সিলেট
বিয়ের আশ্বাসে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
বিয়ের আশ্বাসে এক রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাতে নগরীর কাজলশাহ ল্যাবএইড লি. ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ডা. আর কে এস রয়েল সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান।
জানা গেছে, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা করার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
তিনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী ওই চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এসময় চিৎকার করে তরুণী বলেন- ‘আমাকে এ মুহূর্তে আপনার বিয়ে করতে হবে। আমার গর্ভে আপনার সন্তান।’
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ২০১৮ সাল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একপর্যায়ে ওই তরুণীর প্রতি তিনি আসক্ত হয়ে পড়েন। বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ভুক্তভোগীর করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার বিকালে তাকে আদালতে তোলা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশের ভুয়া কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালক হত্যা: ৩ আসামি গ্রেপ্তার
গোলাপগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের শিকপুর গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত জামাল উদ্দিন (৩০) ওই গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতে খাবার শেষে নিজ ঘরে ঘুমাতে যায় সে। পরদিন সোমবার সকালে তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের লোকজন ডাকতে গেলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোফাখখারুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: চবি ক্যাম্পাসের বাসা থেকে প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৩১ অক্টোবর থেকে সিলেটে পণ্য পরিবহনে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি
৩১ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় পণ্য পরিবহনে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ ও কার্ভাডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
বৃহত্তর সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী সনাতন পদ্ধতিতে খুলে দেয়ার দাবিতে সোমবার (১৭ অক্টোবর) নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ ও কার্ভাডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কার্ভাডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারীগুলো থেকে স্বাধীনতা উত্তর কাল থেকে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক এ পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: সিলেটে চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে কোয়ারী বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছেন।
পাঁচ বছর ধরে কোয়ারী বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। অনেক মালিক ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে চরম আর্থিক সংকটে নিপতিত হয়েছেন। প্রায় ৫০ হাজার ট্রাক শ্রমিক পরিবার পরিজন নিয়ে অসহ্য জীবন যাপন করছেন।
গত ১৬ অক্টোবর সিলেটের পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবিতে আমরা সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পাথর পরিবহন বন্ধ থাকায় শত শত ট্রাক মালিক, স্টোন ক্রাশার মালিক ও ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় দিন যাপন করছেন। যদিও সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার জন্য হাইকোর্ট একাধিক বার নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ, পাথর কোয়ারী বন্ধ রেখে বিদেশ থেকে রিজার্ভের ডলার খরচ করে পাথর আমদানি করে উন্নয়ন কাজ চালানো হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রীয় রিজার্ভ সংকটে নিপতিত হয়েছে। লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় রিজার্ভের ডলার সাশ্রয়ের জন্য সিলেটের পাথর কোয়ারী জরুরি ভিত্তিতে খুলে দেয়া আবশ্যক।
তাই ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সিলেটের পাথর কোয়ারী খুলে দেয়া না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘন্টার এবং পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগে সকল প্রকার পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করা হবে। পরবর্তীতে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সচিব মো. দিলু মিয়া, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরি সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান মালিক সমিতির সহ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাজির আহমদ স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন তালুকদার, বৃহত্তর পাথর কোয়ারী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আব্দুল জলিল, সদস্য সচিব নুরুল আমীন, জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বাবুল বখত, জাফলং ভল্লাঘাট পাথর উত্তোলন ও শ্রমিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফুল মিয়া, সহ সভাপতি মো. রমজান আলী, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান মালিক সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব আলী, নূর আহমদ খান সাদেক, ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ রাজ্জিক লিটু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আকমাম আব্দুল্লাহ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জুবেল আহমদ, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ জুলহাস হোসেন বাদল, প্রচার সম্পাদক সামাদ রহমান, দপ্তর সম্পাদক মো. বিলাল আহমদ, নির্বাহী সদস্য আলী আহমদ আলী, আব্দুল মতিন ভিআইপি, সফিক আলী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট সি. ডিকসন বলেছেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য (এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন) বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটে ইউকেভিত্তিক ওয়েলকাম স্কিলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটির উদ্বোধনকালে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা: প্রার্থীদের সতর্কভাবে আবেদনের পরামর্শ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের
ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্র অনেক এগিয়েছে, কিন্তু স্কিলড নির্ভর শিক্ষায় বাংলাদেশকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে বৃটিশ অনেক কোম্পানি বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও দিবে। দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে ওয়েলকাম স্কিল প্রতিষ্ঠানটিও বাংলাদেশে একটি অনন্য সংযোজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিইও কুলসুম হোসেন, হেড অব ট্রেনিং গ্যারি ফ্যায়েরেলি, হেড অব রিক্রুটমেন্ট ফাইজাল হোসেন, ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন স্কুল এক্সিকিউটিভ প্যাট্রন প্রফেসর ডেভিড ফ্রসকিট ও ডেভিড রাসেল।
কুলসুম হোসিন বলেন, ওয়েলকাম স্কিলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটি যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা হসপিটালিটি এবং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞ। হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম শিল্পে যারা প্রবেশ করতে চাইছেন এমন ব্যক্তি কিংবা এই সেক্টরে কর্মরত কর্মীরা যারা তাদের দক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করতে চান তাদের জন্য আদর্শ কোর্স ডিজাইন করেছে ওয়েলকাম স্কিলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
জলবায়ু কার্যক্রম যুক্তরাজ্যের জন্য অগ্রাধিকার: ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার
সিলেটে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজিতে মঙ্গলবার রাতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, পুলিশ ওই এলাকায় কাঁদানে গ্যাস এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নৌ পুলিশ ও জেলেদের সংঘর্ষ, শরীয়তপুরে আটক ১০
চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে লামাকাজি বাসস্ট্যান্ডে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে গ্রামবাসী দুটি দলে বিভক্ত হয়ে ওই এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ঢামেক হাসপাতালে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু
এখনও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিলেটে নিখোঁজের ৭দিন পর মাদরাসাছাত্র উদ্ধার
সিলেটে নিখোঁজের সাতদিন পর মাদরাসাছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকা থেকে তাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মো. লিমন (১২) নগরীর জিন্দাবাজারের আবুল বাশার। সে সিলেট জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র।
এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) এসএমপির কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন তার বাবা।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
পুলিশ জানায়, লিমন হোসেন ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুজি করেও তার আর কোনো খোঁজ মিলছিল না।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকা থেকে লিমনকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে লিমন পুলিশকে জানায়, সে পড়ালেখার চাপে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে রাগ করে চলে যায়।কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান,লিমন হোসেনকে তার বাবার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
সিলেটে মাইক্রোবাস খাদে পড়ে ২ জনের মৃত্যু
সিলেটের ওসমানীনগরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে একটি মাইক্রোবাসের চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোর ৫টায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ১৯ মাইল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিলেটের মোল্লারগাঁও এলাকার বাসিন্দা মারজান আহমেদ (৩২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার বাসিন্দা সৈয়দ লুৎফুর রহমান (৪৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চন্দ্র দেব।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মাইক্রোবাসে করে সিলেট ফিরছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফুর রহমান। পথিমধ্যে ওসমানীনগরের ১৯ মাইল নামক স্থানে আসলে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসচালক ও ব্যাংক কর্মকর্তা মারা যান।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ি ঝর্ণায় নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধের মৃত্যু, আটক ৫
ফুটবল খেলা চলাকালীন দর্শকদের চাপে ছাদ ধসে যুবকের মৃত্যু
সিলেটে মাদরাসাছাত্রকে হোটেলে আটকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর টাইটেল মাদরাসার এক ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
উদ্ধার ছাত্র আমিরুল ইসলাম (১৬) ওসমানীনগর উপজেলার কিয়ামপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে ও উমরপুর টাইটেল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
গ্রেপ্তার মো. নজরুল ইসলাম ও মেনু মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন অপহরণ ও উদ্ধারের ঘটনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রহিমা বেগম ‘অপহরণ’ মামলায় ৪ জনের জামিন
পুলিশ জানায়, গত ৯ অক্টোবর বাড়ি থেকে মাদরাসার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছিল না। ১২ অক্টোবর তার বাবা ওসমানীনগর থানায় লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সংক্রান্ত মামলা হলে পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারকারী টিম তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে সমন্বয় সাধনের জন্য ওসমানীনগর সদস্যর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন। পুলিশ মাঠে নেমে জানতে পারে ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে একটি চক্র। মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টার দিকে সিলেটের রশিদপুরস্থ ফুলকলি শোরুমের সামনে থেকে আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে।
সে পুলিশকে জানায়, তাকে অপহরণ করে হোটেলে আটকে রেখে হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।
পরে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ওসমানীনগর থানায় রবিবার নিয়মিত আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মুক্তিপণের টাকাসহ ‘অপহরণকারী’ গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে অপহরণ, ১০ দিন পর সাভারে উদ্ধার
