।
তার কাছে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দেওয়া জন্মনিবন্ধন সনদ রয়েছে। এছাড়া তার সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মো. মিজান এসেছিলেন।
এ চক্রের সঙ্গে মিজান, ইউডিসি উদ্যোক্তা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সচিব জড়িত রয়েছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চৌকিদার মো. মিজান বলেন, পাসপোর্ট অফিসে ওই কিশোরীর সঙ্গে আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু সে যে রোহিঙ্গা এ বিষয়টি আমি জানতাম না।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. ইদ্রিস বলেন, উদ্যোক্তারা জন্মনিবন্ধন করেন। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
বাগেরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক একেএম আবু সাইদ বলেন, সকালে পাসপোর্ট করতে আসে ওই কিশোরী। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। একপর্যায়ে বোঝা যায়, সে বাংলাদেশের নাগরিক নয়। পরে যাচাই-বাছাই করে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পুলিশে দেওয়া হয়।
রোহিঙ্গা কিশোরীর পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, পাসপোর্ট অফিস থেকে আটক করে এক কিশোরীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ চারজন, ২০২০ সালের ১২ মার্চ ১২ জন এবং ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১৫ জন রোহিঙ্গাকে বাগেরহাট থেকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের কক্সবাজারের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ১৫ সদস্য আটক
যশোরে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ, আটক ১
কুড়িগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মিম আক্তার (২০) তালুক শিমুলবাড়ী গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ছয় বছর আগে প্রেম করে মিম ও রিপন বিয়ে করেন। তাদের ঘরে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
বুধবার মিম কয়েকদিনের জন্য বাবার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার জন্য শাশুড়িকে বলেন। কিন্তু শাশুড়ি কয়েকদিন পরে যেতে বলেন। এ নিয়ে বউ-শাশুড়ির মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রী খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় শ্বশুড়বাড়ির লোক।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তাদের ধারণা, বাবার বাড়ি যেতে না দেয়ায় শাশুড়ির সঙ্গে অভিমান করে রাতের যেকোন সময় ঘরের ধরনার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মিম।
ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের ধরনায় ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধুর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তা
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় আমবাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার