সিলেট
সিলেটে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত এক নারী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে লাছুখাল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে অজ্ঞাত ওই নারী ভবঘুরে ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, রবিবার সন্ধ্যায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ লাছুখাল এলাকায় এক পথচারী অজ্ঞাত নারীকে ট্রাকচাপা দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় একটি ট্রাক আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
বোচাগঞ্জে ট্রাকচাপায় খালা ও ভাগ্নের মৃত্যু
সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে দুই সন্তানসহ মা নিখোঁজ
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পারভীন বেগম (৩০) নামের দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ওসমানী হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তারা নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজ হামিমকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নিখোঁজেরা হলেন- মোছা. পারভীন বেগম (৩৫), ইমাদ আহমদ (৫) ও সাদিয়া আক্তার (৪ মাস)।
রবিবার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এসএমপির গণমাধ্যম শাখা জানায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০) গত ১৪ অক্টোবর তার কিডনি রোগে আক্রান্ত ছেলে ইমাদ আহমদকে (৫)- সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৫নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
ভর্তিকৃত শিশু ইমাদের সঙ্গে মা মোছা. পারভীন বেগম এবং বোন সাদিয়া আক্তার হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন। গত শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে তাদের রেখে ওষুধ কিনতে হাসপাতালের বাইরে যান আব্দুর রহিম। এর একঘন্টা পর দুপুর ১২টার দিকে আব্দুর রহিম ওয়ার্ডে ফিরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুঁজে পাননি।
পরবর্তীতে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার স্ত্রী-সন্তাদের কোনো সন্ধান না পেয়ে এসএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন।
নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া গেলে এসএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানা (ডিউটি অফিসার মোবা-০১৩২০-০৬৭৫৭৩, এসআই/খন্দকার জাফর ইমাম-০১৭৫৫-২২৩৫৩৮) যোগাযোগ করার জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
ফেসবুকে কথা-কাটাকাটি, ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও এক যুবক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমুড়া ইউনিয়নের আমনি বাজারের পূর্বে শাহী ঈদগাহের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
নিহত তাজেল আহমদ (১৮) উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের ময়ন মিয়ার ছেলে এবং আহত তানভীর আহমদ একই গ্রামের সফিক উদ্দিনের ছেলে।
তানভীর আহমদ জানান, এক সপ্তাহ আগে আমুড়া ইউনিয়নের কদমরসূল গ্রামের অপু আহমদের সঙ্গে তানভীর আহমদের ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার অপু আহমদ ৫/৬ জন যুবক নিয়ে তাজেল আহমদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাজেল আহমদকে ছুরিকাঘাত করা হলে তাজেলের সঙ্গে থাকা তানভীর তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাজেল মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় আহত তানভীর বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য জনি চৌধুরী জানান, ফেসবুক মেসেঞ্জারে গালাগালি নিয়ে অপু ও সাঈদ নামে দুজনের ছুরিকাঘাতে তাজেল নিহত হন। লাশ বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে পরে বলব।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বাসচাপায় তরুণ নিহত
কুড়িগ্রামে ‘বিএসএফের গুলিতে’ বাংলাদেশি তরুণ নিহত
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলার পুরাতন রেলস্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্ম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইফতেখার হোসেন সুমন (৪৫) দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের হাজরাই চৌধুরীগাঁও গ্রামের কটু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: যশোরের ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের জখম
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাফিউর ইসলাম পাটুয়ারী জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমন রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তিনি আরও জানান, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
ওসি বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সিলেটে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সিলেটে ট্রেনের ধাক্কায় আব্দুস শহিদ (৪৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ইলাশপুরে রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শহীদ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর খলাছড়া ইউনিয়নের চন্দ্রশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলযোগে সিলেট ফিরছিলেন আব্দুস শহিদ। দেড়টার দিকে সিলেট-মৌলভীবাজার মহাসড়কের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইলাশপুর রেল ক্রসিং পয়েন্ট অতিক্রমের সময় সিলেটগামী পারাবত তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
এতে তিনি মাথায় ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া রেল ক্রসিং পয়েন্টে কোনো গেটম্যান ছিলেন না। গেটম্যান না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে গেটম্যান পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাফিউর ইসলাম পাটুয়ারী জানান, রবিবার বেলা দেড়টার দিকে সিলেটমূখী পারাবত ট্রেনের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
সিলেটে নিখোঁজ হামিমকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নিখোঁজের চার দিন পর সিলেটের শ্রীরামপুরের ইয়ামিন আরাফাত হামিমকে (১৯) অচেতন অবস্থায় টার্মিনাল এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে হামিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হামিমের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
ইয়ামিন আরাফাত হামিম মোগলাবাজার থানাসংলগ্ন শ্রীরামপুরের শেখপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে মোবাইল ফোন বিক্রির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন হামিম। পরে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু
এ ঘটনায় তার বাবা বুধবার (১১ অক্টোবর) মোগলাবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
হামিমের পরিবার জানায়, নিখোঁজ হওয়ার পর হামিমের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল আসে। তখন হামিম বলে, তাকে ৪ জন লোক একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রেখেছে। তাদের হাতে বন্দুক আছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে হামিমের সঙ্গে তার পরিবারের শেষ কথা হয়। তারপর থেকে হামিমকে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানায় তার পরিবার।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন জানান, নিজস্ব সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ৮টায় কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ইয়ামিন আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এলজিইডি কর্মকর্তা নিহত, আহত ৪
সিলেটে মৃত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীর জেল-জরিমানা
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের চতুল-ঈদগাহ বাজারে মৃত গরুর মাংস বিক্রি করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ২ মাসের কারাদণ্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন। মাংস ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম স্থানীয় মুক্তাপুর গ্রামের ফকির আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএসটিআইয়ের অভিযানে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানান, বৃহস্পতিবার ফখরুল ইসলাম ও তার আরও ২ সহযোগীকে নিয়ে বাজারে গরুর মাংস বিক্রি করতে থাকেন। অনেক ক্রেতা মাংস ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে গেলে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি তাৎক্ষণিক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল আম্বিয়াসহ নেতাদের জানান।
পরে সমিতির নেতারা বাজারে গিয়ে দেখতে পান মাংস থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এসময় ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম মাংসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় রায়পুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে নাজিম উদ্দিন তাকেসহ আব্দুল বাছিত ও আব্দুল হামিদকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মৃত গরুর মাংস বিক্রি করতে বলেছে।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ জানতে উপজেলা ফুড ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাণি-সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনকে নিয়ে চতুল ঈদগাহ বাজারে যান।
পরে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাংস পরীক্ষা করে মৃত গরুর পঁচা মাংস হিসেবে শনাক্ত করেন। তখন পঁচা মাংস জব্দ করে বাজারের পাশে মাটির গর্তে পুতে ফেলেন ভূমি কমিশনার ফয়সাল আহমেদ।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, মাংস বিক্রির বিষয়টি ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম স্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে দুই মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাংস ব্যবসায়ীকে থানা পুলিশের মাধ্যমে সিলেট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে সাড়ে ৫ লাখ টাকার চায়না জাল ধ্বংস, ৫ জেলেকে জরিমানা
দক্ষিণ সিটির ৯ স্থাপনাকে লাখ টাকা জরিমানা
সিলেটে ট্রাক আটকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
সিলেটের কোম্পানীঞ্জে পাথর ভর্তি ট্রাক আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বাধীনসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ইসলামপুর ফুয়েল পাম্পের সামনে। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় উপজেলার ভোলাগঞ্জ আদর্শগ্রাম এলাকার পাথর ব্যবসায়ী মো. তোফাজ্জল হোসেন রাজু বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বাধীন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মহিষখেড় গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ভোলাগঞ্জের মেসার্স মায়ের দোয়া ওয়াশিং প্লান্ট-১ থেকে ৪৭৬ ফুট সিঙেল (নুড়ি পাথর) ক্রয় করে ট্রাক দিয়ে জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। গাড়িটি সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ইসলামপুর এলাকার ধলাই ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বাধীনসহ কয়েকজনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাড়ির গতিরোধ করেন।
এসময় চালককে টেনে হিচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে তারা। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন চালকের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে ব্যবসায়ী মো. তোফাজ্জল হোসেন রাজুকে ফোন দিয়ে বলে- এই ট্রাকটি আটক করেছি। ট্রাকটি ছাড়িয়ে নিতে চাইলে ১ লাখ টাকা দিতে হবে নয়তো পুড়িয়ে ফেলব।
ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ী রাজু পৌঁছামাত্র ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীনের হাতে থাকা চাকু দেখিয়ে বলে, বাঁচতে চাইলে ১ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে দে। কোনো উপায় না দেখে ব্যবসায়ী রাজু নগদ ৮ হাজার ৫০০ টাকা ও তাদের ০১৬২২৪৯৫৮৯৩ নম্বারে একটি বিকাশে সাড়ে ৭ হাজার টাকা দেন।
এর আধাঘন্টা পর গাড়িটি উপজেলার বর্ণি পয়েন্টে পৌঁছালে সেখানে আবারও আটক করে চাঁদা দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন। কিছুক্ষণ পর উপস্থিত কয়েকজনের মধ্যস্থতায় ট্রাকটি সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বাধীন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এমন যদি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আমাকে সংগঠন যে শাস্তি দেবে তা আমি মাথা পেতে নেব।
এবিষয়ে অভিযোগকারী রাজু বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ১০/১২জন সিঙ্গেল পাথর বোঝাই আমার ট্রাকটি আটক করে। পরে ১৬ হাজার টাকা দিয়ে আমার গাড়িটি ছাড়িয়ে নেই। টাকা লেনদেনের ডকুমেন্টস আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায়।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার অভিযোগ, রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর
নাটোরে ট্রাকচাপায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের প্রতীকী অনশন
তিন দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’- এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতীক অনশন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মচারীরা। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
দাবিগুলো হলো- চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টায় অনশনস্থলে এসে আন্দোলকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কর্মচারি পরিষদের সভাপতি ও আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাদেক আহমদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি পরিষদের সভাপতি সুরুজ মিয়া।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মৌন মিছিল
এসময় তাদের সঙ্গে শাবিপ্রবি কর্মচারি পরিষদ ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, তিন দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাকা দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মানবপ্রাচীর
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মৌন মিছিল
চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণের ৩ দফা দাবিতে মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’ এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে নগরীর চৌহাট্টা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে গিয়ে মৌন মিছিলটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাপ্ত হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি।
আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মানবপ্রাচীর
তারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, ৩ দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাকা দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
সিলেটে ছাদে ফুটবল খেলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
তিনিও শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দাবিগুলো হলো- নিঃশর্তে সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। প্রায় এক বছর যাবত বেতন বন্ধ থাকায় কর্মচারিরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অনতিবিলম্বে সকল বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ করতে হবে। কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবিলম্বে নিজস্ব স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।