সিলেটে হোটেলে দুই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে আটকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ছাত্রদল নেতা নাবিল রাজা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) র্যাবের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে সিলেট নগরী থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানার হরিণাপাটি গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে। তিনি মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন জালালাবাদ আবাসিক এলাকার ৪৭/১০ নং বাসার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় আরও দুইজন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে মহানগরীর পাঠানটুলাস্থ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় ভিকটিম দুই তরুণী সিলেটের জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী (১৮) কয়েক মাস আগে আইএলটিএস পড়ার জন্য সিলেট মহানগরীতে এসে আরেক নাট্যশিল্পী তরুণীর (২৫) সঙ্গে শাহজালাল উপশহরের একটি বাসায় থাকতে শুরু করেন। উপশহর এলাকায় থাকার সুবাধে ওই এলাকার স্নেহা বিউটি পার্লারের কর্মী তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫) নামের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়।
তানিয়া সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্দি গ্রামের দবির মিয়ার মেয়ে। তিনি শাহজালাল উপশহরের এইচ ব্লকের ৪ নং রোডের আলী ভিলা নামক ৫ তলা বাসায় ভাড়া থাকেন।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে তানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে সিলেটে আইএলটিএস করতে আসা সেই তরুণীর। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুবাধে ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানিয়া ফোন করে ওই তরুণীকে বলেন, তার ভাইয়ের জন্য এবি পজেটিভ রক্ত প্রয়োজন। ওই তরুণীর এবি পজেটিভ রক্ত হওয়ায় তিনি যেন এক ব্যাগ রক্ত দেয়ার জন্য রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে যান।
এমন ফোন পেয়ে ওই তরুণী তার বন্ধবীকে (২৫) নিয়ে তৎক্ষণাৎ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালের সামনে যান। সেখানে গিয়ে তানিয়াকে দেখতে পেয়ে রক্ত দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি ওই দুই তরুণীকে জানান, রক্ত দেয়ার আগে তার এক কাজিনের বাসায় একটু প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন শেষ করে তারা হাসপাতালে যাবেন।
এ কথা বলে কৌশলে ওই দুই তরুণীকে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলায় নিয়ে যান তানিয়া এবং তাদের দুইজনকে আলাদা আলাদা কক্ষে বসিয়ে রাখেন।
এ সময় তানিয়ার সহযোগী কয়েকজন তরুণ ও যুবক এসে ওই দুই তরুণীকে আটকে রাখেন এবং রাত সাড়ে ১১টার থেকে একের পর এক ১০-১২ জন যুবক তাদের দুইজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এছাড়াও এক তরুণীর (১৮) কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে যান তানিয়া ও ধর্ষকরা।
পরদিন (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে দুই তরুণীকে এক কক্ষে নিয়ে তাদের কাছ থেকে ‘ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি’এ মর্মে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় এবং এ কথাগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তাদের ছেড়ে দেয় তানিয়া ও তার সহযোগিরা।
ঘটনার পর দুই তরুণী জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা করেন।
তানিয়া ছাড়াও এই দুই মামলার আসমিরা হলো, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাইমিন রহমান রাহি (৩৩), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গোবিগন্দগঞ্জ গ্রামের মৃত তহুর আলীর ছেলে জুবেল (৩১), সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার আলী আকবরের ছেলে রানা আহমদ শিপলু ওরফে শিবলু (৩৫), সুনামগঞ্জ সদর থানার হরিনাপাট গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) ও সুজন (৩৫) এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয় জন।
এদিকে, এ ঘটনায় দায়ের করা পৃথক মামলায় মোহাইমিন রহমান রাহি ও তানজিনা আক্তার তানিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং র্যাব।
এর মধ্যে রাহি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৯ মাসে ৩৪ নারী ধর্ষণের পর হত্যা: আসক
ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে একদিনের ব্যবধানে দুই মাদরাসার ছাত্র নিখোঁজ
সিলেটে একদিনের ব্যবধানে পৃথক মাদরাসার দুই ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। তাদের একজন নগরী থেকে এবং অপরজন জেলার ওসমানীনগর থেকে নিখোঁজ হয়।নিখোঁজ লিমন হোসেন (১২) সিলেট নগরের জিন্দাবাজার মিতালী ম্যানশনের বাসিন্দা আবুল বাশারের ছেলে। সে নগরের জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র।এছাড়া নিখোঁজ আমিরুল ইসলাম (১৬) ওসমানীনগর উপজেলার কিয়ামপুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে। সে উপজেলার উমরপুর টাইটেল মাদরাসার ছাত্র।
জানা গেছে,গত ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মাদরাসার উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি লিমন হোসেন। পরে মাদরাসাসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজে তার সন্ধান মিলেনি। বৃহস্পতিবার শিশুটির বাবা আবুল বাশার এসএমপির কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ নিখোঁজ লিমনের ব্যাপারে জিডি দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।অন্যদিকে, সিলেটের ওসমানীনগর থেকে নিখোঁজ আমিরুল ইসলাম গত ৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদরাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। মাদরাসা ও আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। পরে বুধবার (১২ অক্টোবর) ওসমানীনগর থানায় জিডি করেন নিখোঁজ কিশোরের বাবা খাইরুল ইসলাম।
পরিবারের দাবি,আমিরুলকে অপহরণ করা হয়েছে। একাধিক মোবাইল ফোনে নিখোঁজের পরিবারকে অপহরণের কথা বলে নানাভাবে টাকা দাবি করছে একটি চক্র।নিখোঁজের বাবা খাইরুল ইসলাম বলেন,বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মোবাইলে অচেনা নাম্বার থেকে একটি কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ছেলেকে ফিরে পেতে সিলেট নগরের লালবাজার যেতে বলে। তাদের কথা মতো সেখানে যাবার প্রস্তুতি নিলেও যোগাযোগ করে ওই মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।সিলেটের ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন বলেন,নিখোঁজ মাদরাসার ছাত্রের খোঁজে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি, ক্যাপ্টেনসহ ৭ জন নিখোঁজ
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার